বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ব্যাংক নিয়ে বিপন্ন বিস্ময়

সত্য নাকি বিস্ময়ের চেয়েও শক্তিশালী। তাই কিছু কিছু বিষয় যেন বিস্ময়কেও হার মানায়। যেমন সাধারণ মানুষ ধারণা করতে পারবেন, তিরিশ হাজার কোটি টাকা মানে কত টাকা? মাসে যদি কেউ এক লাখ টাকা করে সঞ্চয় করেন তাহলে এক কোটি টাকা সঞ্চয় করতে লাগবে ৮ বছর। এক লাখ টাকা আয় করতে পারেন এরকম মানুষ কতজন আছে দেশে আর এক লাখ টাকা মাসে সঞ্চয় করতে পারেন এরকম আয়ের মানুষ কতজন? তারপরও যদি তারা সঞ্চয় করতে থাকেন তাহলে ব্যাংকের মুনাফা পেয়ে কমপক্ষে ২ লাখ বছর লাগবে তিরিশ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে জমাতে। আর তিরিশ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গেল ব্যাংক থেকে তেমন কোন কাগজ পত্র না দেখিয়ে বা ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে! এও সম্ভব?

এই টাকা জনগণের জন্য ব্যয় করা হলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বাড়তি বোঝা জনগণের কাঁধে চাপানো, সারের দাম বাড়ানো, তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। আর ডলারের অঙ্কের পরিমাণ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। সাড়ে তিন বছরে অর্থাৎ ৪২ মাসে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফ এর প্রতিনিধি দলের কতই না জবাবদিহি আর শর্ত আমরা দেখলাম। আবার পদ্মা সেতু নিয়ে আবেগ, অহংকার ও গর্ব করে শাসক দল, তাদের সমর্থক এবং পদ্মা পাড়ের জনগণের সেটাও আমরা লক্ষ্য করেছি। সেই সময়েই খবর এলো এস আলম গ্রুপ নাকি ইসলামী ব্যাংক থেকে তিরিশ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে। এস আলমের এই টাকা প্রায় পদ্মা সেতু নির্মাণের মোট খরচের সমান। পদ্মা সেতু করা নিয়ে শাসক দল ও তার সমর্থকদের যত আনন্দ-উল্লাস কিন্তু সেই একই পরিমাণ অর্থের লুটপাট নিয়ে কোন দুঃখ-বেদনা-লজ্জা-গ্লানি নেই! কেন এমন হলো বা হচ্ছে?

ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়া বাংলাদেশে কি খুব সহজ? একের পর এক ঘটনায় প্রমাণিত হচ্ছে যে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা বের করে নেওয়ার পদ্ধতি খুবই সহজ। এ জন্য প্রথম কাজ হলো ক্ষমতার সঙ্গে থাকা। রাজনৈতিক সম্পর্ক ব্যবহার করার দক্ষতা লাগবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মালিকপক্ষ ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ রক্ষা করে ভুয়া ঠিকানায় কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ঋণ নেওয়া। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সম্পর্কগুলো যত প্রভাবশালী হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ততই চুপচাপ থাকবে। নিশ্চয়ই মনে আছে কীভাবে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার নামে-বেনামে অনেকগুলো কোম্পানি খুলে তারপরই দখল করেছিলেন একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রশান্ত হালদার কিন্তু এই পদ্ধতির জনক ছিলেন না।

২০১১ সালে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিল হল মার্ক কেলেঙ্কারি। কেলেঙ্কারির দায় না নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বিবেচনায় ৪ হাজার কোটি টাকা কিছুই নয়। সে সময় দেখা গিয়েছিল হল মার্ক গ্রুপ সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাৎ করতে যেসব কোম্পানির নাম ব্যবহার করে, তার কয়েকটি ছিল কাগজ নির্ভর। অর্থাৎ এসব কোম্পানির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এর ফলে সোনালী ব্যাংকের লোকসান হয় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। যার পুরোটাই এখন খেলাপি। সোনালি ব্যাংক কি সেই ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পেরেছে?

এর পর খবর বের হয় ২০১৪-১৫ সালে অ্যাননটেক্স গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে নিয়ে গিয়েছে। এই পরিমাণ ঋণ নেওয়ার জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে গ্রুপটি। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কিংবা পরিদর্শনে দেখা যায়, এদের মধ্যে মাত্র চারটি কোম্পানি ছিল পূর্ণাঙ্গ। অনেকগুলোই কাগুজে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এসব কোম্পানির মালিক বানানো হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কী কারবার! ফলে যা হবার তাই হলো। এসব ঋণের বড় অংশ এখন খেলাপি। আর এই ঋণের কারণে জনতা ব্যাংক এখন ঋণখেলাপিতে শীর্ষ।

শুধু সরকারি ব্যাংক নয়, বেসরকারি খাতের ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংকে ভল্ট কেলেঙ্কারির ঋণেও বড় অনিয়ম ধরা পড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শনে দেখতে পায় যে, শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে কোম্পানি খুলে ঋণের বড় অংশই নিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান।

ইউনিয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ১৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা খেলাপি হওয়ার যোগ্য বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল, যা ছিল ব্যাংকটির মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ। একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকেও বড় অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যাংক দুটি এখনো এসব ঋণ খেলাপি বলে ঘোষণা করেনি। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ও পুনঃতফসিল করে ঋণগুলো নিয়মিত দেখাচ্ছে ব্যাংক দুটি। তাতে ব্যাংকের ইমেজ ও আমানত কোনোটাই কি রক্ষা পাবে?

একই ধরনের ঘটনা ধরা পড়ল এবার ইসলামী ব্যাংকে। ব্যাংক থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটা একদিনে ঘটেনি। এমন ঋণ দেওয়া শুরু করেছিল চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে। দেখা গেছে ব্যাংকটির যেসব কর্মকর্তা এই ঋণ প্রদানে সহায়তা করেছেন তাদের দ্রুত পদোন্নতি হয়েছে। এবং তাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঋণসংক্রান্ত বিভাগগুলোতে। ফলে সহজেই বণ্টন করা হয়েছে ভুয়া ঋণ। এসব ঋণের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে বেশি, যাতে সহজেই ঋণ খেলাপি না হয়। ভুয়া কোম্পানি খুলে শুধু ঋণ দেওয়া নেওয়া নয়, দেশের কয়েকটি ব্যাংক দখলের সময়ও এমন কিছু কোম্পানির নাম ব্যবহার হয়েছিল, যাদের সঠিক পরিচয় ছিল না।

বাংলাদেশ ব্যাংক যদি উদাসিন বা নিষ্ক্রিয় থাকে, তখন ভালো ব্যাংকগুলো, যাদের আমানত বেশি সেগুলো আক্রান্ত হবে এবং এটাই ঘটছে। পত্র পত্রিকায় নাম আসছে যে, একজন ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার ব্যাংক খাতকে বড় ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। এটা যে অর্থনীতির জন্য কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সরকার কি তা বুঝে না? তাহলে কেন চুপ করে ছিল, প্রতিরোধের কোনো লক্ষণ দেখা গেল না কেন? নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও দুর্নীতি দমন সংস্থা আর কতদিন চোখ বন্ধ রাখবে বা দেখতে চাইবে না? রেমিটেন্সের মাধ্যমে যে ডলার আয় হয়, তা ব্যাংক মালিকদের কোম্পানির আমদানিতে খরচ করতেই যদি শেষ হয়ে যায়, অন্য কেউ যদি ব্যবসা করার সুযোগ না পায় তাহলে কি অবস্থা দাঁড়াবে? পুরো ভোগ্যপণ্যের বাজার যদি এইসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশটা জিম্মি হয়ে পড়বে এদের হাতে। যার বিষময় ফল ইতিমধ্যে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দেশবাসী।

ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলমের ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক লোপাটের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর ঋণ কেলেঙ্কারি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর শেষ দেখার আশায় আছে দেশবাসী।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত