সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং জঙ্গিবাদের উত্থানের যোগসূত্রতা

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) বেশ কিছু কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনার মুখ দেখেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে সাত জনই বাংলাদেশের।

স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ জনগণের মনে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এটা যে কোনো স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নয়—সেটি পরিষ্কার উপলব্ধি করা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী সব সময়েই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে—সে কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। আর সেই শক্তি এখন নতুন আঙ্গিকে নতুন কৌশলে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কীভাবে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক উত্তেজনাপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে কীভাবে বহিঃর্বিশ্বে তুলে ধরা যায় সে বিষয়ে ক্রমাগত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্ব পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের মোড়লের ভূমিকায় রয়েছে। নিকট অতীতেও দেশটির বিরুদ্ধে অনেক গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতে সহযোগিতা কিংবা ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও মার্কিন ভূমিকা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের অন্যতম এলিট ফোর্স র‌্যাবের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সিদ্ধান্ত যে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফলাফল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এ বিষয়ে বিশ্লেষণের তাগিদ অনুভব করেই লেখাটি শুরু করলাম।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে বাংলাদেশ এখন জঙ্গি দমনে রোল মডেল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‌্যাব চরমপন্থি, জঙ্গিবাদ, জলদস্যু ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড আসামি গ্রেপ্তারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঈর্ষণীয় ভূমিকা রাখছে র‌্যাব। সরকারের চরম সাহসিকতা এবং দূরদর্শিতায় জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনের ক্ষেত্রে র‌্যাবের ভূমিকা অনন্য। বলা যেতে পারে, র‌্যাব জল, স্থল ও আকাশে অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

একটা সময় ছিল যখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রক্তাক্ত করেছিল চরমপন্থিরা। র‌্যাব সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চরম দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জঙ্গিবাদের বীজ বপন করা হয়েছিল। তারা এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ওই একই গোষ্ঠীর মদদে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলা গোটা দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সে সব পরিস্থিতি এখন দেশে আর নেই। এক্ষেত্রে আমরা বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে র‌্যাবের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করতে পারি নিঃসন্দেহে।

বিভিন্ন সময়ে বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তাদের শক্তি জানান দেওয়ার পরপরই তাদের দমনের লক্ষ্যে মাঠে নামেন র‌্যাব সদস্যরা। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানিসহ শতশত জঙ্গিকে। এ ছাড়া গুলশানের হলিআর্টিসানে জঙ্গি হামলার পর র‌্যাব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করলে আইনের আওতায় আনা সক্ষম হয়। সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযান চালাতে গিয়ে এ পর্যন্ত র‌্যাবের প্রায় ৩০ জনের বেশি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

র‌্যাবের এমন হাজারো সাহসিকতার উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে এই প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্তাব্যক্তির উপর একটি দেশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে গভীরভাবে মূল্যায়নের তাগিদ অনুভব করছি। আমরা জানি, অতি সম্প্রতি ইরানে একটি জঙ্গি সংগঠন মসজিদে হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ জনের বেশি মুসল্লিকে হত্যা করেছে। সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্থানে এমন নানাবিধ জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যম সূত্রে আমাদের চোখে পড়ছে। দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের বিষয়টি সাধারণ মানুষের মাথা থেকে প্রায় চলেই গেছে। কিন্তু আগামী নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিএনপির অগণতান্ত্রিক হুঁশিয়ারি, নির্বাচন কমিশনে জামায়াত নেতাদের দ্বারা গঠিত বিডিপি নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আবেদন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির সরকার উৎখাতের আলটিমেটাম প্রভৃতি মিলিয়ে দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটতে যাচ্ছে। আর এ সব পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যেকোনো সময় জঙ্গিগোষ্ঠীসমূহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আগামী নির্বাচনে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের গভীর ষড়যন্ত্র আমাদের সামনে অনকেটা দৃশ্যমান।

তাত্ত্বিকভাবে আমরা জানি, জঙ্গি সংগঠনগুলো সহিংস তৎপরতার জন্য নির্দিষ্ট সময় ও পরিস্থিতি বেছে নেয়, যা নির্ভর করে কোনো দেশের আভ্যন্তরীণ আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক প্রবণতার উপর। ইতোমধ্যেই জঙ্গিবাদের যে বৈশ্বিক প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি, তা সত্যিই আমাদের শঙ্কিত করে তুলছে।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জঙ্গিরা সাধারণত প্রচারণা ও কর্মী সংগ্রহের মাধ্যমে সংগঠনের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ব্যস্ত থাকে। এই পর্যায়ে নিবেদিত কিছু কর্মী বাছাই করে তাদের মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কথিত ‘জিহাদের’ জন্য প্রস্তুত করা হয়। অতীতের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় মূলত এই অপশক্তি তাদের কার্যক্রমের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করে।

কাজেই এই পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা যায় যে, জঙ্গি নির্মূলে র‌্যাবের কার্যক্রম মানবাধিকার ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ করা কিংবা কোনো রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার সঙ্গে যেমন সম্পৃক্ত তেমনি দেশে নতুন করে জঙ্গি কার্যক্রমের উত্থানের প্রশ্নটিও সামনে চলে আসে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো বড় কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। আগামীতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে পারে। আর সেই পরিস্থিতির সুযোগে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ধরনের রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দোষারোপ, নিষেধাজ্ঞা কোনোটিই স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষণ নয়। কাজেই বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর উপর আন্তর্জাতিক নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা এবং নতুনভাবে তেমন কোনো পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র কিংবা সম্ভাবনা তৈরির সব অপশক্তিতে যথাযথভাবে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দূরদর্শী অবস্থানে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে সবাইকেই।

লেখক: অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু