বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোটের বাদ্য ও ইভিএমের খরচ

আন্দোলনের উত্তাপের মধ্যেই চলছে নির্বাচনের আলোচনা। কেমন হবে নির্বাচন, কেমন দেখতে চাই নির্বাচন আর কেমন হয়েছিল নির্বাচন এই আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা লক্ষ্যনীয়। পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে কোনোকিছুই তো আগের মতো হয় না। ফলে নির্বাচন কেন আগের মতো হবে?

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিরোধীদল ভোট বর্জনের কারণে ভোটের দিনের আগেই সরকার গঠনের উপযোগী আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকার জয়লাভ করেছিল। তাতে আইন রক্ষা হলেও নির্বাচন তার গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ক্ষমতাসীনরাও একে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বলেছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশ নিলেন কিন্তু অভিযোগ উঠল যে ভোটের আগের রাতেই ভোটবাক্স ভর্তি করা হয়েছে।

তাহলে আগামী নির্বাচন কেমন হবে? আগের মতো দৃষ্টিকটু পথে হবে না এটা নিশ্চিত, তাহলে কীভাবে হবে? নির্বাচনের সময় সরকার কেমন থাকবে, প্রশাসন ও পুলিশ কী ভূমিকা পালন করবে, এসব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছাপিয়ে মূল আলোচনা কেন্দ্রীভূত করা হচ্ছে যন্ত্র নিয়ে। যন্ত্রের নাম ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন।

নির্বাচন একটি অতি রাজনৈতিক বিষয়। নির্বাচন নিয়ে সংকটটাও রাজনৈতিক। আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটকে কি কারিগরি পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা হবে? ডিজিটাল সাফল্যের প্রচার করতে করতে সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচনেও কি ডিজিটাল নির্ভরতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে বিরোধী শিবিরসহ অনেকেরই মধ্যে। কিন্তু সংকট যখন রাজনৈতিক তখন কারিগরি কৌশল সংকট মোকাবিলায় কতটা কাজে আসবে? আগের দিন বা রাতে এলাকায় থাকতে পারবে কি না, ভোটদানের কক্ষে কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, কেউ আবার বোতাম টেপায় সহায়তা করবে কি না, ভোট গণনার সময় আবার সাময়িকভাবে গণনা বন্ধ থাকবে কি না ইত্যাদি নানা সন্দেহ ঘুরে বেড়ায় বাতাসে। কিন্তু সে সব বিষয় নিয়ে আশ্বস্ত করার চাইতে ইভিএমে ভোট করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় অবস্থান সন্দেহ জাগায়। এমনিতেই ঘর পোড়া গরু তার উপর আবার ইভিএমের সিঁদুরে মেঘ!

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় ইভিএম নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উৎসাহ নিয়ে সমর্থন জানালেও শুধু বিরোধী দলসমূহ নয়, নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মহলেও যন্ত্রটি নিয়ে ভীষণ আপত্তি রয়েছে। ইভিএম নিয়ে আপত্তির একটা কারণ হলো ইভিএম রিমোট হ্যাকিং করা যায়।

ড. অ্যালেক্স হালডারমেন নামে একজন বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ইভিএমের ওপর গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন, আমেরিকায় ইভিএম টেম্পারপ্রুফ নয়। পরবর্তীকালে এ কারণে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ২২টির বেশি অঙ্গরাজ্যে ইভিএম নিষিদ্ধ। আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে আদালতের নির্দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইভিএম।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৪ সাল থেকে ইভিএম ব্যবহার করছে আর ভারত ব্যবহার শুরু করেছে ১৯৮৪ সালে। এই দুই দেশে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারতে ইভিএম জালিয়াতি জেনে যাওয়ার কারণে খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে। (ইভিএমের কারচুপি জানায় গোপীনাথ ও গৌরী খুন? ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, প্রথম আলো)।

নির্বাচনী পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা, পৃথিবীর ৯০ শতাংশ দেশে ইভিএম পদ্ধতি নেই। ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ড ই-ভোটিং পরিত্যাগ করেছে। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে জার্মানির ফেডারেল কোর্ট ইভিএমকে অসাংবিধানিক ঘোষণা দেয়। ২০০৯ সালে ফিনল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট তিনটি মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের ফলাফল অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। উন্নত দেশ, আধুনিক যন্ত্র এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ভালোভাবে ব্যবহার করা সত্ত্বেও মূলত, ইভিএম নিয়ে বিতর্ক ও নানাবিধ জটিলতার কারণে এই দেশগুলো ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে গেছে। ইভিএম নিয়ে ইউরোপের দেশসমূহের একাধিক পর্যবেক্ষণের কারণেই তারা ইভিএমে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন না। ফলে আমাদের দেশে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতার মধ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এর ফলে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা এবং ইভিএম কেনার জন্য টাকা বরাদ্দের তৎপরতা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়া, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া, বিশ্বব্যাপী নানা সংকটের কথা বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যখন ব্যয় সংকোচনের কথা বলা হচ্ছে, যখন আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে, তখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানালেন, আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য মাত্র ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা দিয়ে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হবে। তাদের হিসাবে মেশিন-প্রতি দাম পড়বে মাত্র ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫০ টাকা। এত দাম আর পেপার অডিট ট্রেইল থাকবে কি না এই সন্দেহ সত্ত্বেও এ যেন টানাটানির সংসারে গাড়ি কেনার পরিকল্পনার মতো।

এর মধ্যেই খবর বের হলো, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, অর্থাৎ ২০১৮ সালে ইসি ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা দিয়ে যে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল (যার প্রতিটির দাম পড়েছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা) তার ২৮ হাজারই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। বিকল ইভিএমগুলোর ‘ওয়ারেন্টি ডেট’ থাকলেও সেগুলো বিনা খরচে মেরামত করে কাজে লাগানো যাবে কি না তা পরিষ্কার জানা যায়নি এখনো।

এখন ছোট বেলায় শেখা পাটিগণিত অনুযায়ী একটু হিসেব করে দেখা যাক। নতুন ইভিএম কিনতে খরচ হবে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা‍‍‍, আগের ইভিএম কিনতে খরচ হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। তাহলে ইভিএম কেনা বাবদ খরচ দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। ১ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫১ জন। ৩০০ আসনে এই পরিমাণ ভোটার হলে ১৫০ আসনে তার অর্ধেক হবে। ১৫০ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার। তাহলে ইভিএম যন্ত্র বাবদ এই ১৫০ আসনে প্রত্যেক ভোটারের পেছনে খরচ কত হবে, দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনে ভোটারপিছু শুধু ইভিএম কেনা বাবদ খরচ হবে ২ হাজার ২১৪ টাকা। এর বাইরে পরিচালনা ব্যয় তো আছেই। এই বিপুল ব্যয় করে বাড়তি হিসেবে আমরা পাব আপত্তি, অসন্তোষ আর আশঙ্কা।

গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত জবাবদিহি আর প্রধান সংকট আস্থাহীনতা। যন্ত্রের চাইতেও জনগণের মনের সংশয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই সংশয় দূর করাটাই নির্বাচনের আগে প্রধান কাজ।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

 

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪