বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পল্লিতে শেকড়ের স্বপ্ন

ছোটবেলা থেকেই গ্রামকে হৃদয়ে বেঁধে রেখেছি। ভীষণ রকমের স্বপ্নে বিভোর থাকি শেকড়কে নিয়ে। হৃদয় যেন গেঁথে আছে এক মায়াবী হরিণের সঙ্গে। পল্লি উন্নয়ন গবেষণা অনুসন্ধানে কাজ করেছি দীর্ঘ ১২ বছর। যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি— এমএসএস এ একটা কোর্স ছিল রুরাল ডেভেলপমেন্ট। শ্রদ্ধেয় প্রফেসর গিয়াস উদ্দীন স্যার আমাদের কোর্স টিচার ছিলেন। স্যার তখন বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি নিয়ে অনেক গল্প করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পূর্বে তিনি বগুড়া আরডিএতে চাকরি করতেন। তখনকার সময়ের অভিজ্ঞতা তিনি ক্লাসে শেয়ার করতেন। আমিও মনোযোগ দিয়ে শুনতাম আর ভাবতাম এই অপরুপ সৌন্দর্যের পল্লি কেন এভাবে অবহেলিত হবে। জল জমি জনতার প্রাণ পল্লিকে শ্রীহীন হতে দেওয়া যাবে না। এই সমাজের উন্নয়নে আমরা কী কিছুই করতে পারি না। এই ভাবনা থেকেই মনে হলো পল্লি উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করার।

গবেষণার কাজে যখন এক পল্লি থেকে আরেক পল্লিতে ঘুরেছি। লক্ষ্য করেছি একটা বিষয় তাহলো— বেকারত্ব, ঋণগ্রস্ততা, দারিদ্র্য ও নিম্নমানের জীবনযাত্রা, আয়স্বল্পতা, অধিক জনসংখ্যা, অনুন্নত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা, অপুষ্টি, অশিক্ষা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অজ্ঞতা উন্নয়নকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং গলাচেপে ধরতে এগুলো সমানতালে শাসন করছে। সমস্যা সৃষ্টি এবং সমস্যা টিকিয়ে রাখার জন্য এগুলো প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলছে পল্লি সমাজে। পল্লি সমাজে যেহেতু শিক্ষার হার কম সেকারণে যৌতুক প্রথা, নারী নির্যাতন, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মের অপব্যাখ্যা, চতুরমুখী ঠক প্রতারকদের সংখ্যাও কম নয়। এক ভাইয়ের সম্পদ লুণ্ঠন করছে আরেক ভাই অর্থাৎ সম্পদের মালিকানার অসম বণ্টনও ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত। পল্লির সমগ্র জনগোষ্ঠীর জীবনের সার্বিক মানোন্নয়ন ও জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে।

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ যেখানে গ্রামগুলো পাবে নগরের ছোঁয়া। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে গ্রাম পর্যায়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। কর্দমাক্ত রাস্তার বদলে পিচঢালা রাস্তায় পথ পাড়ি দিতে পারছে, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে স্মার্ট হয়েছে। চার্লস মেটকাফের মতে, বাংলাদেশের গ্রামগুলো ছিল এক একটি ক্ষুদ্র প্রজাতন্ত্রের মতো। সবদিক দিয়ে এগুলো ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। তেমন গ্রামই আমরা প্রত্যাশা করি।

ড. আখতার হামিদ খান পল্লি উন্নয়নের একজন পথিকৃৎ। এক্ষেত্রে এদেশে তার কর্মকাণ্ড সত্যিই প্রশংসনীয়। বার্ড প্রতিষ্ঠা করে তিনি পল্লি উন্নয়নের ঝাণ্ডা তুলে ধরেছেন। যার আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে নিভৃত পল্লিতে। টেকসই পল্লি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যেসমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বেশিরভাগ তারই অবদান। কুমিল্লার দরিদ্র কিষাণ-কিষানীর পাশে থেকেছেন সুখ-দুঃখের বন্ধু হিসেবে। পল্লি উন্নয়ন জোয়ারের স্থপতি ছিলেন পল্লির গণমানুষের প্রাণপুরুষ ড. আখতার হামিদ খান। তার সৃজনশীল উদ্যোগেই একাডেমি কুমিল্লা সদর থানার ৩০০টি গ্রামের দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন সাধন করেছিল, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এর সফলতায় পরবর্তীতে বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের পথ রচনা করে।

পল্লি উন্নয়নে এক অপরাজেয় শিল্পীর তুলিতে গ্রাম বাংলার বিচিত্র শোভা প্রস্ফুটিত হয়েছে। গ্রামের মাটি ও মানুষকে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন আত্মার বন্ধন শেকড়ের স্বপ্ন। বাংলাদেশের হাজার হাজার গ্রামের কৃষি ও ভূমিহীন পরিবারকে আশার আলো দেখিয়েছেন কুমিল্লা পদ্ধতির মাধ্যমে। পল্লি জনতার দেশে এই জনতা হলো বড় শক্তি। আখতার হামিদ খান একটি মসৃণ পথ সৃষ্টি করে রেখে গেছেন তাদের জন্য। তিনি পল্লি উন্নয়নের রূপকার, শিল্পী বা কারিগর। একটা শাশ্বত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মানসে প্রান্তিক পর্যায়ে তার এক আশ্চর্য রকম চাহনি। শতাব্দীর শোষণ ও বঞ্চনায় ধসে যাওয়া পল্লি সমাজ ও অর্থনীতির কাঠামো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এ অবস্থায় পরিবর্তন ও বিনির্মাণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। এজন্য প্রয়োজন মেধাদীপ্ত সৎ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে পল্লির শাশ্বত জীবনধারার সঙ্গে সংগতি রেখেই এমন নেতৃত্ব গড়া খুবই দরকার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহতে বসে দরিদ্র অসহায় মানুষের কথা ভেবেছেন তার লেখনীতে যা প্রস্ফুটিত হয়েছে। ১০ মে ১৮৯৩ সালে শিলাইদহে লিখেছেন, এই দরিদ্র প্রজাগুলোকে দেখলে আমার ভারী মায়া করে। এরা যেন বিধাতার শিশু সন্তানের মতো নিরুপায়। তিনি এদের মুখে নিজে হাতে কিছু তুলে না দিলে এদের আর গতি নেই। পৃথিবীর স্তন যখন শুকিয়ে যায় তখন এরা কেবল কাঁদতে জানে, কোনোমতে একটুখানি ক্ষুধা ভাঙলেই আবার তখনই সমস্ত ভুলে যায়।’

আমরা স্বপ্ন দেখি পল্লির মানুষের উৎপাদন, আয়, বণ্টন, ভোগ, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতির গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়নের। যেখানে মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে, কৃষকেরা উৎপাদিত দ্রব্যের নায্যমূল্য পাবে। নাভিশ্বাসে জড়ানো অর্থনীতি চাই না, আমরা চাই নির্ভেজাল অর্থনীতি। আশার আলো খুঁজে পাবার প্রত্যাশায় আমরা এখন।

ড. সারিয়া সুলতানা: পল্লিউন্নয়ন গবেষক ও সহকারি সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম

আরএ/

Header Ad

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস ভিনিসিয়ুসের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন, আর পাশে ছিলেন তার বাবা ভিনিসিয়ুস সিনিয়র। এই মুহূর্তটি স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়ও প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের মধ্যে আরও কৌতুহল সৃষ্টি করে, বিশেষত স্মারকটি সম্পর্কে।

পরে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ভিনিসিয়ুসের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল এবং এতে জানা যায়, রেয়াল মাদ্রিদে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের অধিবাসী।

মূলত কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শেকড় খুঁজে বের করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খেলোয়াড়দের কার কোন বংশ, কোথায় ছিলেন পূর্বপুরুষরা, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

ভিনিসিউস ক্যামেরুনের টিকার গোত্রের অন্তর্গত। এই গোত্রের লোকেরা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী, গল্পকার হিসেবেও সুপরিচিত। একসময় এরা যাযাবর জীবন যাপন করত, পরে বর্তমান সুদানের নীল নদ উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। যা স্থানান্তরিত হয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়া থেকে পশ্চিম ক্যামেরুনের উচ্চভূমি পর্যন্ত।

সনদ নেয়ার সময় ভিনি বলেন, ক্যামেরুনে শেকড়ের সন্ধান পাওয়া আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। এটা মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের শেকড় ও ইতিহাসের মূল্য আছে।

ভিনির বাবা বলেন, আমরা কোথায় থেকে এসেছি, এটা জানা প্রয়োজন ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান তাদের শেকড় কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। ক্যামেরুনে আমাদের শেকড়, আমি অনেক খুশি।

সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস বলেছেন, ভিনি জুনিয়রের এই সংবাদকে উদ্‌যাপন করা মানে সব ব্রাজিলিয়ানের অর্জনকে উদ্‌যাপন। ওর পূর্বপুরুষের আদিনিবাসের খোঁজ পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আরেকবার সবাইকে নিয়ে সমাজ গড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ এবং আমাদের অস্তিত্বে ও বৈশ্বিক সাফল্যে আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির মৌলিক ভূমিকার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম।

Header Ad

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তার এ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এদিন তাকে এই মামলা থেকে খালাস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন শফিক রেহমান। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালত আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমরা সাজা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে পরে তারিখ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এ সাংবাদিক ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিতের আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে কোনো একসময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে যোগসাজশ করে শেখ হাসিনার ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

এ অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Header Ad

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

নিজ নির্বাচনি এলাকা রাজাপুর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

এর আগে নিজ এলাকায় যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর পিংড়ি এলাকায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে শাহজাহান ওমর ও তার গাড়ি চালক আহত হন।

শাহজাহান ওমরের সফরসঙ্গী বাবুল মৃধা রিপনসহ একাধিক অনুসারী জানান, ৫ আগস্টের পর তিনি বৃহস্পতিবার নিজ এলাকায় আসার পথে কয়েকজন যুবক তার গাড়িতে হামলা করে। এ সময় গাড়ির গ্লাস ভেঙে শাহজাহান ওমরের হাতে পড়ে রক্তাক্ত হন। এ সময় তার গাড়ির চালকসহ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর তিনি নিজ বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে থানায় যান। এরপর তিনি থানা হেফাজতে ছিলেন।

এদিকে তিনি থানায় আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদল ও যুবদল থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, কাঠালিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির সঙ্গে প্রায় ৪০ বছরের রাজনীতিক সম্পর্ক শেষ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন শাহজাহান ওমর। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন তিনি। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন