বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-হাব। সাধারণ প্যাকেজ ৫ লাখ ২৩ হাজার এবং বিশেষ প্যাকেজ ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে হজ এজেন্সি মালিকদের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা, আর বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
ঘোষণাকালে হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা বলেন, এ বছরের প্যাকেজগুলোতে উন্নত সেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পাবনায় শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীর চোখে আগামীর ছাত্র রাজনীতি ও বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে জেলা ছাত্রদলের শিক্ষার্থীদের আয়োজন পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ, পাবনা ইসলামীয়া ডিগ্রী কলেজ ও পাবনা কলেজে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল। এসময় ডা. আউয়াল বলেন, এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের মাঝে একশ'র অধিক শুধুমাত্র ছাত্রদলেরই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেশপ্রেমিক এই শহীদ ছাত্রনেতা-সহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
প্রস্তাবিত ৩১ দফাকে বাংলাদেশের মুক্তির সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করে ডা. আউয়াল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র মেরামত ও বিনির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ৩১ দফা হচ্ছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম প্রদত্ত ১৯ দফার-ই সময়োপযোগী ভার্সন। আগামীকাল ৭ নভেম্বরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সকলকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করাই হোক অঙ্গীকার।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে সক্ষম হয়েছি। ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য। আগামীতে দেশের প্রতিটা স্কুল-কলেজে সুন্দর শৃঙ্খলা রাজনীতি দেখবে বাংলাদেশের মানুষ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ ও পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্সসহ নেতৃবৃন্দ।
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের বিরুদ্ধে প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি মামলা করেছেন, যেখানে আসামি করা হয়েছে জাহিদুল ইসলাম আপনকেও। মামলা নম্বর ১১৩৬/২০২৪ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
প্রযোজক সিমির দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম হ্যাক করেছেন। তিনি এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করেন এবং পরে প্রযোজক সমিতির সহায়তা নেন। তবে শেষমেশ কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। জানা গেছে, অপুর বিশ্বাসের ডিজিটাল চ্যানেলগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করা হয় এবং পরবর্তীতে সেটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি অপু বিশ্বাস। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিমি লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং অপু ও জাহিদুলকে আসামি করেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বিষয়টি মিটমাট করার জন্য হিরো আলম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন এবং চ্যানেলটি ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়, যা অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সিমি। দর কষাকষির পর চ্যানেলটি ফেরত পাওয়ার আশায় সিমি হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন। চ্যানেলটি ফিরে পেলেও সিমি অভিযোগ করেন যে তার ভিডিওগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
প্রযোজক সিমি ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, ইউটিউব চ্যানেলটি ফেরত পাওয়ার পরও ভিডিওগুলো ফেরত না পাওয়ায় অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের কাছে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছেন। তিনি আরও জানান, চলচ্চিত্র প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরুর মাধ্যমেও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন, তবে সফল হননি। হিরো আলম তাকে ফোন করে বলেন, টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব, যা পরে সত্য প্রমাণিত হয়। তবে ভিডিওগুলো ফেরত না পাওয়ায় সিমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম (বামে), হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ
জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামকে নিজের টকশোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। আগামীকাল রাতে এই টকশো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেইজ ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ থেকে আগামী ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় এই টকশোর ঘোষণা দেন তিনি। নিজের পেইজের পোস্টটিতে খালেদ মুহিউদ্দীন লিখেছেন, ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে মুখোমুখি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সঙ্গে থেকে দেখুন ও মন্তব্য করুন।
তার এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতিকে ‘প্রমোট’ করার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘শহীদদের রক্তের সঙ্গে খালেদ মহীউদ্দীন বেইমানি করছেন’ বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম।
বুধবার (৬ নভেম্বর) নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পৃথক পোস্টে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানান এই দুই সমন্বয়ক।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।'
সারজিস আলম লেখেন, 'খালেদ মহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের অধিক শহিদের সঙ্গে বেইমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সাথে বেইমানি।'