মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বের ফুসফুস আমাজন

আমাজন একটি রহস্যময় জঙ্গল, সেখানকার জীববৈচিত্র্য ব্যাপক ও বৈচিত্র্যময়। জঙ্গলে রয়েছে ১২৯৪ প্রজাতির পাখি, ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির পোকামাকড় ও ২ হাজার ২০০ প্রজাতির মাছ। এ ছাড়াও প্রায় ৪০ হাজার প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। হরেক জীববৈচিত্র্য এবং হাজার-হাজার প্রজাতির প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন গাছপালার সমাহারের কারণে আমাজানকে বলা হয় ‘মহাবন’। আবার ‘বিশ্বের ফুসফুস’ নামেও আখ্যায়িত করা হয়েছে আমাজনকে। অথচ সেই আমাজন আমাদের চোখের সামনেই নানা দুর্যোগের কবলে পড়ছে।

আমাজনে দফায় দফায় আগুন লাগানো হচ্ছে, দাবানলেও পুড়ছে। ফলে বছরে ২২৮ মেগা টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডল নির্গত হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে ওজোনস্তর রক্ষা করছে আমাজন, অন্যদিকে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে আগুন লাগানোর কারণে। যার জন্য প্রকৃতি দায়ী নয়, অধিকাংশই দায়ী হচ্ছে স্থানীয় লোকজন। বিশেষ করে আমাজনে আগুন লাগানোর জন্য বেশির ভাগই দায়ী হচ্ছে ব্রাজিল। আমাজন জঙ্গলের ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে ৬০ শতাংশ পড়েছে ব্রাজিল সীমানায়, যা সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, ব্রাজিলের এনজিও সংস্থার লোকেরা এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যেখানে দেশটির সরকারের স্বার্থও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ব্রাজিল সরকার তাই সবসময় বিষয়টির ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দাবানলের কারণেই জঙ্গল পুড়ছে। আবার বলা হচ্ছে, কৃষকরা আগুন লাগিয়েছে চাষাবাদ করার জন্য। তারা এনজিওদের বিষয়টি সম্পূর্ণ চেপে যাচ্ছে। তবে বিশ্ব গণমাধ্যম সোচ্চার থাকায় ব্রাজিলের সেই অপচেষ্টা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বারবার।

সর্বশেষ বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২০২০ সালে আগস্ট মাসে। পরিবেশবাদীসংস্থা ‘গ্রিনপিস’ জানিয়েছে, ওই সময় প্রথম ১০ দিনে ১০ হাজার ১৩৬টি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এই অগ্নিকাণ্ড ১৭ শতাংশ বেশি ছিল। এ ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে প্রতিদিনই কমবেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে আমাজন জঙ্গলে, যা অনেক সময় জরিপে আসে না অথবা গণমাধ্যমে প্রচার হয় না। তবে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা যতগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাজনে ঘটেছে, তার সবগুলোর নেপথ্যের কারণ অস্বীকার করছে ব্রাজিল সরকার। ২০১৯ সালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ব্রাজিল সরকারের মিথ্যাচারের চিত্রও তুলে ধরেছিল গণমাধ্যমসস্থা বিবিসি।

বিশ্বের অন্যান্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিবিসি বাংলা ২৭ আগস্ট, ২০১৯ সালের এক গবেষণার উদ্ধৃত দিয়েছে, ‘বন উজাড় করা আর দাবানলের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের খরা থেকে আগুনের সূত্রপাতের তত্ত্বটিকে আবার ভুল হিসেবে ধরে নিতে হবে।’

গবেষণাটিতে আরও উঠে এসেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে এরকম ব্যাপকভাবে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার সাথে খরার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা সামান্যই, যেখানে অন্যান্যবারের চেয়ে এবার খরার তীব্রতা কমও। গবেষণায় আরও উদ্ধৃত করা হয়ছে, ‘সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আগুনের ঘটনা যে দশটি মিউনিসিপ্যালিটিতে হয়েছে, সেখানেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় বন উজাড় করা হয়েছে। ২০১৯ সালের আগুনের ৩৭% ঘটেছে এই দশটি স্থান থেকে, আর ওই বছরের জুলাই পর্যন্ত মোট উজাড় করা বনের ৪৩% ঘটেছে এ সব এলাকাতে। নতুন করে বৃক্ষহীন হওয়া ও কিছুটা খরায় ভুগতে থাকা এলাকায় দাবানলের ব্যাপকতা আগুনের চরিত্রের একটি বিষয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে। সেটা হল কোন এলাকা বৃক্ষহীন করে ফেললে সেটা নতুন ওই এলাকাকে জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করে।’ গবেষকরা তিনটি আলাদা সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের বন উজাড় করার তথ্য এবং বছরের শুরু থেকে আগস্টের ১৪ তারিখ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া দাবানলগুলোর তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে গবেষণাটিতে।

গবেষণাতে দাবি করা হয়, ‘২০১৯ সালে আমাজনে যে পরিমাণ আগুনের ঘটনা ঘটেছে তা শুধু শুষ্ক মৌসুমের কারণে নয়। অধিকাংশ রাজ্যেই আগুনের ঘটনা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঘটেছে। আগস্টের ১৪ তারিখ পর্যন্ত আগুনের ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭২৮টি, যা একই সময়ে গত তিন বছরের গড়ের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি।’

মূলত যারা বা যে দেশ এ ধরনের নাশকতা ঘটাচ্ছে, তারা জঙ্গলে আগুন লাগানোর ক্ষয়-ক্ষতির বিষয় নিয়ে মোটেও ভাবেননি। ভাবেননি এতে মানবজাতির কতটা সর্বনাশ করছেন তারা সে সবও! কতটা চরম হুমকির মুখে ফেলছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যকে সেটাও মাথায় নেননি। মাথায় নেননি বন্যপ্রাণীরা আবাসস্থল হারাচ্ছে, আর বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ, পোকামাকড়, অণুজীব পুড়ে ছারখার হচ্ছে, সে সবও মাথায় নেননি।

বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে বোধকরি তারা সজ্ঞানে আগুন লাগিয়ে এমন ধ্বংসাত্মক কাণ্ড ঘটানোর সাহস পেতেন না। অবাককরা তথ্য হচ্ছে, আমাজন বনের গাছপালা থেকেই সমগ্র বিশ্বের ২০ শতাংশ অক্সিজেনের চাহিদা মিটছে! অথচ উক্ত অঞ্চলের লোকজন তার কদর করছেন না, বরং পুড়িয়ে ছারখার করছেন। কতটা নির্দয় হলে মানুষ এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি কথা বলতে হচ্ছে, আগুন শুধু প্রাকৃতিক জঙ্গলে লাগানো হচ্ছে না— অনেকে নিজস্ব মালিকানাধীন জঙ্গলে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে থাকেন, যা বাংলাদেশেও ঘটছে। বাংলাদেশে সাধারণত তিনটি কারণে আগুন লাগানো হচ্ছে। প্রথমত: নাশকতা। দ্বিতীয়: আর্থিক সাশ্রয় ও সময়ের তাগিদ। তৃতীয়: দুর্গম দুর্ভেদ্যতার কারণ। বিশেষ করে বাংলাদেশের জুম চাষিরা এ কাজ বেশি করছেন। মাঝে মধ্যে দুর্বৃত্তরাও ঝোপ-জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।

যারা নিজের মালিকানাধীন জঙ্গলে আগুন লাগাচ্ছেন তাদের ধারণা এতে অন্যের ক্ষতির কারণ কোথায়! আসলে যে ওই ব্যক্তি নিজেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছেন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে, তা তিনি অবগত নন বিধায় এ সব ভাবছেন। সেই বিষয়টিও আসলে অনেকের অজানা, তাই আমাদের উচিত এ ব্যাপারে সবাইকে বিশদভাবে জানানো। জানানো উচিত, এটি একটি অনুচিত ও গর্হিত কাজ। বিষয়টি লোকের দ্বারে দ্বারে গিয়ে জানানো সম্ভব নয় বিধায় প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার। বিশেষ করে বাংলাদেশের জুমচাষিদের আগুন লাগানোর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, যাতে বন-পাহাড়ে আগুন লাগানো থেকে বিরত থাকেন তারা। তাতে যেমন সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, তেমনি রক্ষা পাবে জীববৈচিত্র্যও। সর্বোপরি পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর কাছে আমাদের দাবি এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার। যাতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সরকার তথা প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

আরএ/

Header Ad
Header Ad

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত নজিরবিহীন বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে সিলেট, কক্সবাজার ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কথিত ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে পুলিশ প্রধানের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই নির্দেশনা প্রচার করা হয়। আইজিপি জানান, “আমাদের হাতে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ এরই মধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।”

তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা দেয় না, তবে সেই প্রতিবাদের আড়ালে কেউ যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটায়, তা কখনোই বরদাশত করা হবে না।

এদিকে চলমান বিদেশি বিনিয়োগ সম্মেলনের সময় এসব হামলাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে তুলে ধরার সময় এই ধরনের সহিংসতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর অনেকগুলোতেই দেশি বিনিয়োগকারী রয়েছেন, আবার কিছু রয়েছে বিদেশি। তারা এখানে বিশ্বাস করে কাজ করছেন এবং তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন। যারা এসব প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে, তারা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার শত্রু।”

এর আগে প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় ‘ইসরায়েলি পণ্য’ বিক্রির অভিযোগ তুলে বাটা, কেএফসি, পিজ্জা হাটসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচিত হয়।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির
সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত