বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘এ যেন আমার জীবনে আরও একটি বিজয়’

আমার কষ্টের দিনগুলো অনেক সংগ্রামের ছিল। আমাদের অল্প কিছু জমি ছিল, সেই সময় ধানের দাম খুব কম ছিল। অন্য আয়ের উৎস ছিল না। বুঝুন এতটা পথ কীভাবে পাড়ি দিলাম!! আমি বাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতাম। নিজ বাসায় মেয়েদের কাপড় তৈরি করার কাজ করতাম। আর, স্বামীর রেখে যাওয়া জমি-জমা দেখা শোনা করতাম।

এতে করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ত। আমার স্বামীর গচ্ছিত টাকাগুলো দেবররা নিয়েছিল ব্যবসা করতে!! ১৯৯০ সালে স্বামী মারা যাবার পরে আমাদের সঙ্গে আমার দুইজন দেবর থাকত; আমাদের খরচ বেড়ে যায়, তারা দুইজনেই এক বছরের মাঝে চলে যায় অন্যত্র। তার পরে আমরা যে বাসায় থাকতাম সেই বাসা ভাড়া দিলাম এবং পাশের ফাঁকা জায়গায় ছনের ঘর তৈরি করে সেখানে থাকা আরম্ভ করলাম। এভাবেই চলতে থাকে সেই সময়ের দিনগুলো...। আমার যে টাকা তারা ব্যবসায়ের জন্য নিয়েছিল তার কোনো হদিস আর পেলাম না। আমার শ্বশুর তার সংসার থেকে আমাদেরকে আলাদা করে দিলেন। চারদিকে শূণ্যতা অনুভব করতে লাগলাম। আমার বড় মেয়ে তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ত। একদিন শুনলাম তার চাকরি হয়েছে প্রাইমারী স্কুলে। চারপাশের নিভে যাওয়া বাতিগুলোর মাঝেও এক অদৃশ্য আলোর ইঙ্গিত পেলাম।

বড় মেয়েটি লেখাপড়া করত এবং একই সাথে স্কুলেও শিক্ষকতা করত। আমার ছেলেটি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ত। বড় মেয়েটিই তখন ছেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এর ভেতরেই ছোট মেয়েটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। খুশি হয়েছিলাম কিন্তু, পরক্ষণেই চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিলাম এই ভেবে, এত খরচ মেটাব কীভাবে? স্রষ্টা সহায়! কোনো কিছুই থেমে থাকেনি। জমি-জমাতে খুব ভালো ফসল হচ্ছিল আর আমার ভাইরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর, এক সময় বড় মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল। ততদিনে ছোট মেয়েটিও মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করার পথে। ২০০৩ সালে ছেলেটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ছোট মেয়েটি তখন ডাক্তারি পাশ করেছে এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পোস্টিং এর অপেক্ষায়। অবসাদ, বিষ্ণণ্ণতা, ক্লান্তি আর রইল না। মনে হয়েছিল স্বামীর রেখে যাওয়া দায়িত্ব বোধ করি যথাযথভাবেই পালন করা হয়েছে।

আমি ভাবতেই পারিনি এত দূর পর্যন্ত ভাগ্য আমাকে নিয়ে যাবে। আমার জীবন-সংগ্রামের ভিডিও চিত্র নিতে এসেছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে একজন উপ-সচিবের নেতৃত্বে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং নাটোরের গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এতেই ধারণা করেছিলাম কিছু একটা হবে। ফলাফল ঘোষণা হবার পরে যখন বুঝলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৭ সালে রাজশাহী বিভাগের সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে আমাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করা হলো।

আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমাকে বলা হল কিছু বলার জন্য, আমি বলেছিলাম এই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে আগেও এসেছি, এখানে আমার মেয়ে এক সময় পড়ত। আজ এখানে আমাকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এর চেয়ে বড় অর্জন কী হতে পারে? ঠিক সেই সময়ে আমার মনে হয়েছিল, এ যেন আমার জীবনে আরও একটি বিজয়!

বিশ্ব মা দিবস-২০২২ উপলক্ষে ১২ জন ‘স্বপ্নজয়ী মা’কে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর । এর মধ্যে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ‘স্বপ্নজয়ী মা’ আমি নার্গিস সুলতানা ছিলাম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত রাজধানীর নিজ অফিসে পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।

আরও উপস্থিত ছিলেন সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বাংলাদেশ শিশু একাডমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন প্রমুখ। আমি আমার মেয়ের বাসা অস্ট্রেলিয়ায় থাকার কারণে আমার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন আমার পুত্র ফাত্তাহ তানভীর রানা।

আমার জন্ম ১৯৫৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীনগর গ্রামে। দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীনই আমাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল বেসরকারি কলেজের শিক্ষকের সঙ্গে। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে আমার স্বামী হার্টএ্যাটাকে চলে যান না ফেরার দেশে। তখন আমি তিন সন্তানের জননী এবং বয়স মাত্র ৩৫ বছর। এরপর সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক তিন সন্তানকে আপন প্রত্যয়ে বড় করে তুলেছি। আমার অসীম ধৈর্য, সাহস, দৃঢ় মনোবল ও পরিশ্রমের ফসল এই তিন সন্তান। আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, আমাকে জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায়ও ২০১৬ সালের গুরুদাসপুর উপজেলা এবং নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা (সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে) মনোনীত করেন। জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রম সরকারের খুবই ভালো উদ্যোগ। এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয় সমস্ত মায়েদের যারা কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলে।

আমার বড় মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস (লীনা) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বি.এ. (সম্মান), এম. এ সম্পন্ন করে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর বড় জামাতা ড. মো. রবিউল করিম, অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। আমার ছোট মেয়ে ডা. নাদিরা পারভীন (রুনা) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস. সম্পন্ন করেছেন। ডাক্তার হবার পরে সে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় (স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ হয়। এফ.সি.পি.এস, পার্ট-১ সম্পন্ন হলে স্বামীর হাত ধরে চলে যান ঢাকায়। তারপর ২০০৮ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে স্বামীর সঙ্গে বিদেশে (অস্ট্রেলিয়ায়) পাড়ি দেন। আমার ছোট মেয়ে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল (AMC) এক্সামের দুই পর্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সমাপ্ত করেছেন। এ ছাড়া, সে ফেলো অব রয়েল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্রাকটিশনার্স (FELLOW OF ROYAL AUSTRALIAN COLLEGE OF GENERAL PRACTITIONERS) এর ৩য়/ চুড়ান্ত পর্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক (জিপি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর ছোট জামাতা ডা. রাশেদুল হাসান, এম.বি.বি.এস. (ঢামেক), বি.সি.এস (স্বাস্থ্য), এফ.সি.পি.এস, এমডি ডিগ্রিধারী। ছোট জামাতাও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আমার একমাত্র পুত্র ফাত্তাহ তানভীর মো. ফয়সাল রানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এলএল.বি (সস্মান), এলএল.এম সম্পন্ন করে বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা উত্তর অঞ্চলে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। আর বউমা আনজুমান আরা উপ-পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বনানী, ঢাকাতে কর্মরত আছেন।

নারী হয়েও আমার সংসারের হাল ধরা হয়তো অনেকে ভালো চোখে দেখত, তথাপি কেউ কেউ ভালো চোখে দেখত না। আমার স্বামী মারা গিয়েছেন, কোনো সঞ্চয়ও ছিল না। আমি সংসারের হাল না ধরলে কে ধরবে বলেন? এখনকার দিনের মতন হাট-বাজারে তখন মেয়েদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ছিল না। তারপরেও বাড়ি থেকে বের হতাম জীবনের প্রয়োজনে। অনুকূল পরিবেশ ছিল বলা যাবে না, তবে অনেকেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করতেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

লেখক: নার্গিস সুলতানা, ২০২২ সালের স্বপ্নজয়ী মা বিজয়ী, ২০১৭ সালের রাজশাহী বিভাগের সফল জননী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সেরা জয়িতা,পার্থ, অস্ট্রেলিয়া থেকে, nargisguru62@gmail.com

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

একজন ব্যক্তি বিমানবন্দর থেকে বাড়ি যেতে টানেল করেছে, আরেকজন বিমানবন্দরে থেকে যেন বাসায় যেতে পারে সেজন্য এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে এবি পার্টির পাঁচ প্রস্তাব’ শীর্ষক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের যে বিশাল ফ্লাইওভার (এলিভেটডের এক্সপ্রেসওয়ে)। এটার ওপর দিয়ে আসার সময় একটা এক্সিট দেখলাম না। এত বড় ফ্লাইওভারে মিনিমাম ১০টা এক্সিট দেওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রামের লোকেরা বলে একজন ব্যক্তির জন্য টানেল করা হয়েছে যেন সে বাড়ি থেকে এয়ারপোর্টে যেতে পারে। আরেকজন ব্যক্তির জন্য ফ্লাইওভার করা হয়েছে তার বাসা থেকে যেন এয়ারপোর্টে যেত পারে। একটা রাষ্ট্র তার উন্নয়নের মডেল তৈরি করেছে একটা লুটপাটের মডেল দিয়ে। তাহলে কিভাবে এটা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সাথে যায়? কারণ কথা ছিল রিপাবলিক করার। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা টাকা-পয়সা যে আপনি খরচ করবেন এটা মানুষের জন্য হতে হবে।’

সিডিএ’র প্ল্যান কোথায়, প্রশ্ন রেখে এবি পার্টির এ নেতা বলেন, ‘সিডিএ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে দেখি। চট্টগ্রামে বন্যা তো দেখিনি। সেই চট্টগ্রামে এখন প্রতিবছর অসম্ভব রকমের ঘাপলা মারা বন্যা হয়। এমনকি আপনাদের সাবেক মেয়রের বাসার নিচতলা নাকি ডুবে গেছে। তাহলে আপনি কি প্ল্যান করলেন? বন্যা হচ্ছে কেন? আপনাদের এখানে ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে শুধুমাত্র দিন-তারিখ কারেকশন করতে গিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এসব প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে এই টাকাগুলো খেয়ে ফেলেছে। তাহলে সিডিএ’র প্ল্যান কোথায়? এখানে তো উন্নয়ন নয়, শুধু ভোগান্তি দেখতে পাচ্ছি। কারণ আমি যে রিপাবলিক মডেলের রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলাম এটার সাথে যায় না। যে উন্নয়ন প্রকল্প করলে মাসের পর মাস মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকে সেই প্রকল্পে কোনো ইনসাফ নাই।’

চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত থেকে এসে যারা চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দেবে তাদের কারো চোখ থাকবে না, হাতও থাকবে না। জুলাই-আগস্টের পরিবর্তনের পরে এই কলকাতা নিয়ে যাওয়া, চিকেন নেকের গল্প মনে করিয়ে দেওয়া, ফেনী নদীর ওপারে কেটে চট্টগ্রাম আলাদা করে নিয়ে যাবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ঝামেলা চলছে…। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ যেকোনো মূল্যে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আত্মমর্যাদা এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না। সেজন্য দেশের প্রত্যেকটা পরতে পরতে যদি রিভাইজ করতে হয় আমরা করবো।’

দেশে নতুন জেনারেশনের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সম্মান এবং মর্যাদার বিষয়। এটাকে আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবো। আমাদের রাজনীতির ভিত্তি হবে নাগরিক অধিকার। আমরা রাষ্ট্রটিকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম নগরীর আহ্বায়ক অ্যাডোভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল কাশেম, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী

ছবি: সংগৃহীত

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে মাঝপথে বিকল হয়ে গেছে এমভি গ্রীন লাইন জাহাজ। মাঝপথে আটকে আছে জাহাজের ক্রুসহ ৭১ জন যাত্রী। যেখানে বিজিবি-কোস্ট গার্ড তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া অংশে নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হওয়ার পরপরই জাহাজটি কূলে এসে নোঙর করে।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, আটকা পড়া ক্রুসহ ৭১ জনকে উদ্ধারে বিজিবি-কোস্ট গার্ড কাজ করছে। তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস পাঠানো হয়েছে তাদের কক্সবাজারে ফেরাতে।

Header Ad
Header Ad

তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গত চারমাসে শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিকসহ মোট ১৬ হাজার ১০২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৩৯ হাজার ৭৬৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস৷

গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, ময়মনসিংহ, মেঘনাঘাট ও নরসিংদী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং কোম্পানির জনবল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১২৮টি শিল্প, ৭৮টি বাণিজ্যিক ও ১৫ হাজার ৮৯৬টি আবাসিকসহ মোট ১৬ হাজার ১০২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৩৯ হাজার ৭৬৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে দৈনিক ১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৮,৬৪,১১৯ লাখ টাকা। এছাড়া, অভিযানগুলোতে ৮৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে এবং নভেম্বর মাসে ১ (এক) জনকে কারাদণ্ডও দেওয়াও হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম