মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দাপুটে নেত্রীরা এখন কে কোথায়?

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের জন্য ছিল একটি দু:স্বপ্নের ন্যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। জনরোষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দিতে শুরু করেন। বিগত দিনে রাজপথ কাঁপানো ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকের খোঁজ মিললেও এখনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না দাপুটে সব ছাত্রলীগ নেত্রীদের। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও নেই আগের মত সক্রিয়।

এদিকে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে নতুন করে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে ‘৭ মিনিটে ঢাকা খালি’ করার হুমকি ও ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় বৈষ্যম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপের মতো ন‍্যক্কারজন‍ক ঘটনার হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগের সেসব দাপুটে নেত্রীরা এখন কে কোথায় আছেন?

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন দল ও সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ক্ষমতাধর কাউকে। তবে দেশের একটি গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেত্রীর বর্তমান অবস্থান ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ৭ মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ারের ‘ঘোষক’ আতিকা আত্মগোপনে রয়েছেন: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনের হয়রানিতে অতিষ্ঠ ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলে যেতে বাধ‍্য করা, অন‍্যথায় মারধরের শিকার হওয়ার ভয়ে আতিকা ছিলেন শিক্ষার্থীদের এক আতঙ্কের নাম। বগুড়ার মেয়ে আতিকা ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের খুব ঘনিষ্ঠজন। এর সুবাদে ক‍্যাম্পাসে তাঁর ছিল সীমাহীন ক্ষমতা। কমিটি বাণিজ্য, সচিবালয়ে তদবিরসহ নানা অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাদ্দাম-ইনান যে কয়টি কমিটি ঘোষণা করেছেন, সেখানে লেনদেন বাণিজ‍্যের অভিযোগ রয়েছে আতিকার বিরুদ্ধে।

আতিকা বিনতে হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

আতিকার ঔদ্ধত‍্য ছিল ১৫ জুলাই রাতেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘৭ মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ার’-এর হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ‍্যে আতঙ্ক তৈরির অপচেষ্টা করেন তিনি। এরপর আর শেষ রক্ষা হয়নি। ১৭ জুলাই রাতে ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি ও হালকা উত্তম-মধ‍্যম দিয়ে আতিকাসহ ছাত্রলীগের সাত নেত্রীকে রোকেয়া হল থেকে বের করে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর পরই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তাঁকে আর দেখা যায়নি জনসম্মুখে।

ইডেনে গরম পানি নিক্ষেপকারী নেত্রীদের খোঁজ মিলছে না:

ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন ইডেন কলেজের বকুলতলায় আন্দোলনকারী ছাত্রীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা সিদ্দিকা মীম, সুষ্মিতা বাড়ৈ, রুনা আক্তার সুপ্তি, আর্নিকা তাবাসসুম স্বর্ণা, লিমা ফেরদৌস, আশরাফ লুবনা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন নাহার জ্যোতি ও ফারজানা ইয়াসমীন (লুবনা নীলা)। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়ে ৩ আগস্ট গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। শেখ হাসিনার পালানোর পর তাঁরাও গা-ঢাকা দেন।

ইডেনের হলে ৩৮ কক্ষের ‘দখলদার’ রিভা ভারতে:

ইডেন মহিলা কলেজের ছয়টি হলের ৩৮টি কক্ষের অঘোষিত মালিক ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ইডেন কলেজ শাখার সভাপতি রিভা। এসব কক্ষের প্রতিটিতে আটজন করে শিক্ষার্থী থাকতেন। অভিযোগ আছে, তিনি প্রতি মাসে প্রতিটি সিট থেকে দুই হাজার টাকা করে ‘ভাড়া’ নিতেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। সে হিসাবে প্রতি মাসেই তার ছয় লাখ টাকা সিট-বাণিজ‍্য থেকে অবৈধ আয় হতো।

রিভা। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, রিভা সব সময় থাকতেন মারমুখী অবস্থানে। পান থেকে চুন খসলেই সাধারণ শিক্ষার্থী বটেই, রক্ষা পেতেন না নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

১৬ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে রিভাকে হল ছেড়ে পালাতে দেখেছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিভার ঘনিষ্ঠ আরেক নেত্রী এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, বর্তমানে রিভা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

গ্রিল চুরি করে তদন্তের মুখে পড়া প্রভাতী বিয়ের পিঁড়িতে:

ঘরকন্নায় মন দিয়েছেন রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (হোম ইকোনমিক্স) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতী। গত সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। বর্তমানে সংসারে মনোযোগী হতে চান তিনি বলে এই প্রতিবেদকে সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি। তবে ‘বিপদে আছি’ উল্লেখ করে তদন্ত নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আকলিমা আক্তার প্রভাতী। ছবি: সংগৃহীত

গ্রিল চুরির ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনিও জড়িত ছিলেন, কলেজে তদন্তও চলছে তার বিরুদ্ধে। কলেজের দরজা-জানালা ও দেয়ালের ওপরের জন্য সংরক্ষিত গ্রিল চুরি করে বেচে দেওয়ার অভিযোগে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।

সনি-প্রভাতী ক‍্যাম্পাসে এতেটাই দাপুটে ছিলেন যে, চাঁদা না পেয়ে ক‍্যাম্পাসে এক সময় শেখ হাসিনা হলের উন্নয়ন কাজও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে তাদের দুজনের সঙ্গে আপসরফা করে কাজ শুরু করেন ঠিকাদাররা। হলে সিট বাণিজ্য, কেন্টিন থেকে নিয়মিত মাসোহারা এবং হলে ব্রডব্র‍্যান্ড লাইন সরবরাহে আইএসপি কোম্পানিও তাঁদের মাসিক চাঁদা দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফেরারি আসামি হয়ে যুক্তরাজ্যে শান্তা:

নিজ সংগঠনের কর্মীদের মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়ে আলোচনায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শামসুন নাহার হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জেসমিন শান্তা। মারধরে আহত রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শান্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

জেসমিন শান্তা। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে শান্তার মারধরের শিকার হন তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় এলাকায় ভাসমান দোকান বসিয়ে মাসোহারা তুলতেন তিনি। ২০২১ সালে ১২ অক্টোবর প্রক্টরিয়াল টিম এসব ভাসমান দোকান তুলতে গেলে বাধা দেন তিনি। তখন পিছু হটে বিশ্ববিদ‍্যালয় প্রশাসন।

শান্তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এখন যুক্তরাজ‍্য থেকে নিজের ছবি পোস্ট করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে সরব রয়েছেন।

ছাত্রলীগের কমিটি বাণিজ‍্যের ‘ক‍্যাশিয়ার’ নিশি ফেসবুকে সরব:

ছাত্রলীগের ক্ষমতাধর নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বেনজির হোসেন নিশি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্রলীগের সভাপতি। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে নিশির ক্ষমতা ছিল অসীম। অভিযোগ আছে, লেখক ভট্টাচার্য্যের কমিটি বাণিজ‍্যসহ চাঁদাবাজি থেকে প্রাপ্ত অর্থের চার ক্যাশিয়ারের একজন ছিলেন তিনি।

বেনজির হোসেন নিশি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য ও শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাইফুজ্জামান শিখরের জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে সংগঠনের তৃণমূলেও তিনি প্রভাব বিস্তার করতেন। নিজ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তিনি ও তাঁর সহযোগীরা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. এহসানুল হক ইয়াসিরকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পিটিয়ে আহত করেছিলেন। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।

এখানেই শেষ নয়। নিশির হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন রোকেয়া হলের নেত্রী ফাল্গুনী দাস তন্বী। তন্বীর মামলায় এখনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঝুলছে নিশির বিরুদ্ধে।

আত্মগোপনে থাকা নিশি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে সক্রিয়, অজ্ঞাত স্থান থেকে দিয়ে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী নানা পোস্ট। সম্প্রতি আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে ব্যঙ্গ করে এক পোস্টে তিনি লিখেন ‘হায় আল্লাহ, আমি যদি কোনোদিন প্রেমিক হওয়ার সুযোগ পেতাম, আমি জানি না কখনও হতে পারব কি না! যদি হতাম, জীবন দিয়ে প্রেম করতাম, খালি মেয়েদের হৃদয় জয় করার জন্য।—জনৈক ছাত্রীবান্ধব শিক্ষক, ট্রিপল বিয়ে।’

ব্ল্যাকমেইলার-খ্যাত সুপ্তি ভ্রমণে কাটাচ্ছেন সময়:

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুনা আক্তার সুপ্তি একই কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক আর্নিকা তাবাসসুম স্বর্ণাকে নিয়ে এক ‘ব্ল‍্যাকমেইলিং’ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। অভিযোগ আছে, তারা ব্যাংকার, আওয়ামী লীগের মাঝারি শ্রেণির নেতা, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য করে পরে তাদের ব্ল‍্যাকমেইল করতেন।

মাস ছয়েক আগে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ব্ল‍্যাকমেইল করে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ আছে সুপ্তি-স্বর্ণার বিরুদ্ধে। এ ব‍্যাপারে ফোনে এনটিভি অনলাইনের কাছে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তবে তিনি তাঁর সহযোগী স্বর্ণাকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, আমি শুনেছি স্বর্ণা এটা করেছে, টাকাও নিয়েছে।’

সুপ্তি এখন ঘোরাঘুরিতে সময় কাটাচ্ছেন, ছবি পোস্ট করছেন ফেসবুকে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, নওগাঁয় নিজের বাড়িতেই আছেন তিনি।

সরকারবিরোধী পোস্টে সরব পলাতক স্বর্ণা:

সুপ্তির মতো একই অভিযোগ ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আর্নিকা তাবাসসুম স্বর্ণার বিরুদ্ধে। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ থাকলেও সক্রিয় আছেন ফেসবুকে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী নানা পোস্ট দিচ্ছেন স্বর্ণা।

আর্নিকা তাবাসসুম স্বর্ণা। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এক পোস্টে তিনি লেখেন ‘পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন-দেশ দিয়ে গেছি কিন্তু এই দেশে যেই বীজ ছেড়ে দিয়ে গেছি, তারা ৫০ বছর পরে হলেও পাকিস্তানের হয়ে আওয়াজ দেবে! রক্ত কথা বলে, রক্ত কথা বলছে!’

হলে ফাও খাওয়া ফরিদা পারভীন আত্মগোপনে:

ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় কুয়েত মৈত্রী হল’ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফরিদা পারভীন। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ পান। সর্বশেষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হতে দৌড়ঝাঁপ করছিলেন তিনি। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার সুপারিশে ঢাকা সিটি কলেজে প্রভাষক হয়েছিলেন তিনি। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি সেই চাকরি হারান, চলে যান আত্মগোপনে।

ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক এই দাপুটে নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। হলের ক‍্যান্টিন থেকে ফাও খাওয়া, হলের পার্লার থেকে চাঁদাবাজি ও রূপচর্চা করে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁকে চাঁদা না দিয়ে হলের কোনো উন্নয়নকাজ হতো না, আইএসপি পারত না হলে ইন্টারনেট সেবা দিতে। প্রতি মাসে হলের ডাইনিং থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিতেন বলেও অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

নিয়োগ বাণিজ্যের হোতাদের খবর নেই স্বজনদের কাছেও!

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা, কোহিনুর আক্তার রাখি ও খাদিজা আক্তার উর্মি, উপমুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক রনক জাহান রাইন ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের শক্তিতে। তাঁদের নাম ভাঙিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে নিতেন সুবিধাও। করতেন টেন্ডারবাজি ও নিয়োগবাণিজ্য। ৫ আগস্টের পর তাঁরা সবাই আত্মগোপনে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা রিপা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ জুয়েলকে তুরি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ভাইরাল হন। তিনি এখন কোথায়—বলতে পারেন না তাঁর স্বজন ও পরিচিতজনরাও।

শেলীর শাসনে চলত বদরুন্নেছা কলেজ:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলী ছিলেন কলেজের অঘোসিত শাসক। তাঁর কথায় যেন চলত ক্যাম্পাসের সব কিছু। কেউ কথা না শুনলেই নেমে আসত নির্যাতন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল-মিটিংয়ে যেতে বাধ্য করা, কেউ যেতে না চাইলে নির্যাতন করা ছিল তাঁর নিয়মিত কাজ। ক্যান্টিনে খাবারের প‍্যাকেজের নির্ধারিত মূল‍্য ৮০০ টাকা থাকলেও শেলীর কথায় নেওয়া হতো এক হাজার টাকা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ২০০ টাকা আত্মসাৎ করতেন তিনি। হলের সিট বাণিজ‍্যেও নেতৃত্ব দিতেন তিনি। নতুন শিক্ষার্থীদের হলে উঠাতে সিটপ্রতি নিতেন ৭ থেকে ১৩ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না।

পেটুয়া সাইমুনের খবর জানেন না কেউই:

বদরুন্নেসায় সেলিনা আক্তার শেলীর আরেক সহযোগী সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ পাহাড়সম। হলে সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থীদের মিছিল-মিটিংয়ে যেতে বাধ্য করা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চাঁদা না দেওয়া ও কেক কাটার সময় উপস্থিত না হওয়ায় কয়েক শিক্ষার্থীর কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও পরে সেই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে গণমাধ‍্যমের নজরে পড়েন সাইমুন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ‍্য হন তিনিসহ ছাত্রলীগের নেত্রীরা। বদরুন্নেছায় ছাত্রলীগের নেত্রীদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এতটাই ক্ষোভ ছিল যে তাদের না পেয়ে তাদের দুই সহযোগীকে ক‍্যাম্পাসে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন আন্দোলনকারীরা।

ধরা পড়ে কারাগারে আরিয়ানা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের তালিকা করে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠাতেন। গত ১৭ অক্টোবর ক‍্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন তিনি।

আলফি শাহরিন আরিয়ানা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ‍্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান সংবাদিকদের বলেছেন, আরিয়ানা পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাঁর সঙ্গে একই হলে বসে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় যেন ‘মব জাস্টিস’ না হয়, সেজন্য পুলিশের হাতে তাঁকে সোপর্দ করা হয়।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক গণমাধ্যমকে জানান, আরিয়ানার বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সরবরাহ আইন (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন) প্রণয়ন করে দায়মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই খাতে লুটপাটের মডেল তৈরি হয়। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় ঘুষ, কমিশন, এবং অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতার কারণে জনগণের ওপর ৭২ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৭০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এ সময়ে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ প্রকল্প দ্রুত সরবরাহ আইনের আওতায় অনুমোদন পাওয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ ছিল।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০,০০০ মেগাওয়াট ধরা হলেও, পরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন, “উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর ফলে জনগণের কাঁধে ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়ের বোঝা চেপেছে।”

শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং মিটার কেনাকাটায় বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে এ ধরনের দুর্নীতি অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ফলে জনগণকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়েছে।

প্রস্তাবিত সমাধান:

- বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি কমাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুমোদন।
- দায়মুক্তি আইন বাতিল করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শ্বেতপত্রে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ।
- অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা বন্ধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ।

বিদ্যুৎ খাতের এই সংকট উত্তরণে জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মো. নাজির উদ্দিন কার্তিক (২৫) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) বিজিবি সদস্যরা গোমস্তাপুর উপজেলার কেতাব বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৬ বিজিবির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি বিজিবির নিয়মিত টহল দল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পিলার ২০৪/এমপি হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কেতাব বাজার এলাকায় টহল পরিচালনা করছিলেন। টহল দেওয়ার সময় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি ভারতীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে তাঁর নাম, নাজির উদ্দিন কার্তিক। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার আবাদপুর থানার গাবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশী করে ওই ব্যক্তির কাছ ভারতীয় ১০ রুপি এবং বাংলাদেশী ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে এই হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান, হোটেল ভাড়া নেওয়ার পর মুসলিম এবং বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে এক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান এবং পরদিন দেশে ফিরে আসেন।

আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পারাপারের সময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান শিলচরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানি শাড়ির একটি স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে একদল যুবক "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে এবং সমস্ত টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিরা এমন হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর সমাধানের জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান
২৮ বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা রোমানা
বাংলাদেশিদের সেবা দেবে না ত্রিপুরার কোনো হোটেল–রেস্তোরাঁ
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭