মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অর্থনৈতিক পলিক্রাইসিস রোধ করাই বড় চ্যালেঞ্জ

আমি মনে করি, যেকোনো অর্থনীতিরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে একইসঙ্গে সবসময়ই কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি খুব সহজে চাঙা হয়ে যাবে এমনটি ভাবা অস্বাভাবিক। অবশ্যই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা জানি, লম্বা একটি সময় করোনা মহামারির করণে অর্থনীতিতে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে।

অনেক প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। যেহেতু অনেক বড় একটা সময় আমরা নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছি, সেটি থেকে উদ্ধার হতে না হতেই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। দুনিয়া জুড়েই এই যে একটি পলি-ক্রাইসিস অবস্থা যেমন, শিক্ষা ক্ষেত্রসহ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এই বন্ধ থাকা সময়গুলোতে যে ক্ষতি হয়েছে সেটি পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও আমি বলব, বাংলাদেশ অন্যতম দেশ যেখানে এই সময়েও ইতিবাচক অবস্থানে আছি আমরা।

বর্তমানে সারা দুনিয়া জুড়েই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এর বিভিন্নমুখী ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের দরিদ্র সীমা কমে গেলেও কিন্তু অন্যরকম কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। অনেক বেশি দরিদ্র মানুষের জন্য অনেক সাহায্য সহযোগিতা হয়তো আছে। কিন্তু যে মানুষটি এত বেশি গরিব না কিন্তু এত বেশি উপরেও উঠতে পারছে না, কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছে, সেইসব পরিবার, যারা হয়তো আপনার বাসায় এসে সাহায্য চাইবে না, মুখ ফুটে কথা বলবে না, তাদেরকে আমাদের দেখতে হবে। যেমন-তাদের স্বাস্থ্য খাতে যদি খরচ কম হয়, তার সন্তানের স্কুলের বেতন যদি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যায় অথবা কোচিংয়ের বেতন কম হয় তাহলে তাদের জন্য আমি কী করছি? তাদের জন্য কম খরচে কোয়ালিটি শিক্ষা দেওয়া যায়, তা ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে যদি আমরা পাবলিক সার্ভিস দিতে পারি, যেমন যেখানে মশার উপদ্রব আছে, সেখানে মশার ওষুধ বেশি দেওয়া যদি হয়, যেখানে রোগ বালাই কম হয়, তাকে একটু রাস্তাঘাট করে দেওয়া যায়, যেন সে শহরে গিয়ে খুব সহজে সবজি বিক্রয় করতে পারে এ রকম কিছু ভাবনা এখন আমাদের ভাবতে হবে। অর্থাৎ একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা যদি করে দেওয়া যায়, তাহলে ওরা আমাদের সঙ্গে একটা প্রতিযোগিতায় আসতে পারবে।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের কয়েকটি ইতিবাচক দিক আছে, যেটি নিঃসন্দেহে ভালো। অর্থনৈতিক সংকট বলতে আমরা কিছুটা চাপের মধ্যে আছি। তবে আমি সেটিকে ঠিক ভারসাম্যহীনতা বলতে চাই না। আমরা যে চাপের মধ্যে আছি, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের ভয় আছে বলে আমি মনে করছি না। আমরা যেহেতু প্রধান খাদ্যদ্রব্য নিজেরা উৎপাদন করছি। সাধারণ মানুষ যেহেতু মূল্যস্ফীতির একটি চাপের মুখে আছে, জ্বালানি সংকট সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপ আরও বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে আমাদের দ্রুত জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করা উচিত। সেটি মোকাবিলা করতে হলে আমাদের তেলের সরবরাহ ঠিক করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে ব্যবহারে মনযোগ দিতে হবে।

আমাদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি হয়েছে এটি খুবই ভালো দিক। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে কোভিডের পরে মানুষজন ব্যাপকহারে বাইরে যেতে পারছে না। সেটি মাত্র গত এক বছর ধরে যাচ্ছে। তা ছাড়া বিদেশ গিয়েই তো আর মানুষ সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠায় না। তবে সামনে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়বে। সেইটুকু সময় পর্যন্ত অর্থাৎরেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়া পর্যন্ত এখন যে সংকট আমরা মোকাবিলা করছি, সেজন্য আমাদের কিছুটা স্ট্র্যাটেজিক হতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে।সেক্ষেত্রে আমাদের স্ট্র্যাটেজিক ইউটিলাইজেশন হতে হবে। আমাদের কৃষি উৎপাদন, শিল্প উৎপাদন যেখানে তেলের সরবরাহ দরকার সেখানে ব্যবহার বাড়াতে হবে।

আমি মনে করি, আমাদের ইকোনোমিক জোনগুলো বাস্তবায়নের দিকে যেতে হবে। কাজেই ইকোনোমিক জোনগুলোতে লং টার্মে, মিডিয়াম টার্মে জোনসমূহ বাস্তবায়নে মনযোগ দিতে হবে। যেকোনো অর্থনৈতিক সংকট আমাদের জন্য যেন বিপর্যয় নিয়ে না আসে সেজন্য আমাদের শিল্প উৎপাদন বাড়াতে হবে।

ড.নাজনীন আহমেদ: অর্থনীতিবিদ

Header Ad
Header Ad

সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা ও তাঁর মেয়ে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) এবং তাঁর মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৮), যিনি ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হালিমা। বাবা-মেয়ের মধ্যে ছিল গভীর স্নেহের সম্পর্ক। পুকুরে নেমে মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা। ব্যবহার করছিলেন একটি প্লাস্টিকের টিউব। একপর্যায়ে হালিমার হাত ফসকে গেলে তিনি পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। মেয়েকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দেন বাবুল আহমদ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি—বাঁচানো তো দূরের কথা, প্রাণ গেল দুজনেরই।

স্থানীয়রা জানায়, টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজনই মারা যান। ঘটনার পর হামিদপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুল আহমদের বাসা ঢাকায়। স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করতেন। চার সন্তানই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। গ্রামের বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় তাঁর বাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবাই কয়েক দিন আগে গ্রামে বেড়াতে আসেন। দ্বিতীয় মেয়ে হালিমার আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

সোমবার বিকেলে বাবার সঙ্গে পুকুরে নামেন হালিমা। টিউব ভরসা করে সাঁতার শেখার একপর্যায়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও প্রাণ হারান বাবুল। সন্ধ্যার পর বাবুল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একসঙ্গে বাবা-মেয়ের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আলাদা দুটি কক্ষে রাখা হয়েছে তাঁদের নিথর দেহ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়ির আঙিনা। প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কারও চোখেই নেই শান্তি।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও বিষাদের ছায়া। বাবার কোলে মেয়ের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ যেন বলে দেয়—ভালোবাসার শেষ পরিণতি কতটা করুণ হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

ছবি: সংগৃহীত

মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে নতুন, অধিক সংক্রামক ধরন ছড়িয়ে পড়তে পারে—এই আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এখনো তুলনামূলকভাবে কম, তবুও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানো এবং জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশেও সংক্রমণের হালকা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। রোববার চারজনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। একদিন পর সোমবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজনে। এরই মধ্যে একজন কোভিডে মৃত্যুবরণ করেছেন।

থাইল্যান্ডে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। জুন মাসের শুরুতেই শত শত কোভিড রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। মাত্র দুই দিনেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই রাজধানী ব্যাংককের বাসিন্দা। থাইল্যান্ডে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন অন্তত ৭০ জন, যার অধিকাংশই নগরবাসী।

ইন্দোনেশিয়ায়ও সংক্রমণ বাড়ছে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব হাসপাতালে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানান, “যদিও সংক্রমণ বাড়ছে, তবে নতুন ধরনগুলো তুলনামূলকভাবে কম প্রাণঘাতী।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের উপধরন এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ বর্তমানে এশিয়াজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই ধরনগুলোকে ‘ভয়ের ধরন’ হিসেবে ঘোষণা করেনি, তবে সাম্প্রতিক সংক্রমণের পেছনে এগুলোরই ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এনবি.১.৮.১ একটি পুনর্গঠিত ভাইরাস যা এর আগেও থাইল্যান্ড, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ লারা হেরেরো জানিয়েছেন, এই ধরনটি মানবদেহের কোষে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় এসিই-২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি শক্তভাবে আবদ্ধ হতে পারে। ফলে এটি আগের চেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।

নতুন ধরনে আক্রান্তদের মধ্যে ক্লান্তি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও হজমে অস্বস্তির উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানের টিকাগুলো এই ধরনে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম।

ভারতের সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম জানায়, নতুন সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি এখনো পুরনো জেএন.১ ধরন থেকেই হচ্ছে। অধিকাংশ আক্রান্তের উপসর্গ হালকা এবং সাধারণ ওষুধ যেমন কাশির সিরাপ বা ব্যথানাশকে তা নিয়ন্ত্রণে আসছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বয়স্ক বা অন্য রোগে আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, তীব্র দুর্বলতা কিংবা অক্সিজেন মাত্রা ৯৫ শতাংশের নিচে নামলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এশিয়াজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মতুষ্টিতে না থেকে এখনই সজাগ ও সতর্ক হওয়ার সময়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত টিকা গ্রহণ ও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণই হতে পারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।

Header Ad
Header Ad

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে এই বহুল আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সোমবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদিও এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তবে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ইস্যুগুলো। স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তারেক রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা তিনি এই সাক্ষাতে উপস্থাপন করবেন। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সংস্কার ইস্যুতে তৈরি হওয়া কিছু জটিলতার সমাধানের পথও খুলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।

এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। সফরে তার সফরসঙ্গীরাও রয়েছেন।

এর আগে ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এক ব্রিফিংয়ে জানান, এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও তিনি কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সফরকালে ১১ জুন লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে ড. ইউনূস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান, উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের ভূমিকা তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং সর্ববৃহৎ প্রবাসী বাংলাদেশি জনগণের আবাসস্থল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. ইউনূসের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুনভাবে জোরদার হবে এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতগুলোতে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটবে।

উল্লেখ্য, এই সফর শেষে আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান
আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার যোগদান
নড়াইলে দেড় ডজন মামলার আসামি ‘মনির ডাকাত’সহ গ্রেফতার ৫
রাজনীতিতে পেশিশক্তির কোনো স্থান নেই: আখতার হোসেন
ভারতীয়দের বিষয়ে বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
জিয়া পরিবার ছাড়া জনসম্পৃক্ত হয়ে কেউ কাজ করেনি: এ্যানী
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মেট্রোরেল ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা জারি
চামড়া শিল্পে নৈরাজ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা জারি
রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত ১০ মিনিট খেলতে চান জামাল ভূঁইয়া
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দাপট
কক্সবাজার সৈকতে পিতাপুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু, রাজশাহী থেকে এসেছিলেন ভ্রমণে
দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবার বিষপান
বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়
মিথ্যা প্রচার ও ধোঁকাবাজি বন্ধে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
স্থানীয় নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই: আসিফ মাহমুদ