শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বেকার হোস্টেলে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের প্রসঙ্গ এলেই কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলের কথা উচ্চারিত হবেই, কারণ এখান থেকেই বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা ও আদর্শবাদী রাজনীতি চর্চার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতার যে কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন সেই কলেজের নাম ইসলামিয়া কলেজ। কলেজটির বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ।

কলেজটিতে ১৯৪২ সালে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু। কলেজের স্মিথ স্ট্রিটের বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন শেখ মুজিব। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯৮ সালে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষকে একত্রিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’ তৈরি করে। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এ কক্ষের সম্মুখে তার আবক্ষ মূর্তির ফলক উম্মোচন করেন বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। ২০১৯ সালের ৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

বেকার হোস্টেলে যাওয়ার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের, দেশে পত্র-পত্রিকায় জেনেছি বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ স্থাপিত হয়েছে। বেশ কয়েকবার ভারত যাত্রা করলেও বেকার হোস্টেলে যাওয়া হয়নি। এবার দেশ থেকে ভারতে রওনা হবার আগেই মনস্থির করেছিলাম যে, বেকার হোস্টেলে যাবই এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ দেখবো। কলকাতায় এলে সাধারণত পার্কস্ট্রিট এলাকায় বেশি থাকা হয়। এবারও সেই এলাকাতেই হোটেলে উঠি।

গত ৩ জুন ২০২২ সকালেই সহকর্মী ড. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি বেকার হোস্টেলের উদ্দেশে। লোকজনকে ইসলামিয়া কলেজের কথা জিজ্ঞেস করলে প্রথমে খুব একটা বুঝতে পারে না, পরে একজন বলল ইসলামিয়া কলেজের বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ যা পার্কস্ট্রিট এলাকাতেই অবস্থিত। বুঝলাম এখন মানুষ ইসলামিয়া কলেজের কথা অনেকটা ভুলে গেছে, নাম পরিবর্তনের কারণে তা এখন মৌলানা আজাদ কলেজ নামেই বেশি পরিচিত। যে হোটেলে উঠেছিলাম সেখান থেকে মৌলানা আজাদ কলেজ পায়ে হেঁটে যাওয়া যাবে। প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে প্রথমে মৌলানা আজাদ কলেজ গেলাম। সেখানে শুনলাম পার্কস্ট্রিট এলাকায় স্মিথ স্ট্রিটে বেকার হোস্টেল অবস্থিত। লোকজনকে জিজ্ঞেস করতেই দেখা গেল, সকলেই বেকার হোস্টেল চেনেন এবং সেখানে যে বঙ্গবন্ধু থাকতেন তা অনেকেই জানেন।

প্রচণ্ড গরমে ঘর্মাক্ত হয়ে যখন বেকার হোস্টেলে পৌঁছালাম তখন বেলা বারোটা। কলেজের একজন কর্মচারী বললেন বাংলাদেশ-কলকাতা দূতাবাসের অনুমতি ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ খোলা যাবে না। হোস্টেলের ওয়ার্ডে তাকেও পাওয়া গেল না, ফোন নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া গেল না। অনকেটা হতাশ হয়েইে শুধু বেকার হোস্টেল দেখে হোটেলে ফিরে আসতে হলো। হোটেলে ফিরে আবার ওয়ার্ডেন মহোদয়কে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেন এবং তার কাছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ দেখার অনুমতি চাইলে প্রথমে বাংলাদেশ-কলকাতা দূতাবাসের অনুমতির কথা বলেন। পরে আমার পরিচয় দিয়ে সময় স্বল্পতার কথা বুঝিয়ে বললে তিনি অনুমতি দেন। অনুমতি পাওয়ার পর বিকাল ৪টায় আবার বেকার হোস্টেলে সহকর্মী ড. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে পৌঁছালাম। সেই প্রাচীন সিঁড়ি বেয়ে হোস্টেলের তিন তলায় অবশেষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ পৌঁছালাম, একজন কর্মচারী খুলে দিলেন স্মৃতিকক্ষের তালা। তালা যখন খোলা হলো আবেগে থরথর করে কাঁপছিলাম, স্মৃতিকক্ষে ঢোকা যেন এক দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের অনাবিল আনন্দ।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বেকার হোস্টেলের ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ’তে গিয়ে অনেকটা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি, মনে পড়ে যায় বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনীর কথা, মনে পড়ে যায় এই হোস্টেল থেকেই কতো কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে তিনি সততার সঙ্গে কলকাতায় ছাত্র রাজনীতি করেছেন, বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের কথা ভেবেছেন। ইতিহাসের পাতা উল্টালেই উপলব্ধি করা যায় নানা আন্দোলন-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর এই কক্ষটি কীভাবে বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে তিনি যে চৌকিতে ঘুমাতেন, যে চেয়ারে বসে, যে টেবিলে পড়তেন তা অবিকল সেভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলো স্পর্শ করলে বঙ্গবন্ধুর ঘ্রাণ পাওয়া যায়, এখানে দাঁড়িয়ে থেকে হৃদয়ের চোখ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দেখা যায়, যতক্ষণ বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে ছিলাম যেন প্রতিটি মুহূর্ত বঙ্গবন্ধুর হৃদ স্পন্দন অনুভব করেছি। বঙ্গবন্ধু যে চৌকিতে শুয়ে খোলা জানালা দিয়ে নীল শুভ্র আকাশ দেখতে দেখতে হৃদয়ের মণিকোঠায় নীল শুভ্রতায় শান্তির পতাকা এঁকেছেন, আকাশের মত হৃদয়টাকে প্রসারিত করেছেন, এখনো সেই বন্ধ জানালা দিয়ে মনের চোখ দিয়ে দেখা যায় নীল শুভ্র আকাশ আর মেঘের ছুটোছুটি। মনে হয় সেই নীল শুভ্র আকাশ থেকে শেখ মুজিব দেখছেন অবলীলায় তার প্রিয় বেকার হোস্টেলকে।

কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। নেতা বঙ্গবন্ধুর উত্থান ওই কলেজ এবং হোস্টেল থেকেই। তাই বেকার হোস্টেল নামটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ আর অনুভূতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবন আলোচিত হলে অনায়াসেই বেকার হোস্টেলের নামটিও বাঙালি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ বেকার হোস্টেলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ বাংলাদেশ থেকে আগত নাগরিকসহ ভারত ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যেন সহজেই দেখতে পারেন তার একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করা।

মো. হাসিবুল আলম প্রধান: সভাপতি ও অধ্যাপক, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তান অনন্যা বাঙ্গার নিজের লিঙ্গ রূপান্তরের অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটজীবনে মুখোমুখি হওয়া নানা হয়রানিমূলক ঘটনার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একসময় ‘আরিয়ান’ নামে পরিচিত অনন্যা বর্তমানে নারী পরিচয়ে পরিচিত এবং একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন।

সম্প্রতি লল্লনটপ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই জানতাম আমি একজন মেয়ে। আট-নয় বছর বয়সে মায়ের পোশাক পরতাম এবং আয়নার সামনে নিজেকে মেয়ের মতো কল্পনা করতাম।”

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

অনন্যা জানান, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কিছু খেলোয়াড় তার পাশে দাঁড়ালেও অনেকের কাছ থেকে পেয়েছেন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “আমাকে একাধিক ক্রিকেটার নগ্ন ছবি পাঠিয়েছে। কেউ কেউ সামনে অপমান করলেও পরে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছে, এমনকি যৌন প্রস্তাবও দিয়েছে।”

একজন প্রবীণ ক্রিকেটারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি তাকে আমার পরিস্থিতি বোঝাতে গেলে সে বলে, ‘চলো গাড়িতে যাই, আমি তোমার সঙ্গে ঘুমাতে চাই।’”

ভারতের ইসলাম জিমখানা এবং যুক্তরাজ্যের হিংকলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলা বাঁহাতি ব্যাটার অনন্যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে বাধা আসে ২০২৩ সালের নভেম্বরে। তখন আইসিসি ঘোষণা করে, ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের নারী ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে অনন্যা লেখেন, “আমি কেবল খেলতে চেয়েছিলাম, নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। পরিচয়ের কারণে আজ আমি নিষিদ্ধ।”

বর্তমানে অনন্যা যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাস করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ১০ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: স্টোর অফিসার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: হিসাবরক্ষক।
পদসংখ্যা: ২৫টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ২৭টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৪টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: উচ্চমান সহকারী।
পদসংখ্যা: ৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৩০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: হিসাব সহকারী/হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার।
পদসংখ্যা: ৩৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।
পদসংখ্যা: ২০টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: স্টোরকিপার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।
পদসংখ্যা: ২টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ৬ মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় বাজারে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাঠেরপাড় বাজারে এসেছে প্রথমেই মালেক স্টোরে আগুন দেখতে পান তারা। মুহূর্তের মধ্যেই মার্কেটের ৫টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সেইসাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে ৫টি দোকানের ফ্রিজ, টিভি, মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসময় সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো মালেকের মুদি দোকান, সাইদুলের মালামাল রাখার গোডাউন, মজনু স্টোর, জাহিদ ফার্মেসি, শহীদ স্টোর এবং মনজুর চা দোকানের আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে।

মালেক স্টোরের দোকানি আব্দুল মালেক বলেন, প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘুমে থাকা অবস্থায় শুনতে পাই আমার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডর আবু মোত্তালেব বলেন, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান ভোরের আকাশকে বলেন, বল্লমঝাড় মাঠেরপাড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, এটি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে টিন বিতরণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?