বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

উন্নয়নের গেরিলা

উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নয়ন এখন প্রজাপতি রঙের মতোই অপ্রতিরোধ্য। এ শতাব্দীর সবচেয়ে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিশাল এক কর্মযজ্ঞের নাম। আগামী দুই যুগ চলবে স্মার্ট বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ। কাউকে পিছিয়ে ফেলে নয়- উন্নয়নের গেরিলা দুর্গম গতিতে চলছে। অতীতের থেকে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। করোনা মহামারী পরবর্তী বিশ্ব এক নাজুক পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরপরও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রয়াসে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ রয়েছে।

যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম অধিকতর স্মার্ট হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করমর্দন করতে প্রস্তুত। এজন্য এ প্রজন্মের তরুণেরা শামিল হবে স্মার্ট বাংলাদেশের প্লাটফর্মে। আগামী তরুণ প্রজন্মের মেধা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে এক সুখ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সোসাইটির তরুণেরা একটি সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার প্রধান হাতিয়ার বা মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যপূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। সরকারি বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস অ্যান্ড বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়।

২০২১ থেকে ৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটি কাঠামো পরিকল্পনা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করে ফেলেছে, যা জনগণের জন্য আশীর্বাদ। ২১০০ সালে বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষাপায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান চলছে। যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে তারাই নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থায় অবস্থান করে নিতে পারবে। ই-পাসপোর্ট এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেড়েছে এনআইডির গ্রহণযোগ্যতা দৃশ্যমান দেশ ও দেশের বাইরে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রাম, শহর, অফিস, সবাই স্মার্ট হবে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ভিলেজ এবং স্মার্ট অফিস বাস্তবায়নে এটুআই প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করেছে। এটুআই প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি অংশিজনের সহায়তার ‘স্মার্ট ভিলেজ’ কনসেপ্টের পাইলটিং করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ও নাটোর জেলার সিংড়ায় উপজেলায়। দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীসহ সবশ্রেণির মানুষ যাতে স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ রাখাটা জরুরি।

উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি! এর ফলে সবকিছুর মধ্যেই একশ্রেণির মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালদের খর্ব পদচারণা চোখে পড়ছে। বিশেষ করে সরকারি প্রকল্পগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হবার কারণে প্রকল্পের মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর আস্ফালন দিনে দিনে বাড়ছে। পল্লি উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে তার সুফল যাতে তৃণমূল জনগণ ভোগ করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা প্রকল্পের সফলতাকে গ্রাস করছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ভীষণভাবে দরকার। আমরা সেই সমাজের আমন্ত্রিত অতিথি যেখানে সমাজটাকে ঢেলে সাজাতে হবে বিচক্ষণতার সূত্র দিয়ে।

প্রায়ক্ষেত্রেই সরকারি প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবির বাণিজ্য আলোচনায় আসে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সামনে আনতে হবে, দায়িত্ব দিতে হবে সরকারি প্রকল্পগুলোতে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম পত্র-পত্রিকায় আসে। তদন্ত কমিটি হয় তারপর আস্তে আস্তে তা অন্ধকারে হারিয়ে যায়। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি হাডুডু খেলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ যেমন আমাদের কাম্য তেমনি স্মার্ট দুনিয়াই শান্তির ঘুম ঘুমানোর জন্য নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় ঠেকানোও বেশি কাম্য।

চোখের সামনেই আজ অনেকেই আঙুল ফুলে হচ্ছে কলাগাছ, কেউ কেউ আবার কলাগাছকে ছাড়িয়ে বটগাছে রূপান্তর হচ্ছে। উন্নয়নে হায়েনার উপদ্রব সমাজের নিঃশ্বাসকে চেপে ধরছে। ‘আজকের তরুণ আগামীর ভবিষ্যৎ’ তাদের স্মার্ট দুনিয়ায় স্বাগত জানাচ্ছে অভিনব প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তি তাদের কতটা শান্তিতে রাখছে, সেটাও ভাববার বিষয়। তরুণ প্রজন্ম এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করছে না কি প্রযুক্তির ভয়াবহ অন্ধকার দিক খুঁজে নিচ্ছে তা ভাববার বিষয় প্রত্যেক অভিভাবকের। আইস নামক ভয়ঙ্কর মাদকের থাবা শিক্ষিত তরুণ সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। গাঁজার কেক সেটাও অনলাইনে, কীসের মধ্যে কী! কখন আমাদের সন্তানেরা কোন কৃষ্ণগহবরে পরে হাবুডুবু খাবে কে জানে! বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো? এমনি হাজারো প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের সবার। করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস যেমন সুফল এনেছিল, পাশাপাশি বাচ্চাদের অনলাইন গেম এর আসক্তিতেও ফেলেছে। উন্নয়নের মশাল জ্বালিয়ে সমস্ত বাধা দূর করে একজন অভিযাত্রী হয়ে আমাদের তরুণ সমাজকে শতদলের মতো বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নয়নের পালকে মেলেছে অভিনব প্রযুক্তির সমারোহ। মেট্রোরেল এক বিস্ময় আমাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ ভাবনার স্ফটিক প্রতিফলন স্মার্ট বাংলাদেশকে আমরা স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। উন্নয়নের গেরিলা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

ড. সারিয়া সুলতানা: পল্লিউন্নয়ন গবেষক ও সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ

এসএন 

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২