বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এই ফল শিক্ষার মান ও প্রকৃত মূল্যায়নের কথা বলে কী?

দেশ করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় বসল শিক্ষার্থীরা। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষাধিক। প্রথম দিনে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি। প্রথম দিন ৩৩ হাজার ৮৬০ জনের অনুপস্থিতির ঘটনা উদ্বেগজনক।

১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনটি কেটেছিল নানা ঘটনা-অঘটনের মধ্য দিয়ে। এদিন কিছু কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। ২৬ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দিনই বহিষ্কৃত হয়েছিল অসদুপায় অবলম্বনের কারণে। নড়াইলে ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়ার কারণে যশোর বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষাই স্থগিত করতে হয়েছিল। অন্যবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও এবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে ঢুকতে হয়েছিল।

এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালে মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষায় পৌনে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে ৪৭ হাজার ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছিল এবং ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে। এই প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ ছিল না, কারণ মাত্র ১১ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য থেকে এই ফিগার এসেছিল। যদিও আমাদের পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। নিবন্ধন করার পর কোনো শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার অর্থ হলো শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোনো কোনো পরীক্ষার্থীয় গরহাজির থাকলে সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিয়ে হওয়া আর ছেলেদের শিশুশ্রমে নিযুক্ত হওয়া কিন্তু উদ্বেগের বিষয়। যারা শিক্ষার নয়টি ধাপ পেরিয়ে এসএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে তাদের প্রত্যেকে যাতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। করোনার ধাক্কা আমরা মোটামুটি কাটিয়ে উঠেছি কিন্তু করোনার যে অভিঘাত শিক্ষায় পড়েছে তা কাটিয়ে ঊঠতে আরও সময় লাগবে। এ জন্য যেমন টেকসই কর্মসূচি নিতে হবে তেমনি তার বাস্তবায়নেও সবাইকে এগিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার্থীরা ২০২০ সালে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া শুরুর মাত্র আড়াই মাসের মাথায় করোনার কারণে তাদের সরাসরি ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালে দশম শ্রেণি শেষ করা পর্যন্ত সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ তারা খুব কমই পেয়েছে। অনলাইন আর অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক লেখাপড়াই ছিল তাদের প্রধান অবলম্বন। এরপরও তারা স্বাভাবিক সময় বা ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এই ব্যাচের পাসের হার বেশি। ২০১৯ সালের পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ আর ২০২০ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শুধু পাসের হারে নয়, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায়ও এবার ভালো করেছে। এই ব্যাচকে করোনার ব্যাচ বলেই অভিহিত করেছেন কেউ কেউ। এই ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা বেশ ভালো করেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তারা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এদের পাসের হার বেশি।

গত বছরের তুলনায় এবার হার কমেছে। এসএসসিসহ ১১টি বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন আর ২০১৯ সালে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। অর্থাৎ গত বছর বা তিন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় পাসের হার কম হলেও আগের ৪ বছরের মধ্যে এবার পাসের হার সর্বোচ্চ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অতীতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। আমরা যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করি তাদের সামনের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার পরেই একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেয় আর সেটি হচ্ছে কত শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে আর কত শতাংশ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই দুটো মানদণ্ড কি আসলেই শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মানের কথা বলে?

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরীক্ষা হচ্ছেছ ’ও’ লেভেল; যেখানে কোনো ধরনের প্রশ্ন রিপিট করা হয় না, যেখানে কোনো ধরনের প্রশ্ন শুধু মুখস্থ করে কিংবা দেখাদেখি করে টিক দিয়ে পাসের হার কিংবা জিপিএ-৫ কে ভারী করা হয় না। একজন শিক্ষার্থী যখন ’ও’ লেভেল পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ’এ’ প্লাস পায় তখন কোনো ধরনের প্রশ্ন ছাড়া ধরে নেওয়া হয় যে, সে ওই বিষয়ে আসলেই ভালো। সে আন্তর্জাতিক যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতায় নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে। আমাদের এসএসসির এ প্লাস কিন্তু সে কথা বলে না। এখানে এখনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে, প্রশ্ন ফাঁস করা নিয়ে অনেকেই ব্যস্ত থাকে। এখন প্রশ্ন কমন পড়ানো নিয়ে অনেকেই পাণ্ডিত্য জাহির করে।

এখন একটু চোখ বুলানো যাক এবার পরীক্ষায় এত ভালো করার কী কী কারণ ছিল। এগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। এ ছাড়া আছে প্রশ্নপত্রে অধিক সংখ্যক বিকল্প থেকে পছন্দের সুযোগ, ৫০-এর মধ্যে দেওয়া পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ১০০-তে রূপান্তর, কঠিন বিষয়ে অবলীলায় ৯০ শতাংশের উপরে প্রাপ্তি ও সাবজেক্ট ম্যাপিং।

গত বছরও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল। বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মতো বিষয় বাদ দিয়ে কেবল বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ আর মানবিকের ঐচ্ছিক তিন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এবার সংক্ষিপ্ত ঐচ্ছিক বিষয়ের সঙ্গে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, চতুর্থ বিষয়সহ নয়টি পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়। গত বছর বাকি নয় বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং বা জেএসসি-জেডিসিতে প্রাপ্ত নম্বর প্রাপ্তির প্রবণতা অনুযায়ী নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এই সুযোগ দেওয়া হয় মাত্র তিন বিষয়ে। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়/ সাধারণ বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিকতা ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

আবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না বিষয়টি। এই ব্যাচকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বিকল্প সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক সময়ে সৃজনশীল অংশে ১১টি প্রশ্নের মধ্য থেকে ৭টির উত্তর করতে হতো। এবার ১১টি প্রশ্নই ছিল কিন্তু উত্তর করতে হয়েছে তিনটি প্রশ্নের। আবার এমসিকিউ অংশে ৩০টির মধ্যে সব কটির উত্তর দিতে হতো। কিন্তু এবার ১৫টি উত্তর করতে হয়েছে।

এ ছাড়া তারা ৫০ নম্বরে পরীক্ষা দিলেও সেটিকে ১০০ ধরে প্রাপ্ত নম্বর দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। এ সবগুলো পদক্ষেপই কীভাবে পাসের সংখ্যা ও জিপিএ-র সংখ্যা বাড়ানো সেই কসরত। এগুলোর কোনোটিই মানসম্মত মূল্যায়নের কথা বলছে না। আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে ইংরেজি গণিতের মতো বিষয় কঠিন হিসেবে বিবেচিত। এসব বিষয়েও এবার শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। ঢাকা বোর্ডে বিষয়ভিত্তিক পাসের হারে দেখা যায় ইংরেজিতে ৯৬ দশমিক ৬৫ এবং সাধারণ গণিতে ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চতর গণিতে ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মানবিকে অর্থনীতিতে ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ আর বিজনেস স্টাডিজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিসাববিজ্ঞানে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ পাস করেছে। এবার যে তিন বিষয়কে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের আওতায় নেওয়া হয়। সেগুলো মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কঠিন বিষয়গুলোর একটি। যেহেতু এটি পরীক্ষায় বসতে হয়, তাই পাসের হার এবং জিপিএ-৫এ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ বোর্ডে গড় পাস করেছে ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এ পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ জন পরীক্ষার্থী। এবার শুধু এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বোর্ডগুলোর পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে ৯০, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৬ দশমিক ৭, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৬১, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৫৩, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১ দশমিক ২৮, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১ দশমিক ১৪, যশোর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৩, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৮৭, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৮২, মাদরাসা বোর্ডে ৮২ দশমিক ২২, আর কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন।

সারা দেশের ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। তারমধ্যে ৪১টিই মাদরাসা। আর ২ হাজার ৯৭৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ। ইংরেজি ও গণিত মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ এ দুটি বিষয়ে একমাত্র স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকই নেই। শিক্ষার্থীরা স্বভাবতই এ দুটি বিষয়ের দুর্বলতা নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তর পার করে। অথচ পাবলিক পরীক্ষা পাসের হারে কোনো এক জাদুর পরশে দেখা যায় এ দুটো বিষয়ে পাসের হার আকাশ ছোঁয়া। তার মানে কী?

আমাদের শিক্ষার্থীর সৃজনশীল, তারা দেশের বাইরে গিয়ে কিংবা দেশেও বিভিন্নভাবে তাদের মেধার ও সৃজনশীলতার সাক্ষর রেখে চলেছে অথচ তাদের সিস্টেমেটিক্যালি দুর্বল মূল্যায়নের দিক দিয়ে যেতে হয় আর তাদের ফল নিয়ে তাই অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টিতে নজর দেওয়া একান্তই প্রয়োজন।

প্রেসিডেন্ট: ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

ছায়ানটে অশ্রু-গানে সন্‌জীদা খাতুনের শেষ বিদায়

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সংস্কৃতির প্রিয় মুখ, সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আজ (২৬ মার্চ) ছায়ানট প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়েছে। চোখে অশ্রু আর হাতে ফুল, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল সঙ্গীতপ্রেমী এবং শিল্পী, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে শ্রদ্ধা জানাতে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে উপস্থিত ছিলেন শাহীন সামাদ, বুলবুল ইসলামসহ আরও অনেক শিল্পী। এ সময় তারা গাইলেন, ‘‘তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে’’ এবং ‘‘কান্না হাসির দোল দোলানো’’—এমন হৃদয়বিদারক গানে শেষ বিদায় জানানো হয় সন্‌জীদা খাতুনকে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ ছায়ানটে পৌঁছালে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সন্‌জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ছায়ানটে সকাল থেকেই ভিড় করছিলেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। এ সময় ছায়ানটের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’’ পরিবেশন করেন। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী।

সন্‌জীদা খাতুন, যিনি বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এবং ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি, ২৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাদানে ও সঙ্গীতচর্চায় অবদান রাখা সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপিকা ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীত ও সাহিত্য নিয়ে বিশাল কাজ করেছেন এবং ছায়ানটকে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত করেছেন। তিনি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং নালন্দা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়াও সন্‌জীদা খাতুন ভারত সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’সহ একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার রচিত বইগুলো বাঙালি সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গীতচর্চা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফেরত দিতে ১২ জনের আবেদন

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের কাছ থেকে সনদ নিয়েছেন- এমন অন্তত ১২ ব্যক্তি তাদের সনদ ফেরত দিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়- মুক্তিযোদ্ধা নন, কিন্তু সনদ নিয়ে সরকারি চাকরি করার পর অবসরে গেছেন- এমন একজন ব্যক্তিও রয়েছেন ওই ১২ আবেদনকারীদের মধ্যে।এক ব্যক্তি তার আবেদনে সনদ নেওয়া ভুল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন কেউ কেউ।

গত ১১ ডিসেম্বর নিজ দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা সনদ নিয়েছেন, তাদের তা ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেব, যারা অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন, তারা যাতে স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। যদি যান, তারা তখন সাধারণ ক্ষমা পেতে পারেন। আর যদি সেটি না হয়, আমরা যেটি বলেছি, প্রতারণার দায়ে আমরা তাদের অভিযুক্ত করব। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপদেষ্টার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্তত ১২ জন তাদের সনদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন।

তবে সনদ ফেরত দিতে আবেদন করা ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যেহেতু তারা মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আবেদন করেছেন, নাম প্রকাশ করলে তারা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হবেন। তাই তাদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না

ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে ভূগর্ভস্থ তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান লাইন স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে সাময়িকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিকুঞ্জ-১, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত এলাকা, কনকর্ড সিটি (নদীর পাড় পর্যন্ত), নামাপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশপাশের কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।

সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছায়ানটে অশ্রু-গানে সন্‌জীদা খাতুনের শেষ বিদায়
মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফেরত দিতে ১২ জনের আবেদন
রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না
বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ১৩
র’কে নিষিদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩ (ভিডিও)
শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি
স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন
আরও সমৃদ্ধশালী হবে নতুন বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা তামিমের
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত
ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ভাড়া আদায়
দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
সেনাবাহিনীতে ২৯ জনকে অনারারি কমিশন প্রদান
নওগাঁয় গ্যাস পাম্পের পাশ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার
এক হালি গোল খেয়ে ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক, বরখাস্ত হচ্ছেন কোচ দোরিভাল
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
জাতীয় জীবনে ২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস: সেনাপ্রধান
মিঠাপুকুরে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব, বিপদে কৃষকরা