বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘এ যেন আমার জীবনে আরও একটি বিজয়’

আমার কষ্টের দিনগুলো অনেক সংগ্রামের ছিল। আমাদের অল্প কিছু জমি ছিল, সেই সময় ধানের দাম খুব কম ছিল। অন্য আয়ের উৎস ছিল না। বুঝুন এতটা পথ কীভাবে পাড়ি দিলাম!! আমি বাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতাম। নিজ বাসায় মেয়েদের কাপড় তৈরি করার কাজ করতাম। আর, স্বামীর রেখে যাওয়া জমি-জমা দেখা শোনা করতাম।

এতে করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ত। আমার স্বামীর গচ্ছিত টাকাগুলো দেবররা নিয়েছিল ব্যবসা করতে!! ১৯৯০ সালে স্বামী মারা যাবার পরে আমাদের সঙ্গে আমার দুইজন দেবর থাকত; আমাদের খরচ বেড়ে যায়, তারা দুইজনেই এক বছরের মাঝে চলে যায় অন্যত্র। তার পরে আমরা যে বাসায় থাকতাম সেই বাসা ভাড়া দিলাম এবং পাশের ফাঁকা জায়গায় ছনের ঘর তৈরি করে সেখানে থাকা আরম্ভ করলাম। এভাবেই চলতে থাকে সেই সময়ের দিনগুলো...। আমার যে টাকা তারা ব্যবসায়ের জন্য নিয়েছিল তার কোনো হদিস আর পেলাম না। আমার শ্বশুর তার সংসার থেকে আমাদেরকে আলাদা করে দিলেন। চারদিকে শূণ্যতা অনুভব করতে লাগলাম। আমার বড় মেয়ে তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ত। একদিন শুনলাম তার চাকরি হয়েছে প্রাইমারী স্কুলে। চারপাশের নিভে যাওয়া বাতিগুলোর মাঝেও এক অদৃশ্য আলোর ইঙ্গিত পেলাম।

বড় মেয়েটি লেখাপড়া করত এবং একই সাথে স্কুলেও শিক্ষকতা করত। আমার ছেলেটি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ত। বড় মেয়েটিই তখন ছেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এর ভেতরেই ছোট মেয়েটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। খুশি হয়েছিলাম কিন্তু, পরক্ষণেই চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিলাম এই ভেবে, এত খরচ মেটাব কীভাবে? স্রষ্টা সহায়! কোনো কিছুই থেমে থাকেনি। জমি-জমাতে খুব ভালো ফসল হচ্ছিল আর আমার ভাইরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর, এক সময় বড় মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল। ততদিনে ছোট মেয়েটিও মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করার পথে। ২০০৩ সালে ছেলেটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ছোট মেয়েটি তখন ডাক্তারি পাশ করেছে এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পোস্টিং এর অপেক্ষায়। অবসাদ, বিষ্ণণ্ণতা, ক্লান্তি আর রইল না। মনে হয়েছিল স্বামীর রেখে যাওয়া দায়িত্ব বোধ করি যথাযথভাবেই পালন করা হয়েছে।

আমি ভাবতেই পারিনি এত দূর পর্যন্ত ভাগ্য আমাকে নিয়ে যাবে। আমার জীবন-সংগ্রামের ভিডিও চিত্র নিতে এসেছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে একজন উপ-সচিবের নেতৃত্বে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং নাটোরের গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এতেই ধারণা করেছিলাম কিছু একটা হবে। ফলাফল ঘোষণা হবার পরে যখন বুঝলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৭ সালে রাজশাহী বিভাগের সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে আমাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করা হলো।

আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমাকে বলা হল কিছু বলার জন্য, আমি বলেছিলাম এই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে আগেও এসেছি, এখানে আমার মেয়ে এক সময় পড়ত। আজ এখানে আমাকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এর চেয়ে বড় অর্জন কী হতে পারে? ঠিক সেই সময়ে আমার মনে হয়েছিল, এ যেন আমার জীবনে আরও একটি বিজয়!

বিশ্ব মা দিবস-২০২২ উপলক্ষে ১২ জন ‘স্বপ্নজয়ী মা’কে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর । এর মধ্যে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ‘স্বপ্নজয়ী মা’ আমি নার্গিস সুলতানা ছিলাম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত রাজধানীর নিজ অফিসে পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।

আরও উপস্থিত ছিলেন সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বাংলাদেশ শিশু একাডমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন প্রমুখ। আমি আমার মেয়ের বাসা অস্ট্রেলিয়ায় থাকার কারণে আমার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন আমার পুত্র ফাত্তাহ তানভীর রানা।

আমার জন্ম ১৯৫৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীনগর গ্রামে। দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীনই আমাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল বেসরকারি কলেজের শিক্ষকের সঙ্গে। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে আমার স্বামী হার্টএ্যাটাকে চলে যান না ফেরার দেশে। তখন আমি তিন সন্তানের জননী এবং বয়স মাত্র ৩৫ বছর। এরপর সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক তিন সন্তানকে আপন প্রত্যয়ে বড় করে তুলেছি। আমার অসীম ধৈর্য, সাহস, দৃঢ় মনোবল ও পরিশ্রমের ফসল এই তিন সন্তান। আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, আমাকে জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায়ও ২০১৬ সালের গুরুদাসপুর উপজেলা এবং নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা (সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে) মনোনীত করেন। জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রম সরকারের খুবই ভালো উদ্যোগ। এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয় সমস্ত মায়েদের যারা কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলে।

আমার বড় মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস (লীনা) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বি.এ. (সম্মান), এম. এ সম্পন্ন করে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর বড় জামাতা ড. মো. রবিউল করিম, অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। আমার ছোট মেয়ে ডা. নাদিরা পারভীন (রুনা) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস. সম্পন্ন করেছেন। ডাক্তার হবার পরে সে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় (স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ হয়। এফ.সি.পি.এস, পার্ট-১ সম্পন্ন হলে স্বামীর হাত ধরে চলে যান ঢাকায়। তারপর ২০০৮ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে স্বামীর সঙ্গে বিদেশে (অস্ট্রেলিয়ায়) পাড়ি দেন। আমার ছোট মেয়ে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল (AMC) এক্সামের দুই পর্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সমাপ্ত করেছেন। এ ছাড়া, সে ফেলো অব রয়েল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্রাকটিশনার্স (FELLOW OF ROYAL AUSTRALIAN COLLEGE OF GENERAL PRACTITIONERS) এর ৩য়/ চুড়ান্ত পর্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক (জিপি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর ছোট জামাতা ডা. রাশেদুল হাসান, এম.বি.বি.এস. (ঢামেক), বি.সি.এস (স্বাস্থ্য), এফ.সি.পি.এস, এমডি ডিগ্রিধারী। ছোট জামাতাও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আমার একমাত্র পুত্র ফাত্তাহ তানভীর মো. ফয়সাল রানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এলএল.বি (সস্মান), এলএল.এম সম্পন্ন করে বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা উত্তর অঞ্চলে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। আর বউমা আনজুমান আরা উপ-পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বনানী, ঢাকাতে কর্মরত আছেন।

নারী হয়েও আমার সংসারের হাল ধরা হয়তো অনেকে ভালো চোখে দেখত, তথাপি কেউ কেউ ভালো চোখে দেখত না। আমার স্বামী মারা গিয়েছেন, কোনো সঞ্চয়ও ছিল না। আমি সংসারের হাল না ধরলে কে ধরবে বলেন? এখনকার দিনের মতন হাট-বাজারে তখন মেয়েদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ছিল না। তারপরেও বাড়ি থেকে বের হতাম জীবনের প্রয়োজনে। অনুকূল পরিবেশ ছিল বলা যাবে না, তবে অনেকেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করতেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

লেখক: নার্গিস সুলতানা, ২০২২ সালের স্বপ্নজয়ী মা বিজয়ী, ২০১৭ সালের রাজশাহী বিভাগের সফল জননী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সেরা জয়িতা,পার্থ, অস্ট্রেলিয়া থেকে, nargisguru62@gmail.com

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন ১০ এপ্রিল থেকে সব ধরনের মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে, ২ এপ্রিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছিলেন, যার মধ্যে চীনের জন্য ৩৪ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনও এর পরদিন মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

৭ এপ্রিল, সোমবার, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, চীন যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। তবে, চীন ওই হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর করেছে। বর্তমানে, চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১০৪ শতাংশ।

এদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির সঙ্গে কথা বলার সময় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপে বেইজিং কোনো ধরনের বিচলিত নয় এবং শুল্ক বৃদ্ধি করলে চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

এছাড়া, ২ এপ্রিলের পর ট্রাম্প আরও ১২টি দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর রয়েছে। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর, যা ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ৩৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র: আরটি, আলজাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

ছবি: সংগৃহীত

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ পালনে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় এবং সারা দেশে ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে অর্থ অপচয় এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই অনুসন্ধান পরিচালিত হচ্ছে। দুদক সম্প্রতি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বুধবার (৯ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সদস্যরা হলেন— সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস. এম. রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অভিযোগ অনুযায়ী, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে প্রায় ১০ হাজার ম্যুরাল এবং ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, যার মোট ব্যয় হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় এবং অপচয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিববর্ষের কার্যক্রম চলছিল, তবে করোনা মহামারির কারণে অনুষ্ঠানগুলি যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি, তাই এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ১ হাজার ২২০টি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ ৭০০-এর বেশি স্থানে এই নির্মাণ কাজ করা হয়, যার ফলে প্রায় ১০ হাজার ম্যুরাল ও ভাস্কর্য গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে প্রতিটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকার মধ্যে। সড়কের বিভিন্ন জায়গা, চৌরাস্তায়, নদী বা পুকুরপাড়ে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির প্রবেশপথেও বসানো হয়েছে এসব ভাস্কর্য।

মাসখানেক আগে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যুরালের ডিজাইন ও নকশা তৈরিতে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকা, এবং অন্যান্য খরচসহ এর মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) কর্তৃক নির্মিত ১০ ফুট উচ্চতা এবং ৮ ফুট প্রস্থের একটি ম্যুরালের নির্মাণে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশের বেতার ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় একটি ম্যুরাল নির্মাণ করেছে।

এছাড়া, এসব ম্যুরাল এবং ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য কোন পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি, এবং স্থানীয় প্রশাসন সরকারি অর্থে এসব নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।

দুদকের অনুসন্ধান এখনো চলমান, এবং এই তদন্তের মাধ্যমে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

Header Ad
Header Ad

১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা

শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের সময় ১২০টিরও বেশি হলে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত সিনেমা বরবাদ, যা মেহেদী হাসান হৃদয়ের প্রথম পরিচালনা। শাকিব খানের অভিনয়ের কারণে ছবিটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে এবং প্রায় প্রতিটি শোই হাউজফুল যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টারে প্রতিদিন ৬০-৭০টি শো চলছে এই ছবিটির।

প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি বহুবার জানিয়েছিলেন যে ছবিটির বাজেট ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা। কিন্তু ছবির বাজেটের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছিল শাকিব খানের পারিশ্রমিক কত ছিল? সম্প্রতি এই বিষয়ে কথা বলেছেন পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয়।

বরবাদ সিনেমার প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি ও শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হৃদয়। সেখানে উপস্থাপিকা শাকিব খানের পারিশ্রমিক জানতে চাইলে তিনি সরাসরি জানান, বরবাদ-এ শাকিব খানের পারিশ্রমিক ছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এর আগে, শাকিব খান সাধারণত ৩-৪ বছর আগেও ছবি প্রতি ৪০-৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। তবে তার ২০১৮ সালের ছবি প্রিয়তমা ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য পাওয়ার পর শাকিব তার পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করে ফেলেন। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে, তিনি তার পরবর্তী ছবিগুলোর জন্য দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক চাচ্ছেন। বিশেষভাবে, প্রযোজকরা এখন আর্থিকভাবে শাকিব খানকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন, কারণ বর্তমানে তার নামই যেন ‘মানিব্যাক গ্যারান্টি’ হয়ে উঠেছে।

এছাড়া, পরিচালক হৃদয় আরও দাবি করেছেন যে বরবাদ সিনেমার বাজেট ১৫-১৬ কোটি টাকা। ছবিটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন এবং ভারতের রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, যিশু সেনগুপ্ত এবং ইধিকা পাল।

বরবাদ ছবিটি ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ছবিটি দারুণ ব্যবসা করছে এবং দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে, বিশেষ করে শাকিব খানের অভিনয় তাকে আবারও প্রমাণ করেছে চলচ্চিত্র শিল্পের শীর্ষ তারকা হিসেবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন
মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
‘অতি গোপনীয় অভিযোগ’ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
ডিসেম্বরের আগে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন
ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ
টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী
মাঠে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আম্পায়ার গাজী সোহেল
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা
বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএসসহ সরকারি চাকরি, দুদকের তদন্তে মিলেছে প্রমাণ
এসএসসি পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
‘মাইক্রোসফটের সবার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত’, প্রতিবাদ করে বরখাস্ত দুই কর্মী
বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
সংস্কার সুপারিশে ত্রিমুখী অবস্থানে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির
অপহরণ নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবি, সাভারের মা-মেয়ে গ্রেফতার
গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত আরও ২৬ ফিলিস্তিনি