শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘চরমোনাই মাদরাসা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ও সংখ্যালঘুদের আশ্রয়স্থল’

১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে চরমোনাই মরহুম পীর সাহেব মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ. ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. চরমোনাইতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি করতে যেমন সহযোগিতা করেছেন তেমনি চরমোনাইর হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের বাড়ি ও চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় দিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চরমোনাই মরহুম পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ. ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. দ্বয়ের ভুমিকা সম্পর্কে চরমোনাই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেছেন-ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।

পাঠকদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হলো চরমোনাই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, চরমোনাই মাদরাসা ছিল বরিশাল বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি। রাজাকার,আল বদর,আল শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে চরমোনাই পীর বা তা পরিবার পরিজনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। চরমোনাই পীর মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহযোগিতা করেছেন। চরমোনাইতে রাজাকারের ক্যাম্প থাকলে এ এলাকার কোনো হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানের জীবিত থাকার কথা ছিল না। সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ. পাকিস্তান সরকারের বশ্যতা স্বীকার করেননি বলে তৎকালীন সময়ে চরমোনাই মাদরাসা কামিল মাদরাসা হিসেবে উন্নীত করা হয়নি। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেন, চরমোনাই মরহুম পীর হিন্দুদেরকে চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় দিয়ে খাইয়েছেন। হিন্দুদের পক্ষ থেকে ধর্মান্তরিত হওয়ার আবেদন প্রসঙ্গে পীর হুজুর বলেছেন দেশে এখন একটি অরাজক পরিস্থিতি চলছে, এই পরিস্থিতিতে কারও ধর্মান্তরিত হওয়া সঠিক নয়। মরহুম পীর পরশ পাথরতুল্য মানুষ ছিলেন, ধর্মবর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি সহায়তা করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চরমোনাই ইউনিয়নের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবুয়াল হোসেন কাজী বলেন, চরমোনাই পীর সাহেব ও তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এই প্রতিষ্ঠনকে বিতর্কিত করতে একটি চক্র চরমোনাই পীর সাহেবের বিরুদ্ধে সময়ে সময়ে মিথ্যা কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে চরমোনাই পীর সাহেব ও চরমোনাই মাদরাসা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভুমিকা রেখেছেন। সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহঃ পাকিস্তান সরকারের বশ্যতা স্বীকার করেন নি বলে তৎকালীন সময়ে চরমোনাই আলিয়া মাদরাসাকে কামিল মাদরাসা হিসেবে উন্নীত করা হয়নি। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনরা চরমোনাই পীর সাহেব ও চরমোনাই মাদরাসাকে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করতে পারেনি। মরহুম এছহাক রহ. মুক্তিযোদ্ধা,স্বাধীনতাকামী মানুষ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিলেন।

সাবেক সেনা অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ হাওলাদার (৮৩) বলেন, চরমোনাই মরহুম পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ, এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমরা ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষাৎকরে আমি তার দোয়া ও সহযোগিতা চাই। তখন হুজুর বলেন, তোমরা কামিয়াবী হবা ইনশাআল্লাহ, তবে একটু সময় লাগবে। আমাদের ১২৮ জন মুক্তিযোদ্ধার খাবারের জন্য হুজুরের কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি বলেন আমাদের অবস্থানকৃত জায়গায় খাবার পৌঁছে দেন। হযরত এছহাক রহ. প্রতিনিধির মাধ্যমে একাধিক ছাগল, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।

চরমানাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম খান (৭২) বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমি বিএ ক্লাসে পড়তাম। বুখাইনগরে আমাদের ঘাঁটি ছিল। আমরা চরমোনাই দরবারের সামনে থেকে চলাচল করেছি, কোনো সময়ে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হইনি। রাজাকার, আল বদর, আল শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে চরমোনাই পীর বা তার পরিবার পরিজনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মকিম আলী খান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপলক্ষ করে চরমানাই পীর ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কেউ যদি কোনো বক্তব্য দেয় তবে বুঝতে হবে ঐ লোক মিথ্যুক, মানুষ না,অমানুষ। চরমোনাই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ জানেন চরমোনাই পীর দ্বয় কেমন ছিলেন। চরমোনাই মাদরাসা ছিল বরিশাল বিভাগের মুক্তিযদ্ধের ঘাঁটি। চরমোনাই পীর সাহেবদ্বয় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকলে স্বয়ং আমরাও বাঁচতাম না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহার আলী খাঁন (৭৮) বলেন, ১৯৭১ এর ১২ মে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। পথে ৪ যায়গায় পাক বাহিনী আমাকে আটক করে। পাক বাহিনী চরমোনাই সংলগ্ন এলাকায় বোর্ড রেখে এসে হুজুরের কাছে জানতে চান-এখানে কি কোনো হিন্দু আছে? জবাবে এছহাক রহ. বলেন, এই এলাকায় ৩৬০ জন হিন্দু আছে। তারা কেউ কারও ক্ষতি করে না। তাদের ধর্ম তারা পালন করে। আমাদের ধর্ম আমরা পালন করি। এখানে (চরমোনাইতে) বছরে ২টি সভা (ওয়াজ মাহফিল) হয়। হিন্দুরা এসে লাইন দিয়ে আমাদের আলোচনা শুনে। তারা (হিন্দুরা) কারও কোনো ক্ষতি করে না, একথা শুনে পাক বাহিনী হুজুরকে সালাম দিয়ে চলে যায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ হোসেন শিকদার বলেন, চরমোনাই পীর সাহেব হুজুর ও তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়, সব সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহযোগিতা করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম গাজী (৭২) বলেন, ১৯৭১ এ দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনের পরে দেশে যত রাজনৈতিক সংকট হয়েছে চরমোনাইতে তার কিছুই হয়নি। চরমোনাই পীর সাহেব হুজুর মুক্তিযোদ্ধাদেও অবস্থানের জন্য মাদরাসার একটি টিনের ঘরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। আমাদের ২৭০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে টিনের ঘরে আশ্রয় দিয়ে খাবার খাইয়েছেন এবং আমাদের বাড়ির ৩৫০ এর অধিক মানুষের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন। চরমোনাইতে রাজাকারের ক্যাম্প থাকলে এ এলাকার কোন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানের জীবিত থাকার কথা ছিল না।

শিক্ষক বাবু জীবন চন্দ্র মণ্ডল (৭০) বলেন, চরমোনাই পীরেরে সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা ছিল। ছোট সময় থেকে আমরা পীরের দরবারে যাতায়াত করতাম। চরমোনাই হুজুর আমাদেরকে আদর করতেন এবং ভালো জানতেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন আনুমানিক সেপ্টেম্বর মাসে নীলকান্ত ঘোষ এবং মাখম লাল ঘোষ আমার বাবার কাছে আমাদের বাড়িতে যান। বাবাকে ওরা বললো-ওপার থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক আসছে। তারা চরমোনাই পীর সাহেবের বাড়িতে গিয়ে মুসলমান হবে। (রায়পুরের সালাম খাঁ নামের লোকটি হিন্দুদেরকে উত্তক্ত করতো।) এরা যাবার কিছু সময় পরেই ওপার থেকে মাখন লাল হালদার, অবিনাশ তালুকদার, ডা. গনেশ চন্দ্র, মতি ঘোষ, মলি ঘোষ এই লোকগুলো গোপনে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমার বাবাকে বলেছে আমরা মুসলমান হবার জন্য পীরের বাড়িতে যাচ্ছি। আপনারাও আসেন।

তখন আমার বাবা তাদেরকে বলেছেন, প্রয়োজন হলে পীর আমাদেরকে ডাকবেন। তারা পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলে যাবার সময়ে আবার আমাদের বাড়িতে আসেন। তখন আমার বাবা হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐ লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন পীর তাদেরকে কী বলেছেন? জবাবে তারা বাবাকে জানান, চরমোনাই পীর বলেছেন, দেশে এখন একটি অরাজক পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে কারও ধর্মান্তরিত হওয়া সঠিক নয়। দেশ একটি শান্ত পরিস্থিতিতে আসুক। তখন ভালোবেসে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করতে চাইলে আপনাদেরকে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত করা হবে। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা কেউই মুসলমান ধর্মে দিক্ষিত হননি। মাখন লাল বিশ্বাস (৬৬) বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমি এলাকা চষে বেড়াতাম। চরমোনাই পীর পরশ পাথরতুল্য মানুষ ছিলেন। চরমোনাই পীর ও তার পরিবার ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। চরমোনাই পীর ও তার পরিবার বটবৃক্ষের ন্যায় সকল মানুষকে ছায়া দিয়ে আসছেন।

চরমোনাই ইউনিয়ন ৫নং রাজার চর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু অমল সরকার (৬৬) বলেন, আমার বাবা-কাকারা লোকমুখে শুনেছেন যে, চরমোনাই পীর হুজুরের কাছে গিয়ে মুসলমান হলে তাদেরকে মারবে না। বাবা-কাকারা অনেকে পীর হুজুরের কাছে গিয়ে বলেছেন যে, আমরা শুনেছি আপনার কাছে এসে মুসলমান হলে নাকি পাকিস্তানিরা মারবে না। জবাবে পীর সাহেব হুজুর বলেছেন, এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হুজুর বলেছেন, যদি আপনারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেই চান তবে স্বাধীনতার পরে আসবেন, এখন না।

বাবু নিমাই চন্দ্র ঘোষ বলেন, ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমি ৮ম শ্রেণির ছাত্র। তখন আমার বয়স ১৪ কি ১৫ বছর। পীর আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমাদের কিছু লোককে রাজাকাররা নৌকায় তুলে নিয়ে গেছিল। তখন পীরের জোরালো ভূমিকার কারণে ঐ লোকদেরকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক লোক পীরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। চরমোনাইতে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খোলামেলা চলাফেরা করেছি। আমাদের লোকদের উপর কোনো অত্যাচার হয়নি। রায়পুরা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। আমাদের সম্প্রদায়ের মেয়ে-ছেলেরাও পীরের বাড়িতে নিয়ম মেনে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

কালু মালাকার বলেন, চরমোনাই পীর হিন্দুদেরকে চরমোনাই মাদরাসায় রেখে খাইয়েছেন। কেউ যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কারও কোনো ক্ষতি না করে সে বিষয়ে সকলকে বলেছেন। হিন্দুরা মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ মুসলমান হতে চাইলে পীর বলেছেন, বিপদের সময়ে কাউকে মুসলমান বানানো যাবে না। ইচ্ছা করে যদি কেউ মুসলমান হয়, তবে হোক।

এমএমএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি