বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ নিবন্ধ

অর্থপাচার রোধে যা যা করতে হবে

যে কোন দেশের অর্থপাচার সেই দেশের জন্য একটি মারাত্নক সমস্যা। আমরা দেখছি হাল নাগাদ প্রচুর অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। এটি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। অর্থপাচারের দুটি দিক আছে। এই যে পাচারকৃত অর্থ এটা আসলে কোন দিক থেকে আসে? এটা অনার্জিত অথবা সুদ, ঘুষ, মানবপাচার, মাদক,নারীপাচার সহ সকল প্রকার বেআইনি ব্যবসা, এসবই হলো এর উৎস। এছাড়া দুর্নীতি, নানারকম অব্যবস্থাপনার ফলেও এই অপকর্মগুলি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত যখন অর্থ বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে তার প্রভাব কি পড়ছে আমাদের দেশের উপর? আমাদের আয় কম,আমাদের সঞ্চয় কম,বাইরের থেকে ধার দেনা করতে হয়। এর মধ্যে অর্থগুলো যদি বাইরে চলে যায়,আমাদের  বিনিয়োগ,কর্মসংস্থান,সবদিক থেকেই এটি একটা বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা এই অর্থগুলো পাচার করছে এরা বিদেশে বিলাস বহুল জীবনের পাশাপাশি দেশেও কিন্তু একটা আমেজি আয়েশি জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে যারা সত্যিকারের ব্যবসায়ী,যারা ব্যবসা করতে চায়,তারা কিন্তু এদের সাথে পেরে উঠে না এবং একসময় ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম ২০০৫সালে এন্টি মানি লন্ডারিং ডিপার্টমেন্ট খুলেছিল। তাদের কাজ ছিল এ বিষয়ে মনিটরিং করা, ব্যাংকের কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কি না দেখা, অর্থ অন্যায়ভাবে বাইরে চলে যাচ্ছে কি না ইত্যাদি সহ বিষয়গুলো তদারকি করা। আমি মনে করি প্রকৃতপক্ষে সেই কাজটি  যথাযথভাবে হচ্ছেনা। তাছাড়া  অনিয়ম দেখা গেলে সেক্ষেত্রে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন ও সি.আই.ডির দায়িত্বে পড়ে। তারা তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপগুলো নেয়। এখানে আমি দেখেছি এরা বহু সময় নিয়ে, বলা যায় এরা অনেক বেশি কালক্ষেপণ করে এবং দায়সারা একটা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে দেয়। কখনো কখনো আমরা তা দেখতেও পাই না। তাছড়া বিষয়টি তখন দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সি আই ডি র কাছে ন্যস্ত হয় বলে সেটি আর সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন থাকেনা। দায়িত্বটি তখন সরকার সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার উপর বর্তায়।

আমরা জানি,বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। সুইজারল্যন্ড,মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে এসব অন্যায়গুলি হচ্ছে।এগুলো সনাক্ত করা খুব যে কঠিন তা কিন্তু না। এটা কমাতে হলে বাংলাদেশকে আরও অনেক বেশি  সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন, তাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সহ তাদেরকে কঠোরভাবে আইনের আওয়ায় নিয়ে আসতে হবে।

আমেরিকাতেও অর্থ পাচার হয়। কিন্তু ওদের ক্ষেত্রে আইন বেশ কড়াকড়ি। ভারতেও দুর্নীতি হয় কিন্তু ওরা খুব দ্রুত পদক্ষেপগুলি নেয়। যেমন,অপরাধীদের বিদেশ থেকে ফে্রত নিয়ে আসা। ওদের ওখানে কেস হচ্ছে। ওরা সুইজারল্যান্ডে যোগাযোগ করছে, ইংল্যান্ডে যোগাযোগ করছে,আমাদের দেশে আমি দেখি,একটা চিঠি দিচ্ছে তারপর সব চুপচাপ।কর্তৃপক্ষ বলছে,আমরা দেখবো,দেখছি,হবে তারপর সব কিছুই আড়ালে চলে যায়। এ ধরণের আপ্তবাক্য অর্থাৎ ধরাছোঁয়ার বাইরে কথাবার্তা যেগুলি প্রকৃতপক্ষে কোন কাজেই আসেনা।।দুই একটি কেস যদি দৃষ্টান্তমূলকভাবে ধরা যেত দুর্নীতিটা কিছুটা হলেও কমতো।

বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি এর সদস্য। এখানেও আমরা একেবারেই তৎপর নই। আমরা নেপাল,মালয়শিয়া,ফিলিপিনের সাথেও একটি চুক্তি করেছিলাম। অর্থপাচারের ক্ষেত্রে এরা আমাদের জানাবে,আমরা তাদের জানাবো এবং একইসাথে এর সমাধানে বিভিন্নরকম পদক্ষেপ নিব। সেগুলোও যথাযথভাবে কিছুই হচ্ছেনা।

অতএব আইনি পদক্ষেপ নেয়া, দেশে এবং বিদেশে বিশেষ করে এ ধরণের বেআইনি অর্থগুলি যেন না জেনারেট হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানো উচিত। কারণ এভাবে যদি অর্থ বাইরে যেতেই থাকে তাহলে এক্ষেত্রে অপরাধিরা আরো অনেক বেশি উৎসাহিত হবে।ফলে দুর্নীতি হতেই থাকবে।

এই অনার্জিত অর্থ দিয়ে এরা বাড়ি কিনে, ফ্ল্যাট কিনে, জমিজমা কিনে,সেগুলো রোধ করতে হবে।অর্থাৎ সুশাসনের দরকার আছে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতারও দরকার আছে। এই জবাবদিহিতা না থাকাতে, সঠিকভাবে আইনের শাসন না থাকাতে এবং এর পিছনে তদন্ত করে পদক্ষেপ নেয়া,সেগুলি সঠিকভাবে হচ্ছেনা দেখেই এরা নেতিবাচকভাবে উৎসাহিত হয়ে উঠছে। ফলে এটা দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু বলবো না সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে নষ্ট হচ্ছে। কিছুদিন পর পর এ সংক্রান্ত দুর্নীতিগুলি খবরের কাগজে উঠে আসে এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী এত অর্থ পাচার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

যে কোন মুল্যে দেশ থেকে এভাবে অর্থ পাচার রোধ করতেই হবে এবং এটা করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হবে একইসাথে দেশের এগিয়ে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন হবে। 

লেখক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর 

অনুলিখন: শেহনাজ পূর্ণা

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক