সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঘনিয়ে আসা অন্ধকার এবং আলোর আশা

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে অনেকগুলো সুচকে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে সরকার এবং নাগরিক সমাজ আনন্দিত। জাতিসংঘের কারিগরি পরিষদে স্বীকৃতি পাওয়ার পর রাজনৈতিক পরিষদেও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটানো হবে। দেশের জিডিপি বেড়ে এখন ৩৩৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল এ সবই অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। মুদ্রার এই পিঠ দেখে আনন্দিত হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মুদ্রার শুধু একটা পিঠই তো থাকে না। অপর পিঠ দেখলে আবার মনটা বিষণ্ণ হয়ে উঠে। কারণ শ্রমিকের মজুরী বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় কম, খাদ্যের দাম পার্শ্ববর্তী সমস্ত দেশের তুলনায় বেশি, ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বে সবচেয়ে গতিশীল বাংলাদেশ। আর গণতান্ত্রিক অধিকার ! সে প্রশ্নে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। 

রাজপথ এখন নানা ধরণের প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ প্রকাশের ক্ষেত্র। শ্রমিকরা নেমেছেন তাদের চাকুরী আর মজুরির দাবীতে, ছাত্ররা নেমেছে বাসে হাফ ভাড়া নিতে হবে এই দাবীতে আর বামপন্থী রাজনৈতিক দল সমুহ জনজীবনের নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন তাদের কর্মসূচী পালন করছেন। 

রাজনৈতিক দল রাজপথে তাদের দাবী দাওয়া জানাবেন এটাই স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। এবং বাংলাদেশে বিশেষভাবে এটা বিরোধী দলের জন্য যেন অবধারিত। কারণ তাদের কথা বলার, দাবীর কথা জনগণকে জানানোর, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে চাপ দেয়ার আর তো কোন পথ, পদ্ধতি এবং স্থান তো এখন আর নেই। স্বাধীনতার আগে ঢাকায় পল্টন ময়দান ছিল, রেসকোর্স ময়দান ছিল রাজনৈতিক দল সেখানে সমাবেশ, জনসভা করে তাদের কথা বলতেন। কিন্তু তখনো বিক্ষোভ প্রকাশ করতেন রাস্তায় বা রাজপথে। বহুল প্রচলিত শ্লোগান ছিল গোল টেবিল না রাজপথ- রাজপথ রাজপথ, দালালী না রাজপথ – রাজপথ, রাজপথ। অর্থাৎ আন্দোলন হতো প্রকাশ্যে আর দালালী হতো গোপনে বা টেবিলে। শ্লোগানের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠতো রাজনৈতিক আকাংখা আর জনসভায়, মিছিলে প্রকাশিত হতো প্রতিজ্ঞা। আন্দোলনকারীরা রাজপথের মিছিলে দেখাতেন তাদের শক্তি আর ক্ষমতাসীনরা দমন নিপীড়ন চালিয়ে তাদের ক্ষমতার দম্ভ এবং শক্তির প্রকাশ ঘটাতেন। স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমাগত জনসমাবেশ করার জায়গাগুলো বন্ধ করে দেয়া এবং সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। তবুও আন্দোলন করতে গেলে রাজপথই এখনও প্রধান ভরসার জায়গা।

দ্রব্যমুল্য ক্রমাগত বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন কোন জিনিস নাই যা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় চাল, চিনি, তেল সহ খাদ্যপন্য তো আছেই, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সব কিছুর দাম বাড়াতে তেমন কোন অজুহাত এখন প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ীদের আবদার এবং সরকারের অনুমোদন একটা যুগলবন্দীর মত পরিবেশ তৈরি করেছে। পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করে সরকার ও ব্যবসায়ীদের এই যৌথ সংগীতের মূর্ছনায় সাধারণ মানুষের মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। এর সাথে আছে ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা মন্ত্রিদের উপদেশ ও অপমানসূচক কথা। বিদেশীরা চাল গম কম খায়, আমরা ভাত বেশি খাই তাই খাদ্য ঘাটতি। অতএব ভাত কম খাওয়ার পরামর্শ দেয়ার সহজ পথ বেছে নিয়েছেন তারা। এর পর আবার বলা হয়েছে জ্বালানী তেলের দাম কম থাকলে সব তেল ভারতে পাচার হয়ে যাবে কিন্তু সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব যাদের তাদের সতর্ক না করে শাস্তি দিলেন সাধারণ মানুষকে। কৃষকরা কম দামে তেল পেলে তা কৃষি উৎপাদনে সহায়ক হতো কি না সে বিষয় কি আলোচনার অপেক্ষা রাখে? কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বোরো মৌসুমে কৃষিতে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি খরচ করতে হবে ধান চাষীদেরকে। দেশের ১৬ লাখ সেচ পাম্পের ৭০ শতাংশের বেশি চলে ডিজেল দিয়ে। এতে প্রতি বিঘায় সেচ খরচ বাড়বে ৩০০ টাকার বেশি। আমন ধান কাটা শেষ। বোরো মৌসুম শুরু হবে। এই বোরো মৌসুমে দেশের ধানের ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হয়। ফলে সরকার তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব কৃষকের খেতে আর জনগণের পাতে সরাসরি পড়বে।  

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাড়িয়ে দেয়া হলো পরিবহনের ভাড়া। সরকার তেলের দাম বাড়ালেন ২৩ শতাংশ। পরিবহনের ব্যয়ের ক্ষেত্রে জ্বালানী তেল একমাত্র উপাদান নয়। বাস বা ট্রাকের দাম, পরিচালনা খরচ, ড্রাইভার হেল্পারের বেতন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, অবচয়, অদৃশ্য খরচ( বি আর টি এর ঘুষ, পুলিশ খরচ, চাঁদা ইত্যাদি), কত সিট খালি থাকে ইত্যাদি সহ ১৬ ধরনের বিষয় যুক্ত করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে বলা হয়। সাধারণত মোট খরচের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হয়ে থাকে জ্বালানী তেল বাবদ। এক হিসেবে দেখানো হয়েছে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারণে বাসের ভাড়া ৬ থেকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ২৭ শতাংশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে প্রতি কিলোমিটারে ৪৫ পয়সা বাড়িয়ে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। কিন্তু ভাড়া তো আগেও বেশি নেয়া হতো এখন তা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যেমন প্রেস ক্লাব থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত দূরত্ব ৪ কিলোমিটারের বেশি নয়। বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী এই ভাড়া হওয়ার কথা ৮ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু আগে নেয়া হতো ১০ টাকা এখন তা নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। সাধারণ মানুষ বাসে প্রতিদিন ঝগড়া করছেন বাড়তি ভাড়া নিয়ে। বাসের কন্ডাকটর বলছেন মালিক প্রতি ট্রিপে তার জমা বাড়িয়েছেন ১৫০০ টাকা। বেশি ভাড়া আদায় না করলে তারা এটা দেবেন কোথা থেকে? ঝগড়া কখনো রূপ নিচ্ছে মারামারিতে। যাত্রী আর পরিবহণ শ্রমিক মারামারি করছেন, মুনাফা যাচ্ছে পরিবহণ মালিকের পকেটে।  

রাজপথে নেমেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া বেতন ও চাকুরীর দাবীতে। প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন তারা। পুলিশ এবং স্থানীয় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আহত হচ্ছেন তারা। যে মজুরী তারা পান তাতে সংসার চলে না এরপর যদি বেতন বকেয়া থাকে, চাকুরী থেকে ছাঁটাই হয়ে যান তাহলে বিক্ষোভে ফেটে পড়া ছাড়া আর কি উপায় আছে তাদের?      

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা তো আমরা সবাই জানি, এর দায় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এড়াতে পারেন না। সাধারণ মানুষের কোন উপায় নেই, যাদের উপায় আছে তারা ছুটে যান বিদেশে চিকিৎসা করাতে। এক্ষেত্রে অসুস্থতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং সরকারের সাথে সম্পর্ক। চিকিৎসার অধিকার এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারে পরিণত হয়েছে।  

নির্বাচনকে লাভ লোভ এবং ভয়ের বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। সংসদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ যে কোন পর্যায়ে নির্বাচন এখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চর্চা বলে বিবেচিত হচ্ছে। মনোনয়ন পাওয়া, নির্বাচন করা এবং বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা দেখানোর সাথে অর্থ, দুর্নীতি, দমনপীড়ন যুক্ত হয়ে আছে। নির্বাচিত বলে ঘোষিত হওয়ার পর সম্পদ বৃদ্ধির হার এবং পরিমাণ দেখলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। 

ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা ক্রমাগত বলতে থাকেন তারা যা করছেন সেটাই দেশের জন্য ভালো।  রাষ্ট্রীয় সমস্ত মাধ্যম তা প্রচার যন্ত্র কিংবা প্রশাসন সেগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করে সেটা তারা প্রচার করতে থাকেন। এর দুর্বলতা দেখিয়ে দিলে, কিংবা ভুল ধরিয়ে দিলে তারা ভীষণ খেপে উঠেন। আন্দোলনের কথা শুনলে বলতে থাকেন বহুল প্রচলিত সেই তত্ত্ব যে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছেন। রাজপথে না কি নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। আসলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়। ক্ষমতার ছায়ায় থেকে যে যেভাবে পারে লুটপাট করছে। রাজপথে হচ্ছে প্রতিবাদ। কারণ প্রতিবাদের আর তো কোন জায়গা নেই, প্রতিবাদের আর তো কোন ভাষা নেই। আর প্রতিবাদের মধ্যেই তো বেঁচে থাকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। উন্নয়নের আঘাতে গণতন্ত্রের আলো যেন নিভে না যায়, অন্ধকারের রাজত্ব যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয় সে কারনেই প্রতিবাদটা জরুরী। ঘনায়মান অন্ধকারে এটাই তো আলোর আশা।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে ছিনতাই রোধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এই অভিযানের প্রথম দিন রবিবার ৯৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে লালবাগ বিভাগে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়।

এর মধ্যে রমনা বিভাগ আটজন, মতিঝিল বিভাগে ১৪ জন, লালবাগ বিভাগে ২৬ জন, ওয়ারী বিভাগে ১০ জন, তেজগাঁও বিভাগে ১৯ জন, মিরপুর বিভাগে ৪ জন, উত্তরা বিভাগ ৮ জন ও গুলশান বিভাগে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে কারা এসব এলাকায় ছিনতাই করে তাদেরকে চিহ্নিত করছি এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। ফুট পেট্রোল গাড়িতে পেট্রোল এবং মোটরসাইকেল পেট্রোল অব্যাহত রেখেছি। এখন শীতের রাত, গভীর রাতেও ছিনতাই হচ্ছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার যেসব গাড়ি ঢাকায় আসছে সেসব গাড়ির যাত্রীদের থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মোবাইল পেট্রোলগুলো যেন ঠিকঠাক কাজ করে এজন্য আমাদের প্রত্যেক ডিভিশনের এসি এবং এডিসিকে নজরদারি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক রাতে তারা গাড়ি নিয়ে মুভে থাকছে এবং তদারকি করছি। এছাড়া আমাদের কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়ারলেসের পেট্রোলগুলোর লোকেশন নেওয়া হচ্ছে এবং তারা সজাগ আছে কি না তদারকি করা হচ্ছে।

যারা এসব ছিনতাইয়ের কাজে অভ্যস্ত, তাদেরকে কোর্টে চালান করার পর অতি সহজেই তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে আসছে এবং আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা মহানগরীতে ২ কোটির মতো মানুষের বসবাস। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এসব ছিনতাইকারী যেন সহজে জামিন না পায় এজন্য কোর্ট বা সংশ্লিষ্ট বিচারকদের অনুরোধ করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা

ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অত্যন্ত কম।

কৃষকরা অভিযোগ করছেন, রফতানির সুযোগ বন্ধ করে তাদের দুর্দশার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কষ্টার্জিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নেই। এখন এই পেঁয়াজ শুভেন্দু অধিকারী আর রিপাবলিক টেলিভিশনের ময়ূখ রঞ্জনকেই কিনতে হবে!

এই সংকটকে কেন্দ্র করে কৃষকরা রিপাবলিক টেলিভিশনের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করেন। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে ময়ূখ সংকট আরও জটিল করে তুলেছেন। এক কৃষক বলেন, আমরা শুনছি, বাংলাদেশ আমাদের থেকে পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। অথচ ময়ূখ বলছে, তারা নাকি আমাদের পেঁয়াজ অপমান করেছে! এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তিনিই দায়ী।

শুধু তাই নয় রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন কৃষকরা। তাদের হুঁশিয়ারি, এই বিপর্যয়ের সমাধান না হলে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে।

পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ে রাজ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। রাস্তায় ফসল ফেলে কৃষকরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা অভিযোগ করেন, তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে, অথচ বাজারে এই পেঁয়াজই ২০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। আমাদের এই কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না।

Header Ad
Header Ad

সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস

নিগার সুলতানা জ্যোতি। ছবি: সংগৃহীত

নতুন এক ইতিহাস গড়লেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাংলাদেশের ইতিহাসে মেয়েদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তিনি। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক পা রাখলেন নতুন এক উচ্চতায়!

শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তিন দিনের নারী বিসিএল ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে জ্যোতি পেয়ে গেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল স্কোর। ১৫৩ রানে থামলেন তিনি। গড়লেন রেকর্ড।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) জ্যোতির ইনিংসে ছিল ২০টি চার, ২ ছক্কা। মোট ২৫৬ বলে ১৫৩ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটে নারীদের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান এই তারকা ব্যাটার। আগের দিন ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা জ্যোতি আজ সোমবার পা রাখেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল স্কোরে।

তার ব্যাটেই আজ বড় লিড মধ্যাঞ্চলের। ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে সোবহানা মোস্তারির উত্তরাঞ্চল। দলটির হয়ে ২৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন ফারজানা হক পিঙ্কি। মধ্যাঞ্চলের নাহিদা আক্তার ৪৮ রানে নেন ৭ উইকেট।

এরপর নেমে দুই ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা আক্তারের জোড়া ফিফটিতে দারুণ শুরু করে মধ্যাঞ্চল। তারপরই জ্যোতির সেঞ্চুরি। ৮ উইকেটে ৩৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মধ্যাঞ্চল। তবে দিনটা হয়ে থাকল জ্যোতিরই।

বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ড আল শাহরিয়ার রোকনের। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
পপ তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের ডিপফেক ছবি ভাইরাল
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
দেশে ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ বেকার- বিবিএস’র জরিপ
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে