শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশ্বে নারীদের তুলনায় পুরুষের আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ

আত্মহত্যা একটি পুরোনো সমস্যা। সুপ্রাচীনকাল থেকেই কিছু মানুষ আত্মহননের মাধ্যমে তাদের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যাকে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (আইএএসপি) এবং বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একযোগে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে আসছে। দিবসটি বিভিন্ন দেশের সরকার, বিভিন্ন সংস্থা ও জনগণের মধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়, আত্মহত্যাজনিত কলঙ্ক কমায় এবং আত্মহত্যা যে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এমন বার্তা দেয়।

২০২১-২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসের ত্রিবার্ষিক থিম হলো- "কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি কর" (Creating hope through action)। এ থিম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আত্মহত্যার একটি বিকল্প রয়েছে এবং আমাদের সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করার এবং আলোর ধারায় অনুপ্রাণিত করার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, আত্মহত্যাজনিত প্রতিটি মৃত্যুই একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ যা আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির পরিবার ও তার আশেপাশের লোকদের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায়, জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে, আত্মহত্যাকেন্দ্রিক কলঙ্ক কমিয়ে, এবং সুচিন্তিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, আমরা বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার ঘটনা কমাতে পারি।

আইএএসপি এর এক তথ্যগ্রাফি দেখায় যে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭ লাখ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি। অর্ধেকেরও বেশি (৫৮%) মানুষ ৫০ বছর বয়সের আগে আত্মহত্যা করে থাকে। বিশ্বের সব অঞ্চলেই আত্মহত্যা সংঘঠিত হয়, তবে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার তিন চতুর্থাংশ (৭৭%), নিন্ম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটেছে।

অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় প্রায় ৮ লাখ মানুষ। দিন প্রতি এ হার ২ হাজার ১৯১ জন। প্রতি লাখে প্রায় ১৬ জন। বিগত ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি বছরই এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। কাজেই আত্মহত্যা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

গত কয়েক বছরের তথ্য থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৬ সালে, দেশে ৯ হাজারেরও কম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এ সংখ্যা যথাক্রমে ১০ হাজার ও ১১ হাজারের বেশি ছিল। করোনা মহামারিকালে অর্থাৎ ২০২০ সালে সারা দেশে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। সুতরাং আত্মহত্যার ঘটনা যে বাড়ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আত্মহত্যার প্রবণতার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে রয়েছে নারী, পুরুষ, শিশু ও সব বয়সের মানুষ। বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীদের আত্মহত্যার হার বেশি। এই পরিসংখ্যানের বাইরে, আরও অনেক আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে যা আমাদের অজানা রয়ে গেছে। গত এক দশকে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে দেশে আত্মহত্যার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

এ বছর (২০২২) জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে বেসরকারি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাতে দেখানো হয়েছে, গত বছর (২০২১) করোনা মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০১টি। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে যা ৬১.৩৯ শতাংশ বা ৬২ জন।
এ ছাড়াও অতি সম্প্রতি দুই নারী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা দেশব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এভাবে প্রতিদিনই দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতার কারণগুলো বিভিন্নভাবে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। মনোবিজ্ঞানীরা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিষণ্ণতা ও মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন,
অন্যদিকে, সমাজবিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে সামাজিক কারণগুলো হতাশা ও মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী। সুতরাং, সামাজিক কারণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যা সংঘটনের জন্য দায়ী।

সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত তার ‘সুইসাইড’ গ্রন্থে আত্মহত্যার জৈবিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোর যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক কারণগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার মতে আত্মহত্যা একটি সামাজিক ঘটনা। তিনি মূলত সামাজিক সংহতি ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে আত্মহত্যাকে সম্পর্কিত করে দেখার চেষ্টা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ডুর্খেইম বলেন, যারা সমাজের সঙ্গে অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত তারা আত্মহত্যা করে। আবার যারা সমাজ থেকে অতিমাত্রায় বিচ্ছিন্ন তারাও আত্মহত্যা করে। এই গ্রন্থে তিনি নিম্নে বর্ণিত মোট চার ধরনের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেমন, আত্মকেন্দ্রিক আত্মহত্যা; পরার্থপর আত্মহত্যা; নৈরাজ্যমূলক আত্মহত্যা ও নিয়তবাদী আত্মহত্যা। তবে অনেক সমাজবিজ্ঞানী ডুর্খেইমের মতবাদকে সমালোচনা করে প্রত্যাখান করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আত্মহত্যার চিন্তা জটিল এবং যেসব কারণ আত্মহত্যার দিকে পরিচালিত করে তা আরও জটিল ও বহুমাত্রিক। কোনো একক কারণ সবার জন্য সমানভাবে কাজ করে না। আমরা যা জানি তা হলো, কিছু নির্দিষ্ট কারণ ও জীবনের ঘটনা আছে যা কাউকে আত্মহত্যার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন উদ্বেগ ও বিষণ্নতাও এক্ষেত্রে অবদান রাখে।

যারা আত্মহত্যা করে তারা তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং তাদের আশেপাশের লোকদের সঙ্গে প্রবল সংহতিবোধ করতে পারে। আবার তারা নিজেদের অন্যদের কাছে বোঝাও মনে করতে পারে। সুতরাং উভয় ক্ষেত্রেই কারোর জন্য আত্মহত্যার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এইভাবে তারা মনে করে যে আত্মহত্যা ছাড়া তাদের কোনো বিকল্প নেই। কভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষের জন্য বিচ্ছিন্নতা ও দুর্বলতার অনুভূতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে যা অনেকের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাকে তীব্র করে তুলেছে।

আত্মহত্যা মহাপাপ। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। পৃথিবীর সব ধর্মে ও নৈতিকতায় আত্মহত্যার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। তাহলে মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়? আত্মহত্যা নির্মূল বা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আইন, বিধি ও নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। যদি আমরা আত্মহত্যার পেছনের গল্পটি দেখি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যে চিত্রটি মনে আসে তা হলো- যৌতুক, বেকারত্ব, পারিবারিক কলহ, প্ররোচনা, চাপ, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্য, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীনতা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ইত্যাদি।

এসব কারণে অনেকেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নেয়। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে পরিত্রাণের জন্য, সাইকোথেরাপি, ইতিবাচক মনোভাব, সহানুভূতি, বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা, কথা বলার ও আবেগ ভাগাভাগি করার পরিবেশ তৈরি করা এবং আত্ম-সমালোচনা অপরিহার্য। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আরও বেশি করে সমন্বিত প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুয়ায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্ম নিশ্চয়তা প্রদান। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেইসঙ্গে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান বিশেষত কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই বিষয়ের পরিসংখ্যান এবং তার ফলাফল যথেষ্ট ভীতিকর। কভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে আমরা যতখানি আতঙ্কিত, আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণ করা অসংখ্য মানুষকে নিয়ে কিন্তু আমরা ততটা চিন্তিত নই।

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যদি তাদের শেখাতে পারি যে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেনো, সেটা জীবনেরই অংশ এবং আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে তাদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে। ফলশ্রুতিতে এই শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবমুখী কিছু জ্ঞান যেমন- আর্থিক ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি আত্মহত্যা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আইএএসপি যেমন বলেছে আত্মহত্যা রোধ করা প্রায়শই সম্ভব এবং এর প্রতিরোধে আমি, আপনি সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। কারো জীবনের কঠিনতম সময়ে আমাদের কর্মের মাধ্যমে―সমাজের সদস্য হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে বা প্রতিবেশী হিসেবে অবদান রাখতে পারি। যারা আত্মঘাতী হবার মতো সংকটে ভুগছেন বা যারা কারো আত্মহত্যায় শোকাহত তাদের সহায়তায় আমরা সবাই ভূমিকা রাখতে পারি। তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি- সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ জীবনের জন্য যা অপরিহার্য। অন্যথায় এ মৃত্যুর মিছিল থামানো সম্ভব হবেনা বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

এসএন

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তান অনন্যা বাঙ্গার নিজের লিঙ্গ রূপান্তরের অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটজীবনে মুখোমুখি হওয়া নানা হয়রানিমূলক ঘটনার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একসময় ‘আরিয়ান’ নামে পরিচিত অনন্যা বর্তমানে নারী পরিচয়ে পরিচিত এবং একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন।

সম্প্রতি লল্লনটপ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই জানতাম আমি একজন মেয়ে। আট-নয় বছর বয়সে মায়ের পোশাক পরতাম এবং আয়নার সামনে নিজেকে মেয়ের মতো কল্পনা করতাম।”

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

অনন্যা জানান, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কিছু খেলোয়াড় তার পাশে দাঁড়ালেও অনেকের কাছ থেকে পেয়েছেন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “আমাকে একাধিক ক্রিকেটার নগ্ন ছবি পাঠিয়েছে। কেউ কেউ সামনে অপমান করলেও পরে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছে, এমনকি যৌন প্রস্তাবও দিয়েছে।”

একজন প্রবীণ ক্রিকেটারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি তাকে আমার পরিস্থিতি বোঝাতে গেলে সে বলে, ‘চলো গাড়িতে যাই, আমি তোমার সঙ্গে ঘুমাতে চাই।’”

ভারতের ইসলাম জিমখানা এবং যুক্তরাজ্যের হিংকলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলা বাঁহাতি ব্যাটার অনন্যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে বাধা আসে ২০২৩ সালের নভেম্বরে। তখন আইসিসি ঘোষণা করে, ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের নারী ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে অনন্যা লেখেন, “আমি কেবল খেলতে চেয়েছিলাম, নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। পরিচয়ের কারণে আজ আমি নিষিদ্ধ।”

বর্তমানে অনন্যা যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাস করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ১০ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: স্টোর অফিসার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: হিসাবরক্ষক।
পদসংখ্যা: ২৫টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ২৭টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৪টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: উচ্চমান সহকারী।
পদসংখ্যা: ৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৩০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: হিসাব সহকারী/হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার।
পদসংখ্যা: ৩৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।
পদসংখ্যা: ২০টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: স্টোরকিপার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।
পদসংখ্যা: ২টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ৬ মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় বাজারে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাঠেরপাড় বাজারে এসেছে প্রথমেই মালেক স্টোরে আগুন দেখতে পান তারা। মুহূর্তের মধ্যেই মার্কেটের ৫টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সেইসাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে ৫টি দোকানের ফ্রিজ, টিভি, মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসময় সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো মালেকের মুদি দোকান, সাইদুলের মালামাল রাখার গোডাউন, মজনু স্টোর, জাহিদ ফার্মেসি, শহীদ স্টোর এবং মনজুর চা দোকানের আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে।

মালেক স্টোরের দোকানি আব্দুল মালেক বলেন, প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘুমে থাকা অবস্থায় শুনতে পাই আমার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডর আবু মোত্তালেব বলেন, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান ভোরের আকাশকে বলেন, বল্লমঝাড় মাঠেরপাড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, এটি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে টিন বিতরণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?