রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল - কেন প্রয়োজন?

আমাদের জীবনে অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে কিন্তু কিছু কিছু জিনিস না হলে জীবন চলে না। সেসব দ্রব্য উৎপাদন, সরবরাহ, ভোগ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় তা দেখা সরকারের কাজ। এই সব পরিষেবাকে বলা হয় অত্যাবশ্যক পরিষেবা। ফলে অত্যাবশ্যক পরিষেবাসংক্রান্ত আইন হলে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু যে কথা বলা হয়, আইন যে উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয় এবং যেভাবে তার প্রয়োগ করা হয় তার মধ্যে ফারাক দেখতে দেখতে জনগণ এখন সরকারের ঘোষণা শুনলে সন্দেহ করে।

৬ এপ্রিল ২০২৩ সালে সংসদে তেমনি একটি বিল উত্থাপন করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। শ্রম প্রতিমন্ত্রী কোনো বিল উত্থাপন করলে শ্রমিকদের আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি যে বিল উত্থাপন করেছেন তাতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার এই বিল তাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফলে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ। তারা বলেছেন, ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সাধারণত শ্রমিকরা বা তাদের সংগঠনসমূহ পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। আলাপ আলোচনার সমস্ত দরজা বন্ধ হলেই কেবলমাত্র তারা ধর্মঘট আহ্বান করে থাকে। প্রতিবাদের এই সর্বশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া। আর অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের কথা যদি বলতে হয় তাহলে শ্রমিকরা কাজ করে এমন কোনো খাত আছে যা অত্যাবশ্যকীয় নয়? ফলে তাদের আশঙ্কা যে, ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

একথা মানতে হবে যে জরুরি সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করার জন্য এখনো শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়। আশংকা করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এই বিল আইনে পরিণত হলে তা শুধু
ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংকুচিত হবে তাই নয়, শ্রমিকদের আইনসংগত আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। যা ভবিষ্যতে নৈরাজ্যের জন্ম দেবে এবং দমন পীড়নের পথ আরও প্রশস্ত করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৯৫২ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্স) অ্যাক্ট এবং ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। মূলত এই দুটি আইন এখন ইংরেজিতে থাকার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত আইনগুলো বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা আবশ্যক। সেহেতু, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩ মহান জাতীয় সংসদের সদয় বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হলো।’

এখানে উল্লেখ করার মত বিষয় এই যে ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকার এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছিল, তারপর ১৯৫২ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের ইস্কান্দার মীর্জার সময়কালে প্রণীত এই আইন বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আবার শ্রমিকদের উপর প্রয়োগ করা হবে।

সংসদ যেভাবে চলে বা যেভাবে আইন প্রণয়ন হয় সে কথা বিবেচনা করলে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সংসদে তেমন বিতর্ক হবে না, দুয়েক জন সাংসদ মৃদু কণ্ঠে আপত্তি করতে পারেন কিন্তু তা দ্বারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। ফলে সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিলটি আইনে পরিণত হবে। এটি মালিকদের সুরক্ষা কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে প্রয়োগ করা করা হবে। বিলে যেসব বিধিবিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে সরকার জনস্বার্থে দরকার মনে করলে কোনো জরুরি বা অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে।

বিলে উল্লেখিত শাস্তির ব্যাপারটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । যেমন, সরকার ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করেন বা অব্যাহত রাখেন তাহলে তিনি এক বৎসর কারাদণ্ড, বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ যদি কোন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করে বা ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য উৎসাহিত করে তাহলে ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার কেউ যদি ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য বা সমর্থন করার জন্য চাঁদা প্রদান করে তাহলে ১ বৎসর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, “জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এ ধরনের কোনো পরিষেবাও আইনের আওতাভুক্ত থাকবে। জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হচ্ছে বা হওয়ার শঙ্কা আছে এমন পরিষেবা এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশ বা দেশের কোনো অংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কোনো বিষয়ও অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে। তাহলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার বাইরে আর কোন খাত অবশিষ্ট রইল? যা বাকি আছে তা সরকার চাইলে বা সরকারের কাছে অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে হলে সেকল খাত এই আইনের আওতায় চলে আসবে।

দেখা যায় শ্রমিকের যত অসন্তোষ তার অধিকাংশই ঘটে জীবিকা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। অন্যায়ভাবে ছাঁটাই, আকস্মিক কারখানা বন্ধ, প্রাপ্য না দেওয়া, চুক্তি করে তা বাস্তবায়ন না করার মতো পরিস্থিতি যখন তৈরি হয় তখন শ্রমিকদের শেষ হাতিয়ার ধর্মঘট। সে কারণেই ধর্মঘটের অধিকার শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের রক্ষাকবচ। ১৯৫২ সালে আইএলও’র দ্বিতীয় সভায় সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা বিষয়ক কমিটি (কমিটি অন ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন) ঘোষণা করে যে ধর্মঘট করা একটি অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখিত আছে, এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু নির্ধারিত না থাকিলে, এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে। ‘ শ্রম আইনের চতুর্দশ অধ্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত ধারাসমূহ আছে। ২০৯ ধারায় শিল্প বিরোধ উত্থাপন, ২১০ ধারায় শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান যেমন আছে তেমনি ২২৫ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘটের নোটিশ জারির উপর বিধি নিষেধ, ২২৬ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা, ২২৭ ধারায় কখন ধর্মঘট বেআইনি হবে সেসব বিষয় উল্লেখিত আছে। আবার ২৯৪ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটের দণ্ড, ২৯৫ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটে প্ররোচিত করার দণ্ড, ২৯৬ ধারায় ঢিমে তালে কাজে অংশগ্রহণ বা প্ররোচনার দণ্ড সন্নিবেশিত আছে। শ্রম আইনে ধর্মঘট আহ্বান করা এবং ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা এই দুই বিষয়ই উল্লেখিত আছে, তাহলে নতুন করে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিলের উদ্দেশ্য কী?

বাংলাদেশ বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সস্তা শ্রমিকের দেশ হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ধনী হওয়ারও দেশ। শ্রমিকের কম মজুরি মালিকের বেশি মুনাফার অন্যতম প্রধান শর্ত। শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়ার জন্যই আইনের নানা বাধা তুলে তাদের সংগঠিত হতে দেওয়া হয় না আর সস্তা শ্রমিকের কথা বলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন কি তাহলে দেশি-বিদেশি শোষণকে সহায়তা করবে?

প্রস্তাবিত বিলে ধর্মঘট সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা কি ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার, শ্রম আইনের অধিকার আর আইএলও কনভেনশনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উচিত ন্যায্য মজুরি, জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য অধিকারকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করা। কোটি কোটি শ্রমজীবীর স্বার্থে তাই আইন হওয়া উচিত যে শ্রমিকের অত্যাবশ্যক অধিকার কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

৫ আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বানিজ্য যাত্রা নতুন মাত্রা শুরু হয়েছে। গত কিছুদিন আগে চাল এসছে সমুদ্র পথে। সমুদ্রের পর এবার আকাশপথেও বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছর যেকোনো সময় চালু হবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে কাজ চলছে ভিসা জটিলতা নিরসন নিয়েও।

এবার পাকিস্তানের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন। এতে করে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার দেশটির কাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ইকবাল হুসেইন দুই দেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন এবং ভ্রমণ ও যোগাযোগের সুবিধার্থে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে। হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন এবং এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন, কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকারের কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে এবং সেটি দেশে বাকস্বাধীনতার শক্তিশালী সংস্কৃতিতে অবদান রেখেছে।

হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খাইবার পাখতুনখাওয়াতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদার কথাও উল্লেখ করেন এবং এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং করাচিকে সংযুক্তকারী শিপিং রুটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলছে বলেও জানান।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন এবং প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার দেশের ফোকাস রয়েছে বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যতিক্রমী সক্ষমতার জন্য পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রশংসাও করেন।

Header Ad
Header Ad

১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১৪ জন যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ এর সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

পদোন্নতি দিয়ে তাদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।

পদোন্নতি পাওয়া বিচারকরা হলেন এস, এম, মাসুদ আমান, সেলিনা আক্তার, ফারহানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অসীম কুমার দে, খালেদা ইয়াসমিন, আব্দুল কুদ্দুস, মোছা. রুবিনা পারভীন, সানজিদা আফরীন দীবা, মো. আব্দুল্লল্লাহ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এবং মো. শাহিনুর রহমান।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন

ছবিঃ সংগৃহীত

আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা গেলেও স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে আজ নওগাঁর তাপমাত্রা ৮ দশমিম ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নওগাঁর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনব্যাপী কুয়াশা পড়েছিল বৃষ্টির মত করে। ঠিকমহ ঘর থেকে বের হতে পারেননি সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ।

গত তিন দিনের আবহাওয়ার এই বৈরিতা কাটিয়ে আজ ঝলমলে রোদ উঠেছে নওগাঁর আকাশে। অথচ আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, মৌসুমের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে উত্তরের জেলা নওগাঁয়।

নওগাঁ শহরের এলাকার জনাব আলী জানান, আজকের আবহাওয়া মোটামুটি ভালো অথচ আজকেই নাকি তাপমাত্রা কমে গেছে। বরাবরই দেখছি যেদিন আবহাওয়া ভালো থাকে সেদিনই তাপমাত্রা কমে যায়। তবে চরম কষ্ট হয়েছে গত তিনদিন।

শহরের ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকার রিকশাচালক মুনছুর জানান, ঠান্ডা আর অতিরিক্ত কুয়াশা থাকলে যাত্রী পাওয়া যায় না। আবার যাত্রী পেলেও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে খুবই কষ্ট হয়। তবে আজকে কিছুটা রোদ উঠেছে দেখে ভালো লাগছে।

আবহাওয়া ও তাপমাত্রার বাস্তবতার বিষয়ে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তাপমাত্রা বাড়ে। গত তিনদিন সূর্যের দেখা মেলেনি পাশপাশি আকাশ খুবই মেঘাচ্ছন্ন ছিল। যার কারণে তাপমাত্রার রিডিং নিচে নামেনি। আজ এ জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে আরও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  
১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  
নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন
১৯৭১ সালের আগে জন্মালে আমাকেও রাজাকার উপাধি দিতো: আজহারী  
মেসে মিলল জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশের ধরণা আত্মহত্যা  
যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড  
আজ গুলশান ২, যে কারণে এড়িয়ে চলবেন  
সুদানের হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭  
বিপিএলের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ান 'হোস্ট' নিয়োগ দিলো ঢাকা  
ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় তারা: পরীমণি  
১৪ আদিবাসী জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে : সন্তু লারমা  
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত    
বছরের প্রথম উন্মুক্ত কনসার্টে গাইবেন জেমসসহ ৭ ব্যান্ড
বাংলা একাডেমি পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত
আ. লীগের মন্ত্রী-এমপিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ‘আপা’ নামে যুক্ত শেখ হাসিনা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি
গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
বৌভাতের অনুষ্ঠানে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩
পরীমণির আগমন ঠেকাতে মুসল্লীদের কর্মসূচি, চাপে অনুষ্ঠান স্থগিত
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ