শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দূষণ রোধে জনসংযোগ ও জনঅংশগ্রহণে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

পরিবেশ বিষয়ে আমরা যত বড় ভুক্তভোগী পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে আমরা ততটাই উদাসীন। আমাদের আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অনেক রকম প্রতিশ্রুতিসহ অনেক বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আইনের প্রয়োগ ও গণসচেতনতা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ অথবা প্রতিরোধ গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের ততটাই অনীহা দেখা যায়। সেটি বায়ুদূষণ হোক, জলদূষণ হোক, বর্জ্যের মাধ্যমে নদী খাল জলাধার ভরাট করা হোক, উন্মুক্ত অবস্থায় সমস্ত নির্মাণ কার্যক্রম হোক কোনো বিষয়েই আমরা কোনো দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দেখাতে পারিনি।

এসব কার্যক্রমের ক্ষেত্রে চরম অনীহা আমাদের চরম দুরাবস্থার কারণ, একইসঙ্গে চরম মাত্রায় দূষণের দিকে ফেলে দিয়েছে। যদি ব্যাপারটি এমন হতো যে, এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং সেটির কারণে আমরা ভুগছি, তাহলে এতটা আফসোস হয়ত থাকত না। বিষয় হচ্ছে, যেগুলি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেগুলিতে আমাদের দুর্বলতা, অকার্যক্রম আইন প্রয়োগ, দুর্বল সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা এবং নির্বোধের মতোই অনেকক্ষেত্রেই আমাদের অনীহা। পুরো বিষয়টির একটি বড় ফাঁক হলো, জনসচেতনতা ও জনঅংশগ্রহণে বিনিয়োগ না করা। সরকার বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে এগুলি করতে চায়। জনবিমুখ ও জনবিচ্ছিন্ন সংগঠনগুলো কোনো কাজেই আসে না। এ বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও জনবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে সরকার বিমুখ। সবকিছু মিলিয়ে এটি একটি আত্মঘাতী প্রচেষ্টা। এর পরিণতি ৩২ থেকে ৩৬ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ হতে পারে। এর মধ্যে মৃত্যুগুলো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে হয়। এই মৃত্যুর ক্ষেত্রে নারী মৃত্যু, শিশু মৃত্যু এবং কর্মক্ষম মানুষের অক্ষম হয়ে যাওয়া এগুলো কিন্তু ধনী মানুষের হচ্ছে না। তারা চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। ফলে তারাও এই পুরো বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ততটাই অমনোযোগী।

আমি মনে করি, রাজনৈতিকভাবে এটি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। পরিবেশ রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা তৈরি করবে বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই। সত্যিকার অর্থেই জনমানুষ, জনসংযোগ একইসঙ্গে জনদুর্ভোগ মোকাবিলায় আর কোনো পথ আছে বলে আমার জানা নেই। পুরো বিষয়টিই রাজনৈতিক কঠোর সদিচ্ছা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। আমরা জানি পদক্ষেপগুলো সমীক্ষানির্ভর, তাই একধরনের মূল্যায়ন জরুরি। সেই মূল্যায়নের জন্য সরকারের ইঞ্জিনগুলোও কার্যকর নয়। এমনকি আইনগতভাবেও সক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী আইনি কাঠামোর উন্নয়ন সংস্কারের চেষ্টা হিসেবে উদ্যোগ নিয়েও তিনি সেই আইনটি পাস করতে পারেনি।

একইরকমভাবে নদী কমিশন তৈরি করেও তাদের ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে রাখা হয়েছে। তারা শুধু সুপারিশ করতে পারে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না। এই ধরনের কাঠামো দিয়ে অর্থাৎ এই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি দিয়ে আমরা মনে করি না ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। অতএব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বুলি আওড়ানোর দিন শেষ। কাজেই পদক্ষেপনির্ভর সমীক্ষার মধ্য দিয়েই তাদের এগোনো আমাদের কাছে প্রত্যাশিত। অর্থাৎ আইনি কাঠামো সুদৃঢ়করণ, স্থানীয় সরকার যেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার অধীনে ব্যাপক কাঠামো বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি আইন সরকারের আওতাধীন আছে। নদী কমিশনের বিষয়ে আমাদের অনেকদিনের আশা যে, শুধুমাত্র সুপারিশ নয়, উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই বিষয়গুলি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে যত্নশীল হলেই কেবল বিরাট একটি উত্তরণের পথ দেখা যেতে পারে।

লেখক: নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি।

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক