শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বেকার হোস্টেলে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের প্রসঙ্গ এলেই কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলের কথা উচ্চারিত হবেই, কারণ এখান থেকেই বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা ও আদর্শবাদী রাজনীতি চর্চার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতার যে কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন সেই কলেজের নাম ইসলামিয়া কলেজ। কলেজটির বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ।

কলেজটিতে ১৯৪২ সালে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু। কলেজের স্মিথ স্ট্রিটের বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন শেখ মুজিব। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯৮ সালে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষকে একত্রিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’ তৈরি করে। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এ কক্ষের সম্মুখে তার আবক্ষ মূর্তির ফলক উম্মোচন করেন বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। ২০১৯ সালের ৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

বেকার হোস্টেলে যাওয়ার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের, দেশে পত্র-পত্রিকায় জেনেছি বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ স্থাপিত হয়েছে। বেশ কয়েকবার ভারত যাত্রা করলেও বেকার হোস্টেলে যাওয়া হয়নি। এবার দেশ থেকে ভারতে রওনা হবার আগেই মনস্থির করেছিলাম যে, বেকার হোস্টেলে যাবই এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ দেখবো। কলকাতায় এলে সাধারণত পার্কস্ট্রিট এলাকায় বেশি থাকা হয়। এবারও সেই এলাকাতেই হোটেলে উঠি।

গত ৩ জুন ২০২২ সকালেই সহকর্মী ড. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি বেকার হোস্টেলের উদ্দেশে। লোকজনকে ইসলামিয়া কলেজের কথা জিজ্ঞেস করলে প্রথমে খুব একটা বুঝতে পারে না, পরে একজন বলল ইসলামিয়া কলেজের বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ যা পার্কস্ট্রিট এলাকাতেই অবস্থিত। বুঝলাম এখন মানুষ ইসলামিয়া কলেজের কথা অনেকটা ভুলে গেছে, নাম পরিবর্তনের কারণে তা এখন মৌলানা আজাদ কলেজ নামেই বেশি পরিচিত। যে হোটেলে উঠেছিলাম সেখান থেকে মৌলানা আজাদ কলেজ পায়ে হেঁটে যাওয়া যাবে। প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে প্রথমে মৌলানা আজাদ কলেজ গেলাম। সেখানে শুনলাম পার্কস্ট্রিট এলাকায় স্মিথ স্ট্রিটে বেকার হোস্টেল অবস্থিত। লোকজনকে জিজ্ঞেস করতেই দেখা গেল, সকলেই বেকার হোস্টেল চেনেন এবং সেখানে যে বঙ্গবন্ধু থাকতেন তা অনেকেই জানেন।

প্রচণ্ড গরমে ঘর্মাক্ত হয়ে যখন বেকার হোস্টেলে পৌঁছালাম তখন বেলা বারোটা। কলেজের একজন কর্মচারী বললেন বাংলাদেশ-কলকাতা দূতাবাসের অনুমতি ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ খোলা যাবে না। হোস্টেলের ওয়ার্ডে তাকেও পাওয়া গেল না, ফোন নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া গেল না। অনকেটা হতাশ হয়েইে শুধু বেকার হোস্টেল দেখে হোটেলে ফিরে আসতে হলো। হোটেলে ফিরে আবার ওয়ার্ডেন মহোদয়কে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেন এবং তার কাছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ দেখার অনুমতি চাইলে প্রথমে বাংলাদেশ-কলকাতা দূতাবাসের অনুমতির কথা বলেন। পরে আমার পরিচয় দিয়ে সময় স্বল্পতার কথা বুঝিয়ে বললে তিনি অনুমতি দেন। অনুমতি পাওয়ার পর বিকাল ৪টায় আবার বেকার হোস্টেলে সহকর্মী ড. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে পৌঁছালাম। সেই প্রাচীন সিঁড়ি বেয়ে হোস্টেলের তিন তলায় অবশেষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ পৌঁছালাম, একজন কর্মচারী খুলে দিলেন স্মৃতিকক্ষের তালা। তালা যখন খোলা হলো আবেগে থরথর করে কাঁপছিলাম, স্মৃতিকক্ষে ঢোকা যেন এক দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের অনাবিল আনন্দ।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বেকার হোস্টেলের ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’তে গিয়ে অনেকটা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি, মনে পড়ে যায় বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনীর কথা, মনে পড়ে যায় এই হোস্টেল থেকেই কতো কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে তিনি সততার সঙ্গে কলকাতায় ছাত্র রাজনীতি করেছেন, বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের কথা ভেবেছেন। ইতিহাসের পাতা উল্টালেই উপলব্ধি করা যায় নানা আন্দোলন-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর এই কক্ষটি কীভাবে বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে তিনি যে চৌকিতে ঘুমাতেন, যে চেয়ারে বসে, যে টেবিলে পড়তেন তা অবিকল সেভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলো স্পর্শ করলে বঙ্গবন্ধুর ঘ্রাণ পাওয়া যায়, এখানে দাঁড়িয়ে থেকে হৃদয়ের চোখ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দেখা যায়, যতক্ষণ বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে ছিলাম যেন প্রতিটি মুহূর্ত বঙ্গবন্ধুর হৃদ স্পন্দন অনুভব করেছি। বঙ্গবন্ধু যে চৌকিতে শুয়ে খোলা জানালা দিয়ে নীল শুভ্র আকাশ দেখতে দেখতে হৃদয়ের মণিকোঠায় নীল শুভ্রতায় শান্তির পতাকা এঁকেছেন, আকাশের মত হৃদয়টাকে প্রসারিত করেছেন, এখনো সেই বন্ধ জানালা দিয়ে মনের চোখ দিয়ে দেখা যায় নীল শুভ্র আকাশ আর মেঘের ছুটোছুটি। মনে হয় সেই নীল শুভ্র আকাশ থেকে শেখ মুজিব দেখছেন অবলীলায় তার প্রিয় বেকার হোস্টেলকে।

কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। নেতা বঙ্গবন্ধুর উত্থান ওই কলেজ এবং হোস্টেল থেকেই। তাই বেকার হোস্টেল নামটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ আর অনুভূতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবন আলোচিত হলে অনায়াসেই বেকার হোস্টেলের নামটিও বাঙালি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ বেকার হোস্টেলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ বাংলাদেশ থেকে আগত নাগরিকসহ ভারত ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যেন সহজেই দেখতে পারেন তার একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করা।

মো. হাসিবুল আলম প্রধান: সভাপতি ও অধ্যাপক, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত