নির্বাচন এলে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে সক্রিয় হয়: মন্ত্রী
জাতীয় সংসদের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংসদ নির্বাচন আসলেই বিএনপি-জামায়াত এবং উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম-অতি ডান ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। যাদের কোনো জনসমর্থন নেই।
নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। আওয়ামী লীগের অর্জন এরা চোখে দেখে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে দেখেই এরা ষড়যন্ত্র করতে একাট্টা হয়।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সব কথা বলেন মোজাম্মেল হক। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফ।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশ যে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। যে কারণে ষড়যন্ত্র চলছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এদেশের কোমলমতি কিশোরদের ধ্বংস করতে এই বিএনপি এদেশে মাদক আমদানি করে। তারা চায় না এদেশে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। পাকিস্তান ভেঙে জাতির পিতা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ে তুলেন বলেই তাদের এদেশের মানুষের ওপর রাগ আর ক্ষোভ।
এ জাতিকে ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই কিছু ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিএনপি সব সময়ই চেয়েছে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাক। আর আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠুক; বিশ্বের বুকে বাঙ্গালির পরিচয় হোক উন্নত সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সরকার চেয়েছে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে, এদেশের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে। তাই সমাজের বিভিন্ন সমস্যাও আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করতে চাই।
মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে দেশের সকল ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামাজিক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠেছে, তখন সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে ইউনিয়নে-ইউনিয়নে, উপজেলায়-উপজেলায়, জেলায় জেলায়; সব পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এই কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি জারি করা হয়। তিনি আরও জানান, কমিটির কার্যক্রমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আশাতীত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। ফলে গত দুর্গাপূজার উৎসব সারা দেশব্যাপী অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয়। কোথাও বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়নি। এই কমিটির মাধ্যমে সমাজের সকল মানুষকে একত্রিত করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার মূলোৎপাটন করা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এনএইচবি/এমএমএ/