শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয়

প্রতিবছর ঢাকা শহরে তিন হাজারের বেশি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে এবং এসব অগ্নিকাণ্ডের কোনোটিতে জ্বালানি গ্যাস, এলপিজি অথবা দাহ্য কেমিক্যাল যুক্ত হলে আগুন বিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে। দেশে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ এবং প্রাণহানির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আমাদের দেশে বাসাবাড়ীতে সব সময় গ্যাস সংযোগের লাইনে গ্যাসের সরবরাহ থাকে না। যে কারণে কেউ কেউ চুলা অন করে রাখেন। এর ফল হচ্ছে চুলায় গ্যাসের সরবরাহ আসার পর রান্নাঘরে গ্যাস জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে মাটির নিচে গ্যাস পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সুয়ারেজ অথবা পয়োবর্জ্য লাইনে গ্যাস চলে যেতে পারে।

এখন আমাদের যেটি করতে হবে, বাসাবাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ তৈরি হলে দ্রুত রাইজারের চাবি বন্ধ করে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে রাইজার বন্ধ করে গ্যাসের কাজ করেন, এমন দক্ষ কোনো মিস্ত্রিকে ডেকে লিকেজ মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। লিকেজ মেরামত নিশ্চিত হয়েছে কি না, সেটি ভালভাবে দেখতে হবে। কারখানায় বড় বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনার সঙ্গে দেশের মানুষ পরিচিত। যেখানে বহু মানুষের যাতায়াত সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে।

রাজধানীতে নতুন ও পুরোনো দুই ধরনের আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকায় আমরা অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছি। এমতাবস্থায় বলব অগ্নিনির্বাপণ ও অগ্নিব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জনসচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। অধিকাংশ বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণের মহড়া হয় না, অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র থাকলেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা নগণ্য। প্রায়ই দেখা যায় ফায়ার এক্সিট (জরুরি বহির্গমন পথ) ব্যবস্থা কার্যকর নয়। গৃহসজ্জার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের দাহ্য বস্তুর ব্যবহার হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করার জন্য শুধু সরকারি তৎপরতা যথেষ্ট নয়। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও জনগণকে সচেতন করতে এগিয়ে আসতে হবে।

একটি দীর্ঘসূত্রতা থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে রাসায়নিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের বিষয়টি জাতীয়ভাবে অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। রাসায়নিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর যেমন: বিস্ফোরক অধিদপ্তর, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন পাশাপাশি এ খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় ও উদ্যোগের যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সরকারি কর্তৃপক্ষ আংশিকভাবে রাসায়নিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করে, ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ এর দায়ভার নিতে চায় না। এটি রাসায়নিকের আগুনের ক্ষেত্রে যেমন সত্য, অন্য বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এখানে একটা বিষয় জরুরি এবং তা হলো, রাসায়নিকের কারণে অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণ হলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই রাসায়নিক দুর্ঘটনা এড়াতে এবং এ খাতে শৃঙ্খলা ও সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দেশে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। যেটি সব সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয় ঘটানোর পাশাপাশি নিরাপদ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা তৈরি করবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে ঘাটতি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাই না। আবার কোনো একটি দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা দায়ী ব্যক্তি খুঁজে শাস্তি দেওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ি কিন্তু দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানের চেষ্টা করি না। ফলে একই ধরনের দুর্ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকে।

ইকবাল হাবীব:নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থাপত্যবিদ

Header Ad
Header Ad

পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করলেন স্ত্রী

নিহত জুয়েল রানা ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামী জুয়েল রানা (৩৮)কে হত্যা করেছে স্ত্রী তানিয়া আক্তার। শনিবার (৪ এপ্রিল) রাত ১ টার দিকে উপজেলার কালিয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জুয়েল রানা উপজেলার গ্রামে মজনু সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, জুয়েল ও তানিয়ার সাথে প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। ৩ জন সন্তানও রয়েছে তাদের। জুয়েলের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। তানিয়া কয়েকবার স্বামী এবং ওই নারীকে বুঝিয়েছেন। কিন্তু এতেও কোনও কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী তানিয়াকে তার স্বামী মাঝে মধ্যেই মারধর করতো।

এক পর্যায়ে কোনো কিছু ভেবে না পেয়ে গত শনিবার রাতে কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করে জুয়েলকে খুন করে তার স্ত্রী তানিয়া। এ ঘটনার পর পুলিশ তানিয়াকে আটক করে।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তানিয়া। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার: জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চলাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১৮ মার্চ থেকে এই হামলা শুরু হয়। তখন থেকে প্রতিদিন অবরুদ্ধ উপত্যাকায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি শিশু হতাহতের শিকার হচ্ছে। ইউএনআরডব্লিউ এর প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ৫২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৪ হাজার ৬৩৮ জন।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে মোট ৬১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কারণ যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তারাও নিহত হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সিরিয়ায়ও সম্প্রতি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় এসব হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে ইসরায়েলকে সংঘাত পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না তুরস্ক। সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোতে বারবার ইসরায়েলি হামলার ফলে নতুন সরকারের হুমকি প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ক ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার তীব্র সমালোচনা করে আসছে। গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ দেশটির। তাছাড়া এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করেছে তুরস্ক।

Header Ad
Header Ad

আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্টকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট। অন্যদিকে, এই তালিকায় ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম।

বিশ্বের ২০০টি দেশের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা, বিদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের ওপর নির্ধারিত কর, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাসহ পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই পাসপোর্ট সূচক তৈরি করেছে নোমাড ক্যাপিটালিস্ট।

নোমাড ক্যাপিটালিস্টের তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের প্রাপ্ত স্কোর ১০৯। এ দেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

শুক্রবার পাসপোর্টের বৈশ্বিক মানের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সে তালিকায় ৩৮ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১৮২তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

নোমাডের হালনাগাদ তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক আগে আছে নেপাল (স্কোর ৩৯ দশমিক ৫) এবং পরে আছে মিয়ানমার (স্কোর ৩৭ দশমিক ৫)। অপর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান সূচকে ১৪৮ তম (স্কোর ৪৭ দশমিক ৫) এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫তম (স্কোর ৩২)।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে নোমাডের পাসপোর্ট সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তকমা পেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। হালনাগাদ তালিকায় ১০৬ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটি। তবে দশম অবস্থানে থাকলেও আমিরাতের নাগরিকরা ১৭৯টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন; অর্থাৎ তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের তুলনায় অতিরিক্ত ৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন আমিরাতের পাসপোর্টধারীরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করলেন স্ত্রী
গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার: জাতিসংঘ
আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, নেই যানজট ও ভোগান্তি
আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে আজ
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ২৮ জনের ৩ কোটি আত্মসাৎ, ফেরত দেওয়ার দাবি
প্রশাসনে রেকর্ড সংখ্যক কর্মকর্তা ওএসডি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নতুন রেকর্ড
ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো তৈরি করেছে: মির্জা ফখরুল
সাভারে আবারও চলন্ত বাসে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এক দিনেই পাঁচ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর ৬৮২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে
কাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম?
ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস
মানিকগঞ্জে বাঁশঝাড়ে কার্টনে মিললো তরুণীর লাশ
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ
দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ
হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে এ বিষয়ে আর কিছু বলা সম্ভব নয় : বিক্রম মিশ্রি
মার্কিন গাড়ি আমদানিতে ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা কানাডার
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার