রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জনগণের সেবাপ্রাপ্তিতে ডিসি সম্মেলন-২০২৩

প্রতি বছরের মতো এবারও তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন শেষ হলো। ২৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি ডিসিদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। অতএব জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করা প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব। সে জন্য সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে দায়িত্ব পালন করার কথা তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন।

রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই একথা তাদের বলবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয়ে আরও অনুরোধ করব যে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনগণ কী ধরনের সেবা পাচ্ছে তার একটি সঠিক ও গোপন প্রতিবেদন যদি তিনি সংগ্রহ করতে পারেন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে জনগণের সেবাপ্রাপ্তির একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাহলে অনেক বেশি কাজ হবে। কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রকৃতঅর্থে জনগণের সেবাপ্রাপ্তিতে হয়রানির পরিমাণ যে কত বেড়ে গেছে তা সম্ভবত তাদের কাছে পৌঁছায় না। জনকল্যাণমুখী কোনো সিস্টেমের ভেতর নিয়ে আসতে পারলে জনগণ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে সেবা পাওয়ার আশা করতে পারেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আধুনিক, তথ্যনির্ভর, জনসম্পৃক্ত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অনন্য। তিনি বলেন, ’বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটিয়ে আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকগণ মাদক সমস্যা রোধ, বাল্যবিবাহ দূরীকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করলে দেশে অচিরেই আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গতিশীলতা আসবে।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী দেশের পরিবেশ ও বনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন। যত্রতত্র অবৈধ ইটভাটা স্থাপন, জ্বালানি হিসেবে বনজ কাঠের অবৈধ ব্যবহার, নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ, অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কর্তনকারী, অবৈধ করাতকল, বনভূমি ও নদী-খাল জলাশয় জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, বনায়ন কার্যক্রম, ইউক্যালিপটাসসহ ক্ষতিকারক বৃক্ষরোপন রোধ, বনভূমি বন্দোবস্ত না দেওয়া, অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ও পরিযায়ী পাখির নিধন প্রতিরোধ, সংরক্ষিত বন ঘোষণার কার্যক্রমে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা কামনা করেন। তিনি সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নিষেধাজ্ঞাকালে মৌয়াল ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধিভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ বিষয়েও কথা বলেন। সেন্ট মার্টিনে যাতে কোনো অবস্থাতেই নতুন স্থাপনা গড়ে না উঠে সেদিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন। জেলার পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকর্তার কী কাজ তা আমরা শুনতে পেলাম না।

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, এখন প্রয়োজন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা। মন্ত্রী বলেন, ’আমাদের জেলা পর্যায় পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনো উন্নত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমাদের প্রত্যেক উপজেলা সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন আছে। কোথাও কোথাও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলোতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আবার কোথাও মেশিনে কারিগরি ত্রুটি থাকতে পারে। তবে মেশিন নেই, এ কথা ঠিক না--।’ তো এখানে ডিসি কী করবেন? জেলায় একজন সিভিল সার্জন আছেন, তার কাজ কী? শুধু বদলি করা? জনপ্রতিনিধির কাজ কী? সরকারি এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতেও চাই না কারণ হতাশা আরও বাড়ে।

মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন জেলা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা ঠিক আছে। মন্ত্রী মহোদয় সরকারের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতেই পারেন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন দেশের সাধারণ মানুষের আসলে কি কোনো চিকিৎসা আছে? অসুস্থ হলে যাদের সঙ্গতি আছে তারা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আর ভারতে যান। বাকিরা দেশের উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানীর সব প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। যাদের কোনো ধরনের সামর্থ্য নেই তারা সরকারি হাসাপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে কী চিকিৎসা হয়, তাদের কত কী অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। সেখানে যারা চিকিৎসা করান না তারা জানবেন না।

আমার মনে আছে বাংলাদেশি এক প্রবাসী সরকারি হাসপাতাল দেখে এসে আমাকে বললেন’ এটা তো গরুর খোয়াড়ের চেয়েও খারাপ। ওখানে গেলে তো মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।’ এটি কারুর একক দোষ নয় বা মন্ত্রী মহোদয়কেও বলছি না। এটি আমাদের কালচার। এই কালচার কবে পরিবর্তন হবে আমরা কেউ জানি না।

প্রতিটি জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা, খাদ্য কর্মকর্তা, বন কর্মকর্তা রয়েছেন এবং এভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব বিভাগেই প্রায় সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পালন করেন। তারপরেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদেরই রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে সরাসরি বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এখানে আমরা কিছুটা হলেও ব্রিটিশ রাজপ্রবর্তিত সেই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট যারা সাদা চামড়ার মানুষ পাক-ভারত উপমহাদেশকে কীভাবে শাসন করেছিল সেই প্রথাই যেন অনুসরণ করছি।

আমাদের জনপ্রতিনিধিরা যদি সঠিক ও নিরপেক্ষ আচরণ প্রদর্শন করে সে অনুযায়ী কাজ করার উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতেন তাহলে ডেপুটি সেক্রেটারি পদবির ডিসি নামক সরকারি একজন কর্মকর্তার উপর রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে এত নির্ভরশীল হতে হতো না। রাষ্ট্রের এমন কোনো কার্যাবলী নেই যার জন্য ডিসির উপর নির্ভর করতে না হয়। ব্রিটিশ যে কারণে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদটি বানিয়েছিল প্রায় আড়াইশ বছর পরেও তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি যদিও আমরা দু’বার স্বাধীন হয়েছি।

পূর্বের ডিসি সম্মেলনগুলোতে ডিসিরা বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতা চাইতেন। প্রশাসন ক্যাডারের জন্য পৃথক ব্যাংক, স্পেশাল ফোর্স, দিবস উদযাপনে কোটি টাকা বরাদ্দ, জ্বালানি তেল ব্যবহারের সীমা তুলে দেওয়া এবং ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা চেয়েছিলেন। বিচারিক ক্ষমতা চেয়েছিলেন। এবার নাকি তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের রাজনীতি বন্ধ করার কথা বলেছেন। এভাবে মোট ২৪৪টি প্রস্তাব তুলে ধরার কথা শোনা যাচ্ছে।

প্রতি বছর দেখি ’পুলিশ সপ্তাহ‘ পালন করা হয়। কেন করা হয় জানি না। তবে পত্রিকার পাতায় দেখি প্রচুর সুবিধা পাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে দেখি সেনাবাহীর মতো কিংবা তারচেয়েও বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য ফিরিস্তি তুলে ধরা হয় এবং সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পূরণও করা হয়। কিন্তু তাতে জনগণের কী? শান্তিপ্রিয় জনগণ কি কখনো পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার আশ্বাস পান, বা তারা কি প্রকৃত অর্থে পুলিশের সহায়তা পান কখনো?

ঘণ্টা দেড়েক জ্যামে বসে থেকে গাড়িটি যখন সামনে আগাচ্ছে হঠাৎ পুলিশ সার্জনের হাতের ইশারায় গাড়ি রাস্তার পাশে নিতে হলো। কেন? কাগজপত্র চেক করবেন। চেক করল, কোনো সমস্যাই পাওয়া গেল না, ড্রাইভারকে বলল, তোমার সিটবেল্ট ঠিকমতো পরা হয়নি। ড্রাইভার বলল, স্যার ঠিকইতো আছে। ধমক, আবার কথা বলছ। গাড়ি থেকে নেমে পরিচয় দেওয়ার পর বলল, ‘এই টাকাটা জমা দিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসেন। আর কথা বললে আপনার বাসায় কাগজ চলে যাবে তিন হাজার বা তারচেয়েও বেশি।’

সাতশত টাকা দিতে হলো (অযথাই দেওয়া)। কী সুন্দর পুলিশ সেবা! আর একবার ’জিডি করতে গিয়ে যা দেখলাম, একজন এসে পকেটে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে কোনো এক চায়ের দোকানদারকে থানায় সবকিছুসহ তুলে আনতে বললেন। বিন্দুমাত্র দেরি না করে তাই করা হলো। চমৎকার সেবা! জনগণ যত সাধারণ, রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের অত্যাচার তাদের উপর তত বেশি।

এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো পথই নেই বরং এই ওজন যেন আরও দিন দিন বাড়ছে। ঢাকার বাইরে কোথাও যাবেন, পথে পথে যেখানে পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন সেখানে তারা নেই। তাদের দেখবেন খালি রাস্তায় গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে, গাড়ির হেলপার, ড্রাইভার, ছোটখাট যারা তাদের সামনে দিয়ে ক্রস করার চেষ্টা করে তাদের ফাঁদে পড়ছে এবং তাদের সঙ্গে দফরফা চলছে। সামনে গাড়ির বড় লাইন, কিছু চলছে না, সেখানে তারা নেই। জনগণের জন্য রাষ্ট্রীয় সেবার নমুনা! পাসপোর্ট অফিসে গেলে কী মনে হয় আমরা স্বাধীন দেশে আছি?

আমরা যদি নির্দিষ্ট কিছু সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে হয়তো জনগণ আশা করতে পারে যে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিছুটা হলেও উপকার পাবে। তা নাহলে তাদের জিম্মি করে রেখে সব প্রতিষ্ঠানই সেবার পরিবর্তে হয়রানি উপহার দিয়ে যেতে থাকবে। জনগণের এইসব দুর্দশা দেখার আসলে কেউ আছে কি?

উন্নত বিশ্বসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই আপনি ভাড়া করা গাড়ি বা ট্যাক্সিতে সরাসরি উঠবেন, কোনো ট্যাক্সি আপনাকে না বলতে পারবে না। তারা জিজ্ঞেসও করতে পারবে না আপনি কোথায় যাবেন। এটি আইনবিরোধী কাজ। যাত্রী আগে ট্যাক্সিতে উঠে ড্রাইভারকে বলবেন তিনি কোথায় যাবেন। উনি যেখানে যেতে চান, ড্রাইভার তাকে সেদিকে নিয়ে যেতে বাধ্য। এই সিস্টেম তারা করে নিয়েছে। আমাদের ঢাকায় কী হয়? কোনো সিএনজি কি আপনার গন্তব্যে যাবেন? যাবেন না। একজন যাত্রীকে বেশ কয়েকটি সিএসজিকে অনুরোধ করতে হবে, দর কষাকষি করতে হবে, তারপরে আপনাকে গাড়িতে উঠতে হবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আন্তর্জাতিক উবার সেবা চালু করা হলো, সেখানেও সব উবার সব সময় সব জায়গায় যেতে চায় না। অর্থাৎ সেখানেও আমাদের কালচারের রং লেগে গেছে। এটিতো প্রাইভেট পর্যায়ে, সরকারি হলে তারা সব সরকারি কর্মকর্তা হয়ে যেত। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের কী অবস্থা সেটি তো আমরা সবাই জানি। এসব অবস্থার পরিবর্তনের আশা কি জনগণ আসলেই করতে পারে?

মাছুম বিল্লাহ: প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)।

এসএন

 

 

 

Header Ad
Header Ad

দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের ১৪ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  

ছবিঃ সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, খুন ও ডাকাতি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান, র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে র‍্যাবের টহল ও চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় র‍্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাব ফোর্সেসও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন তাদের নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট প্যাট্রোলিং পরিচালনা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিরতিহীনভাবে অতিরিক্ত টহল মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ব্যাটালিয়নগুলোতে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য র‌্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী থেকে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ২৫ জন, রাজশাহী থেকে ২৪ জন, সিলেট থেকে ১৭ জন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৫ জনসহ মোট ১৮০ জন আসামিকে গ্রেফতার এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের খুন, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি এবং চাঞ্চল্যকর সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য মোহাম্মদপুরের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কবজি কাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার, জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল এবং জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সেলিম আশরাফি ওরফে চুয়া সেলিমসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

Header Ad
Header Ad

এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জিয়া তো এমনি এমনি রাষ্ট্রপতি হননি, খালেদা জিয়াও তো এমনি এমনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তেমনি তারেক সাহেবের ১৭ বছরের চেষ্টা, উদ্যোগ ও সংগ্রাম-সে তো প্রধানমন্ত্রী হবেই। ইলেকশন হবে। এই বছরের মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পঞ্চগড় পৌরসভার সামনের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শেখ পরিবার চোরের পরিবার। শেখ মুজিব ৪০ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে রক্ষিবাহিনী দিয়ে হত্যা করেছিল। একদল করেছিল। ১৭ বছর পর এই বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার। বিএনপির খেল এখনও দেখেননি। কয়েকটা জনসভা শুরু করেছি।

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভাই আপনি ভাল লোক। একটা মর্যাদাশীল লোক। জ্ঞানীগুণী মানুষ। দেশে বিদেশে আপনার সুনাম আছে। এদের পাল্লায় পড়িয়েন না। বিএনপিকে রাস্তায় নামাইয়েন না। যদি একবার রাস্তায় নামান-ফুলের মালা দিয়ে আপনাকে বরণ করেছি, ফুলের মালা দিয়েই আপনাকে বিদায় করতে চাই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট আদম সুফি, যুগ্ন আহবায়ক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, যুগ্ম আহবায়ক এম এ মজিদ, বিএনপি নেতা ইউনুস শেখ প্রমুখ। সমাবেশে জেলা, পাঁচ উপজেলা, তিন পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা