রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মান উন্নয়নে আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয়তা

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে বিশাল আকার করে রাখা হয়েছে বহু বছর ধরে এবং বিষয়টি ডমিনেট করছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা; যারা মূলত কলেজ শিক্ষক। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের ক্যাডার থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে যদি ক্যাডার সার্ভিসের শিক্ষকরা পড়াতেন তাহলে শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে বিরাট এক পরিবর্তন আশা করা যেত এবং শিক্ষা প্রশাসনে মাধ্যমিকের নিজস্ব ক্যাডার মাধ্যমিক শিক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারত। সেটি কেন হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। ক্যাডেট কলেজে একজন লেকচারার, একজন সহকারী অধ্যাপক কিংবা সহযোগী অধ্যাপক কিন্তু সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে ক্লাস পরিচালনা করেন। ফলে, শিক্ষার্থীদের জানার জগৎ অনেকটাই প্রসারিত। সরকারি বিদ্যালয়ে সেটি কেন করা হচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম যে, কলেজ শিক্ষকরা চান না মাধ্যমিকের শিক্ষকরা মাধ্যমিকের প্রতিনিধিত্ব করুক। কলেজ শিক্ষকরাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন। ফলে, মাধ্যমিক শিক্ষা দুর্বলই থেকে যাচ্ছে।

দুয়েকবার কয়েকজন সচিব চেয়েছিলেন শিক্ষকদের দিয়ে নয়, আমলাদের দিয়ে মাউশি চালাবেন। তাদের ধারণা শিক্ষকরা শিক্ষা প্রশাসন চালাতে পারেন না, আমলারা প্রশাসন চালাতে দক্ষ। বেশ শক্ত করেই কয়েকবার লিখেছিলাম বিষয়টির বিরুদ্ধে। খোদ সেনাবাহিনীর শিক্ষা প্রশাসনের পরিচালক কিন্তু শিক্ষা কোরের, ইনফ্যান্ট্রির নয়। তাহলে সিভিলে কেন? মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবি হচ্ছে মাউশি ভেঙে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ নামে দুটি আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হোক। মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ স্তর। প্রাথমিকের পরই মাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। কেননা মাধ্যমিক শিক্ষার পরবর্তী এবং উচ্চতর ধারায় প্রবেশের পূর্ববর্তী স্তর। আমাদের ছোট্ট দেশে জনসংখ্যা অনেক। ফলে সব স্তরেই শিক্ষার্থী প্রচুর। আর সেই চাপ সামাল দিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন অনেক। এই হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ন্ত্রিত হয় একটিমাত্র অধিদপ্তর অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর দিয়ে। ফলে, কাজে গতিশীলতা নেই, শিক্ষকদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এর অবসান হওয়া প্রয়োজন।

আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সৃষ্টির যুক্তিসমূহ- ১৮০০ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা ’কারিগরি অধিদপ্তর’ ও ৯৬৫৬টি মাদ্রাসার জন্য আলাদা ‘মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর’ গঠিত হলেও জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবনা অনুযায়ী আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা আটকে আছে বহুবছর। ২০ হাজারেরও অধিক মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা অধিদপ্তর তো আসলেই প্রয়োজন। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে ’স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ ঘোষিত হয়েছিল এবং মাধ্যমিক শিক্ষকরা আশা করেছিলেন যে, শিক্ষার উন্নয়নে এটি এক নব যুগের সূচনা করবে। (জাতীয় শিক্ষা ২০১০, পৃষ্ঠা-৬৪) এখানে বলা হয়েছিল যে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ভেঙে দুটি পৃথক অধিদপ্তর যথাক্রমে ’মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ’উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত (২০২৩) বিষয়টিতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।

আদালতের রায় অনুযায়ী প্রায় তিন হাজার শিক্ষকের ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেল এর পূর্বের বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা। সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে সরকারি মাধ্যমিকের জন্য একটি যৌক্তিক পদ সোপান প্রণয়ন করা। সরকারি কলেজ এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় মাধ্যমিক পর্যায়ে জাতীয়করণ করা স্কুলের জন্য একটি যৌক্তিক আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা। সহকারী শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদে নির্দিষ্ট সময় পর শতভাগ সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা। সিনিয়র শিক্ষক পদকে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড ক্যাডার পদ করা। সরকারি কলেজের ন্যায় ৪ স্তরের গ্রেডভিত্তিক পদোন্নতি প্রথা চালু করা। চেয়ার ভিত্তিক (সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক) পদোন্নতি প্রথা বাতিল করে সরকারি কলেজের ন্যায় গ্রেড ভিত্তিক পদোন্নতি প্রথা (সহকারী প্রধান, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক, জেলা শিক্ষা অফিসরা এবং অন্যান্য পদ) চালু করা। সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকদের বর্তমান পদ মর্যাদার আপগ্রেডেশন করা এবং নিয়মিত পদোন্নতি প্রথা চালু করা। সিনিয়র শিক্ষক (নবম গ্রেড, গেজেটেড প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা) পদোন্নতি বঞ্চিত ২০১০ ( অবশিষ্টাংশ) এবং ২০১১ ব্যাচের শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা।

এ ছাড়া সরকারী হাইস্কুল শিক্ষকদের মধ্যে যারা ১২/১৫/১৮ বছর চাকরি করেও এখনো টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড অথবা উচ্চতর গ্রেড একটিও পাননি, দ্রুত তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বর্তমানে চালু করা সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদের গ্রেড পরিবর্তন ও পদোন্নতির জন্য ফিডার পদের নাম পরিবর্তন করা এবং সিনিয়র শিক্ষক থেকে পরবর্তী পদোন্নতির ধাপ নির্ধারণ করা।

১৯৯৯ সালের ২২জুন মাসে নায়েমে Bangladesh National Commission for UNESCO, Ministry of Education কর্তৃক আয়োজিত “Education For the 21st Century" শীর্ষক সেমিনারে গৃহীত সুপারিশ মালায় মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও এক সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ছিল। প্রয়োজনের তাগিদে সেটি আলাদা করা হয়েছে। এখন সেটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের শতকরা ৮০ ভাগ কর্মকর্তা কলেজের জনবল হওয়ায় মাধ্যমিকের শিক্ষকরা অধিদপ্তরে কাজ করার তেমন সুযোগ পান না। তা ছাড়া মাধ্যমিকের সমস্যা সম্পর্কে তাদের বাস্তব জ্ঞান বা অভিজ্ঞতাও নেই। একটি অধিদপ্তরের পক্ষে সবকিছু ভালোভাবে ম্যানেজ করা হয়ে উঠছে না। ফলে, মাধ্যমিকের শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ অন্যান্য বৈষম্যমূলক অংশগুলোর কাজ ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১২ সালে সহকারী শিক্ষকের পদটিকে বেতনস্কেল অপরিবর্তিত রেখে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ মর্যাদায় উন্নীত করা হয়।

বাংলাদেশের প্রথম পে-স্কেল গঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর (তখন পিটিআই ইন্সট্রাক্টর ও সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এই দুটি একই পদমর্যাদার ছিল এবং অভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হতো। পদটি তৎকালীন সময়ে ছিল ষষ্ঠ গ্রেডভুক্ত পদ। ১৯৭৩ সালে পে-স্কেলে গ্রেড সংখ্যা ছিল ১০টি। সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সমান গ্রেডের ছিল থানা শিক্ষা অফিসার, থানা সমাজসেবা অফিসার এবং সাব-রেজিস্ট্রার পদসমূহ।

১৯৮৫ সালের পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেরই থাকে এবং ১১তম গ্রেডের সাব-রেজিস্ট্রার পদটিকে সহাকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদের সমমান (১০ম গ্রেডভুক্ত) করা হয় এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদটি যথারীতি ১১তম গ্রেডেই থাকে।কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পদটিকে ১১তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯১ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি ১০গ্রেিেই বহাল রাখা হয়। কিন্তু পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদটি যা সহকারী শিক্ষকদের সমগ্রেডের এবং পারস্পরিক বদলিযোগ্য পদ ছিল এবং একই সঙ্গে অভিন্ন নিয়োগে নিয়োগ পেত। নবম গ্রেডভুক্ত প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় এবং পূর্বের ১১তম গ্রেডের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটিকে এক ধাপ ওপরে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয় এবং একই পেস্কেল বর্ষে শিক্ষা কর্মকর্তা পদটিকে আরেক ধাপ ওপরে নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয়।

একইভাবে ২০০৫ সালে গঠিত পেস্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেই বহাল থাকে এবং উপরে উল্লিখিত পদসমূহ নবম গ্রেডেই বহাল থাকে। সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবিত (এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে চার স্তরীয়) একাডেমিক পদসোপান দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেটি নিয়ে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উক্ত পদসোপানের ফাইল নাকি হারিয়ে গেছে।

২০১৫ সালে জাতীয় পে-স্কেল কার্যকরের পর সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকদের বেতন ভাতার পে ফিক্সেশন করতে সমস্যা দেখা দেয়। শিক্ষকরা এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চেষ্টা তদবির করেও ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেল কার্যকরের পূর্বের বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড পাননি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালত দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৯ সালের শিক্ষকদের পাওনা বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন প্রদানের জন্য রায় প্রদান করেন। মাউশি এখনো শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড প্রদানের জন্য অর্থ মঞ্জুরি আদেশ দেয়নি। ভুক্তভোগী প্রায় তিন হাজার শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এসব বৈষম্য ও সমস্যার মূল কারণ হিসেবে বলা যায়, মাউশিতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব না থাকা।

উপরোক্ত আলাচনায় কিন্তু শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন সম্পর্কে কোনো কথা নেই। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রাপ্তি ও পেশাগত দাবি-দাওয়া আদায়ের কথা। রাষ্ট্র থেকে শিক্ষকদের প্রাপ্তিতে অবশ্যই সমর্থন করি এবং শিক্ষায় সব ধরনের বৈষম্যের অবসান হোক এটি মনে প্রাণে চাই। মাউশির চলমান প্রক্রিয়া এবং আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘসূত্রিতা পরোক্ষভাবে এটিও বলে যে, মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর পরিচালনা করার মতো কর্মকর্তা মাধ্যমিক পর্যায়ে খুব কম কিংবা নেই। আর একটি বিষয়ও অবহেলা করা যাবে না। আর সেটি হচ্ছে কলেজ শিক্ষকরা যেভাবে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবহেলা করছেন কিংবা মাউশি প্রতিনিধিত্ব করতে খুব একটি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে গুটিকয়েক (৬৮২) সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরই পদায়ন করা হবে, তারা আবার একইভাবে সরকারি কলেজের শিক্ষক যারা মাউশিতে আছেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবজ্ঞা করতে থাকবেন এবং তাদের নায্য পাওনা ও দাবি-দাওয়া উপেক্ষিত হতে থাকবে। সরাসরি না বললেও তারা বুঝাতে চাবেন যে, বেসরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা অযোগ্য, তারা এসব পাওনা পাওয়ার উপযুক্ত নয়। শিক্ষায় এ ধরনের বিভক্তি চলছে এবং চলতেই থাকবে হয়তো। ইনক্লুসিভ বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলছি না, শিক্ষার মানের যে কী অবস্থা, শিক্ষাদানের যে কী অবস্থা সেটিরও অবসান হওয়া প্রয়োজন। শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষক নেতারা সবাইকে এ বিষয়গুলোতে অধিক জোর দিতে হবে। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকদের অকুণ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন। আর সেটি তখনই হবে যখন তারা দেখবেন যে, শিক্ষকরা শুধুমাত্র নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে ব্যস্ত নয়, শিক্ষার প্রকৃত উন্নয়নের কথা বলছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।

মাছুম বিল্লাহ: প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

এসএন

Header Ad
Header Ad

দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের ১৪ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  

ছবিঃ সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, খুন ও ডাকাতি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান, র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে র‍্যাবের টহল ও চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় র‍্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাব ফোর্সেসও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন তাদের নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট প্যাট্রোলিং পরিচালনা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিরতিহীনভাবে অতিরিক্ত টহল মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ব্যাটালিয়নগুলোতে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য র‌্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী থেকে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ২৫ জন, রাজশাহী থেকে ২৪ জন, সিলেট থেকে ১৭ জন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৫ জনসহ মোট ১৮০ জন আসামিকে গ্রেফতার এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের খুন, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি এবং চাঞ্চল্যকর সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য মোহাম্মদপুরের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কবজি কাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার, জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল এবং জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সেলিম আশরাফি ওরফে চুয়া সেলিমসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

Header Ad
Header Ad

এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জিয়া তো এমনি এমনি রাষ্ট্রপতি হননি, খালেদা জিয়াও তো এমনি এমনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তেমনি তারেক সাহেবের ১৭ বছরের চেষ্টা, উদ্যোগ ও সংগ্রাম-সে তো প্রধানমন্ত্রী হবেই। ইলেকশন হবে। এই বছরের মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পঞ্চগড় পৌরসভার সামনের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শেখ পরিবার চোরের পরিবার। শেখ মুজিব ৪০ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে রক্ষিবাহিনী দিয়ে হত্যা করেছিল। একদল করেছিল। ১৭ বছর পর এই বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার। বিএনপির খেল এখনও দেখেননি। কয়েকটা জনসভা শুরু করেছি।

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভাই আপনি ভাল লোক। একটা মর্যাদাশীল লোক। জ্ঞানীগুণী মানুষ। দেশে বিদেশে আপনার সুনাম আছে। এদের পাল্লায় পড়িয়েন না। বিএনপিকে রাস্তায় নামাইয়েন না। যদি একবার রাস্তায় নামান-ফুলের মালা দিয়ে আপনাকে বরণ করেছি, ফুলের মালা দিয়েই আপনাকে বিদায় করতে চাই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট আদম সুফি, যুগ্ন আহবায়ক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, যুগ্ম আহবায়ক এম এ মজিদ, বিএনপি নেতা ইউনুস শেখ প্রমুখ। সমাবেশে জেলা, পাঁচ উপজেলা, তিন পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা