রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

উন্নয়নের গেরিলা

উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নয়ন এখন প্রজাপতি রঙের মতোই অপ্রতিরোধ্য। এ শতাব্দীর সবচেয়ে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিশাল এক কর্মযজ্ঞের নাম। আগামী দুই যুগ চলবে স্মার্ট বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ। কাউকে পিছিয়ে ফেলে নয়- উন্নয়নের গেরিলা দুর্গম গতিতে চলছে। অতীতের থেকে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। করোনা মহামারী পরবর্তী বিশ্ব এক নাজুক পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরপরও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রয়াসে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ রয়েছে।

যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম অধিকতর স্মার্ট হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করমর্দন করতে প্রস্তুত। এজন্য এ প্রজন্মের তরুণেরা শামিল হবে স্মার্ট বাংলাদেশের প্লাটফর্মে। আগামী তরুণ প্রজন্মের মেধা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে এক সুখ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সোসাইটির তরুণেরা একটি সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার প্রধান হাতিয়ার বা মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যপূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। সরকারি বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস অ্যান্ড বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়।

২০২১ থেকে ৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটি কাঠামো পরিকল্পনা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করে ফেলেছে, যা জনগণের জন্য আশীর্বাদ। ২১০০ সালে বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষাপায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান চলছে। যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে তারাই নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থায় অবস্থান করে নিতে পারবে। ই-পাসপোর্ট এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেড়েছে এনআইডির গ্রহণযোগ্যতা দৃশ্যমান দেশ ও দেশের বাইরে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রাম, শহর, অফিস, সবাই স্মার্ট হবে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ভিলেজ এবং স্মার্ট অফিস বাস্তবায়নে এটুআই প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করেছে। এটুআই প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি অংশিজনের সহায়তার ‘স্মার্ট ভিলেজ’ কনসেপ্টের পাইলটিং করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ও নাটোর জেলার সিংড়ায় উপজেলায়। দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীসহ সবশ্রেণির মানুষ যাতে স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ রাখাটা জরুরি।

উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি! এর ফলে সবকিছুর মধ্যেই একশ্রেণির মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালদের খর্ব পদচারণা চোখে পড়ছে। বিশেষ করে সরকারি প্রকল্পগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হবার কারণে প্রকল্পের মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর আস্ফালন দিনে দিনে বাড়ছে। পল্লি উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে তার সুফল যাতে তৃণমূল জনগণ ভোগ করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা প্রকল্পের সফলতাকে গ্রাস করছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ভীষণভাবে দরকার। আমরা সেই সমাজের আমন্ত্রিত অতিথি যেখানে সমাজটাকে ঢেলে সাজাতে হবে বিচক্ষণতার সূত্র দিয়ে।

প্রায়ক্ষেত্রেই সরকারি প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবির বাণিজ্য আলোচনায় আসে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সামনে আনতে হবে, দায়িত্ব দিতে হবে সরকারি প্রকল্পগুলোতে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম পত্র-পত্রিকায় আসে। তদন্ত কমিটি হয় তারপর আস্তে আস্তে তা অন্ধকারে হারিয়ে যায়। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি হাডুডু খেলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ যেমন আমাদের কাম্য তেমনি স্মার্ট দুনিয়াই শান্তির ঘুম ঘুমানোর জন্য নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় ঠেকানোও বেশি কাম্য।

চোখের সামনেই আজ অনেকেই আঙুল ফুলে হচ্ছে কলাগাছ, কেউ কেউ আবার কলাগাছকে ছাড়িয়ে বটগাছে রূপান্তর হচ্ছে। উন্নয়নে হায়েনার উপদ্রব সমাজের নিঃশ্বাসকে চেপে ধরছে। ‘আজকের তরুণ আগামীর ভবিষ্যৎ’ তাদের স্মার্ট দুনিয়ায় স্বাগত জানাচ্ছে অভিনব প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তি তাদের কতটা শান্তিতে রাখছে, সেটাও ভাববার বিষয়। তরুণ প্রজন্ম এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করছে না কি প্রযুক্তির ভয়াবহ অন্ধকার দিক খুঁজে নিচ্ছে তা ভাববার বিষয় প্রত্যেক অভিভাবকের। আইস নামক ভয়ঙ্কর মাদকের থাবা শিক্ষিত তরুণ সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। গাঁজার কেক সেটাও অনলাইনে, কীসের মধ্যে কী! কখন আমাদের সন্তানেরা কোন কৃষ্ণগহবরে পরে হাবুডুবু খাবে কে জানে! বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো? এমনি হাজারো প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের সবার। করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস যেমন সুফল এনেছিল, পাশাপাশি বাচ্চাদের অনলাইন গেম এর আসক্তিতেও ফেলেছে। উন্নয়নের মশাল জ্বালিয়ে সমস্ত বাধা দূর করে একজন অভিযাত্রী হয়ে আমাদের তরুণ সমাজকে শতদলের মতো বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নয়নের পালকে মেলেছে অভিনব প্রযুক্তির সমারোহ। মেট্রোরেল এক বিস্ময় আমাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ ভাবনার স্ফটিক প্রতিফলন স্মার্ট বাংলাদেশকে আমরা স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। উন্নয়নের গেরিলা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

ড. সারিয়া সুলতানা: পল্লিউন্নয়ন গবেষক ও সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ

এসএন 

Header Ad

বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ

ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসেই ১০ মাসের সন্তান প্রসব করেলেন এক নববধূ। শনিবার (১১ মে) এ সংবাদ প্রকাশ্যে আসে। উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকছিপাড়া নাজিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের জনৈক যুবকের ওই বাড়ির যুবতীর সাথে ৪ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর ওই নববধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গেল ৩০ এপ্রিল তার পেট ব্যথা দেখা দিলে হাজীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ লা মে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে সন্তান প্রসবের খবর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছায়।

ওই নববধূর বোন জানান, আমার স্বামী নওহাটা ফকির বাড়ির ফারুকের ছেলে কাউসার যৌতুকের দাবিতে তাকে অত্যাচার করত। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। আর এই সুযোগে তার আপন ছোট বোনের সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় কাউসার।

এ বিষয়ে ওই নববধূ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে তার বড় বোনের স্বামী কাউসার সুযোগ বুঝে মুখ চাপা দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। এখন এ ঘটনার কারণে যদি স্বামী তাকে না নেয়, তাহলে সে ছাড়াছাড়ি মেনে নেবেন।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাউসারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের শাকছিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ খালেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নববধূর স্বামী এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়ে গেছে।

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেখান থেকে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলোতে তল্লাশি করি কিন্তু কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আজ রাতে হলেই অবস্থান করব।

এদিকে পরিস্থিতি পরবর্তীতে যেন খারাপ না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছি। যদি মনে হয় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে তাহলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন ঘটনা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করার। আমরা দুই পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সব সময় সতর্ক। তারপরেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া হয়েছে। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেব। অভিযোগটি যে কেউ করতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রদের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা করব।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন

ফাইল ছবি

আজ (রোববার, ১২ মে) ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

ফল জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী