গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে মান্নার প্রতিবাদ
সরকারের নির্বাহী আদেশে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন মান্না।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মান্না বলেন, কিছুদিন আগে খুচরা পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এর আগে বাড়ানো হয়েছে পাইকারি পর্যায়ে। এবার বাড়ানো হল গ্যাসের দাম। বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রায় ২০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এই সরকার গত সাড়ে ১৩ বছরে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ৪০০ শতাংশ। এমনিতেই রপ্তানি খাতসহ দেশের প্রায় সব শিল্প সংকট কাল অতিক্রম করছে৷ এর মধ্যে কোনো পক্ষের পরামর্শ তোয়াক্কা না করে সরকারের নির্বাহী আদেশে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে আরও পর্যুদস্ত করবে।
মান্না বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ নাজেহাল। উৎপাদনশীল খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে যার চাপে পিষ্ট হবে সাধারণ জনগণ।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, সরকার এবং সরকারি দলের লুটপাট, দুর্নীতির দায় জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জ্বালানি তেল, বিদ্যুতের পর এবার শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো। নিজেদের দুর্নীতি এবং পাচার করা অর্থের চাপ সামাল দিতেই জনগণের উপর বাড়তি খরচের খড়্গ চাপাচ্ছে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা।
অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মান্না বলেন, এভাবে স্বেচ্ছাচারী শাসন চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যাবে না। অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তারা সবদিক থেকে দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এবার জনগণ তাদের অত্যাচার, অনাচার, দুঃশাসনের হিসাব নেবে। ২০২৩ সালই হবে জনগণের মুক্তির বছর।
এমএইচ/আরএ/