মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মূল্যায়ন নিয়ে বিভ্রান্তিতে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী

মূল্যায়ন শিখন শেখানো কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও বিষয়। আমরা এত বছর যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে এসেছি সেটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। তাই নতুন কারিকুলামে এখানে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে বিপাকে প্রায় সবাই। প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচচমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যমান পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি হবে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না, পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন রকমের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। পরবর্তী শ্রেণিগুলোর মূল্যায়নের পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষা ও ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রম-দুটোই থাকছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে ‘শিখনকালীন’ এবং বাকি ৪০ শতাংশ হবে পরীক্ষার ভিত্তিতে।

নবম-দশম শ্রেণিতে এটি ৫০ শতাংশ-৫০ শতাংশ আর উচ্চ মাধ্যমিকে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ এবং সামস্টিক মূল্যায়ন ৭০ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রমের ভিত্তিতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্পকলা বিষয়ের পুরোটাই শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে। এখানেই বেঁধেছে বিপত্তি। একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, ঠিকমতো বই পৌঁছায়নি সব শিশুদের কাছে, ইতোমধ্যে দুটো বই তুলে নেওয়া হয়েছে, যেসব বই শিশুদের কাছে এসেছে সেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়ছে। সবকিছু নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।

আমি দেখছি শিক্ষার্থীদের চেয়ে শিক্ষকরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। কারণ তাদের বলা হয়েছে ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন এবং বাকি ৪০ শতাংশ পরীক্ষার ভিত্তিতে অর্থাৎ সামস্টিক মূল্যায়ন। এখন এই ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন কীভাবে হবে সেটি কারোর কাছেই স্পষ্ট নয়। অনেক শিক্ষক কথা বলছেন, ফোন দিচ্ছেন, মেইল দিচ্ছেন বিষয়টি আরও খোলাসা করার জন্য। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছি আপনারা প্রশিক্ষণে এর উত্তর পাননি। উত্তরে সবাই যেটি বলেছেন তার সারমর্ম হচ্ছে, ‘বারবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও প্রশিক্ষকরা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। বোঝা যাচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে তাদেরও স্বচ্ছ ধারণা নেই।’

আসলেও তাই। কোনো বিষয়ের বইয়ে কোনো ধরনের মডেল প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়নি। সম্ভবত শিক্ষার্থীদের অধিক মাত্রায় সৃজনশীল করার জন্যই এই প্রচেষ্টা। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আইইএলটিএস-এর মতো আন্তর্জাতিক পরীক্ষায়ও খুব সন্দরভাবে সিলেবাস, মডেল প্রশ্ন দেওয়া থাকে। পরীক্ষার চারটি অংশের কোনো অংশে কত সময়, কয়টি প্রশ্ন থাকবে, ওই ধরনের প্রশ্নের উদ্দেশ্য কী অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের কী টেস্ট করা হচ্ছে সবকিছুই সুন্দরভাবে উল্লেখ করা থাকে। আর আমাদের কী হলো, আমরা হঠাৎ করে এত সৃজনশীল বানানোর চেষ্টা কেন করছি? এতে তো দেখছি ‘আম’ ও ‘আমের ছালা’ সবই যাচ্ছে। শিক্ষকরা বিভ্রান্তিতে, অভিভাবকরা বিভ্রান্তিতে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসছে না বহু জায়গায়, আসলেও কিছু করতে চাচ্ছে না। এই অবস্থা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।

শিখনকালীন কোন লেসন বা চ্যাপ্টার কীভাবে নিতে হবে, প্রতি সপ্তাহে না মাসে নিতে হবে, যেহেতু নম্বর দেওয়ার পদ্ধতি নেই তাহলে সেগুলোর গড় কীভাবে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো ঘোলাটে। তারপর সে ফলগুলো মূল ফলকে, মূল মূল্যায়নে কীভাবে সংযুক্ত হবে এবং সার্বিক মূল্যায়নে সেটি কীভাবে মূল্যায়িত হবে সেসব বিষয় পুরোপুরি অনুপস্থিত। কাজেই শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকরাও বিপাকে। প্রশিক্ষণে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। কেউ কেউ করতে চেয়েছেন, প্রশিক্ষকরা এড়িয়ে গেছেন। বিষয়টি প্রশিক্ষকদের কাছেও স্পষ্ট নয়। যে অ্যাপসের মাধ্যমে এটি করার কথা, সেই অ্যাপসের খবর নেই। কবে হবে তারও কোনো দিক নির্দেশনা নেই। শিক্ষকদের মধ্য থেকেই বিষয়টি নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা ও প্রশ্ন আসার কথা ছিল সেভাবে কিন্তু আসেনি বা আসছে না। শুধুমাত্র আগ্রহী ও সিরিয়াস কিছু টিচার বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী মূল্যায়ন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের দায়িত্বই শতভাগ যা প্রাইভেট কোচিং, শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-নির্ভরতা, শিক্ষকদের নোট প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করত। দীর্ঘদিন ধরে এটা ছিল আমাদের শতভাগ মূল্যায়নের ধরন। এখন যে প্রক্রিয়াটি আসছে, সেখানে শিক্ষার্থীর স্বমূল্যায়ন ব্যবস্থা রয়েছে। সে হাতে কলমে একটা কাজ করে এসে তারপর তাকে একটা রুবরিক্স পূরণ করতে হবে। ছকটা পূরণ করে ওই জায়গাগুলোতে তার যে পর্যবেক্ষণগুলো সে দেখেছে বা শুনেছে বা হাতে কলমে করেছে তার এভিডেন্সগুলোর রেফারেন্স লিখতে হবে।

দ্বিতীয়ত, সহপাঠী মূল্যায়ন গ্রুপ, একটা গ্রুপ আরেকটা গ্রুপকে মূল্যায়ন করবে। আবার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গিয়ে অভিভাবক বা অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে তার যে ইন্টারঅ্যাকশন হচ্ছে তারাও এখানে বিভিন্ন উপায়ে অংশগ্রহণ করবে। এগুলোর এভিডেন্সগুলো থাকছে, এসবের ভিত্তিতে শিক্ষককে একটি কালেক্টিভ রেজাল্ট তৈরি করতে হবে। আগে যে মূল্যায়ন পদ্ধতি ছিল সেখানে ক্রসচেকের কোনো উপায় ছিল না, বর্তমানে তা থাকার কথা। স্কুল বেজড অ্যাসেসমেন্ট ছিল লিখিত পরীক্ষা নির্ভর ৮০ ভাগ, আর ২০ ভাগ ছিল ধারাবাহিক শিখনকালীন মূল্যায়ন। প্রায়োগিক দিকের যে প্লানিং ছিল সেখানে বড় গ্যাপ ছিল। শিখনকালীন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকই একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। যার ফলে শিক্ষক সেটিকে সঠিকভাবে করতে পারেননি অনেক ক্ষেত্রেই। বর্তমানের মূল্যায়নটা আলাদা। কারণ অভিজ্ঞতা চক্রের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা শিখবে যেখানে শিক্ষার্থীর স্বমূল্যায়নের জায়গা আছে, তাকে নানারকম কাজ করতে হবে। বর্তমান মূল্যায়ন ব্যবস্থায় এসব বিষয়ের উল্লেখ আছে কিন্তু শিক্ষকরা এগুলোর সঙ্গে এখনো পরিচিত নন, আত্মবিশ্বাসী হওয়া তো দূরের কথা।

সৃজনশীল প্রশ্ন মানুষের শিখনকে লিখিত উপায়ে প্রকাশের একটা বিকল্প মাধ্যম যেটা মানুষের ক্রিটিক্যাল থিংকিংকে উন্নত করার জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষতো তার শিখনকে শুধু লিখে প্রকাশ করে না। এখানে একটি গ্যাপ রয়েছে। লিখে প্রকাশ করা বিষয়টিকে ঠিক রেখে নানারকম বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যায়নে লেখাটাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে দেখা হয়। কারণ লেখার অর্থ হচ্ছে প্রার্থীর অন্তর্নিহিত ধারণা, চিন্তাধারা, মতামত, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, কল্পনা, পরিকল্পনা, স্বপ্ন, উদ্দেশ্য বিস্তারিতভাবে তার লেখায় ফুটে উঠে যদিও লেখার দ্বারা তার উপস্থাপন দক্ষতা কিংবা সহমর্মিতা বা গণতান্ত্রিক ধারণার বাস্তব প্রতিফলন নাও ঘটতে পারে। লেখার মাধ্যমে নান্দদিক দিকগুলোও ফুটে উঠে। তাই যুগ যুগ ধরে লেখাটাই একজন প্রার্থীর গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু নতুন কারিকুলামে লেখা বিষয়টির উপর উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষেই সবকিছু পড়ানো হবে কথাটি আদর্শিক। বাস্তবের সঙ্গে পুরোটা কিন্তু মিলে না অন্তত আমাদের দেশের কনটেস্টে। প্রথমত, শ্রেণিকক্ষের সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে একটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যে পরিমাণ অনুশীলন দরকার সেটি হয় না কিছু বাস্তব কারণে। একজন শিক্ষার্থীর যে আলাদা সময় প্রয়োজন সেটি দেওয়ারও সুযোগ থাকে না। কাজেই শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে যারা ভালো ফলাফল করতে চাইতো তারা প্রাইভেট পড়ে, কোচিং করে সেগুলো সেরে নেওয়ার চেষ্টা করত। যারা দুর্বল তারা দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রাইভেট পড়া ও কোচিং করা চালিয়ে যেত। তবে বিষয় দুটো কিছু ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় বাণিজ্যিক আকার ধারণ করায় সচেতন অভিভাবক, শিক্ষাবিদ ও পলিসি মেকাররা প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে আসছেন এবং বন্ধের জন্য কিছুটা এই ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষাকে আনন্দময় করার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে হোমওয়ার্কের একেবারেই গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টিও চলে এসেছে। কিন্তু হোমওয়ার্ক একেবারে বাদ দেওয়া ঠিক হবে না কারণ এই বয়সের শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত রাখতে হবে কিন্তু সেটি যেন তাদের জন্য বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়। বাসায় একেবারে কিছু করার না থাকলে তারা বাজে কাজে সময় নষ্ট করবে। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা বলে যে কথাটি প্রচলিত আছে সেটিই হয়তো এখানে হবে। শ্রেণিকক্ষের অল্প সময়ের মধ্যে সব বিষয়ের সঠিক অনুশীলন সম্ভব হয় না। তা ছাড়া কিছু শিক্ষার্থী সবার সামনে থেকে বিষয় আয়ত্ত করতে পারে না, তাদের আলাদা এবং নিজস্ব সময় প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীরা পাস করছে, ভালো গ্রেডিং পেয়ে আসছিল কিন্তু তাদের ক্রিটিক্যাল থিংকিং উন্নত হচ্ছিল না, নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় এ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যেটি ভালো পদক্ষেপ। আগে কোনোরকম আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছাড়া, কনটেক্সটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না বুঝেই একজন শিক্ষার্থী কেবল মুখস্থ করে ভালো নম্বর পেয়ে যেত। এখন কিন্তু তাকে বুঝে কনটেক্সটের সঙ্গে রিলেশনশিপ তৈরি করে শুধু মাত্র জানলেই চলবে না, তাকে সেটা প্রয়োগ করার দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। এটিও আদর্শিক কথা বলে মনে হয়। ক’জন শিক্ষকের এ বিষয়টি মূল্যায়ন করার দক্ষতা রয়েছে সেটি একটি বিষয়, তা ছাড়া একজন শিক্ষককে প্রতিদিন কয়টা করে ক্লাস নিতে হয়, কতজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে হয়, কতটা ধৈর্য তার থাকে যে এসব বিষয় লক্ষ্য করে করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, মেধা আছে কিন্তু প্রকাশ করার পরিবেশ, পরিস্থিতি না থাকায় এগুলো সুপ্তই থেকে যায়, প্রকাশিত হয় না, হলেও অনেক বিলম্বে। ভালো গ্রেডিং নিয়ে পাস করেও লেখায় দুর্বল ছিল। বর্তমান মূল্যায়নে লেখার উপর গুরুত্ব আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ তার কার্যাবলির উপরই বেশি মূল্যায়ন হবে। যেকোনো মূল্যায়নে লেখাটাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে দেখা হয়। যুগ যুগ ধরে লেখাটাই একজন প্রার্থীর গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু নতুন কারিকুলাম বিষয়টির উপর গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি বিবেচনার দাবি রাখে। তবে একজন শিক্ষক যদি দক্ষ হন তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করায় তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন। যেকোনো কারিকুলামেই শিক্ষকের দয়িত্ববোধ, সৃজনশীলতা এবং জানার আগ্রহ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে ও তা বাস্তবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসজি

Header Ad
Header Ad

বিরামপুর সীমান্তে ১২ টি স্বর্ণের বার সহ আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আশা ১২টি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তির নাম জয়দেব মহন্ত (৪৩)। সে বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের গিরেন মহন্তের ছেলে।

আটককৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ্য ১৮ হাজার টাকা বলে জানা যায়।

সোমবার (২০শে জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর বাজার থেকে ১২টি স্বর্ণের বারসহ জয়দেব মোহন্তকে আটক করা হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১২টি স্বর্ণের বার সহ একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই স্বর্ণের বার গুলো বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিকে আজ মঙ্গলবার দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাউজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে বিকেলে রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে গণ-অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভা ও মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফি ও রাসেল আহমেদ। এ ছাড়া রাউজানের সমন্বয়ক, জেলার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সমন্বয়ক দাবি করা ১২-১৫ জন হলে ঢুকে রাফির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেক পক্ষ আপত্তি তুললে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ ঘটনায় রাতেই রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা হয়েছে, এমনটা দাবি করা হয়েছে অভিযোগে। রাউজান থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাউজানের ছাত্র প্রতিনিধি (সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত) এম আবেদীন সাজিদ বলেন, আবদুল্লাহ আল হামিদ নামে একজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা ছাত্রলীগ ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সদস্য।

Header Ad
Header Ad

ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ন্যূনতম সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ফখরুল বলেন, জনগণের ভাষা বুঝতে হবে সরকারকে। আমরা এখনই নির্বাচন চাই না, তবে ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। নির্বাচিত সরকার অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন মানুষ তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে। হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত বা কাজ করে অস্থিরতা তৈরি করা যাবে না। অতিবিপ্লবী চিন্তা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা অনুচিত।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, "সরকারের ভুলত্রুটি থাকবেই এবং দেশের অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। তবে সংস্কারের প্রস্তাবগুলো কার্যকর হলে ভালো কিছু হবে। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এগিয়ে যেতে পারলে দেশ সামনের দিকে অগ্রসর হবে।"

তিনি সবাইকে সাবধানতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ধৈর্যের অভাব থেকে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে না। পরিবর্তন ধীরে ধীরে আসবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুর সীমান্তে ১২ টি স্বর্ণের বার সহ আটক ১
সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ
ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল
মার্কিন নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয়!
কোন ভিটামিনের অভাবে মহিলারা খিটখিটে হয়ে যান? পুরুষরা জেনে রাখুন
গুম-খুনে জড়িতরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না: বদিউল আলম
রিসোর্টে ঢুকে ৮ যুগলের বিয়ে দিলো গ্রামবাসী; সমালোচনার ঝড়
অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি, স্কুলছাত্রী গ্রেফতার
ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার, কেজি ৫৬ টাকা
শপথ নেয়ার পর যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প
হতাশ হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম: তাসকিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ
ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা