বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঘনিয়ে আসা অন্ধকার এবং আলোর আশা

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে অনেকগুলো সুচকে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে সরকার এবং নাগরিক সমাজ আনন্দিত। জাতিসংঘের কারিগরি পরিষদে স্বীকৃতি পাওয়ার পর রাজনৈতিক পরিষদেও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটানো হবে। দেশের জিডিপি বেড়ে এখন ৩৩৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল এ সবই অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। মুদ্রার এই পিঠ দেখে আনন্দিত হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মুদ্রার শুধু একটা পিঠই তো থাকে না। অপর পিঠ দেখলে আবার মনটা বিষণ্ণ হয়ে উঠে। কারণ শ্রমিকের মজুরী বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় কম, খাদ্যের দাম পার্শ্ববর্তী সমস্ত দেশের তুলনায় বেশি, ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বে সবচেয়ে গতিশীল বাংলাদেশ। আর গণতান্ত্রিক অধিকার ! সে প্রশ্নে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। 

রাজপথ এখন নানা ধরণের প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ প্রকাশের ক্ষেত্র। শ্রমিকরা নেমেছেন তাদের চাকুরী আর মজুরির দাবীতে, ছাত্ররা নেমেছে বাসে হাফ ভাড়া নিতে হবে এই দাবীতে আর বামপন্থী রাজনৈতিক দল সমুহ জনজীবনের নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন তাদের কর্মসূচী পালন করছেন। 

রাজনৈতিক দল রাজপথে তাদের দাবী দাওয়া জানাবেন এটাই স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। এবং বাংলাদেশে বিশেষভাবে এটা বিরোধী দলের জন্য যেন অবধারিত। কারণ তাদের কথা বলার, দাবীর কথা জনগণকে জানানোর, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে চাপ দেয়ার আর তো কোন পথ, পদ্ধতি এবং স্থান তো এখন আর নেই। স্বাধীনতার আগে ঢাকায় পল্টন ময়দান ছিল, রেসকোর্স ময়দান ছিল রাজনৈতিক দল সেখানে সমাবেশ, জনসভা করে তাদের কথা বলতেন। কিন্তু তখনো বিক্ষোভ প্রকাশ করতেন রাস্তায় বা রাজপথে। বহুল প্রচলিত শ্লোগান ছিল গোল টেবিল না রাজপথ- রাজপথ রাজপথ, দালালী না রাজপথ – রাজপথ, রাজপথ। অর্থাৎ আন্দোলন হতো প্রকাশ্যে আর দালালী হতো গোপনে বা টেবিলে। শ্লোগানের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠতো রাজনৈতিক আকাংখা আর জনসভায়, মিছিলে প্রকাশিত হতো প্রতিজ্ঞা। আন্দোলনকারীরা রাজপথের মিছিলে দেখাতেন তাদের শক্তি আর ক্ষমতাসীনরা দমন নিপীড়ন চালিয়ে তাদের ক্ষমতার দম্ভ এবং শক্তির প্রকাশ ঘটাতেন। স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমাগত জনসমাবেশ করার জায়গাগুলো বন্ধ করে দেয়া এবং সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। তবুও আন্দোলন করতে গেলে রাজপথই এখনও প্রধান ভরসার জায়গা।

দ্রব্যমুল্য ক্রমাগত বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন কোন জিনিস নাই যা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় চাল, চিনি, তেল সহ খাদ্যপন্য তো আছেই, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সব কিছুর দাম বাড়াতে তেমন কোন অজুহাত এখন প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ীদের আবদার এবং সরকারের অনুমোদন একটা যুগলবন্দীর মত পরিবেশ তৈরি করেছে। পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করে সরকার ও ব্যবসায়ীদের এই যৌথ সংগীতের মূর্ছনায় সাধারণ মানুষের মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। এর সাথে আছে ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা মন্ত্রিদের উপদেশ ও অপমানসূচক কথা। বিদেশীরা চাল গম কম খায়, আমরা ভাত বেশি খাই তাই খাদ্য ঘাটতি। অতএব ভাত কম খাওয়ার পরামর্শ দেয়ার সহজ পথ বেছে নিয়েছেন তারা। এর পর আবার বলা হয়েছে জ্বালানী তেলের দাম কম থাকলে সব তেল ভারতে পাচার হয়ে যাবে কিন্তু সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব যাদের তাদের সতর্ক না করে শাস্তি দিলেন সাধারণ মানুষকে। কৃষকরা কম দামে তেল পেলে তা কৃষি উৎপাদনে সহায়ক হতো কি না সে বিষয় কি আলোচনার অপেক্ষা রাখে? কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বোরো মৌসুমে কৃষিতে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি খরচ করতে হবে ধান চাষীদেরকে। দেশের ১৬ লাখ সেচ পাম্পের ৭০ শতাংশের বেশি চলে ডিজেল দিয়ে। এতে প্রতি বিঘায় সেচ খরচ বাড়বে ৩০০ টাকার বেশি। আমন ধান কাটা শেষ। বোরো মৌসুম শুরু হবে। এই বোরো মৌসুমে দেশের ধানের ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হয়। ফলে সরকার তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব কৃষকের খেতে আর জনগণের পাতে সরাসরি পড়বে।  

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাড়িয়ে দেয়া হলো পরিবহনের ভাড়া। সরকার তেলের দাম বাড়ালেন ২৩ শতাংশ। পরিবহনের ব্যয়ের ক্ষেত্রে জ্বালানী তেল একমাত্র উপাদান নয়। বাস বা ট্রাকের দাম, পরিচালনা খরচ, ড্রাইভার হেল্পারের বেতন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, অবচয়, অদৃশ্য খরচ( বি আর টি এর ঘুষ, পুলিশ খরচ, চাঁদা ইত্যাদি), কত সিট খালি থাকে ইত্যাদি সহ ১৬ ধরনের বিষয় যুক্ত করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে বলা হয়। সাধারণত মোট খরচের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হয়ে থাকে জ্বালানী তেল বাবদ। এক হিসেবে দেখানো হয়েছে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারণে বাসের ভাড়া ৬ থেকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ২৭ শতাংশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে প্রতি কিলোমিটারে ৪৫ পয়সা বাড়িয়ে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। কিন্তু ভাড়া তো আগেও বেশি নেয়া হতো এখন তা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যেমন প্রেস ক্লাব থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত দূরত্ব ৪ কিলোমিটারের বেশি নয়। বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী এই ভাড়া হওয়ার কথা ৮ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু আগে নেয়া হতো ১০ টাকা এখন তা নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। সাধারণ মানুষ বাসে প্রতিদিন ঝগড়া করছেন বাড়তি ভাড়া নিয়ে। বাসের কন্ডাকটর বলছেন মালিক প্রতি ট্রিপে তার জমা বাড়িয়েছেন ১৫০০ টাকা। বেশি ভাড়া আদায় না করলে তারা এটা দেবেন কোথা থেকে? ঝগড়া কখনো রূপ নিচ্ছে মারামারিতে। যাত্রী আর পরিবহণ শ্রমিক মারামারি করছেন, মুনাফা যাচ্ছে পরিবহণ মালিকের পকেটে।  

রাজপথে নেমেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া বেতন ও চাকুরীর দাবীতে। প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন তারা। পুলিশ এবং স্থানীয় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আহত হচ্ছেন তারা। যে মজুরী তারা পান তাতে সংসার চলে না এরপর যদি বেতন বকেয়া থাকে, চাকুরী থেকে ছাঁটাই হয়ে যান তাহলে বিক্ষোভে ফেটে পড়া ছাড়া আর কি উপায় আছে তাদের?      

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা তো আমরা সবাই জানি, এর দায় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এড়াতে পারেন না। সাধারণ মানুষের কোন উপায় নেই, যাদের উপায় আছে তারা ছুটে যান বিদেশে চিকিৎসা করাতে। এক্ষেত্রে অসুস্থতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং সরকারের সাথে সম্পর্ক। চিকিৎসার অধিকার এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারে পরিণত হয়েছে।  

নির্বাচনকে লাভ লোভ এবং ভয়ের বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। সংসদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ যে কোন পর্যায়ে নির্বাচন এখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চর্চা বলে বিবেচিত হচ্ছে। মনোনয়ন পাওয়া, নির্বাচন করা এবং বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা দেখানোর সাথে অর্থ, দুর্নীতি, দমনপীড়ন যুক্ত হয়ে আছে। নির্বাচিত বলে ঘোষিত হওয়ার পর সম্পদ বৃদ্ধির হার এবং পরিমাণ দেখলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। 

ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা ক্রমাগত বলতে থাকেন তারা যা করছেন সেটাই দেশের জন্য ভালো।  রাষ্ট্রীয় সমস্ত মাধ্যম তা প্রচার যন্ত্র কিংবা প্রশাসন সেগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করে সেটা তারা প্রচার করতে থাকেন। এর দুর্বলতা দেখিয়ে দিলে, কিংবা ভুল ধরিয়ে দিলে তারা ভীষণ খেপে উঠেন। আন্দোলনের কথা শুনলে বলতে থাকেন বহুল প্রচলিত সেই তত্ত্ব যে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছেন। রাজপথে না কি নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। আসলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়। ক্ষমতার ছায়ায় থেকে যে যেভাবে পারে লুটপাট করছে। রাজপথে হচ্ছে প্রতিবাদ। কারণ প্রতিবাদের আর তো কোন জায়গা নেই, প্রতিবাদের আর তো কোন ভাষা নেই। আর প্রতিবাদের মধ্যেই তো বেঁচে থাকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। উন্নয়নের আঘাতে গণতন্ত্রের আলো যেন নিভে না যায়, অন্ধকারের রাজত্ব যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয় সে কারনেই প্রতিবাদটা জরুরী। ঘনায়মান অন্ধকারে এটাই তো আলোর আশা।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad
Header Ad

খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি

খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি। ছবি: সংগৃহীত

শীঘ্রই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ১১টি ইউনিটে ছাত্রদলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়া বাকি ১১টি শাখার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে।

রাকিব বলেন, ‘আমরা দ্রুত যাচাই-বাছাই করে কমিটি দিয়ে সাংগঠনিক কাজগুলোকে ত্বরান্বিত করছি। ১১টি আংশিক আহ্বায়ক কমিটির মধ্যে ৯ টিকে পূর্ণাঙ্গ করেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা বাকি আছে। জগন্নাথের পূর্ণাঙ্গ কমিটি খুব দ্রুত ঘোষণা করা হবে।’

তাছাড়া, গত ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

গত ২৩ ডিসেম্বর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ