বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অতসী

ইসলামপুর থেকে সদরঘাটের দিকে ১০ মিনিট হেঁটে এলে বাঁয়ে যে মোড় আছে সেটা ধরে একদম সোজা হাঁটলে নাক বরাবর যে তিন তলা বাড়ি, সেটায় মাসখানেক হলো আমি উঠেছি। সেই বাড়িতে ওঠার আলাদা হেতু বলতে টিউশন মাস্টার হিসেবে বাড়িতে ডুকেছি। বাড়ির বাইরের দেয়াল যতটা শ্যাওলার দখলে পড়েছে, ভেতরকার দিকটা ততটাই পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চলছে। তাই আমার শোবার জন্য যে কক্ষ দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট ভালো বলাই যায়। বেলকনি নেই, কিন্তু একটা জানালা আছে।

রুমে একটা জায়গা আমার ভাববার জন্য বরাদ্দ রেখেছি। এখানে আরাম কেদারা পেতে বসে কখনো ঝিমুই, কখনো পুস্তকের পৃষ্ঠাগুলো গলাধকরণ করি। আজ নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারটা হঠাৎ খটখট শব্দ শুরু করেছে। এরপরও আরামে বসছি শক্ত করে। হঠাৎই মনে পড়ল, অতসী আজ দুদিন ধরে আমার কাছে কোনো চিঠি লিখছে না। অতসী হলো আমার ছাত্র নিলয়ের বড় আপু। ভার্সিটিতে এবার পা দিয়েছে। আমার অবশ্য পড়াশোনা শেষ মাস ছয়েক আগে। কিন্তু আমার জানালার ওপারে দালানঘরটি আজ দুদিন ধরে অন্ধকার। আমার যখন ক্লান্তি পায় ওই ঘরের বাচ্চাদের নাচানাচি দেখি। এই পনেরো-ষোলো বছর বয়সী একটা যুবতী মেয়েও আছে তাদের সাথে। আমাকে দূর থেকে দেখলেই ধপাস করে জানালা বন্ধ করে দেয়।
ভাবতে ভাবতেই নিলয় এসে হাজির।

- স্লামুলেকুম... নিরব ভাইয়া, ও ভাইয়া।
- হ্যা হ্যা, নিলয়। খবর কী। তোমার আপু কোথায়?
- কেন ভাইয়া, হঠাৎ আপুর কথা কেন?

আমি ভ্রু কুঁচকে নিজের উপরই বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘উহু, ওর মনে হয় একটা চ্যাপ্টার আমার থেকে বুঝে নেওয়ার কথা ছিল।’
- আপু আছে তো। ডাকব এখন?
- না না, ওর আসার হলে আসবে।

হঠাৎ ভাবলাম, অতসী তো আছে। তাহলে চিঠির জবাব কেন আসছে না! আজ ঘুমানোর আগে আরেকটি চিরকুট লিখে ফেললাম।
‘তোমার প্রতি উত্তরের অপেক্ষায় বেশ কয়েক প্রহর কাটিয়ে দিয়েছি। কতশত দীর্ঘ শ্বাস পড়েছে আক্ষেপের কবলে পড়ে। উত্তর দিতে কুণ্ঠাবোধ কি জেগেছে মনে?’

প্রতিবারের মতো সাদা সুতোয় আবারও ভাঁজ করে ঝুলিয়ে দিলাম জানালার ঠিক নিচের দিকে দুটো পিলারের ফাঁকে।

আজ মনটা খারাপ। নিলয়কে আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য ছুটি দিয়েছি। হঠাৎ জানালা দিয়ে ওপারে তাকাতেই দেখি বাচ্চাগুলোর নাচানাচিতে ঘরটি আবার মেতেছে। বেশ কিছুক্ষণ দেখে মন ভালো হয়ে গেল। তবুও ওই পাজি মেয়েটা আবারও জানালা বন্ধ করে দেওয়ায় আর দেখতে পেলাম না। ধপাস করে আরাম করতে বসে গেলাম।

বুঝলাম না, অতসীর প্রতি কেন এত ঝোঁক তৈরি হয়ে গেল। মেয়েটির রূপ আসলে বর্ণনা করার মতোই সুন্দর। বিশেষ করে ওর চোখ। আমার এ বয়সে এত সুন্দর নয়নের মেয়ে আমি একটা দেখিনি। প্রথমদিন হাত-পাখা দিয়ে যেতে আসার পরই হলো আমার দৃষ্টিবদল। শরীরের গঠন স্বাভাবিক। চোখে কাজল দিতে আমি দেখিনি। কিন্তু কল্পনায় বহুবার কাজল আমি লেপ্টে দিয়েছি তার চোখে। এই ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল নেই।

পরদিন দুপুর দুটোর দিকে দেখলাম আমার বেঁধে দেওয়া চিঠির জায়গায় হলুদ কাগজের আরেকটি চিরকুট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি সুতোয় টান দিয়ে চিঠিটি লুপে নিই। বেশ আগ্রহ, মনের আজান্তেই প্রকাশ পাচ্ছে। হাত কাঁপছে কেন জানি। প্রথম দৃষ্টিতে চিরকুটের বর্ণগুলো অস্পষ্ট লাগছে। চোখ কচলাতে কচলাতে চিরকুট পড়া শুরু করলাম-

‘বহু দিন নয়, সহস্র দিনের জন্য আপনাকে চাই। আপনাকে আপন করে চাই শেষ সীমানা অব্দি। বাবাকে বলেছি। আর দেরি সয় না। আমাদের ঘর বাঁধার দিন ঘনিয়ে এসেছে। বাবা আগামীকাল আসবে। কাল সন্ধ্যায় আপনি আমাদের ঘরে আসুন। বাবাকে সব দুজন এক সঙ্গে বলব। সমাজ-সংস্কৃতি আর ভালো লাগছে না। এবার মুখ খুলব।’

চিরকুট পড়ে আমার গায়ের কাঁপুনী আরও বেড়ে গেছে। আটাশ বছরের জীবনে এমন হয়েছে কি না তো আমার মনে পড়ে না। হঠাৎ হলো কী? আমার মনে হলো বোধশক্তি হারিয়ে ফেলব আর কিছুক্ষণ হলেই। কিছু না বুঝেই পরের দিন রইচ আঙ্কেলের রুমে হাজির হলাম।

কিছু জানিও না, বুঝতে পারছিও না আসলে আমাকে দিয়ে কী হচ্ছে। না বুঝেই আঙ্কেলের সাথে সাক্ষাৎ করতে চলে গেলাম।

- কেমন আছেন আঙ্কেল?
- ভালো বাবা, বোসো। তারপর বল, নিলয়ের খবর কী?
- আসলে আঙ্কেল, আমি আজ একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে চাই।
- হ্যা বাবা বল।
- কীভাবে যে বলি।
(ইতস্তত করতে করতে পেছনে খেয়াল করলাম নিলয় আর অতসী ও হাজির)

- হ্যা বলো, লজ্জা পাচ্ছ কেন।
- আঙ্কেল, আসলে আমি আর অতসী একে অপরকে...
কথা শেষ হওয়ার আগেই অতসী আর রইচ আঙ্কেল একসাথে বলে উঠল ‘কী’! রইচ আঙ্কেল সাথে সাথে উঠে চলে গেলেন।

অতসী আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল-
- আপনার কাছে অ্যাসাইনমেন্ট করতে যাই, তাই বলে এতদূর আপনি গেলেন কী করে!
- আসলে...
- প্লিজ ভাইয়া।

হনহন করে বের হয়ে গেলাম। রুমে গিয়ে আর স্থির থাকতে পারলাম না। কেবল ভাবনায় বুদ্বুদ উঠে, কীভাবে পারল হুট করেই এত পরিবর্তন হতে মেয়েটা! লজ্জা আর আত্মসম্মানের যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলাম। পরদিন বাসা ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। কিছু বই, ডায়েরি, আর সকল সার্টিফিকেট ছাড়া কিছুই নিইনি। দুপুর একটার দিকে কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। পথে ষোলো বছর বয়সী ওই মেয়েটি পথ আটকে বলে উঠল- ‘এসব কিছু আমার জন্য, আমায় ক্ষমা করবেন প্লিজ’

হঠাৎ করেই ট্রেনের হুইসেল বাজল...

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’