শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নবিদ্ধ হবেন: তৈমূর

ছবি: সংগৃহীত

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের একটি গণমাধমে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি ।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই সরকারি দলে গেছেন। আমরা সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা করিনি। নৌকার বিরুদ্ধে দলীয় ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে নির্বাচন করছি। জনগণ যদি মনে করে, গণতন্ত্রকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য ‘শক্তিশালী বিরোধী দল’ প্রয়োজন, তাহলে আমাদের ভোট দেবেন। সেক্ষেত্রে আমরা ‘প্রধান বিরোধী দল হব।’

নির্বাচনী বর্তমান পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো সংশয় দেখছি না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী সেখানে কমিটমেন্ট করেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। আমাদের দাবি, ভোটারের নিরাপত্তা, কেন্দ্রের নিরাপত্তা, প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।দেখা যায়, দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় এমপিদের নিজস্ব একটি বাহিনী থাকে। এরা বিভিন্ন লোকজনকে হুমকি-ধমকি দেয়। এগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অন্তরায়।
আমাদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্র যেন সেটা বাস্তবায়ন করেন। আশা করি, সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক আছেন।’

বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, ‘‘২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কিন্তু তাতে নির্বাচন ও সরকার গঠন ঠেকানো যায়নি। বিদেশিরাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি, সম্পর্ক অটুট রেখেছে। ২০১৮ সালে যাবে না যাবে না বলে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে গেল। কেন গেল, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। প্রতি আসনে ৪-৫ জন করে মনোনয়ন দিলেন। নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসন পেলেন। নির্বাচনের দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। এরপর বললেন, যারা সংসদে যাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন গেলেন, তাকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়া সবাই গিয়ে হাজির হলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করবে না, জাতীয় নির্বাচন করবে না। তাহলে আমরা সবখানে কি আওয়ামী লীগকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে দেব? আওয়ামী লীগকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়ার লোক তৈমূর আলম খন্দকার নন, তৃণমূল বিএনপি নয়। নির্বাচন একতরফা করতে করতে সারা দেশে এমপিদের নেতৃত্বে একটি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে, মানুষ এগুলোর অবসান চায়। তবে প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার এই প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এখন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, তাহলে প্রশ্নবিদ্ধ হবেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হতে চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আমরা তৃণমূল বিএনপি থেকে ২৮০ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে ১৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন। এদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ১৪০ জনের মতো প্রার্থী দলীয় ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চারজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। সব মিলিয়ে তৃণমূল বিএনপি থেকে বিজয়ী হওয়ার মতো অনেক প্রার্থী রয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে তৃণমূল বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বিজয়ী হবেন ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি তো এখন বলতে পারবে না যে, তারা বিরোধী দল। তারা নৌকায় উঠেছেন। ১৪ দলের নেতারাও নৌকা নিয়েছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রায় সবাই সরকারি দলে গেছেন। আমরা জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের মতো সরকারের সাথে আঁতাত-সমঝোতা করিনি। আমরা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। আমরা আগেই বলেছি, তৃণমূল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হতে চায়। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এখন আমাদের মধ্যে সাহসও বেড়েছে, আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। জনগণ যদি মনে করে, গণতন্ত্রকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য জাতির স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন, জনগণ আমাদের ভোট দেবে। সেক্ষেত্রে আমরা ‘প্রধান বিরোধী দল’ হবো।’’

বিএনপির আলোচিত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। এর তিন দিন পরই সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা মারা যান। এরপর দল পরিচালনার দায়িত্ব নেন তার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দিয়েই মহাসচিব নির্বাচিত হন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার । এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় গত বছরের জানুয়ারিতে তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল হক

সাকিব আল হাসান (বামে) এবং আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটার থেকে সংসদ সদস্য—সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। আর এবার সেই বিতর্কে নতুন আগুন ঢেলেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া-বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।

সম্প্রতি এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যে আমিনুল বলেন, “সাকিব গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার সরকারের একজন এমপি হিসেবে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নিজের স্বার্থে অবৈধ সংসদে যোগ দিয়েছেন। এটা খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নয়।”

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে ফেরেননি সাকিব। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন তিনি। সাকিবকে দেশে আসতে দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে আমিনুল আরও বলেন, 'এ ধরনের একজন খেলোয়াড়কে দেশে আসতে দেওয়া হবে কি না, সেটা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে—স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ।'

সাকিব আল হাসান ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে সেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায়, অনেকের কাছেই এই পদক্ষেপ বিতর্কিত। আমিনুলের মতে, একজন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদের উচিত ছিল নিরপেক্ষতা রক্ষা করা। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, বিশেষ করে একটি বিতর্কিত সরকারের পক্ষ নেওয়া, তার অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তবে আমিনুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাকিবের আল হাসানের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন এবং একজন জাতীয় গৌরবের খেলোয়াড়কে এভাবে হেয় করার চেষ্টা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে বলে অভিহিত করেছেন।

কেউ কেউ আমিনুল হকের বক্তব্যকে ‘হীন রাজনৈতিক কৌশল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ সাকিবের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়বে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ক্রীড়া ও রাজনীতির দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক আরও যে গভীর হচ্ছে, সেটা আর না বললেও চলে।

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে দায়ের হওয়া একের পর এক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার নিয়ে বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এখন থেকে এসব মামলায় কাউকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, এবং গ্রেফতারের জন্য উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত প্রমাণ পেশ করাও হবে বাধ্যতামূলক।

গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রুজু করা মামলাগুলোর অধিকাংশেই এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অত্যাধিক। এসব মামলায় আসামি গ্রেফতারের আগে তদন্তে প্রাপ্ত প্রমাণ যেমন—ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, ভিডিও, অডিও, স্থিরচিত্র, মোবাইল কললিস্ট (সিডিআর) ইত্যাদি সংগ্রহ করে, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। অনুমোদন ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।

শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এই বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, “কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড়া না পান—সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক হারে মামলা দায়ের করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই একেকটি মামলায় হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে।

এই ধরনের মামলায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এমনকি ব্যক্তি বিরোধ বা প্রতিপক্ষতার জেরে নাম জুড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আসামি করার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন বা “মামলা বাণিজ্য”-এর কথাও উঠে এসেছে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যে।

এর আগেও, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর একটি সার্কুলারে বলা হয়েছিল, সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকি প্রাথমিক তদন্তে কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা না থাকলে, তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও বলা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বারবার জানানো হয়েছে—“মামলা হলেই গ্রেফতার করতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”

Header Ad
Header Ad

‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের রক্তমাখা ভূমির প্রতি সংহতি জানাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমেছে ইতিহাসের আরেকটি দৃশ্য। ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজারো মানুষের ঢল যেন শুধু একখণ্ড প্রতিবাদ নয়—এ এক ঐক্যের বয়ে চলা নদী।

এই কর্মসূচিকে নিছক একটি পদযাত্রা হিসেবে দেখছেন না বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিছক কোনো পদযাত্রা নয়। এটি আমাদের এই অঞ্চলের মুসলিমদের ঐক্যের এক নতুন সেতু বন্ধন রচনা করবে ইনশাআল্লাহ।”

এর আগে, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি ও ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। কর্মসূচিতে যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

এদিন সকালে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তারা এই আহ্বান জানান।

ড. মিজানুর রহমান আজহারি লেখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে, এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন সন্তানকে সাথে নিয়ে।’

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। কর্মসূচির মূল অনুষ্ঠান বিকালে হলেও সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটেই মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই ছোট-বড় মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের হাতে রয়েছে লাল সবুজ পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল হক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি
‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি
ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
আল-আকসার ইমামকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিলো ইসরায়েল
হাসিনার দোসররা ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে: উপদেষ্টা ফারুকী
১০ জনের পরিবারের সবাইকে হত্যা করল ইসরায়েল
পিএসএল না খেলেই দেশে ফিরছেন লিটন
পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমেছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে
অবশেষে জানা গেল কলকাতার কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের
স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
মার্চ ফর গাজা: প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, আসছে মানুষ-জনসমুদ্রের অপেক্ষা
চারুকলায় আগুন, নববর্ষের দুদিন আগে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’
কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী