বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘এ যেন আমার জীবনে আরও একটি বিজয়’

আমার কষ্টের দিনগুলো অনেক সংগ্রামের ছিল। আমাদের অল্প কিছু জমি ছিল, সেই সময় ধানের দাম খুব কম ছিল। অন্য আয়ের উৎস ছিল না। বুঝুন এতটা পথ কীভাবে পাড়ি দিলাম!! আমি বাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতাম। নিজ বাসায় মেয়েদের কাপড় তৈরি করার কাজ করতাম। আর, স্বামীর রেখে যাওয়া জমি-জমা দেখা শোনা করতাম।

এতে করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ত। আমার স্বামীর গচ্ছিত টাকাগুলো দেবররা নিয়েছিল ব্যবসা করতে!! ১৯৯০ সালে স্বামী মারা যাবার পরে আমাদের সঙ্গে আমার দুইজন দেবর থাকত; আমাদের খরচ বেড়ে যায়, তারা দুইজনেই এক বছরের মাঝে চলে যায় অন্যত্র। তার পরে আমরা যে বাসায় থাকতাম সেই বাসা ভাড়া দিলাম এবং পাশের ফাঁকা জায়গায় ছনের ঘর তৈরি করে সেখানে থাকা আরম্ভ করলাম। এভাবেই চলতে থাকে সেই সময়ের দিনগুলো...। আমার যে টাকা তারা ব্যবসায়ের জন্য নিয়েছিল তার কোনো হদিস আর পেলাম না। আমার শ্বশুর তার সংসার থেকে আমাদেরকে আলাদা করে দিলেন। চারদিকে শূণ্যতা অনুভব করতে লাগলাম। আমার বড় মেয়ে তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ত। একদিন শুনলাম তার চাকরি হয়েছে প্রাইমারী স্কুলে। চারপাশের নিভে যাওয়া বাতিগুলোর মাঝেও এক অদৃশ্য আলোর ইঙ্গিত পেলাম।

বড় মেয়েটি লেখাপড়া করত এবং একই সাথে স্কুলেও শিক্ষকতা করত। আমার ছেলেটি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ত। বড় মেয়েটিই তখন ছেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এর ভেতরেই ছোট মেয়েটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। খুশি হয়েছিলাম কিন্তু, পরক্ষণেই চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিলাম এই ভেবে, এত খরচ মেটাব কীভাবে? স্রষ্টা সহায়! কোনো কিছুই থেমে থাকেনি। জমি-জমাতে খুব ভালো ফসল হচ্ছিল আর আমার ভাইরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর, এক সময় বড় মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল। ততদিনে ছোট মেয়েটিও মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করার পথে। ২০০৩ সালে ছেলেটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ছোট মেয়েটি তখন ডাক্তারি পাশ করেছে এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পোস্টিং এর অপেক্ষায়। অবসাদ, বিষ্ণণ্ণতা, ক্লান্তি আর রইল না। মনে হয়েছিল স্বামীর রেখে যাওয়া দায়িত্ব বোধ করি যথাযথভাবেই পালন করা হয়েছে।

আমি ভাবতেই পারিনি এত দূর পর্যন্ত ভাগ্য আমাকে নিয়ে যাবে। আমার জীবন-সংগ্রামের ভিডিও চিত্র নিতে এসেছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে একজন উপ-সচিবের নেতৃত্বে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং নাটোরের গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এতেই ধারণা করেছিলাম কিছু একটা হবে। ফলাফল ঘোষণা হবার পরে যখন বুঝলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৭ সালে রাজশাহী বিভাগের সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে আমাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করা হলো।

আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমাকে বলা হল কিছু বলার জন্য, আমি বলেছিলাম এই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে আগেও এসেছি, এখানে আমার মেয়ে এক সময় পড়ত। আজ এখানে আমাকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এর চেয়ে বড় অর্জন কী হতে পারে? ঠিক সেই সময়ে আমার মনে হয়েছিল, এ যেন আমার জীবনে আরও একটি বিজয়!

বিশ্ব মা দিবস-২০২২ উপলক্ষে ১২ জন ‘স্বপ্নজয়ী মা’কে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর । এর মধ্যে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ‘স্বপ্নজয়ী মা’ আমি নার্গিস সুলতানা ছিলাম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত রাজধানীর নিজ অফিসে পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।

আরও উপস্থিত ছিলেন সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বাংলাদেশ শিশু একাডমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন প্রমুখ। আমি আমার মেয়ের বাসা অস্ট্রেলিয়ায় থাকার কারণে আমার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন আমার পুত্র ফাত্তাহ তানভীর রানা।

আমার জন্ম ১৯৫৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীনগর গ্রামে। দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীনই আমাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল বেসরকারি কলেজের শিক্ষকের সঙ্গে। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে আমার স্বামী হার্টএ্যাটাকে চলে যান না ফেরার দেশে। তখন আমি তিন সন্তানের জননী এবং বয়স মাত্র ৩৫ বছর। এরপর সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক তিন সন্তানকে আপন প্রত্যয়ে বড় করে তুলেছি। আমার অসীম ধৈর্য, সাহস, দৃঢ় মনোবল ও পরিশ্রমের ফসল এই তিন সন্তান। আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, আমাকে জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায়ও ২০১৬ সালের গুরুদাসপুর উপজেলা এবং নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা (সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে) মনোনীত করেন। জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রম সরকারের খুবই ভালো উদ্যোগ। এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয় সমস্ত মায়েদের যারা কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলে।

আমার বড় মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস (লীনা) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বি.এ. (সম্মান), এম. এ সম্পন্ন করে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর বড় জামাতা ড. মো. রবিউল করিম, অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। আমার ছোট মেয়ে ডা. নাদিরা পারভীন (রুনা) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস. সম্পন্ন করেছেন। ডাক্তার হবার পরে সে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় (স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ হয়। এফ.সি.পি.এস, পার্ট-১ সম্পন্ন হলে স্বামীর হাত ধরে চলে যান ঢাকায়। তারপর ২০০৮ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে স্বামীর সঙ্গে বিদেশে (অস্ট্রেলিয়ায়) পাড়ি দেন। আমার ছোট মেয়ে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল (AMC) এক্সামের দুই পর্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সমাপ্ত করেছেন। এ ছাড়া, সে ফেলো অব রয়েল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্রাকটিশনার্স (FELLOW OF ROYAL AUSTRALIAN COLLEGE OF GENERAL PRACTITIONERS) এর ৩য়/ চুড়ান্ত পর্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক (জিপি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর ছোট জামাতা ডা. রাশেদুল হাসান, এম.বি.বি.এস. (ঢামেক), বি.সি.এস (স্বাস্থ্য), এফ.সি.পি.এস, এমডি ডিগ্রিধারী। ছোট জামাতাও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আমার একমাত্র পুত্র ফাত্তাহ তানভীর মো. ফয়সাল রানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এলএল.বি (সস্মান), এলএল.এম সম্পন্ন করে বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা উত্তর অঞ্চলে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। আর বউমা আনজুমান আরা উপ-পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বনানী, ঢাকাতে কর্মরত আছেন।

নারী হয়েও আমার সংসারের হাল ধরা হয়তো অনেকে ভালো চোখে দেখত, তথাপি কেউ কেউ ভালো চোখে দেখত না। আমার স্বামী মারা গিয়েছেন, কোনো সঞ্চয়ও ছিল না। আমি সংসারের হাল না ধরলে কে ধরবে বলেন? এখনকার দিনের মতন হাট-বাজারে তখন মেয়েদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ছিল না। তারপরেও বাড়ি থেকে বের হতাম জীবনের প্রয়োজনে। অনুকূল পরিবেশ ছিল বলা যাবে না, তবে অনেকেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করতেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

লেখক: নার্গিস সুলতানা, ২০২২ সালের স্বপ্নজয়ী মা বিজয়ী, ২০১৭ সালের রাজশাহী বিভাগের সফল জননী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সেরা জয়িতা,পার্থ, অস্ট্রেলিয়া থেকে, nargisguru62@gmail.com

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত