সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভোটের বাদ্য ও ইভিএমের খরচ

আন্দোলনের উত্তাপের মধ্যেই চলছে নির্বাচনের আলোচনা। কেমন হবে নির্বাচন, কেমন দেখতে চাই নির্বাচন আর কেমন হয়েছিল নির্বাচন এই আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা লক্ষ্যনীয়। পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে কোনোকিছুই তো আগের মতো হয় না। ফলে নির্বাচন কেন আগের মতো হবে?

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিরোধীদল ভোট বর্জনের কারণে ভোটের দিনের আগেই সরকার গঠনের উপযোগী আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকার জয়লাভ করেছিল। তাতে আইন রক্ষা হলেও নির্বাচন তার গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ক্ষমতাসীনরাও একে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বলেছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশ নিলেন কিন্তু অভিযোগ উঠল যে ভোটের আগের রাতেই ভোটবাক্স ভর্তি করা হয়েছে।

তাহলে আগামী নির্বাচন কেমন হবে? আগের মতো দৃষ্টিকটু পথে হবে না এটা নিশ্চিত, তাহলে কীভাবে হবে? নির্বাচনের সময় সরকার কেমন থাকবে, প্রশাসন ও পুলিশ কী ভূমিকা পালন করবে, এসব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছাপিয়ে মূল আলোচনা কেন্দ্রীভূত করা হচ্ছে যন্ত্র নিয়ে। যন্ত্রের নাম ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন।

নির্বাচন একটি অতি রাজনৈতিক বিষয়। নির্বাচন নিয়ে সংকটটাও রাজনৈতিক। আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটকে কি কারিগরি পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা হবে? ডিজিটাল সাফল্যের প্রচার করতে করতে সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচনেও কি ডিজিটাল নির্ভরতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে বিরোধী শিবিরসহ অনেকেরই মধ্যে। কিন্তু সংকট যখন রাজনৈতিক তখন কারিগরি কৌশল সংকট মোকাবিলায় কতটা কাজে আসবে? আগের দিন বা রাতে এলাকায় থাকতে পারবে কি না, ভোটদানের কক্ষে কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, কেউ আবার বোতাম টেপায় সহায়তা করবে কি না, ভোট গণনার সময় আবার সাময়িকভাবে গণনা বন্ধ থাকবে কি না ইত্যাদি নানা সন্দেহ ঘুরে বেড়ায় বাতাসে। কিন্তু সে সব বিষয় নিয়ে আশ্বস্ত করার চাইতে ইভিএমে ভোট করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় অবস্থান সন্দেহ জাগায়। এমনিতেই ঘর পোড়া গরু তার উপর আবার ইভিএমের সিঁদুরে মেঘ!

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় ইভিএম নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উৎসাহ নিয়ে সমর্থন জানালেও শুধু বিরোধী দলসমূহ নয়, নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মহলেও যন্ত্রটি নিয়ে ভীষণ আপত্তি রয়েছে। ইভিএম নিয়ে আপত্তির একটা কারণ হলো ইভিএম রিমোট হ্যাকিং করা যায়।

ড. অ্যালেক্স হালডারমেন নামে একজন বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ইভিএমের ওপর গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন, আমেরিকায় ইভিএম টেম্পারপ্রুফ নয়। পরবর্তীকালে এ কারণে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ২২টির বেশি অঙ্গরাজ্যে ইভিএম নিষিদ্ধ। আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে আদালতের নির্দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইভিএম।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৪ সাল থেকে ইভিএম ব্যবহার করছে আর ভারত ব্যবহার শুরু করেছে ১৯৮৪ সালে। এই দুই দেশে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারতে ইভিএম জালিয়াতি জেনে যাওয়ার কারণে খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে। (ইভিএমের কারচুপি জানায় গোপীনাথ ও গৌরী খুন? ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, প্রথম আলো)।

নির্বাচনী পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা, পৃথিবীর ৯০ শতাংশ দেশে ইভিএম পদ্ধতি নেই। ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ড ই-ভোটিং পরিত্যাগ করেছে। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে জার্মানির ফেডারেল কোর্ট ইভিএমকে অসাংবিধানিক ঘোষণা দেয়। ২০০৯ সালে ফিনল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট তিনটি মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের ফলাফল অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। উন্নত দেশ, আধুনিক যন্ত্র এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ভালোভাবে ব্যবহার করা সত্ত্বেও মূলত, ইভিএম নিয়ে বিতর্ক ও নানাবিধ জটিলতার কারণে এই দেশগুলো ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে গেছে। ইভিএম নিয়ে ইউরোপের দেশসমূহের একাধিক পর্যবেক্ষণের কারণেই তারা ইভিএমে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন না। ফলে আমাদের দেশে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতার মধ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এর ফলে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা এবং ইভিএম কেনার জন্য টাকা বরাদ্দের তৎপরতা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়া, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া, বিশ্বব্যাপী নানা সংকটের কথা বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যখন ব্যয় সংকোচনের কথা বলা হচ্ছে, যখন আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে, তখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানালেন, আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য মাত্র ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা দিয়ে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হবে। তাদের হিসাবে মেশিন-প্রতি দাম পড়বে মাত্র ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫০ টাকা। এত দাম আর পেপার অডিট ট্রেইল থাকবে কি না এই সন্দেহ সত্ত্বেও এ যেন টানাটানির সংসারে গাড়ি কেনার পরিকল্পনার মতো।

এর মধ্যেই খবর বের হলো, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, অর্থাৎ ২০১৮ সালে ইসি ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা দিয়ে যে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল (যার প্রতিটির দাম পড়েছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা) তার ২৮ হাজারই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। বিকল ইভিএমগুলোর ‘ওয়ারেন্টি ডেট’ থাকলেও সেগুলো বিনা খরচে মেরামত করে কাজে লাগানো যাবে কি না তা পরিষ্কার জানা যায়নি এখনো।

এখন ছোট বেলায় শেখা পাটিগণিত অনুযায়ী একটু হিসেব করে দেখা যাক। নতুন ইভিএম কিনতে খরচ হবে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা‍‍‍, আগের ইভিএম কিনতে খরচ হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। তাহলে ইভিএম কেনা বাবদ খরচ দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। ১ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫১ জন। ৩০০ আসনে এই পরিমাণ ভোটার হলে ১৫০ আসনে তার অর্ধেক হবে। ১৫০ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার। তাহলে ইভিএম যন্ত্র বাবদ এই ১৫০ আসনে প্রত্যেক ভোটারের পেছনে খরচ কত হবে, দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনে ভোটারপিছু শুধু ইভিএম কেনা বাবদ খরচ হবে ২ হাজার ২১৪ টাকা। এর বাইরে পরিচালনা ব্যয় তো আছেই। এই বিপুল ব্যয় করে বাড়তি হিসেবে আমরা পাব আপত্তি, অসন্তোষ আর আশঙ্কা।

গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত জবাবদিহি আর প্রধান সংকট আস্থাহীনতা। যন্ত্রের চাইতেও জনগণের মনের সংশয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই সংশয় দূর করাটাই নির্বাচনের আগে প্রধান কাজ।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু