রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন

বর্তমানে বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরগুলোতে সাড়ে ১২ লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা বসবাস করছে। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ এই বোঝা টেনে চলছে যা শেষ হওয়া জরুরি। এর আগে দু’বার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রোহিঙ্গাদের অনীহা ও রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

বৈশ্বিক সংকটের কারণে দাতাসংস্থা ও দেশগুলোর ত্রাণ তহবিলে চাপ পড়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যের পরিমাণ কমে এসেছে এবং তা আগামীতে আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা কমে গেলে বাংলাদেশের একার পক্ষে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাদ্য ও আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও দিনদিন খারাপ হচ্ছে এবং স্থানীয় জনগণের সাথে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংঘটিত নানা ধরনের অপরাধ বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি করছে এবং ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যয় বাড়ছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। বাংলাদেশ সরকার বন্ধু রাষ্ট্র এবং দাতাসংস্থাগুলোর কাছে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে যা এখনো পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উদ্যোগী হয়ে মিয়ানমার গত ৮-৯ মার্চ সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ ৮ দেশের ১১ জন কূটনীতিককে মিয়ানমারের মংডু ও সিতওয়ে শহরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত অর্ন্তবর্তীকালীন ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকা সরেজমিনে দেখাতে নিয়ে যায়। এরপর, ১৫ মার্চ মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে ১৭৭টি পরিবারের ৪৮০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করে। ১৮ এপ্রিল কুনমিংয়ে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং এর অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তৃতীয় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই বৈঠকের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ প্রত্যাবাসন উপযোগী কি না তা দেখার জন্য ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি গত ৫ মে সেখানে যায়। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মংডু শহরের আশপাশের ১৫টি গ্রাম, পুনর্বাসনকেন্দ্র, ট্রানজিট কেন্দ্রসহ নানা অবকাঠামো দেখানো হয়েছে। তাদের সাথে যাওয়া শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানায় যে, তারা মংডু শহর ও গ্রামে গিয়ে সেখানকার রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছে, সেখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। মংডু শহরে রোহিঙ্গারা অবাধে ঘুরছে ও কাজকর্মে ব্যস্ত রয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী। রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তাদের সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখাতে এই সফরের ব্যবস্থা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে। সেসময় প্রতিনিধিদলটি প্রত্যাবাসন নিয়ে আস্থা বাড়াতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। সবকিছু ঠিকমত চললে মে মাসে ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গার প্রথম দলটি নিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় চীন ও মিয়ানমার। এ বছর আরও ৫ ধাপে প্রতিবারে ১ হাজার ২০০ জন করে ৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পাইলট প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যাবাসন ও অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলোতে আসিয়ান, ইউএনডিপি ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবে বলে জানা যায়। বর্তমান প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ও সম্ভাব্য ছয় হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আগামী ডিসেম্বরে আরেকটা বৈঠক হবে।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চীন কয়েক মাস ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চীনের বিশেষ দূত দেং সি জুন মিয়ানমার সফর করে। গত ৬ এপ্রিল তিনি ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের সাথে দেখা করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানায় যে, চীন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা’র কাজ করছে এবং প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান। চীনের রাষ্ট্রদূত আশা করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ প্রচেষ্টায় একটি টেকসই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং তা হওয়া উচিত। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলছেন যে, গত পাঁচ-ছয় মাসে মিয়ানমার পক্ষের ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে, এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত হবে বলে আশা করা যায়। ৪ মে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চায়।

রাখাইনের পরিস্থিতি বুঝতে হলে রোহিঙ্গাদেরকে এই প্রত্যাবাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো প্রয়োজন নচেৎ এই সংকট আরও দীর্ঘায়িত হবে যা কারো কাম্য নয়। অনির্দিষ্টকাল বাংলাদেশে থেকে রোহিঙ্গাদের পক্ষে মিয়ানমারের সুযোগ সুবিধা ও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা বাস্তবসম্মত হবে না— কারণ গত ছয় বছরে তা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে এবং স্থানীয় জনগণের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তাদের অধিকার আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। রাখাইনদের সাথে মিলেমিশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে যুগ যুগ ধরে বসবাস করতে হবে তাই তাদেরকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। মংডুতে রোহিঙ্গাদের স্বাধীন ব্যবসা–বাণিজ্য এবং মডেল ভিলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সচেতন করা গেলে প্রত্যাবাসনে তাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার পর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ, আসিয়ান বা বাংলাদেশের বন্ধু কোনো রাষ্ট্রের উপস্থিতির প্রয়োজন হবে কি না কিংবা তাদের ভূমিকা কী হবে সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। আসিয়ান মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য একটি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কাজ করছে। এর মাধ্যমে কতজন মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন, কোথায় এবং কি সাহায্যের প্রয়োজন তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে গেলে তাদেরকেও এই উদ্যোগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে নিয়ে রোহিঙ্গাদের এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এই প্রেক্ষিতে দাতাগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা স্বার্থরক্ষায় কর্মরত সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা এই কার্যক্রমে সহায়তা করতে সক্ষম।

বাংলাদেশ চলমান এই দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সংকট উত্তরণে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে পরিবারভিত্তিক এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে এবং একটা আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এই চলমান উদ্যোগে জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে সাথে নেওয়া না হলেও জাপানের সাথে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় জাপান প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত এই মানবিক উদ্যোগে পশ্চিমা বিশ্বের মুখপাত্র হিসেবে সমন্বয়কের কাজ করতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার পর প্রথম দলের মিয়ানমারে অবস্থানকালীন কী সমস্যা হচ্ছে সেটা জেনে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইনের জনগনের সাথে রোহিঙ্গাদের সুসম্পর্ক স্থাপন ও সহবস্থান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে কাজ করতে হবে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সরকার, রাখাইনের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রোহিঙ্গাদের প্রতি যে কট্টর মনোভাব ও বিরূপ ধারণা ছিল গত ছয় বছরে তা কিছুটা হলেও ইতিবাচক হয়েছে যা আরাকান আর্মি ও এন ইউ জি’র বক্তব্য থেকে জানা যায়। রাতারাতি এই মনোভাব পরিবর্তন সম্ভব না তবে ইতিবাচক দিকে তা চলমান থাকলে একদিন তা বদলে যাবেই।

ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদেরকে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ চলমান রাখবে বলে জানিয়েছে যা তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করে রখাইনের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে। রাখাইনের আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেখানে কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি হবে, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এলে এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান বৈরি মনোভাব কমে যাবে। এই পরিবেশ দ্রুত সৃষ্টি করতে হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা জরুরি। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে গেলে দাতাগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রথম দিকে আরাকানে তাদের এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। আশা করা যায় যে, মিয়ানমার সরকার ও আরাকানের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সেখানে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে তারা তাদের চুক্তি নবায়ন করে কিংবা নতুন করে চুক্তি করে মানবিক সাহায্য প্রদান অব্যাহত রাখবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে এই প্রক্রিয়ায় কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে সর্বতোভাবে চেষ্টা করতে হবে।

পাইলট প্রকল্পটি যেভাবে শুরু হয়েছে সেই পথ অনুসরণ করে এই প্রক্রিয়া যেন সফলতার মুখ দেখে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় তাদের নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে পারে তার জন্য সকল পক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। বৈশ্বিক এই সংকট বৈশ্বিকভাবে মোকাবিলা করা হোক এবং বাংলাদেশকে এই সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য সবার আন্তরিক সমর্থন প্রয়োজন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) হাসান মো. শামসুদ্দীন: মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক

আরএ/

Header Ad
Header Ad

১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১৪ জন যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ এর সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

পদোন্নতি দিয়ে তাদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।

পদোন্নতি পাওয়া বিচারকরা হলেন এস, এম, মাসুদ আমান, সেলিনা আক্তার, ফারহানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অসীম কুমার দে, খালেদা ইয়াসমিন, আব্দুল কুদ্দুস, মোছা. রুবিনা পারভীন, সানজিদা আফরীন দীবা, মো. আব্দুল্লল্লাহ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এবং মো. শাহিনুর রহমান।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন

ছবিঃ সংগৃহীত

আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা গেলেও স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে আজ নওগাঁর তাপমাত্রা ৮ দশমিম ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নওগাঁর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনব্যাপী কুয়াশা পড়েছিল বৃষ্টির মত করে। ঠিকমহ ঘর থেকে বের হতে পারেননি সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ।

গত তিন দিনের আবহাওয়ার এই বৈরিতা কাটিয়ে আজ ঝলমলে রোদ উঠেছে নওগাঁর আকাশে। অথচ আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, মৌসুমের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে উত্তরের জেলা নওগাঁয়।

নওগাঁ শহরের এলাকার জনাব আলী জানান, আজকের আবহাওয়া মোটামুটি ভালো অথচ আজকেই নাকি তাপমাত্রা কমে গেছে। বরাবরই দেখছি যেদিন আবহাওয়া ভালো থাকে সেদিনই তাপমাত্রা কমে যায়। তবে চরম কষ্ট হয়েছে গত তিনদিন।

শহরের ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকার রিকশাচালক মুনছুর জানান, ঠান্ডা আর অতিরিক্ত কুয়াশা থাকলে যাত্রী পাওয়া যায় না। আবার যাত্রী পেলেও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে খুবই কষ্ট হয়। তবে আজকে কিছুটা রোদ উঠেছে দেখে ভালো লাগছে।

আবহাওয়া ও তাপমাত্রার বাস্তবতার বিষয়ে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তাপমাত্রা বাড়ে। গত তিনদিন সূর্যের দেখা মেলেনি পাশপাশি আকাশ খুবই মেঘাচ্ছন্ন ছিল। যার কারণে তাপমাত্রার রিডিং নিচে নামেনি। আজ এ জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে আরও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

১৯৭১ সালের আগে জন্মালে আমাকেও রাজাকার উপাধি দিতো: আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

পূর্বে আওয়ামী মতের বিরুদ্ধে গেলেই যে কাউকে রাজাকার উপাধি দিয়ে দেওয়া হতো বলে মন্তব্য করেছেন দেশের আলোচিত ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, যদি তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থাকতেন তাহলে তাকেও রাজাকার উপাধি দিয়ে দেওয়া হতো।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘পূর্বে আওয়ামী মতের বিরুদ্ধে গেলেই যে কাউকে রাজাকার উপাধি দিয়ে দেওয়া হতো।’

তিনি বলেন, ‘৭১ যদি দেখতাম এতদিনে রাজাকার হয়ে যেতাম, আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন। এটা আল্লাহর মেহেরবানী। মনোমত হলে মুক্তিযোদ্ধা, আর না হলে রাজাকার। কত কিছু দেখলাম এই শাহবাগের বুকে। ৭১ সালে আমরা দেখি নাই, শুনেছি মুসলিম না অমুসলিম সেটি যাচাইয়ে কালিমা বলার কথা বলা হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, জেন-জি (নতুন প্রজন্ম) আমাকে ছাড়ে না। এরাই আগামীর বাংলাদেশ। এদের হাতেই নিরাপদ আমার লাল-সবুজের পতাকা এবং দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের সজাগ ও সাবধান থাকতে হবে।’

এ দিকে মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাজিমুল আহসান।

উল্লেখ্য, মাহফিলটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। মাহফিলে বক্তব্য শেষে তিনি আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  
নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন
১৯৭১ সালের আগে জন্মালে আমাকেও রাজাকার উপাধি দিতো: আজহারী  
মেসে মিলল জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশের ধরণা আত্মহত্যা  
যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড  
আজ গুলশান ২, যে কারণে এড়িয়ে চলবেন  
সুদানের হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭  
বিপিএলের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ান 'হোস্ট' নিয়োগ দিলো ঢাকা  
ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় তারা: পরীমণি  
১৪ আদিবাসী জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে : সন্তু লারমা  
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত    
বছরের প্রথম উন্মুক্ত কনসার্টে গাইবেন জেমসসহ ৭ ব্যান্ড
বাংলা একাডেমি পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত
আ. লীগের মন্ত্রী-এমপিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ‘আপা’ নামে যুক্ত শেখ হাসিনা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি
গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
বৌভাতের অনুষ্ঠানে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩
পরীমণির আগমন ঠেকাতে মুসল্লীদের কর্মসূচি, চাপে অনুষ্ঠান স্থগিত
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ সোমবার