সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জ্বালানি সংকট বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

সারা পৃথিবীতে কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যে স্থবিরতা ছিল, সেটি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে আরেকটি বড় ধরনের চাপের সৃষ্টি হয়েছে।

যেহেতু ডলারের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি, ফলে আমাদের কারেন্সি ডেপ্রিসিয়েট করতে হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। রপ্তানি থেকে যে আয় হচ্ছে সেটিও কিছুটা বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে পণ্যটি আগে ১০ ডলার দিয়ে কেনা হত সেটি টাকায় ৮৫০ টাকা। এখন সেটির মূল্য হয়ে গেছে ১০০০ টাকার উপরে। কাজেই সেই একই জিনিস এখন আমদানি করতে খরচ হচ্ছে ১০০০ টাকার উপরে। আগে যে জিনিসটি আপনি ৮৫০ টাকায় কিনতে পারতেন, এখন সেটি কিনতে খরচ হচ্ছে ১০০০ টাকার বেশি। যেহেতু ডলারের মূল্যমান ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বেড়ে গেছে কাজেই এখানেও আমরা মূল্যস্ফীতি দেখতে পাচ্ছি।

আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কোভিডের পরবর্তী সময়ে দুনিয়া জুড়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার না হতেই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সাপ্লাই চেইন যেটিকে বলা হয়, অর্থাৎ যে পণ্যগুলো সেখান থেকে আসত, সেগুলো আসতে পারছে না। এই যে সাপ্লাই চেইন নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে আমরা যে সংকটের মধ্যে আছি, সেটি মন্দার দিকেও যেতে পারে এবং বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া সেটিও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ বলতে হবে।

বাংলাদেশের কয়েকটি ইতিবাচক দিক আছে যেটি নিঃসন্দেহে ভাল। যেমন— একটি হলো খাদ্যশস্য, যা আমরা নিজেরাই উৎপাদন করি। চাল আমাদের আমদানি করতে হয় কিছু, তবে খাদ্যে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যায়। সেটি নিশ্চয়ই একটি ভাল দিক। অর্থনৈতিক সংকট বলতে আমরা কিছুটা চাপের মধ্যে আছি। তবে আমি সেটিকে ঠিক ভারসাম্যহীনতা বলতে চাই না। তবে আমাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। আমরা যে চাপের মধ্যে আছি, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের ভয় আছে বলে আমি মনে করছি না। আমরা যেহেতু প্রধান খাদ্যদ্রব্য নিজেরা উৎপাদন করছি।

আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জ্বালানি সংকট। আমাদের জ্বালানি সাপ্লাইয়ে সমস্যা হচ্ছে। খরচও বেশি হচ্ছে। জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। ফলে পরিবহন, শিল্প কারখানার উৎপাদন ইত্যাদির খরচ কিন্তু বেড়ে গেছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহেও আমরা সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। সেটিও আসছে জ্বালানি তেল থেকেই। সব মিলিয়েই আমাদের যে সংকট সেই সংকটের জায়গাটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আছে। সাধারণ মানুষ যেহেতু মূল্যস্ফীতির একটি চাপের মুখে আছে, জ্বালানি সংকট সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপ আরও বৃদ্ধি করতে পারে। যে কারণে আমাদের দ্রুত জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করা উচিত। সেটি মোকাবিলা করতে হলে আমাদের তেলের সরবরাহ ঠিক করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে ব্যবহারে মনযোগ দিতে হবে।

আমাদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি কেন হচ্ছে না এই প্রশ্ন আসছে। আমাদের মনে রাখতে হবে কোভিডের পরে মানুষজন ব্যাপকহারে বাইরে যেতে পারছে না। সেটি মাত্র গত ১বছর ধরে যাচ্ছে। তা ছাড়া বিদেশ গিয়েই তো আর মানুষ সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠায় না। তবে সামনে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়বে। সেইটুকু সময় পর্যন্ত অর্থাৎরেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়া পর্যন্ত এখন যে সংকট আমরা মোকাবিলা করছি, সেজন্য আমাদের কিছুটা স্ট্র্যাটেজিক হতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে।

কোভিডের সময় আমরা হোম অফিস করেছি। এই আপদকালীন সময়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন যদি হোম অফিস করা হয়, তাহলে রাস্তাঘাটে জ্বালানির চাহিদা কম হবে। বিভিন্ন ধরনের মিটিংগুলো যেগুলো অনলাইনে করা সম্ভব, সেগুলো অনলাইনে করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত। একটি সেমিনার হলে কত মানুষকে মিটিংয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের স্ট্র্যাটেজিক ইউটিলাইজেশন হতে হবে। আমাদের কৃষি উৎপাদন, শিল্প উৎপাদন যেখানে তেলের সরবরাহ দরকার সেখানে ব্যবহার বাড়াতে হবে।

আগামীতে আমাদের ইকোনোমিক জোনগুলো বাস্তবায়নের দিকে যেতে হবে। আগামীতে যে সময় আসছে, সেক্ষেত্রে ইকোনোমিক জোনগুলোতে কিছুতেই বিদ্যুৎ বন্ধ করা সঠিক হবে না। কাজেই ইকোনোমিক জোনগুলোতে লং টার্মে, মিডিয়াম টার্মে ইকোনোমিক জোনসমূহ বাস্তবায়নে মনযোগ দিতে হবে। যেকোনো অর্থনৈতিক সংকট আমাদের জন্য যেন বিপর্যয় নিয়ে না আসে সেজন্য আমাদের শিল্প উৎপাদন বাড়াতে হবে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ

আরএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু