বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাজারদর তদারকি জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কি বাস্তবায়ন হবে?

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্যপণ্যের বাজারদর বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের শাসন ব্যবস্থায় এখন সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্ঠিগোছর ছাড়া হয় না। যদিও প্রশাসনিক কর্মবণ্টন ব্যবস্থায় সবকিছু উল্লেখ আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের জন্য অপেক্ষা। করোনা, ইউত্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাজারব্যবস্থা টালমাটাল।

বাংলাদেশে সবকিছু বিশ্ব বাজারের উপর নির্ভরশীল না হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিস্থিকেও আমাদের ব্যবসায়ীরা সে পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ফলে নিত্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুনে পুড়তেই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান উপকরণ চালের বাজার দীর্ঘ সময় ধরেই অস্থির। দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় বহুল ব্যবহৃত আরেক খাদ্যপণ্য আটার একই অবস্থা। অধিকন্তু এ দুটি খাদ্যেপণ্যের দাম কোনোভাবেই কমছে না। বরং উল্টো বেড়েই চলেছে। ফলে প্রান্তিক ও সাধারণ আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। খাদ্য পণ্যের অস্থির মূল্য ঠেকাতে মানুষকে আহার কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে একবেলা খেয়ে চলছে। তারপরও স্বস্তির খবর হলো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার নিজে খাদ্য আমদানি করেছে, বেসরকারিভাবে আমদানির অনুমতি প্রদান করায় খাদ্য মজুতও যথেষ্ট পরিমাণে আছে ফলে কোনো ঘাটতি হওয়ার কথা নয়; তবু চাল কিনতে সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংকটের নেপথ্যে উৎপাদন ও মজুত নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঠিক তথ্যের ঘাটতি। হয়তো বাড়তি পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে অথবা বাজারে সিন্ডিকেট করে এই অস্থিরতা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে।

করোনা লকডাউন পরবর্তী সময় থেকে আমাদের ব্যবসায়ীরা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, বিশেষ করে জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়ানো শুরু করেন। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও আর্ন্তজাতিক বাজারে যুদ্ধের কারণে সবগুলো নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির অজুহাত। আর এ অজুহাতে আরেক দফা দাম বাড়ানো শুরু হয়। সর্বশেষ পর্যায়ে ডলারের দামবৃদ্ধি এবং দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দাম আরেক দফা বাড়ানো শুরু করেন। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে চাল, সয়াবিন ও গম কী পরিমান আমদানি করা হয় তার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না দিলেও দোহাই দেবার সময় ওটাই সমানে আনেন। আবার লকডাউন পরবর্তী সময়ের জাহাজ ভাড়া এখন অর্ধেকে নেমে আসলেও পণ্যের দাম কমানোর পরিবর্তে নতুন অজুহাতে আরও বাড়ছে। ডলারের দাম ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ১০ টাকার সাবান ১৫ টাকায়, ৫০ টাকার ডিটারজেন্ট পাউডার ১০০ টাকায় বাড়িয়ে দেওয়া কতটুকু যুক্তিসংগত তার সুনির্দিষ্ট জবাব কসমেটিক উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের গণশুনানিতে দিতে ব্যর্থ হলেও দাম বাড়াতে দেশি-বিদেশি সবগুলো কোম্পানি প্রতিযোগিতা করে দাম বাড়াতে ব্যস্ত। আবার সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের দামও দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা সুযোগকে হাতছাড়া করতে চান না। কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের সময় ঢাকায় ১০ টাকার মোমবাতি ঘণ্টার মধ্যেই ৩০-৫০ টাকায় ঠেকেছিল। বিদ্যুত সংকটের কথা শুনে ২০০ টাকার এনার্জি বাল্ব এখন ৫ শত-৬ শত টাকায়। ১৫ শত টাকার চার্জার ফ্যান ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও বাজারে নিত্যপণ্যের অস্থিরতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। তবে এ দুই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। গবেষণা সংস্থা সিপিডি ইতোপূর্বে বলছে, মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় চাপে পড়েছে গরিব মানুষ আর এ অবস্থায় তাই নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করাই বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়। গত এক যুগের মধ্যে পুরো বিশ্বই এখন সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির সামনে আছে। আর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে প্রধানত করোনা মহামারির প্রভাব, ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, পরিবহন খরচ, ডলারের বিনিময় হার ব্যাপক বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। আর এসবের ব্যাপক প্রভাবে গরম হয়ে গেছে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার। বিষয়টি আচ করবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রি ও খোলা বাজারে চাল বিক্রির ট্রাকের সামনে দাড়ালেই অনুমেয়। সবশ্রেণি পেশার মানুষ র্দীঘলাইন দিয়ে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য ও দেশে অভ্যন্তরীণ উৎসে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে পণ্য ব্যবহার কমিয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের ব্যবহার কমিয়েছেন। ফলে প্রান্তিক ও সাধারণ আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবনজীবিকা নির্বাহ করা দিনদিন কঠিন হয়ে উঠছে। খাদ্যপণ্যের অস্থির মূল্য ঠেকাতে মানুষকে আহার কাটছাঁট করতে হচ্ছে। অনেকে একবেলা খেয়ে চলছে। যা পুষ্ঠিহীনতাসহ কর্মক্ষমতা হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্য পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় রাখতে চেষ্টা চালানোর কথা বলেছেন। আসন্ন ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান দেশবাসীকে সঞ্চয়ী মানসিকতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। অতি স্বল্প সময়ে ফল পাওয়া যাবে এবং অধিক প্রয়োজন রয়েছে-এমন কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করার কথা বলেছেন। ২০২৩ সাল বিশ্বের জন্য ‘সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ একটা বছর; হতে পারে মন্তব্য করে ওই সময়ে দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন। সেই কথাটা মাথায় রেখে আমাদেরকে এখন থেকেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং খাদ্য সংরক্ষণের কী ব্যবস্থা করা যেতে পারে বা প্রক্রিয়াজাত করা যেতে পারে সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

নিত্যপণ্যের বাজার দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ এবং একে সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। আমরা বিশ্বাস করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসনগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না, সরকারের প্রধান শক্তি জনগণ। সরকারের যেকোনো উদ্যোগ জনগণকে সম্পৃক্ত করেই গ্রহণ করা হয়। জনগণ ভালো থাকলে সরকারও ভালো থাকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা ভালোভাবেই জানেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নসহ সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাজারে অস্থিরতার তাৎক্ষণিক সমাধান হয়তো মিলবে। তবে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য সংকট এবং বাজার কারসাজি সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন দেশীয় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো। পাশাপাশি সংকট সামাল দিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এখন খুবই দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাল, আটা, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র এককভাবে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বৃদ্ধি দায়ী নয়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সংকটময় পরিস্থিতিকে পুঁজি করে অতি মুনাফালাভের মনোবৃত্তির কারণে তারা নিজেরা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে বাজার অস্থির করছেন। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ অতি মুনাফার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তবে অতিমুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অজানা কারণে সম্ভব না হওয়ায় নিত্যপণ্য নিয়ে এই অস্থিরতা প্রলম্বিত হচ্ছে মাসের পর মাস। আর চক্রাকারে সবগুলো খাদ্যপণ্যে এ অশুভ চর্চাটির সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে। ফলে দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে হাপিত্যেশ থাকলেও সমাধানের পথে কেউ হাটছে না। তবে পণ্যমূল্য যাতে সাধারণ ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে তার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে টিসিবির মাধ্যমে বর্তমান চলমান ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় চাল, আলু ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলে কৃষক ও ভোক্তারা অনেক বেশি উপকৃত হতেন। একইসঙ্গে টিসিবির আওতায় বিক্রি হওয়া খাদ্যপণ্য সংগ্রেহে স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করার নীতির পরিবর্তে আর্ন্তজাতিক উৎস থেকে সরকার টু সরকার পর্যায়ে সংগ্রহ করার নীতি চালু করা দরকার।সরকারকে জেলা প্রশাসন, খাদ্য, কৃষি, প্রাণিসম্পাদ ও ভোক্তা অধিদপ্তরের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদার, উৎস স্থল, মিলমালিক ও উৎপাদক পর্যায়ে বাজার তদারকি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজারসংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদের সমঅংশগ্রহণ ও মর্যদা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা সরকারের অন্যান্য নির্দেশনার মতো রুটিন নির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা না করে অীত জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারভাবে বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালনে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তাহলেই বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা ও খাদ্য ঘাটতির মতো কঠিন বাস্তবতা থেকে আমরা রেহাই পাব।

লেখক: এস এম নাজের হোসাইন, ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ই-মেইল: cabbd.nazer@gmail.com

 

Header Ad
Header Ad

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. তৌফিক হাসান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গতকাল বুধবার শাহবাগ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছেন মোস্তফা আসিফ– এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। হেনস্তার শিকার ওই শিক্ষার্থী প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে তিনি ও তার বন্ধু পায়ে হেঁটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে মোস্তফা আসিফ বাদীর সামনে এসে তিনি পর্দা করেননি কেন বলে প্রশ্ন করেন। তার ওড়না ঠিক নেই কেন বলাসহ আরও কুরুচিপূণ কথা বলে তাকে যৌনপীড়ন করেন। ওই ছাত্রী তখন প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যান।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি। কর্মশালাটি ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, "নাগরিক সমাজের প্রতি আমার অনুরোধ, পুলিশকে আপনারা আবার কাছে টেনে নিন। পুলিশকে আইন প্রয়োগে সহায়তা করুন। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে, পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এটি আবেগের বিষয়। হয়তো অতীতের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়, যখন পুলিশ অন্যায়ভাবে জনগণের ওপর আক্রমণ চালাতো, অন্যায় আচরণ করতো এবং গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।"

পুলিশকে আবার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে বাহারুল আলম বলেন, "৫ আগস্টের পর আমরা চেষ্টা করছি, যারা পুলিশের অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় এনে ও অপসারণের মাধ্যমে বাহিনীকে আবার স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনার। পুলিশকে কর্মক্ষম ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করা এখন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।"

আইজিপি আরও বলেন, "স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। এক হাজার শহীদ ও কয়েক সহস্র আহত ছাত্র-জনতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ৫ আগস্টের আগে ১৫ বছর আমরা কীভাবে অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি।"

তিনি বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের মামলাগুলো সঠিক তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় এবং মানুষ যদি ন্যায়বিচার না পায়, তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। এ জন্য বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।"

কর্মশালায় রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীসহ আট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় জামিন পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ গ্রহণের মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ আদেশ দেন।

মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবাহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০০৭ সালে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার অপার আসামিরা হলেন: তারেক রহমানের তৎকালীন এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, কাজী সালিমুল হক কামাল, আহমেদ আকবর সোবহান, সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান ও আবু সুফিয়ান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন
পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি
২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় জামিন পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, ছেঁড়া হলো ভারতের পতাকা!
ভাষানটেকে বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাষ্ট্র নাকি ব্যবসায়ী কার শক্তি বেশি দেখতে চান চট্টগ্রামের ডিসি
আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: ড. ইউনূস
জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ভারতের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৫৬ বাংলাদেশি জেলে
রোজাদারের জন্য যেসব কাজ মাকরুহ
রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন
সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার  
৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন  
বসুন্ধরা এলাকায় হামলা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম  
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  
প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  
সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন