শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বইপ্রেমী পাঠকের মূল আকর্ষণ অমর একুশে বইমেলা

এবারের বইমেলা নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। আশা করছি, বইমেলা গতবারের মতো এবারও ভালোভাবে আমরা শেষ করতে পারব। মেলার পরিসর একটু ছোট হয়েছে এ কথা সত্যি। যে কারণে অনেক দূরত্বে না হয়ে প্রকাশনাগুলো অপেক্ষাকৃত কম দূরত্বে বিন্যস্ত হয়েছে।

এ বছর জ্যামিতিকভাবে স্টল বিন্যস্ত হয়েছে। আমি মনে করি, এটি পাঠকদের জন্য ভালো হয়েছে। তাদের এক স্টল থেকে অন্য স্টলে যেতে বেশি দূরত্বে ঘুরতে হবে না। তবে ভালোর তো আসলে শেষ নেই। আমরা সারাবিশ্বই একের পর এক বৈশ্বিক বিপর্যয়ের মধ্যদিয়ে এগুচ্ছি। করোনা ধকল কাটিয়ে উঠার পরে একটু সুস্থির হতে না হতেই শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে কাগজের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই বইয়ের মূল্য কিছুটা বাড়বে। আমরা যদিও যতটুকু কম সম্ভব মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করছি।

তবে আমরা আশা করছি, যারা বই প্রেমিক তারা নিশ্চয়ই বই কিনতে মেলায় আসবে। এমনিতেই তারা দুটি বছর বই কিনতে পারেনি করোনার কারণে। বইয়ের দাম বেড়েছে, সেদিক থেকে আমরা কিছুটা চিন্তিত। কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে এতো টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবেন কি না পাঠকরা, এটি একটি চিন্তার বিষয়। এটি আমাদের একটি শঙ্কার জায়গা। এ ছাড়া ভয়ের কিছু নেই। তা ছাড়া জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থাকতে হবে।

এবার বইয়ের সংখ্যাও কিছুটা কম হবে বিগত বছরগুলোর তুলনায়। তবুও নিত্যনতুন বই প্রকাশ হবে এবং প্রকাশকরা যদি লাভবান না হন, তাহলে এতো প্রকাশক কেন তৈরি হচ্ছে? কাজেই আমি মনে করি না, প্রকাশকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যাদের ভালো বই থাকবে, জনপ্রিয় বই থাকবে, গবেষণাধর্মী বই থাকবে অর্থাৎ বইয়ের ভ্যারিয়েশন থাকবে তাদের বই বিক্রি বেশিই হবে। কারণ আমরা যতই বলি না কেন শুধুমাত্র জনপ্রিয় ধারার পাঠক নয়, সব ধরনের বইয়েরই পাঠক ছিল এবং আছে। বিক্রি কম-বেশি হবে। যাদের বই মানসম্পন্ন হবে না তাদের বই বিক্রি হবে না। কাজেই আমি মনে করি না যে, এটি ক্ষতিকর। এ রকমটি হবেই। আমিতো দেখেছি, সেই ছোট ছোট স্টলগুলো থেকে এখন বড় বড় প্যাভিলিয়ন করছে, নিশ্চয়ই তাদের ভালো ব্যবসা হয়।

আমরা আশার কথাটিই আগে বলতে চাই। আমার এতো বছরের অভিজ্ঞতা আসলে সেটিই বলে। তবে একটি কথা যেটি বলতে চাই যে, এবারের মেলা একটু পরিশীলিত কম মনে হচ্ছে আমার কাছে। এর একটি কারণ— যারা স্টল বানিয়েছে তারা এখনো জায়গাগুলো পরিষ্কার করেনি। একটি দুটি দিন গেলে সেটি আরও ভালো বোঝা যাবে যে, মেলার আঙ্গিনাটি কীভাবে পরিষ্কার হয়। মেলায় ডাস্টবিন ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না সেটিও দেখা দরকার। আশা করছি আরও পরিচ্ছন্ন ও ধুলা-বালি কম থাকবে। তা ছাড়া খাবারের স্টলগুলোও একপাশে বসানো হয়েছে। পাঠক দর্শনার্থীরা যেন বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি চা কফি খেতে পারেন সে ব্যবস্থাও আছে। ঝড় বৃষ্টি মোকাবিলায় একটা প্রতিরোধের ব্যবস্থা সবসময়ই থাকে। আমি মনে করি প্রাকৃতিক দুর্যোগও আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।

লেখক, প্রকাশক সবাই আমরা আসলে তাকিয়ে থাকি একুশে বইমেলার দিকে। কারণ একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা ও এটি একটি জাতীয় আয়োজন। আমি অবশ্যই আশাবাদ ব্যক্ত করছি, বইমেলা এবার সুস্থ সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হবে। প্রথম সপ্তাহে মেলা এমনিতেই খুব একটা জমজমাট হয় না। পরের সপ্তাহ থেকেই মেলাটি জমে উঠবে, নিত্য নতুন বই আসবে এবং পাঠকরা নতুন বই কিনবে। উৎসবমুখর আয়োজনে প্রচুর বই কেনা-বেচার মধ্যদিয়েই এবারের বইমেলা সফলভাবেই সম্পন্ন হবে।

মনিরুল হক: প্রকাশক অনন্যা

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক