রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাজারদর তদারকি জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কি বাস্তবায়ন হবে?

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্যপণ্যের বাজারদর বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের শাসন ব্যবস্থায় এখন সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্ঠিগোছর ছাড়া হয় না। যদিও প্রশাসনিক কর্মবণ্টন ব্যবস্থায় সবকিছু উল্লেখ আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের জন্য অপেক্ষা। করোনা, ইউত্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাজারব্যবস্থা টালমাটাল।

বাংলাদেশে সবকিছু বিশ্ব বাজারের উপর নির্ভরশীল না হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিস্থিকেও আমাদের ব্যবসায়ীরা সে পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ফলে নিত্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুনে পুড়তেই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান উপকরণ চালের বাজার দীর্ঘ সময় ধরেই অস্থির। দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় বহুল ব্যবহৃত আরেক খাদ্যপণ্য আটার একই অবস্থা। অধিকন্তু এ দুটি খাদ্যেপণ্যের দাম কোনোভাবেই কমছে না। বরং উল্টো বেড়েই চলেছে। ফলে প্রান্তিক ও সাধারণ আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। খাদ্য পণ্যের অস্থির মূল্য ঠেকাতে মানুষকে আহার কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে একবেলা খেয়ে চলছে। তারপরও স্বস্তির খবর হলো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার নিজে খাদ্য আমদানি করেছে, বেসরকারিভাবে আমদানির অনুমতি প্রদান করায় খাদ্য মজুতও যথেষ্ট পরিমাণে আছে ফলে কোনো ঘাটতি হওয়ার কথা নয়; তবু চাল কিনতে সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংকটের নেপথ্যে উৎপাদন ও মজুত নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঠিক তথ্যের ঘাটতি। হয়তো বাড়তি পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে অথবা বাজারে সিন্ডিকেট করে এই অস্থিরতা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে।

করোনা লকডাউন পরবর্তী সময় থেকে আমাদের ব্যবসায়ীরা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, বিশেষ করে জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়ানো শুরু করেন। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও আর্ন্তজাতিক বাজারে যুদ্ধের কারণে সবগুলো নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির অজুহাত। আর এ অজুহাতে আরেক দফা দাম বাড়ানো শুরু হয়। সর্বশেষ পর্যায়ে ডলারের দামবৃদ্ধি এবং দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দাম আরেক দফা বাড়ানো শুরু করেন। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে চাল, সয়াবিন ও গম কী পরিমান আমদানি করা হয় তার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না দিলেও দোহাই দেবার সময় ওটাই সমানে আনেন। আবার লকডাউন পরবর্তী সময়ের জাহাজ ভাড়া এখন অর্ধেকে নেমে আসলেও পণ্যের দাম কমানোর পরিবর্তে নতুন অজুহাতে আরও বাড়ছে। ডলারের দাম ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ১০ টাকার সাবান ১৫ টাকায়, ৫০ টাকার ডিটারজেন্ট পাউডার ১০০ টাকায় বাড়িয়ে দেওয়া কতটুকু যুক্তিসংগত তার সুনির্দিষ্ট জবাব কসমেটিক উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের গণশুনানিতে দিতে ব্যর্থ হলেও দাম বাড়াতে দেশি-বিদেশি সবগুলো কোম্পানি প্রতিযোগিতা করে দাম বাড়াতে ব্যস্ত। আবার সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের দামও দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা সুযোগকে হাতছাড়া করতে চান না। কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের সময় ঢাকায় ১০ টাকার মোমবাতি ঘণ্টার মধ্যেই ৩০-৫০ টাকায় ঠেকেছিল। বিদ্যুত সংকটের কথা শুনে ২০০ টাকার এনার্জি বাল্ব এখন ৫ শত-৬ শত টাকায়। ১৫ শত টাকার চার্জার ফ্যান ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও বাজারে নিত্যপণ্যের অস্থিরতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। তবে এ দুই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। গবেষণা সংস্থা সিপিডি ইতোপূর্বে বলছে, মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় চাপে পড়েছে গরিব মানুষ আর এ অবস্থায় তাই নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করাই বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়। গত এক যুগের মধ্যে পুরো বিশ্বই এখন সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির সামনে আছে। আর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে প্রধানত করোনা মহামারির প্রভাব, ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, পরিবহন খরচ, ডলারের বিনিময় হার ব্যাপক বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। আর এসবের ব্যাপক প্রভাবে গরম হয়ে গেছে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার। বিষয়টি আচ করবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রি ও খোলা বাজারে চাল বিক্রির ট্রাকের সামনে দাড়ালেই অনুমেয়। সবশ্রেণি পেশার মানুষ র্দীঘলাইন দিয়ে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য ও দেশে অভ্যন্তরীণ উৎসে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে পণ্য ব্যবহার কমিয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের ব্যবহার কমিয়েছেন। ফলে প্রান্তিক ও সাধারণ আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবনজীবিকা নির্বাহ করা দিনদিন কঠিন হয়ে উঠছে। খাদ্যপণ্যের অস্থির মূল্য ঠেকাতে মানুষকে আহার কাটছাঁট করতে হচ্ছে। অনেকে একবেলা খেয়ে চলছে। যা পুষ্ঠিহীনতাসহ কর্মক্ষমতা হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্য পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় রাখতে চেষ্টা চালানোর কথা বলেছেন। আসন্ন ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান দেশবাসীকে সঞ্চয়ী মানসিকতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। অতি স্বল্প সময়ে ফল পাওয়া যাবে এবং অধিক প্রয়োজন রয়েছে-এমন কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করার কথা বলেছেন। ২০২৩ সাল বিশ্বের জন্য ‘সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ একটা বছর; হতে পারে মন্তব্য করে ওই সময়ে দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন। সেই কথাটা মাথায় রেখে আমাদেরকে এখন থেকেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং খাদ্য সংরক্ষণের কী ব্যবস্থা করা যেতে পারে বা প্রক্রিয়াজাত করা যেতে পারে সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

নিত্যপণ্যের বাজার দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ এবং একে সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। আমরা বিশ্বাস করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসনগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না, সরকারের প্রধান শক্তি জনগণ। সরকারের যেকোনো উদ্যোগ জনগণকে সম্পৃক্ত করেই গ্রহণ করা হয়। জনগণ ভালো থাকলে সরকারও ভালো থাকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা ভালোভাবেই জানেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নসহ সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাজারে অস্থিরতার তাৎক্ষণিক সমাধান হয়তো মিলবে। তবে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য সংকট এবং বাজার কারসাজি সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন দেশীয় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো। পাশাপাশি সংকট সামাল দিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এখন খুবই দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাল, আটা, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র এককভাবে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বৃদ্ধি দায়ী নয়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সংকটময় পরিস্থিতিকে পুঁজি করে অতি মুনাফালাভের মনোবৃত্তির কারণে তারা নিজেরা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে বাজার অস্থির করছেন। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ অতি মুনাফার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তবে অতিমুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অজানা কারণে সম্ভব না হওয়ায় নিত্যপণ্য নিয়ে এই অস্থিরতা প্রলম্বিত হচ্ছে মাসের পর মাস। আর চক্রাকারে সবগুলো খাদ্যপণ্যে এ অশুভ চর্চাটির সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে। ফলে দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে হাপিত্যেশ থাকলেও সমাধানের পথে কেউ হাটছে না। তবে পণ্যমূল্য যাতে সাধারণ ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে তার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে টিসিবির মাধ্যমে বর্তমান চলমান ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় চাল, আলু ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলে কৃষক ও ভোক্তারা অনেক বেশি উপকৃত হতেন। একইসঙ্গে টিসিবির আওতায় বিক্রি হওয়া খাদ্যপণ্য সংগ্রেহে স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করার নীতির পরিবর্তে আর্ন্তজাতিক উৎস থেকে সরকার টু সরকার পর্যায়ে সংগ্রহ করার নীতি চালু করা দরকার।সরকারকে জেলা প্রশাসন, খাদ্য, কৃষি, প্রাণিসম্পাদ ও ভোক্তা অধিদপ্তরের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদার, উৎস স্থল, মিলমালিক ও উৎপাদক পর্যায়ে বাজার তদারকি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজারসংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদের সমঅংশগ্রহণ ও মর্যদা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা সরকারের অন্যান্য নির্দেশনার মতো রুটিন নির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা না করে অীত জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারভাবে বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালনে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তাহলেই বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা ও খাদ্য ঘাটতির মতো কঠিন বাস্তবতা থেকে আমরা রেহাই পাব।

লেখক: এস এম নাজের হোসাইন, ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ই-মেইল: cabbd.nazer@gmail.com

 

Header Ad
Header Ad

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  

ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাসব্যাপীর কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করার সময় সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাবেশ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানাতে পারেননি ওসি।

টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘোরাও করে রাখে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, ঘটনার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা ধরে রাখে। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।

Header Ad
Header Ad

সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় ২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর তারা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিল করতে করতে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। তবে রাত ১১টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।

এরআগে, সন্ধ্যা ৬টায় তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের এমন মন্তব্যে ঘিরে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, অবরোধ ছাড়ার ফলে এরইমধ্যে যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

যশোর ৪৯ বিজিবির আওতাধীন একাধিক সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিয়ার ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পৃথক পৃথক সীমান্তে অভিযান চালিয়ে উক্ত মাদক ও অন্যান্য পন্য আটক করা হয়েছে।

যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান,নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোরের বর্নি, ধান্যখোলা, কাশিপুর আমড়াখালী এবং বেনাপোল বিওপি'র সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিয়ার কম্বল, শাড়ি থ্রী-পিচ, চকলেট, ফুচকা, কিসমিস, তৈরী পোষাক এবং কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করা হয়।

আটক মালামাল বেনাপোল কাস্টমসে এবং মাদক দ্রব্যথানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  
সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  
যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক
জুলাই আহতদের আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বৃদ্ধকে গণপিটুনি    
জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ    
বিএনপির পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠানো অযৌক্তিক : তথ্য উপদেষ্টা  
প্রেস সচিবের পর শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেন উপদেষ্টা আসিফ  
বছরের প্রথম মাসেই এলো সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স    
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি শুরুর দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
বিখ্যাত লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভিন আইসিইউতে
খাল খননের উদ্বোধনে লাল গালিচা! ব্যাখ্যা দিল সিটি করপোরেশন  
আবারও বাড়লো এলপি গ্যাসের দাম    
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা  
তিতুমীরকে নয় রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত : শিক্ষা উপদেষ্টা  
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও ইনকিলাব মঞ্চের
চার দাবিতে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কুবি শিক্ষার্থীদের
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন : টাঙ্গাইলে ৮টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
যে কারণে বিসিবি নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন হান্নান সরকার
নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা ছিল না:নির্বাচন কমিশনার