‘স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি’
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সে লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান লক্ষ্য প্রতিষ্ঠার থেকে দূরে সরে সরকার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ৭২ এর সংবিধানের দোহাই দিয়ে ৯২ শতাংশ মুসলমানদের দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের পরিচালনায় চরমোনাই মাদরাসা মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরে রচিত ৭২ এর সংবিধান রক্ষায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধ করেছি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এখন মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন না করে ৭২ এর সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে এখন আবার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেবার চক্রান্ত চলছে। শিক্ষা থেকে ইসলামী শিক্ষা তুলে দেবার আয়োজন চুড়ান্ত করেছে।’
এগুলো মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নেবে না। ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা এবং ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা পীর সাহেব চরমোনাই'র নেতৃত্বে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাও। আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, মো। শাহাদুজ্জামান, মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও ডা. আতাউর রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মহান লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অতীতের ন্যায় আগামীদিনে ও থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
এমএমএ/