মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বৈশ্বিক মানবিক সংকটে ঊর্ধ্বমুখী সামরিক ব্যয়ের প্রভাব

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, স্থানীয় মুদ্রার দরপতন, মার্কিন ডলারের সংকট ইত্যাদি নানা কারণে সাধারণ মানুষ ক্রমাগত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার জটিল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এবং পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, জ্বালানি ও সারের মূল্যস্ফীতি ঘটিয়েছে।

মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, জাতীয় ঋণের মাত্রা বাড়ছে এবং অনেক দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। আমদানি নির্ভর দেশগুলোকে আমদানি ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ার কারনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের ৮২টি দেশের সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ খাদ্য নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দেশগুলোতে খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউ এফ পি) কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনাহারের ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষের মধ্যে ৪৫টি দেশের ৫ কোটি মানুষ চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ধাক্কা চলমান উন্নয়নের গতিকে ধীর করে দিয়েছে। এর মধ্যে শ্রীলংকার উপর যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল তার প্রভাব এখনো কিছুটা রয়েছে। শ্রীলংকার পর পাকিস্তান ও আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে ও তা কাটিয়ে উঠতে সংগ্রাম করছে।

ইতোমধ্যে অনেক বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, তুরস্কে ভূমিকম্প, ইথিওপিয়া ও সর্বশেষ সুদানের গৃহযুদ্ধ বিশ্ব ব্যাপী মানবিক সংকটের তালিকা দীর্ঘায়িত করে চলেছে। এর ফলে মানবিক ও ত্রাণ সহায়তার গুরুত্ব ও লক্ষ্য ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। ২০২১ সালের ২৪শে আগস্ট ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার ও টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট এর মধ্যে সংঘর্ষে ওই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সুদানে গত ১৫ এপ্রিল থেকে চলা সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, প্রায় আট লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব মানবিক বিপর্যয় ত্রাণ সহায়তা ও মানবিক কার্যক্রমের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলছে। জাতিসংঘ পূর্ব আফ্রিকার তিন-চতুর্থাংশ শরণার্থীর খাদ্য রেশন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইথিওপিয়া, কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান ও উগান্ডার শরণার্থীরা। পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো, ক্যামেরুন, চাদ, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারে ডব্লিউএফপির রেশনও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বুরকিনা ফাসোতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছেছে। ডব্লিউএফপি আশঙ্কা করছে যে দক্ষিণ সুদানে শরণার্থীসহ দেশটির ৮৩ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হবে।

যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে ইউরোপের দেশগুলো আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ইউরোপজুড়ে গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮০ লাখেরও বেশি শরণার্থী ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৫৯.১ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে, ১ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ২৮১ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষ রাষ্ট্রহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

বিশ্বের সামরিক ব্যয় ২০২২ সালে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়ে ২ দশমিক ২৪ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছে। পৃথিবীব্যাপী যুদ্ধ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারনে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে সামরিক ব্যয়। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) ২৪ এপ্রিল বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এই ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কিত হলেও ইউরোপের অন্য দেশগুলো রাশিয়ার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে। এ কারণে ফিনল্যান্ড ৩৬ শতাংশ, লিথুয়ানিয়া ২৭ শতাংশ, সুইডেন ১২ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১১ শতাংশ সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। ফিনল্যান্ড এপ্রিলে ন্যাটোর ৩১তম সদস্য হয়েছে, পাশাপাশি সুইডেনও এখন ন্যাটো জোটে যুক্ত হতে চাচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইটালির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোও গত দশকে সামরিক খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের ক্রমাগত বৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, আমরা বর্তমানে একটি অনিরাপদ বিশ্বে বসবাস করছি।

বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় শতকরা ০.৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮৭৭ বিলিয়ন ডলারে। যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের শতকরা ৩৯ ভাগ। ইউক্রেনকে দেওয়া অব্যাহত আর্থিক সামরিক সহায়তার কারণে এই ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন আর্থিক সামরিক সহায়তার পরিমাণ ছিল ১৯.৯ বিলিয়ন ডলার।

চীন সামরিক খাতে ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, ২০২২ সালে এই খাতে চীনের বরাদ্দ ছিল আনুমানিক ২৯২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪.২ শতাংশ বেশি। চীনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে। জাপান ২০২২ সালে সামরিক খাতে ৪৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৯ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তাইওয়ান তাদের ব্যয় বাড়িয়েছে ১৩.৯ শতাংশ এবং সাউথ কোরিয়া বাড়িয়েছে ৪.৬ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার সামরিক ব্যয় ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ডলার। অস্ট্রেলিয়া সরকার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পেছনে ১ হাজার ৯০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার খরচ করার ঘোষণা দিয়েছে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২২ সালে আনুমানিক ৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৮৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার যা বৈশ্বিক মোট সামরিক ব্যয়ের ৩.৯ শতাংশ। সামরিক ব্যয়ে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারত। ২০২২ সালে ভারত সামরিক খাতে ৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে যা সামরিক খাতে বিশ্বের মোট খরচের ৩.৬ শতাংশ। সৌদি আরব পঞ্চম বৃহত্তম সামরিক ব্যয়কারী দেশ, ২০২২ সালে তাদের ব্যয় ১৬ শতাংশ বেড়ে আনুমানিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

২০২২ সালে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ছিল মোট ১২৩২ বিলিয়ন ডলার যা ২০২১ সালের তুলনায় ০.৯ শতাংশ বেশি। বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয়ের তালিকায় ৩.১ শতাংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ষষ্ঠ যার পরিমাণ ৬৮.৫ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই মোট ব্যয়ের আড়াই শতাংশ জার্মানির আর ২.৪ শতাংশ ফ্রান্সের। ইউক্রেনে সামরিক ব্যয় ২০২২ সালে ছয় গুণের বেশি বেড়ে ৪৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা হিসাবে সামরিক খাতে খরচ ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৩৪ ভাগ। এটা একটা দেশের সামরিক ব্যয়ের সর্বোচ্চ এক বছরের বৃদ্ধর রেকর্ড। ২০২২ সালে এশিয়া ও ওশেনিয়ার দেশগুলোর সম্মিলিত সামরিক ব্যয় ছিল ৫৭৫ বিলিয়ন ডলার যা আগের বছরের তুলনায় ২.৭ শতাংশ বেশি এবং এই ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে।

২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরপরও দেশটির সামরিক সামর্থ্য কমেনি বা তাদের সমরাস্ত্র কেনা থেমে নেই। প্রতি বছর দেশটি তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ও সামরিক সামর্থ্য বাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ২২৮ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতিবেশী দুই দেশ চীন ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় মিয়ানমার এই দুই দেশ থেকে বেশিরভাগ অস্ত্র কিনে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর চীন, রাশিয়া ও সার্বিয়া দেশটিকে যুদ্ধ বিমান, সাজোঁয়া যান, রকেট ও কামান সরবারহ করেছে।

বিশ্বব্যাপী মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সশস্ত্র সংঘাত এবং ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে এর ফলে খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে দারিদ্র্য বাড়ছে সেই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বাস্তু ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও সংকটের কারণে দাতারা অনুদান কমিয়ে দেওয়ায় ডব্লিউ এফ পি রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যসহায়তা প্রায় ১৭ শতাংশ কমিয়েছে। রোহিঙ্গাদের খাবারের জন্য মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ ছিল ১২ ডলার, ১ মার্চ থেকে তা কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। নতুন তহবিল জোগাড় না হলে আগামী দিনগুলোতে এই সাহায্যের পরিমাণ আরও কমতে পারে। তহবিল সংকটের কারণে সুযোগ-সুবিধা আরও কমে যেতে পারে এই আশঙ্কায় রোহিঙ্গাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

বাংলাদেশ গত প্রায় ছয় বছর ধরে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবিষ্যতে এই ব্যয় আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশের একার পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ব্যয় বহনের জন্য বন্ধুরাষ্ট্র ও দাতাগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে যা প্রাপ্তি এখনো অনিশ্চিত। সারা বিশ্বে সামরিক ব্যয় বেড়েই চলছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের দুর্দশা ও নিপীড়িত বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। বিশ্বব্যাপী এই সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবিক সহায়তাও বাড়ানোর উদ্যোগ চলমান রাখতে হবে। একটা শান্তিময় বিশ্বের প্রত্যাশায় সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি যেন চলমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের উপর প্রভাব না ফেলে তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব মানবতাবোধকে জাগ্রত রাখতে হবে।

হাসান মো. শামসুদ্দীন: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত), মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা ও তাঁর মেয়ে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) এবং তাঁর মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৮), যিনি ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হালিমা। বাবা-মেয়ের মধ্যে ছিল গভীর স্নেহের সম্পর্ক। পুকুরে নেমে মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা। ব্যবহার করছিলেন একটি প্লাস্টিকের টিউব। একপর্যায়ে হালিমার হাত ফসকে গেলে তিনি পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। মেয়েকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দেন বাবুল আহমদ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি—বাঁচানো তো দূরের কথা, প্রাণ গেল দুজনেরই।

স্থানীয়রা জানায়, টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজনই মারা যান। ঘটনার পর হামিদপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুল আহমদের বাসা ঢাকায়। স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করতেন। চার সন্তানই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। গ্রামের বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় তাঁর বাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবাই কয়েক দিন আগে গ্রামে বেড়াতে আসেন। দ্বিতীয় মেয়ে হালিমার আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

সোমবার বিকেলে বাবার সঙ্গে পুকুরে নামেন হালিমা। টিউব ভরসা করে সাঁতার শেখার একপর্যায়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও প্রাণ হারান বাবুল। সন্ধ্যার পর বাবুল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একসঙ্গে বাবা-মেয়ের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আলাদা দুটি কক্ষে রাখা হয়েছে তাঁদের নিথর দেহ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়ির আঙিনা। প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কারও চোখেই নেই শান্তি।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও বিষাদের ছায়া। বাবার কোলে মেয়ের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ যেন বলে দেয়—ভালোবাসার শেষ পরিণতি কতটা করুণ হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

ছবি: সংগৃহীত

মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে নতুন, অধিক সংক্রামক ধরন ছড়িয়ে পড়তে পারে—এই আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এখনো তুলনামূলকভাবে কম, তবুও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানো এবং জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশেও সংক্রমণের হালকা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। রোববার চারজনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। একদিন পর সোমবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজনে। এরই মধ্যে একজন কোভিডে মৃত্যুবরণ করেছেন।

থাইল্যান্ডে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। জুন মাসের শুরুতেই শত শত কোভিড রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। মাত্র দুই দিনেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই রাজধানী ব্যাংককের বাসিন্দা। থাইল্যান্ডে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন অন্তত ৭০ জন, যার অধিকাংশই নগরবাসী।

ইন্দোনেশিয়ায়ও সংক্রমণ বাড়ছে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব হাসপাতালে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানান, “যদিও সংক্রমণ বাড়ছে, তবে নতুন ধরনগুলো তুলনামূলকভাবে কম প্রাণঘাতী।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের উপধরন এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ বর্তমানে এশিয়াজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই ধরনগুলোকে ‘ভয়ের ধরন’ হিসেবে ঘোষণা করেনি, তবে সাম্প্রতিক সংক্রমণের পেছনে এগুলোরই ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এনবি.১.৮.১ একটি পুনর্গঠিত ভাইরাস যা এর আগেও থাইল্যান্ড, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ লারা হেরেরো জানিয়েছেন, এই ধরনটি মানবদেহের কোষে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় এসিই-২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি শক্তভাবে আবদ্ধ হতে পারে। ফলে এটি আগের চেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।

নতুন ধরনে আক্রান্তদের মধ্যে ক্লান্তি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও হজমে অস্বস্তির উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানের টিকাগুলো এই ধরনে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম।

ভারতের সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম জানায়, নতুন সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি এখনো পুরনো জেএন.১ ধরন থেকেই হচ্ছে। অধিকাংশ আক্রান্তের উপসর্গ হালকা এবং সাধারণ ওষুধ যেমন কাশির সিরাপ বা ব্যথানাশকে তা নিয়ন্ত্রণে আসছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বয়স্ক বা অন্য রোগে আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, তীব্র দুর্বলতা কিংবা অক্সিজেন মাত্রা ৯৫ শতাংশের নিচে নামলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এশিয়াজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মতুষ্টিতে না থেকে এখনই সজাগ ও সতর্ক হওয়ার সময়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত টিকা গ্রহণ ও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণই হতে পারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।

Header Ad
Header Ad

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে এই বহুল আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সোমবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদিও এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তবে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ইস্যুগুলো। স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তারেক রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা তিনি এই সাক্ষাতে উপস্থাপন করবেন। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সংস্কার ইস্যুতে তৈরি হওয়া কিছু জটিলতার সমাধানের পথও খুলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।

এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। সফরে তার সফরসঙ্গীরাও রয়েছেন।

এর আগে ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এক ব্রিফিংয়ে জানান, এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও তিনি কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সফরকালে ১১ জুন লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে ড. ইউনূস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান, উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের ভূমিকা তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং সর্ববৃহৎ প্রবাসী বাংলাদেশি জনগণের আবাসস্থল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. ইউনূসের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুনভাবে জোরদার হবে এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতগুলোতে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটবে।

উল্লেখ্য, এই সফর শেষে আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান
আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার যোগদান
নড়াইলে দেড় ডজন মামলার আসামি ‘মনির ডাকাত’সহ গ্রেফতার ৫
রাজনীতিতে পেশিশক্তির কোনো স্থান নেই: আখতার হোসেন
ভারতীয়দের বিষয়ে বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
জিয়া পরিবার ছাড়া জনসম্পৃক্ত হয়ে কেউ কাজ করেনি: এ্যানী
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মেট্রোরেল ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা জারি
চামড়া শিল্পে নৈরাজ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা জারি
রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত ১০ মিনিট খেলতে চান জামাল ভূঁইয়া
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দাপট
কক্সবাজার সৈকতে পিতাপুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু, রাজশাহী থেকে এসেছিলেন ভ্রমণে
দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবার বিষপান
বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়
মিথ্যা প্রচার ও ধোঁকাবাজি বন্ধে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
স্থানীয় নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই: আসিফ মাহমুদ