রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল - কেন প্রয়োজন?

আমাদের জীবনে অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে কিন্তু কিছু কিছু জিনিস না হলে জীবন চলে না। সেসব দ্রব্য উৎপাদন, সরবরাহ, ভোগ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় তা দেখা সরকারের কাজ। এই সব পরিষেবাকে বলা হয় অত্যাবশ্যক পরিষেবা। ফলে অত্যাবশ্যক পরিষেবাসংক্রান্ত আইন হলে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু যে কথা বলা হয়, আইন যে উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয় এবং যেভাবে তার প্রয়োগ করা হয় তার মধ্যে ফারাক দেখতে দেখতে জনগণ এখন সরকারের ঘোষণা শুনলে সন্দেহ করে।

৬ এপ্রিল ২০২৩ সালে সংসদে তেমনি একটি বিল উত্থাপন করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। শ্রম প্রতিমন্ত্রী কোনো বিল উত্থাপন করলে শ্রমিকদের আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি যে বিল উত্থাপন করেছেন তাতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার এই বিল তাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফলে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ। তারা বলেছেন, ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সাধারণত শ্রমিকরা বা তাদের সংগঠনসমূহ পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। আলাপ আলোচনার সমস্ত দরজা বন্ধ হলেই কেবলমাত্র তারা ধর্মঘট আহ্বান করে থাকে। প্রতিবাদের এই সর্বশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া। আর অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের কথা যদি বলতে হয় তাহলে শ্রমিকরা কাজ করে এমন কোনো খাত আছে যা অত্যাবশ্যকীয় নয়? ফলে তাদের আশঙ্কা যে, ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

একথা মানতে হবে যে জরুরি সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করার জন্য এখনো শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়। আশংকা করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এই বিল আইনে পরিণত হলে তা শুধু
ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংকুচিত হবে তাই নয়, শ্রমিকদের আইনসংগত আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। যা ভবিষ্যতে নৈরাজ্যের জন্ম দেবে এবং দমন পীড়নের পথ আরও প্রশস্ত করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৯৫২ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্স) অ্যাক্ট এবং ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। মূলত এই দুটি আইন এখন ইংরেজিতে থাকার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত আইনগুলো বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা আবশ্যক। সেহেতু, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩ মহান জাতীয় সংসদের সদয় বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হলো।’

এখানে উল্লেখ করার মত বিষয় এই যে ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকার এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছিল, তারপর ১৯৫২ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের ইস্কান্দার মীর্জার সময়কালে প্রণীত এই আইন বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আবার শ্রমিকদের উপর প্রয়োগ করা হবে।

সংসদ যেভাবে চলে বা যেভাবে আইন প্রণয়ন হয় সে কথা বিবেচনা করলে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সংসদে তেমন বিতর্ক হবে না, দুয়েক জন সাংসদ মৃদু কণ্ঠে আপত্তি করতে পারেন কিন্তু তা দ্বারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। ফলে সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিলটি আইনে পরিণত হবে। এটি মালিকদের সুরক্ষা কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে প্রয়োগ করা করা হবে। বিলে যেসব বিধিবিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে সরকার জনস্বার্থে দরকার মনে করলে কোনো জরুরি বা অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে।

বিলে উল্লেখিত শাস্তির ব্যাপারটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । যেমন, সরকার ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করেন বা অব্যাহত রাখেন তাহলে তিনি এক বৎসর কারাদণ্ড, বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ যদি কোন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করে বা ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য উৎসাহিত করে তাহলে ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার কেউ যদি ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য বা সমর্থন করার জন্য চাঁদা প্রদান করে তাহলে ১ বৎসর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, “জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এ ধরনের কোনো পরিষেবাও আইনের আওতাভুক্ত থাকবে। জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হচ্ছে বা হওয়ার শঙ্কা আছে এমন পরিষেবা এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশ বা দেশের কোনো অংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কোনো বিষয়ও অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে। তাহলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার বাইরে আর কোন খাত অবশিষ্ট রইল? যা বাকি আছে তা সরকার চাইলে বা সরকারের কাছে অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে হলে সেকল খাত এই আইনের আওতায় চলে আসবে।

দেখা যায় শ্রমিকের যত অসন্তোষ তার অধিকাংশই ঘটে জীবিকা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। অন্যায়ভাবে ছাঁটাই, আকস্মিক কারখানা বন্ধ, প্রাপ্য না দেওয়া, চুক্তি করে তা বাস্তবায়ন না করার মতো পরিস্থিতি যখন তৈরি হয় তখন শ্রমিকদের শেষ হাতিয়ার ধর্মঘট। সে কারণেই ধর্মঘটের অধিকার শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের রক্ষাকবচ। ১৯৫২ সালে আইএলও’র দ্বিতীয় সভায় সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা বিষয়ক কমিটি (কমিটি অন ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন) ঘোষণা করে যে ধর্মঘট করা একটি অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখিত আছে, এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু নির্ধারিত না থাকিলে, এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে। ‘ শ্রম আইনের চতুর্দশ অধ্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত ধারাসমূহ আছে। ২০৯ ধারায় শিল্প বিরোধ উত্থাপন, ২১০ ধারায় শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান যেমন আছে তেমনি ২২৫ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘটের নোটিশ জারির উপর বিধি নিষেধ, ২২৬ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা, ২২৭ ধারায় কখন ধর্মঘট বেআইনি হবে সেসব বিষয় উল্লেখিত আছে। আবার ২৯৪ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটের দণ্ড, ২৯৫ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটে প্ররোচিত করার দণ্ড, ২৯৬ ধারায় ঢিমে তালে কাজে অংশগ্রহণ বা প্ররোচনার দণ্ড সন্নিবেশিত আছে। শ্রম আইনে ধর্মঘট আহ্বান করা এবং ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা এই দুই বিষয়ই উল্লেখিত আছে, তাহলে নতুন করে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিলের উদ্দেশ্য কী?

বাংলাদেশ বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সস্তা শ্রমিকের দেশ হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ধনী হওয়ারও দেশ। শ্রমিকের কম মজুরি মালিকের বেশি মুনাফার অন্যতম প্রধান শর্ত। শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়ার জন্যই আইনের নানা বাধা তুলে তাদের সংগঠিত হতে দেওয়া হয় না আর সস্তা শ্রমিকের কথা বলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন কি তাহলে দেশি-বিদেশি শোষণকে সহায়তা করবে?

প্রস্তাবিত বিলে ধর্মঘট সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা কি ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার, শ্রম আইনের অধিকার আর আইএলও কনভেনশনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উচিত ন্যায্য মজুরি, জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য অধিকারকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করা। কোটি কোটি শ্রমজীবীর স্বার্থে তাই আইন হওয়া উচিত যে শ্রমিকের অত্যাবশ্যক অধিকার কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad

উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী’র নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন নেতা। 

এসময় রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পরে আবার উপজেলা নির্বাচন করছে। এই ডামি নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্রকামী কোনো দল অংশগ্রহণ করছে না।

রিজভী আরও বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বানাতে পারে না। দেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকারের প্রধান।

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, দেশের জনগণকে আহ্বান জানাই, আপনারা এই ডামি সরকারের অধীনে ডামি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবেন না। এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই কোনো না কোনো উপজেলার বাসিন্দা, আপনারাও কেউ ভোট দেবেন না।

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকূল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডাঃ জাহিদুল কবির, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান রয়েল, সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিশু, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডাঃ মুশফিক, আশরাফুল আসাদ-সহ নেতৃবৃন্দ।

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে হোটেলের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। ওয়াজেদ আলী খান উপজেলার ২নং ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

রবিবার (০৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টায় উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানিয়েছেন, শনিবার রাতে হোটেলে কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় আকাশে ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১ টায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে একটি বজ্রপাত ওয়াজেদ আলীর ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রবিবার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওয়াজেদ আলী একজন হোটেল বাবুর্চি ছিলেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে বজ্রপাতে এক হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে।

জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব

ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং তার পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের ফলাফল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য কোনো কাজেই আসবে না বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

গতকাল বিকালে সাবেক জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেনের বাইকের শো রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি। সেই সাথে এই গরমে ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের খেলা চালানোকে অমানবিক বলেও আখ্যা দেন সাকিব।

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা বিবেচনা করে আমরা যদি বিশ্বকাপ চিন্তা করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ভুল হবে। বিশ্বকাপ সম্পূণ ভিন্ন একটা জায়গা। সেখানে আমরা যতবেশী চাপ নিতে পারব তত বেশি ভালো খেলার সম্ভাবনা থাকবে। সর্বশেষ আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, আমার কাছে মনে হয় আমরা মোটামুটি একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। সেটা খুব ভালো না হলেও কেউ বলবে না যে খুব একটা খারাপ ছিল। আমি আশা করব সেখান থেকে যদি আমাদের শুরু হয় তাহলে এই বিশ্বকাপটা হবে আমাদের সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রথম রাউন্ডের (বিশ্বকাপে) তিনটা ম্যাচে জিততে হবে, তা যদি করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য মোটামোটি ভালো একটা অর্জন হবে সেখান থেকে পরবর্তীতে চিন্তা করলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই চলতি মাসেই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ খেলার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আমাদের খেলার বড় কারণ হলো কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সেইসঙ্গে সেই জায়গাটা সম্পর্কে জানা। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই যারা সেখানে খেলেছে। ফ্লোরিডাতে হয়তো আমাদের কয়েক জন খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের ঐ জিনিসটা কাজে লাগবে যে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। তবে অবশ্যই এটা আদর্শ প্রস্তুতি না। আমি আগে যেটা বললাম যে আপনি যখন একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে যাবেন... যখন নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম স্বাভাবিকভাবে আমরা ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই এটা আদর্শ নয় তবে মনে হয় এটাই আমাদের কাছে সেরা সুযোগ ছিল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।’

সর্বশেষ সংবাদ

উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস