শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উন্নয়নের গেরিলা

উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নয়ন এখন প্রজাপতি রঙের মতোই অপ্রতিরোধ্য। এ শতাব্দীর সবচেয়ে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিশাল এক কর্মযজ্ঞের নাম। আগামী দুই যুগ চলবে স্মার্ট বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ। কাউকে পিছিয়ে ফেলে নয়- উন্নয়নের গেরিলা দুর্গম গতিতে চলছে। অতীতের থেকে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। করোনা মহামারী পরবর্তী বিশ্ব এক নাজুক পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরপরও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রয়াসে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ রয়েছে।

যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম অধিকতর স্মার্ট হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করমর্দন করতে প্রস্তুত। এজন্য এ প্রজন্মের তরুণেরা শামিল হবে স্মার্ট বাংলাদেশের প্লাটফর্মে। আগামী তরুণ প্রজন্মের মেধা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে এক সুখ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সোসাইটির তরুণেরা একটি সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার প্রধান হাতিয়ার বা মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যপূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। সরকারি বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস অ্যান্ড বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়।

২০২১ থেকে ৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটি কাঠামো পরিকল্পনা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করে ফেলেছে, যা জনগণের জন্য আশীর্বাদ। ২১০০ সালে বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষাপায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান চলছে। যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে তারাই নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থায় অবস্থান করে নিতে পারবে। ই-পাসপোর্ট এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেড়েছে এনআইডির গ্রহণযোগ্যতা দৃশ্যমান দেশ ও দেশের বাইরে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রাম, শহর, অফিস, সবাই স্মার্ট হবে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ভিলেজ এবং স্মার্ট অফিস বাস্তবায়নে এটুআই প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করেছে। এটুআই প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি অংশিজনের সহায়তার ‘স্মার্ট ভিলেজ’ কনসেপ্টের পাইলটিং করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ও নাটোর জেলার সিংড়ায় উপজেলায়। দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীসহ সবশ্রেণির মানুষ যাতে স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ রাখাটা জরুরি।

উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি! এর ফলে সবকিছুর মধ্যেই একশ্রেণির মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালদের খর্ব পদচারণা চোখে পড়ছে। বিশেষ করে সরকারি প্রকল্পগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হবার কারণে প্রকল্পের মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর আস্ফালন দিনে দিনে বাড়ছে। পল্লি উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে তার সুফল যাতে তৃণমূল জনগণ ভোগ করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা প্রকল্পের সফলতাকে গ্রাস করছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ভীষণভাবে দরকার। আমরা সেই সমাজের আমন্ত্রিত অতিথি যেখানে সমাজটাকে ঢেলে সাজাতে হবে বিচক্ষণতার সূত্র দিয়ে।

প্রায়ক্ষেত্রেই সরকারি প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবির বাণিজ্য আলোচনায় আসে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সামনে আনতে হবে, দায়িত্ব দিতে হবে সরকারি প্রকল্পগুলোতে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম পত্র-পত্রিকায় আসে। তদন্ত কমিটি হয় তারপর আস্তে আস্তে তা অন্ধকারে হারিয়ে যায়। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি হাডুডু খেলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ যেমন আমাদের কাম্য তেমনি স্মার্ট দুনিয়াই শান্তির ঘুম ঘুমানোর জন্য নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় ঠেকানোও বেশি কাম্য।

চোখের সামনেই আজ অনেকেই আঙুল ফুলে হচ্ছে কলাগাছ, কেউ কেউ আবার কলাগাছকে ছাড়িয়ে বটগাছে রূপান্তর হচ্ছে। উন্নয়নে হায়েনার উপদ্রব সমাজের নিঃশ্বাসকে চেপে ধরছে। ‘আজকের তরুণ আগামীর ভবিষ্যৎ’ তাদের স্মার্ট দুনিয়ায় স্বাগত জানাচ্ছে অভিনব প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তি তাদের কতটা শান্তিতে রাখছে, সেটাও ভাববার বিষয়। তরুণ প্রজন্ম এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করছে না কি প্রযুক্তির ভয়াবহ অন্ধকার দিক খুঁজে নিচ্ছে তা ভাববার বিষয় প্রত্যেক অভিভাবকের। আইস নামক ভয়ঙ্কর মাদকের থাবা শিক্ষিত তরুণ সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। গাঁজার কেক সেটাও অনলাইনে, কীসের মধ্যে কী! কখন আমাদের সন্তানেরা কোন কৃষ্ণগহবরে পরে হাবুডুবু খাবে কে জানে! বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো? এমনি হাজারো প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের সবার। করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস যেমন সুফল এনেছিল, পাশাপাশি বাচ্চাদের অনলাইন গেম এর আসক্তিতেও ফেলেছে। উন্নয়নের মশাল জ্বালিয়ে সমস্ত বাধা দূর করে একজন অভিযাত্রী হয়ে আমাদের তরুণ সমাজকে শতদলের মতো বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নয়নের পালকে মেলেছে অভিনব প্রযুক্তির সমারোহ। মেট্রোরেল এক বিস্ময় আমাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ ভাবনার স্ফটিক প্রতিফলন স্মার্ট বাংলাদেশকে আমরা স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। উন্নয়নের গেরিলা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

ড. সারিয়া সুলতানা: পল্লিউন্নয়ন গবেষক ও সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ

এসএন 

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এক ১৫ আগস্টে (১৯৭৫ সাল) শেখ মুজিবুরের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে (২০২৪ সাল) কোনো জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। এতে বলা যায়, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে যে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন। হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের ওপর ন্যায়বিচার করব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কর্তৃত্বের মাধ্যমেও নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেল আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এ সময় প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীরা একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে ভবনের দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক স্লোগান লিখে গেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) জুমার দিন সকালে সালফিতের মারদা গ্রামে বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’, ‘আরবদের মৃত্যু হোক’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখে রেখেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। এ ছাড়া উত্তর পশ্চিম তীরের মারদা গ্রামের মসজিদের প্রবেশপথে কালো পোড়া দাগ দেখা গেছে। তবে আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

মারদা গ্রাম পরিষদের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশ বলেন, শুক্রবার মারদা গ্রাম একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় জেগে উঠল। বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী বীর আল-ওয়ালিদিন মসজিদে আগুন দেয়। বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আক্রমণ ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।

ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করে। দোষীদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিক সর্বশেষ ঘটনা বলে নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইসরায়েলি বসবাস করে। ১৯৬৭ সালে এই দুটি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দখলকৃত ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২