বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঘনিয়ে আসা অন্ধকার এবং আলোর আশা

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে অনেকগুলো সুচকে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে সরকার এবং নাগরিক সমাজ আনন্দিত। জাতিসংঘের কারিগরি পরিষদে স্বীকৃতি পাওয়ার পর রাজনৈতিক পরিষদেও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটানো হবে। দেশের জিডিপি বেড়ে এখন ৩৩৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল এ সবই অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। মুদ্রার এই পিঠ দেখে আনন্দিত হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মুদ্রার শুধু একটা পিঠই তো থাকে না। অপর পিঠ দেখলে আবার মনটা বিষণ্ণ হয়ে উঠে। কারণ শ্রমিকের মজুরী বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় কম, খাদ্যের দাম পার্শ্ববর্তী সমস্ত দেশের তুলনায় বেশি, ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বে সবচেয়ে গতিশীল বাংলাদেশ। আর গণতান্ত্রিক অধিকার ! সে প্রশ্নে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। 

রাজপথ এখন নানা ধরণের প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ প্রকাশের ক্ষেত্র। শ্রমিকরা নেমেছেন তাদের চাকুরী আর মজুরির দাবীতে, ছাত্ররা নেমেছে বাসে হাফ ভাড়া নিতে হবে এই দাবীতে আর বামপন্থী রাজনৈতিক দল সমুহ জনজীবনের নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন তাদের কর্মসূচী পালন করছেন। 

রাজনৈতিক দল রাজপথে তাদের দাবী দাওয়া জানাবেন এটাই স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। এবং বাংলাদেশে বিশেষভাবে এটা বিরোধী দলের জন্য যেন অবধারিত। কারণ তাদের কথা বলার, দাবীর কথা জনগণকে জানানোর, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে চাপ দেয়ার আর তো কোন পথ, পদ্ধতি এবং স্থান তো এখন আর নেই। স্বাধীনতার আগে ঢাকায় পল্টন ময়দান ছিল, রেসকোর্স ময়দান ছিল রাজনৈতিক দল সেখানে সমাবেশ, জনসভা করে তাদের কথা বলতেন। কিন্তু তখনো বিক্ষোভ প্রকাশ করতেন রাস্তায় বা রাজপথে। বহুল প্রচলিত শ্লোগান ছিল গোল টেবিল না রাজপথ- রাজপথ রাজপথ, দালালী না রাজপথ – রাজপথ, রাজপথ। অর্থাৎ আন্দোলন হতো প্রকাশ্যে আর দালালী হতো গোপনে বা টেবিলে। শ্লোগানের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠতো রাজনৈতিক আকাংখা আর জনসভায়, মিছিলে প্রকাশিত হতো প্রতিজ্ঞা। আন্দোলনকারীরা রাজপথের মিছিলে দেখাতেন তাদের শক্তি আর ক্ষমতাসীনরা দমন নিপীড়ন চালিয়ে তাদের ক্ষমতার দম্ভ এবং শক্তির প্রকাশ ঘটাতেন। স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমাগত জনসমাবেশ করার জায়গাগুলো বন্ধ করে দেয়া এবং সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। তবুও আন্দোলন করতে গেলে রাজপথই এখনও প্রধান ভরসার জায়গা।

দ্রব্যমুল্য ক্রমাগত বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন কোন জিনিস নাই যা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় চাল, চিনি, তেল সহ খাদ্যপন্য তো আছেই, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সব কিছুর দাম বাড়াতে তেমন কোন অজুহাত এখন প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ীদের আবদার এবং সরকারের অনুমোদন একটা যুগলবন্দীর মত পরিবেশ তৈরি করেছে। পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করে সরকার ও ব্যবসায়ীদের এই যৌথ সংগীতের মূর্ছনায় সাধারণ মানুষের মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। এর সাথে আছে ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা মন্ত্রিদের উপদেশ ও অপমানসূচক কথা। বিদেশীরা চাল গম কম খায়, আমরা ভাত বেশি খাই তাই খাদ্য ঘাটতি। অতএব ভাত কম খাওয়ার পরামর্শ দেয়ার সহজ পথ বেছে নিয়েছেন তারা। এর পর আবার বলা হয়েছে জ্বালানী তেলের দাম কম থাকলে সব তেল ভারতে পাচার হয়ে যাবে কিন্তু সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব যাদের তাদের সতর্ক না করে শাস্তি দিলেন সাধারণ মানুষকে। কৃষকরা কম দামে তেল পেলে তা কৃষি উৎপাদনে সহায়ক হতো কি না সে বিষয় কি আলোচনার অপেক্ষা রাখে? কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বোরো মৌসুমে কৃষিতে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি খরচ করতে হবে ধান চাষীদেরকে। দেশের ১৬ লাখ সেচ পাম্পের ৭০ শতাংশের বেশি চলে ডিজেল দিয়ে। এতে প্রতি বিঘায় সেচ খরচ বাড়বে ৩০০ টাকার বেশি। আমন ধান কাটা শেষ। বোরো মৌসুম শুরু হবে। এই বোরো মৌসুমে দেশের ধানের ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হয়। ফলে সরকার তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব কৃষকের খেতে আর জনগণের পাতে সরাসরি পড়বে।  

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাড়িয়ে দেয়া হলো পরিবহনের ভাড়া। সরকার তেলের দাম বাড়ালেন ২৩ শতাংশ। পরিবহনের ব্যয়ের ক্ষেত্রে জ্বালানী তেল একমাত্র উপাদান নয়। বাস বা ট্রাকের দাম, পরিচালনা খরচ, ড্রাইভার হেল্পারের বেতন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, অবচয়, অদৃশ্য খরচ( বি আর টি এর ঘুষ, পুলিশ খরচ, চাঁদা ইত্যাদি), কত সিট খালি থাকে ইত্যাদি সহ ১৬ ধরনের বিষয় যুক্ত করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে বলা হয়। সাধারণত মোট খরচের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হয়ে থাকে জ্বালানী তেল বাবদ। এক হিসেবে দেখানো হয়েছে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারণে বাসের ভাড়া ৬ থেকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ২৭ শতাংশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে প্রতি কিলোমিটারে ৪৫ পয়সা বাড়িয়ে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। কিন্তু ভাড়া তো আগেও বেশি নেয়া হতো এখন তা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যেমন প্রেস ক্লাব থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত দূরত্ব ৪ কিলোমিটারের বেশি নয়। বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী এই ভাড়া হওয়ার কথা ৮ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু আগে নেয়া হতো ১০ টাকা এখন তা নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। সাধারণ মানুষ বাসে প্রতিদিন ঝগড়া করছেন বাড়তি ভাড়া নিয়ে। বাসের কন্ডাকটর বলছেন মালিক প্রতি ট্রিপে তার জমা বাড়িয়েছেন ১৫০০ টাকা। বেশি ভাড়া আদায় না করলে তারা এটা দেবেন কোথা থেকে? ঝগড়া কখনো রূপ নিচ্ছে মারামারিতে। যাত্রী আর পরিবহণ শ্রমিক মারামারি করছেন, মুনাফা যাচ্ছে পরিবহণ মালিকের পকেটে।  

রাজপথে নেমেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া বেতন ও চাকুরীর দাবীতে। প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন তারা। পুলিশ এবং স্থানীয় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আহত হচ্ছেন তারা। যে মজুরী তারা পান তাতে সংসার চলে না এরপর যদি বেতন বকেয়া থাকে, চাকুরী থেকে ছাঁটাই হয়ে যান তাহলে বিক্ষোভে ফেটে পড়া ছাড়া আর কি উপায় আছে তাদের?      

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা তো আমরা সবাই জানি, এর দায় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এড়াতে পারেন না। সাধারণ মানুষের কোন উপায় নেই, যাদের উপায় আছে তারা ছুটে যান বিদেশে চিকিৎসা করাতে। এক্ষেত্রে অসুস্থতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং সরকারের সাথে সম্পর্ক। চিকিৎসার অধিকার এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারে পরিণত হয়েছে।  

নির্বাচনকে লাভ লোভ এবং ভয়ের বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। সংসদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ যে কোন পর্যায়ে নির্বাচন এখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চর্চা বলে বিবেচিত হচ্ছে। মনোনয়ন পাওয়া, নির্বাচন করা এবং বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা দেখানোর সাথে অর্থ, দুর্নীতি, দমনপীড়ন যুক্ত হয়ে আছে। নির্বাচিত বলে ঘোষিত হওয়ার পর সম্পদ বৃদ্ধির হার এবং পরিমাণ দেখলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। 

ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা ক্রমাগত বলতে থাকেন তারা যা করছেন সেটাই দেশের জন্য ভালো।  রাষ্ট্রীয় সমস্ত মাধ্যম তা প্রচার যন্ত্র কিংবা প্রশাসন সেগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করে সেটা তারা প্রচার করতে থাকেন। এর দুর্বলতা দেখিয়ে দিলে, কিংবা ভুল ধরিয়ে দিলে তারা ভীষণ খেপে উঠেন। আন্দোলনের কথা শুনলে বলতে থাকেন বহুল প্রচলিত সেই তত্ত্ব যে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছেন। রাজপথে না কি নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। আসলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়। ক্ষমতার ছায়ায় থেকে যে যেভাবে পারে লুটপাট করছে। রাজপথে হচ্ছে প্রতিবাদ। কারণ প্রতিবাদের আর তো কোন জায়গা নেই, প্রতিবাদের আর তো কোন ভাষা নেই। আর প্রতিবাদের মধ্যেই তো বেঁচে থাকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। উন্নয়নের আঘাতে গণতন্ত্রের আলো যেন নিভে না যায়, অন্ধকারের রাজত্ব যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয় সে কারনেই প্রতিবাদটা জরুরী। ঘনায়মান অন্ধকারে এটাই তো আলোর আশা।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪