শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উচ্চশিক্ষা, বেকারত্ব, মানসিক সমস্যা ও আত্মহত্যা

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালনকে সামনে রেখে আঁচল ফাউন্ডেশন ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অ্যাকাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা শীর্ষক এক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত এক হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থীর উপর সমীক্ষা চালানো হয়। এদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ৪৩.৯ শতাংশ ও নারী শিক্ষার্থী ৫৬.১ শতাংশ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বিবেচনায় জরিয়ে মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৬৭.৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের, ২৩.৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ২.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মানসিক ঝুঁকি বাড়ছে এবং আত্মহত্যার প্রবণাতও খুব বেড়েছে। ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মন খারাপ হওয়া হঠাৎ ক্লান্তি আসাসহ বিভিন্ন কারণে ভুগছেন। মোবাইল ল্যাপটপ ব্যবহারের আসক্তি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছ ৭০ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপর। অতিরিক্ত ঘুম ও নিন্দ্রাহীনতায় ভুগছেন ৭১ দশমিক ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর অভিমত তারা হঠাৎ চুপচাপ হয়ে গেছেন বা নিজেকে গুটিছে নিয়েছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর আত্মহত্যার উপকরণ যোগাড় করেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন ৫ শতাংশ।

করোনা মহামারির কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি। দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করোনা-পরবর্তী সময়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আগের তুলনায় ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় মনোযোগ কমে গেছে। শিক্ষার্থীদের ৭৫ শতাংশের বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, যাদের অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার মতো চরমতম পথ, যেটি উদ্বেগজনক একটি বিষয়।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা-সংক্রান্ত সমস্যা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। এতে দেখা যায়, ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর করোনার আগের তুলনায় পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১০ শতাংশের বেশি ঘন ঘন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। সেমিস্টারের সময়ের চেয়ে পাঠ্যক্রমের আধিক্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী বড় কোর্স শেষ করার ফলে তা বোধগম্যের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া কোভিড মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেশনজট ও পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে হতাশাকে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন এ সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক চাপেও পড়াশুনায় অনীহা তৈরি, অভিভাবকদের চাপ, কোভিডে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনকে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

‘করোনা পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একাডেমিক চাপের প্রভাব ও তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শিরোনামের ওই সমীক্ষার প্রতিবেদন তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল ওহাব। জরিপে মানসিক সুস্থতা বিষয়ক বেশ কয়েকটি নিয়ামক নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে উত্তরে আসে কিছু ‘উদ্বেগজনক’ তথ্য। মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে, কোভিড মহামারির পরবর্তী সময়ে তাদের নিজস্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগে তারা জর্জরিত। পাশাপাশি দৈনন্দিন আচার-আচরণ ও ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে শিক্ষার্থীদের জীবনে। মন খারাপ হওয়া, হঠাৎ ক্লান্তিসহ নানা বিষয় শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলেছে ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থীর। আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে আরও দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৬০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেয়াদের সেশনজটে আটকে পড়েছেন। এতে দেশের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ন্যূনতম এক বছর শিক্ষাজীবনে পিছিয়ে পড়েছেন। শেষে শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নের জন্য আঁচল ফাইন্ডেশন বেশকিছু পরামর্শের কথাও উল্লেখ করে।

মানুষের মধ্যে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশেরও বেশি উদ্বেগ ও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারির আগে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক আটজনের মধ্যে একজন মানসিক ব্যাধি নিয়ে বসবাস করছিলেন। একই সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপলব্ধ পরিষেবা, দক্ষতা, তহবিলের স্বল্পতা ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বব্যাপী প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। ভঙ্গুর মানসিক স্বাস্থ্যেই মূলত আত্মহত্যার জন্য দায়ী। মানসিক স্বাস্থ্যে ভাল থাকলে একজন মানুষ আত্মহত্যার দিকে পা বাড়ায় না। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যের ইনস্টিটিউটের এক জরিপ অনুযায়ী দেশে দুই কোটিরও বেশি মানুষ বিভিন্ন মানসিক রোগে ভুগছেন। শতাংশ হিসেবে এটি ১৬.৮। জরিপ মতে বর্তমানে দেশে ১৬.৫ কোটির বেশি মানুষের জন্য ২৭০ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন। আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য আছেন ২৫০ জন সাইকোলজিস্ট যা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে অন্যান্য কারণের সঙ্গে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, পড়াশোনার চাপ, সেশনজট, অভিমান ইত্যাদি রয়েছে। গুরুতর কোনো মানসিক রোগ না থাকা সত্ত্বেও পরিকল্পনা বা দীর্ঘমেয়াদি আত্মহত্যার চিন্তা ছাড়াই কোনো সংকেট বা মানসিক চাপে হঠাৎ করেই ঝোঁকের বশে অনেকে আত্মহত্যা করে বা করার চেষ্টা চালায়। মানসিক চাপ, যেকোনো প্রত্যাখ্যান বা কোনো দুর্ঘটনায় খাপ খাইয়ে নেওয়ার দক্ষতার অভাবে এমনটি ঘটতে পারে। দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আসায় ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাশেষে চাকরি পাওয়ার দুশ্চিন্তাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। করোনায় স্বাস্থ্যগত ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দুনিয়াজুড়ে যে আর্থিকক্ষতির কারণ ঘটেছে তা অতুলনীয়। দেশের শিক্ষা বিভিন্ন কারণে দিন দিন রুগ্নদশায় পরিণত হচ্ছে। করোনার পরবর্তী ধাক্কা, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, সর্বোপরি শিক্ষাব্যবস্থাপনা পুরোপুরি শিক্ষাবান্ধব নয়, আর তা করার জন্য দৃশ্যমান ও কার্যত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না— যতটা না মুখে শোনা যাচ্ছে।

এতদিন নতুন কারিকুলাম নিয়ে বেশ তোড়জোর শোনা যাচ্ছিল, ইদানিং যেন একটু থিতিয়ে পড়েছে। মহা সমারোহে বলা হলো যে, বর্তমানের যুগের উপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের মাধ্যমে শিখবে এবং শিক্ষার্থীরা একবিংশ শতাব্দী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমর্থ অর্জন করবে, দেশপ্রেমিক হবে। এ যুগের শিক্ষার্থীরা কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যে, দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করা দরকার সেগুলো ক্লাসরুম থেকে নেওয়ার জন্য বসে নেই। তারা দিনরাত অনলাইনে যুক্ত থেকে এগুলো শিখে নিচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় দরকার গবেষণা, দরকার বিশ্বায়নের শিক্ষা সেটির যে হাল তা দেখলে রীতিমতো অবাক হতে হয়। এখনো সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লাঠিয়াল বাহিনীর দখলে, এ নিয়ে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞানচর্চায় ও গবেষণায় নিয়ে আসা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক পরিবেশের প্রভাব সামাজিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো সমাজেরই অংশ। সামাজিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অশিক্ষা ও কুশিক্ষার বহিঃপ্রকাশ শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনের উপর গিয়ে পড়ছে।

আমাদের তরুণ সমাজের হতাশার সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে দেশে চাকরির বাজারের সংকোচন। এ সব তরুণদের উদ্যোক্তা বানানোর কথা শোনা গেলেও বাস্তব তার বিপরীত। কেউ কেউ নিজ প্রচেষ্টায় ‘আউটসোর্সিং মার্কেটে ঢুকেছে তাও এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ বিসিএস পরীক্ষামুখী। এ নিয়ে অনেক সমালোচনাও হচ্ছে কারণ টেকনিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী যাদের উপার্জন ভালই করার কথা, যারা দেশকে অন্যভাবে সেবা দিতে পারতেন তারাও ছুটছে বিসিএসের পেছনে। বিসিএসে না হলে আবার হতাশা। হতাশা যেন কাটছেই না। জনসংখ্যার লাগামহীন উর্ধ্বগতির একটা স্তরে এসে বাংলাদেশ একটা সুবিধাজনক স্তরে প্রবেশ করেছিল, সেটি হচ্ছে তরুণ সমাজ এখন সবচেয়ে বেশি। জনশুমারি ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৯ শতাংশ তরুণ, ২৮ শতাংশ শিশু এবং মোট কর্মক্ষম মানুষ হচ্ছে ৬৫.৫১ শতাংশ। এই সংখ্যা আমাদের শক্তি হতে পারত কিন্তু তা না হয়ে দিন দিন দুশ্চিন্তাগ্রস্ততার মধ্যে পড়েছে দেশ। এই হতাশা তরুণ থেকে মধ্যবয়সী সবার মধ্যে। সরকার না পারছে জনসংখ্যা সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে। টেকসই উন্নয়নের জন্য জনশক্তির যে উন্নয়ন সেটি আমাদের উন্নয়ন সংজ্ঞাতে সেভাবে নেই।

এখন ধরে নেওয়া হয় যে, চাকরিতে গিয়ে শিখবে। আর এ কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে নজর কম। অনেকের ভাবনা— কোনো রকম একটি কাগজ বা সনদ যোগাড় করতে পারলেই হলো। শিক্ষা দীক্ষা যা কিছু দরকার সবকিছু চাকরিতে ঢুকে করবে। এই চিন্তা হলে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কমে যায়, আর যাচ্ছেও তাই। বেসরকারি চাকরি পেতে হলে, আর পাওয়ার পর টিকে থাকতে হলে বর্তমান যুগের স্কীলগুলো অর্জন করতেই হবে। আর অ্যানালাইটিক্যাল রিজনিং অর্জন করা প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের। পিপল, ইমেজ আর প্রফিট চক্রটি কিন্তু এখন বেসরকারি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানে একটি ব্রান্ডিং। যার অর্থ হচ্ছে একজন দক্ষ কর্মী কিন্তু তার প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড। বাইরে তার পরিচিতিই হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড। আমাদের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সেভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন কিন্তু চাকরিক্ষেত্র নতুন এক বাঁধা— পাবলিক আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা।

চাকরির জন্য যে সফট স্কিল প্রয়োজন সেটি কিন্তু কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই সঠিকভাবে শেখায় না। অনেক শিক্ষার্থীই মেইল করতে পারে না, ইংরেজিতে দুর্বল অর্থাৎ ইংরেজি ব্যবহার করে নিজ সম্পর্কে বলা বা লেখায় অপারগ। মাত্র হাতেগোনা দু’একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরির চেষ্টা করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এদিকে ভ্রক্ষেপ নেই। সেখানে দলাদলি আর লাঠালাঠির সমস্যা মেটাতেই প্রশাসন ব্যস্ত। এতে ভবিষ্যতে যে আরও হতাশা বাড়বে সে বিষয়টিও কেউ ভেবে দেখছেন না।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক এবং সাবেক শিক্ষক, ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবি

আরএ/

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-এর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন—সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার একটি নির্বাচনভিত্তিক নাগরিক সংগঠন, যারা বিগত দুই দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।

সাক্ষাতে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করে। তারা জানান, বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নাগরিকচালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন, যা দেশের সুশীল সমাজের কার্যকর সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনের স্বচ্ছতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভারত দাবি করছে—বাংলাদেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে, এ দেশ আর টিকে নেই। এসব বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই, এটি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জিয়া পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা ও আত্মপরিচয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন। সেই পথেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজও জনগণের দল হিসেবে টিকে আছে। বিএনপি এমন একটি দল, যাকে কোনো ষড়যন্ত্র দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না।

ভারতকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তারা চায় এই দেশ ভারতের অনুগত হয়ে থাকুক। তাই তারা একটি তাবেদার রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছে। শেখ হাসিনার মাধ্যমে তারা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের ছত্রছায়ায় এই সরকার গুম, খুন, দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়ে গেছে। সেই শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করতে ভারত মদত দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন—ভারতকে যা দিয়েছেন, তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। জনগণ এখন সেই কথার অর্থ বুঝতে পেরেছে। দেশের সম্পদ লুটপাট, টাকা পাচার, বিরোধীদের দমন—সবই করা হয়েছে ভারতের আশীর্বাদে। এখন ভারত তাদের সহানুভূতি দেখাচ্ছে, কারণ তারা চায় বাংলাদেশকে নিজেদের প্রভাবাধীন রাখতেই।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরি স্বপন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. শফিকুল ইসলাম।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। আরও বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বিদেশি প্রভাবের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত