বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এমন প্রশ্ন কারা কীভাবে করেন

৬ নভেম্বর থেকে দেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে প্রণীত প্রশ্নপত্র ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন এটি রীতিমতো ধর্মীয় উসকানির শামিল।

ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল ১১ নম্বর প্রশ্নে নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশের অনুচ্ছেদে ধর্মকে সামনাসামনি করে উদ্দীপকে কয়েকটি সংবেদনশীল কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকটি হলো- নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জামি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।

প্রশ্নগুলো হলো- (ক) মীরজাফর কোন দেশ হতে ভারতে আসেন।
(খ) “ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সবই সম্ভব।”-ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের ’নেপাল’ চরিত্রের সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা নাটকে ’মিরজাফর চরিত্রের তুলনা কর।
(ঘ) ‘খাল কেটে কুমির আনা’। প্রবাদটি উদ্দীপক ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক উভয়ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য- উক্তিটির সার্থকতা নিরূপণ কর।

এখানে কয়েকটি বিষয় চলে এসেছে- এক. ধর্মীয় বা যেকোনো সংবেদনশীল বিষয় জাতীয় পরীক্ষা কেন কোনো ধরনের পরীক্ষায়ই দেওয়া যাবে না সেটি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। দুই. বোর্ডের প্রশ্ন যারা করেন তারা কোন মানের সেটিও সামনে এল। সবাই কি বোর্ডের প্রশ্ন করতে পারেন? প্রশ্ন করার দায়িত্ব কারা পাচ্ছেন? তিন. দেশে সৃজনশীল প্রশ্নের এই দশা! সৃজনশীল প্রশ্ন শুরু হয়েছে এক যুগের বেশি সময় হয়েছে অথচ এখনো এই অবস্থা! চার. এটি কিন্তু প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিকের প্রশ্ন নয়, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন। নিশ্চয়ই কোনো কলেজ শিক্ষক এই প্রশ্ন করেছেন। খোদ ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন। যে শিক্ষকই করুন না কেন প্রশ্ন করা সম্পর্কে যে তার কোনো ধারণা নেই সেটি প্রমাণিত হলো। এক বোর্ডের প্রশ্ন অন্য বোর্ডের শিক্ষকরা করেন। দেশের যে প্রান্ত থেকেই করুক না কেন প্রশ্নকর্তার যে প্রশ্ন করা সম্পর্কে ধারণা নেই সেটি স্পষ্ট হলো এবং বোঝা গেল যে, বোর্ড এ ধরনের অনেকের দ্বারাই প্রশ্ন করিয়ে থাকেন যারা প্রশ্ন করার উপযুক্ত নয়।

সবশেষ যেটি বলতে চাই সেটি হচ্ছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করা নিয়ে যে, খুব একটা মাথা ঘামান না সেটি শক্তভাবে প্রমাণিত হলো। এই প্রশ্ন একাধিক প্রশ্নকর্তার মধ্যে থেকে বাছাই করা হয়। তারপর এটি মডারেট করতে হয়। কারুর চোখেই ধরা পড়েনি এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়টি। শিক্ষার অনেক ক্ষেত্রেই যে, উদাসীনতা চলছে সেটি মুখে না শুনে কাজেই প্রমাণিত হচ্ছে বার বার। এ শিক্ষক কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেননি কারণ এ ধরনের প্রশ্ন যে, তার জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে সে সম্পকে তিনি অজ্ঞ। আসলে তিনি কখনোই বোর্ডের প্রশ্ন করেননি। তাকে কেন দেওয়া হলো এই দায়িত্ব?

বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করা বা প্রশ্নের মান নিয়ে যে কতটা ভাবেন তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি। কয়েক বছর আগে এনসিটিবিতে বিভিন্ন কারণে ডাক পেতাম। হয়তো ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক ছিলাম ও শিক্ষা নিয়ে লেখালেখি করি সেই সুবাদে। সেখানে প্রশ্ন করা নিয়েই একটি সেমিনার ছিল। দেশের সব বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা ছিলেন। আমি একটি উদাহরণ দিয়েছিলাম যে, আমি ক্যাডেট কলেজের পর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে থাকাকালীন ইংরেজির প্রশ্নে একটি প্যাসেজ বানিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে প্রশ্ন ছাপতে গিয়ে একটি শব্দ ভুল ছাপা হয়েছিল যা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় আমরা সঠিক করে দিয়েছি। কিন্তু রাজউক কলেজের প্রশ্ন বিধায় সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রশ্ন ভুলসহ সব টেস্ট পেপারে ছাপা হয়েছে।

রাজউক কলেজের চাকরি ছেড়ে আমি তখন ব্র্যাক প্রধান কার্যালয়ে কাজ করি। এরই মধ্যে আট বছর হয়ে গেছে। তখনো দেখতে পাচ্ছিলাম যে, দেশের বিভিন্ন কলেজ সেই প্রশ্নটি একটি শব্দ ভুলসহ আট বছর পর্যন্ত তাদের টেস্ট পরীক্ষাগুলোতে দিয়ে আসছে। তার অর্থ হচ্ছে শিক্ষকরা নিজেরা প্রশ্ন তৈরি করেন না ব্যতিক্রম ছাড়া। একটি ভুল যে আছে সেটিও আট বছরে কারুর চোখে ধরা পড়েনি।

দ্বিতীয় পয়েন্ট ছিল ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে আশি থেকে একশত কিংবা তারও বেশি লেসন থাকে। সেখান থেকে মাত্র ৫ থেকে ৬ লেসন শিক্ষার্থীরা পড়ে, শিক্ষকরাও পড়িয়ে থাকেন, এর বাইরে যান না। যারা আরও নামকরা শিক্ষক (?) অর্থাৎ যাদের প্রাইভেটের খুব নামডাক তারা আরও কম লেসন পড়িয়ে থাকেন। কারণ দুই থেকে তিনটি প্যাসেজ পড়িয়ে পরীক্ষায় কমন ফেলতে পারলে তাদের শিক্ষার্থীর অভাব হয় না। একই প্রশ্ন সব বোর্ডে ঘুরে ঘুরে আসছে। ৫/৬টি লেসনের বাইরে আর কেউ যায় না। তাহলে শিক্ষার্থীরাই বা কী শিখবে আর শিক্ষকই বা কী পড়ান?

আমি প্রস্তাব করলাম যে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা বিষয়টি দেখলে ভালো হয়; যাতে এ ধরনের ট্রাডিশন বন্ধ হয়। তা না হলে শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। উত্তরে কয়েকজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুন্দর করে বলেছিলেন, ‘বোর্ডের প্রশ্নও করেন শিক্ষকরা, প্রশ্ন মডারেটও করেন তারা। সেখানে কী থাকে বা না থাকে তা দেখার বিষয় আমাদের নয়।’ আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, একজন নিয়ন্ত্রক নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিতে হয়তো ইতস্তত করছেন। আর বোর্ডের প্রশ্নে কী করা হয় বা না হয় সেটি দেখার তাদের সময় নেই। আমি বলেছিলাম, এটি বলে দায়িত্ব এড়ানো যাবে না। আপনারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরীক্ষার যেকোনো বিষয় আপনাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে দেখতে হবে, জানতে হবে।’ যাই হোক তার পর থেকে কোনোদিন আর এনসিটিবিতে দাওয়াত পাইনি।

ঢাকা বোর্ডের এই প্রশ্ন সম্পর্কে বিভিন্ন শিক্ষাবিদরা মন্তব্য করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িকতা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলেও প্রশ্নপত্রে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। দেশের বাস্তবিক চিত্রও এমন নয়। ধর্মীয় নানা উৎসবে দলমত নির্বিশেষে এ দেশের মানুষ সবাই অংশ নেয়। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন কাঠামো কেমন হবে- এ ধরনের লিখিত নির্দেশনা এবং প্রশ্নপ্রণেতা ও প্রশ্ন সেটারদের ওরিয়েন্টেশন করানো হয়। এর পরেও অমূলক প্রসঙ্গ টেনে ধর্মীয় উসকানি দেওয়া হয়েছে। এতে করে সমাজে বিদ্বেষ ছড়াতে পারে।

শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মকে সামনাসামনি করা ঠিক হয়নি। মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেশ ত্যাগ করছে সমস্ত তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনো কাম্য নয়।আরও ভালো প্রশ্ন করা যেত। শিক্ষার উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ বাড়ানো। ধর্মে ধর্মে সহিষ্ণুতা বাড়াতে কাজ করা।’ অনেক চিন্তা করে পরীক্ষার প্রশ্ন করা প্রয়োজন বলে অধ্যাপক কায়কোবাদ মনে করেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ কোনো বক্তব্য যেন না থাকে সেজন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নে লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা নিয়ে ওরিয়েন্টেশন করানো হয়। প্রশ্নপ্রত্র দেখার কোনো সুযোগ নেই। কীভাবে এ ধরনের প্রশ্ন করা হলো তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।’

এ প্রসঙ্গে আমার আর একটি ঘটনা মনে পড়েছে। আমি ঘাটইল ক্যান্টমেন্ট কলেজে শিক্ষক থাকাকালীন (১৯৯১-১৯৯২) ভারতে রামমন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। তখন ক্লাসের কিছু শিক্ষাথী হিন্দু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেছিল, ‘স্যার ওরা আমাদের মসজিদ ভেঙে ফেলেছে, এখন আমরা ওদের মাইর শুরু করি?’ আমি বলেছিলাম, কেন? ওরা কী করেছে? বলল যে, ওদের লোকজনই তো আমাদের বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেছে। সেদিন এই বিষয়টি নিয়েই ক্লাস করেছিলাম। প্রথমে বললাম, ওরা তো মসজিদ ভাঙেনি। ওদের কী দোষ? ওদের কয়েকজনের জায়গায় তোমরা বৃহত্তর অংশ নিজেদের কল্পনা কর, তোমাদের ক্লাসমেটরা কলেজে পড়ে যদি তোমাদের নিয়ে এ ধরনের কথা বলতো তখন তোমাদের কেমন লাগত? ওদের ভেতর আর তোমাদের ভেতর তফাৎ কী? ওদের মধ্যে যেসব চাহিদা আছে, তোমাদেরও আছে। পার্থক্য কোথায়? ওরা ওদের পরিবারে জন্ম নিয়ে দেখেছে কালচারাল কিছু বিষয়। সেগুলোর সঙ্গে ওদের পরিচিতি ও ভালোবাসার সম্পর্ক হয়ে যায় যেমনটি তোমাদের পরিবারেরর কালচারেও ঘটেছে। তাহলে ওরা কীভাবে তোমাদের বিরোধী? কিছু উগ্র ধর্মবাদীরা এ কাজ করে থাকে। তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করছ মানুষের মতো মানুষ হতে, সহমর্মিতা শিখতে তা না হলে তো কলেজে আসার দরকার ছিল না। তুমি আমি যদি তোমার পরিবারে জন্ম না নিয়ে এমন একটি পরিবারে জন্ম নিতে যেখানকার অভিভাবকরা রবিবার চার্চে যাচ্ছেন, তখন তুমি-আমি তো তাই শিখতাম, তাই করতাম। এজন্য কি তুমি বা আমি দায়ী?

কাজেই এগুলো নিয়ে বিভেদ ও ভাঙন সৃষ্টি যাতে না হয় শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে এটিও একটি বড় উদ্দেশ্য। আশা করি অনেকে শিক্ষার্থীরা সেদিন কিছুটা হলেও বিষয়টি বুঝেছিল। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হবে মানুষকে ভালোবাসা, তার ধর্ম, বর্ণ বা ভাষা দেখে বিভেদ সৃষ্টি করা নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষকসহ সবাইকে প্রকৃত মানবতার চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক: সাবেক শিক্ষক, ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ।

এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত

ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোম বা মঙ্গলবার (৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে ৩০ মার্চ সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বুধবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতের তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়, ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। সকাল ৯টায় এ জামাত হবে। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন।

এ পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না

ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে ভূগর্ভস্থ তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান লাইন স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে সাময়িকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিকুঞ্জ-১, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত এলাকা, কনকর্ড সিটি (নদীর পাড় পর্যন্ত), নামাপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশপাশের কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।

সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

আটক মো. সবুজ হোসেন মুন্না। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে আড়াই মন গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মানিকিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জনৈক মো. মিনাজুল এর বাড়ি থেকে মাদকের চালানটি আটক করা হয়েছে বলে জানান যশোর র‌্যাব-৬ কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহম্মদ রাসেল।

আটক মো. সবুজ হোসেন মুন্না (২৯) বেনাপোলের মানিকিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মিনাজুল এর ছেলে।

মোহম্মদ রাসেল বলেন, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মানিকিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জনৈক মো. মিনাজুল এর বাড়িতে মাদকদ্রব্য গাঁজা বেচাবিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে' গোপন এমন সংবাদে র‌্যাব এর একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে সবুজ হোসেন মুন্নাকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পাশের পাঁকা রান্নাঘরের ভেতর টিনের ড্রামে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় মোট ৯৬ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে এই কর্মকর্তা জানান।

র‌্যাব দাবি করছেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিলেন।

আটক মুন্নাকে মাদক আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত
রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না
বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ১৩
র’কে নিষিদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩ (ভিডিও)
শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি
স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন
আরও সমৃদ্ধশালী হবে নতুন বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা তামিমের
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত
ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ভাড়া আদায়
দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
সেনাবাহিনীতে ২৯ জনকে অনারারি কমিশন প্রদান
নওগাঁয় গ্যাস পাম্পের পাশ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার
এক হালি গোল খেয়ে ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক, বরখাস্ত হচ্ছেন কোচ দোরিভাল
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
জাতীয় জীবনে ২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস: সেনাপ্রধান
মিঠাপুকুরে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব, বিপদে কৃষকরা
যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা টোল আদায়