তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন না কিনেও প্রার্থী তালিকায় নাম!
মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সরকার। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
এসময় দলের চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরী ও নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা অনুপস্থিত ছিলেন। এদিকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই প্রিতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সরকার।
তার দাবি তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ না করেও তালিকায় তার নাম উঠে এসেছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল হক সরকার বলেন, মনোনয়ন কে বা কারা নিয়েছে তা আমি জানি না। প্রার্থী তালিকায় নাম দিয়ে আমার এলাকায় আমার চরিত্রের উপরে কালেমা লেপন করার একটি অপচেষ্টা মাত্র। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক থেকে আমার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। কে বা কারা এই কাজ করেছে সে ব্যাপারে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিএনপি করছি, বিএনপির সঙ্গে থাকবো আজীবন। যতদিন বেঁচে আছি এই দল করে যাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, উনি (মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সরকার) নিজে মনোনয়ন সংগ্রহ না করলেও উনার হয়ে কেউ হয়তো টাকা জমা দিয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে। যেহেতু আমরা তাকে এককভাবে দেই নাই এ কারণে তিনি বলতে পারেন যে কোনো সমস্যা হয়েছে। কেউ না কেউ অবশ্যই ৫ হাজার টাকা জমা দিয়েই মনোনয়ন নিয়েছে। তার স্বাক্ষর করে অন্য কেউ জমা দিয়ে থাকতে পারে। এতে যদি তার কোনো সমস্যা থাকে তাহলে তিনি তৃণমূল বিএনপির হয়ে নির্বাচন না করলেও আমাদের সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, তৃণমূল বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- মৌলভীবাজার-২ আসনে এম এম শাহীন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এম এ আউয়াল, সাতক্ষীরা-৪ আসনে এইচ এম গোলাম রেজা, ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণি।
দলের চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ), নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা মুন্সিগঞ্জ-১ এবং মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ–১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।