বিরোধী দলের ভোটে অংশ নেওয়ার পরিবেশ নেই: জোনায়েদ সাকী

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেছেন, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ভোটে অংশ নেওয়ার তো কোনো পরিবেশ নেই। সঠিকভাবে নির্বাচন হলে বিরোধী দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। কিন্তু সেটা যদি ১৪ ও ১৮ সালের মতো হয়, দিনের ভোট ডাকাতি, রাতের ভোট ডাকাতি অথবা ডিজিটাল ডাকাতি, সেটা তো কোনো নির্বাচন হলো না। ফলে নির্বাচন আয়োজনের যে পরিবেশ সেটার জন্য কাজ করছি। সেটা দলীয় সরকারের অধীনে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যেজন্য যেভাবে নির্বাচন সম্ভব সেটির পরিষ্কার দফা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে বিরোধী দলের আন্দোলন ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য। লড়াই চলছে, এই লড়াই ধাপে ধাপে আরও অগ্রসর হবে। এটা অগ্রসর হওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকী বলেন, দেশে গঠনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে সরকার একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করেছে। আমরা মনে করি দেশের শাসনব্যবস্থা বদলের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। শাসনব্যবস্থা বদলাতে হবে, এটিকে গণতান্ত্রিক করে হবে। জনগণের করতে হবে। তার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের, এদেশের কৃষকের, শ্রমিকের, যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শক্তি ছিলেন রাষ্ট্রে তাদের ন্যায্য হিস্যা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার হলো প্রথম সংগ্রাম। ভোটাধিকার না থাকলে অন্য কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না। ফলে কোনো অবস্থাতেই ভোটাধিকার হরণ করাকে জায়েজ করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়াতেই এটি রাতের ভোট সেটি বলতে পেরেছি। আমরা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও পরেরদিন রাস্তায় নেমেছি। বলেছি এটা ভোট ডাকাতি হয়েছে। দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী, প্রশাসন যদি সশস্র অবস্থায় মানুষের উপরে ঝাপিয়ে পড়ে সেটা তো যুদ্ধ অবস্থা। কিন্তু এখন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা দেখছে। যে পর্যন্ত জয়ী না হবে লড়াই চালিয়ে যাবে।
এসজি
