রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ | ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাহসের গল্প: দাসত্বের প্রতিরোধ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য

ইউনেস্কোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর ২৩ আগস্ট দাস বাণিজ্য এবং এর বিলোপের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ‘দাস বাণিজ্য স্মরণ ও বিলোপ দিবস’ (International Day for the Remembrance of the Slave Trade and its Abolition) পালিত হয়।

দাসপ্রথা মানব ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায়। দাসপ্রথা এখন অনেকের কাছে একটা অদ্ভুত ব্যবস্থা মনে হতে পারে কিন্তু একসময় এটা স্বাভাবিক ছিল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাহসের গল্প: দাসত্বের প্রতিরোধ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য’ (Stories of Courage: Resistance to Slavery and Unity against Racism)।

দাস ধনী লোকদের জন্য আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের ঘরেও মানুষকে দাস হিসেবে রাখা হতো। অবশ্য সবাই এখন দাসপ্রথাকে একটি অমানবিক ব্যবস্থা বলে মনে করে। মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্র সকল মানুষের সমান অধিকারের সমর্থন করে এবং সকল মানুষের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে, যা দাসত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই দিবসটি দাস বাণিজ্য ও এর বিলুপ্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।

দাস ব্যবসা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ১৮ মিলিয়নেরও বেশি আফ্রিকান পুরুষ, মহিলা এবং শিশু ট্রান্সআটলান্টিক দাস ব্যবসার শিকার হয়েছিল। এই সময়ে, লোকদের তাদের স্থানীয় উপজাতিদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সামান্য বা বিনা বেতনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

দাস ছিল তার প্রভুর সম্পত্তি। তিনি ক্রীতদাস ব্যক্তিকে বিনা বেতনে কাজ করাতে পারতেন। সে সময় ঋণ থেকে বাঁচতে অনেকেই দাসত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। একজন ক্রীতদাস ব্যক্তির সন্তানকেও দাস হিসেবে গণ্য করা হতো। যুদ্ধে পরাজিত হয়েও প্রায়শই দাসত্ব গ্রহণ করা হতো। সারাজীবন অমানবিক শ্রম দিয়ে মরতে হয়েছে তাদের। তাদের প্রভু তাদের মুক্তি না দিলে দাসত্বের এই চক্র থেকে মুক্তির কোনো উপায় ছিল না।

দাসদের ক্রয়-বিক্রয়ের বাজার বিকশিত হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী। এই বাজারে আফ্রিকান নিগ্রোদের উচ্চ চাহিদা ছিল। তাদেরকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। ক্রীতদাসদের কৃষি ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করা হতো। এ ছাড়া উচ্চবিত্তরাও তাদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য ক্রীতদাসীকে ব্যবহার করত।

অতীতে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই দাসত্বের প্রচলন ছিল। খ্রিস্টান, ইহুদি এবং ইসলাম তিনটি ধর্মেই দাসপ্রথার উল্লেখ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন সভ্যতায়ও দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। সুমেরীয় ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতায় দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। মিশরীয়দেরও অনেক ক্রীতদাস ছিল, যার মধ্যে ছিল ইহুদি, ইউরোপীয় এবং ইথিওপিয়ান ক্রীতদাস। গ্রীক এবং রোমানরা ক্রীতদাসদেরকে চাকর, সৈনিক এবং সরকারি কাজে ব্যবহার করত।

এটি ছিল একটি অভূতপূর্ব গণ মানব পাচার, অপমানজনক অর্থনৈতিক লেনদেন এবং অকথ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন দ্বারা চিহ্নিত একটি ঘটনা। দাস ব্যবসার ইতিহাস পাঠ করলে এর প্রকৃত বর্বরতা জানা যায়। তথ্য ও পরিসংখ্যান বাদেও এর পেছনে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের বেদনার গল্প। স্বদেশ ও পরিবার থেকে যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন তাদের গল্প। যারা তাদের অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তাদের গল্প। যারা সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে তাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছে তাদের গল্প।

সেই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে কারণ সারা বিশ্বের মানুষ এখন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যা ট্রান্সআটলান্টিক দাস ব্যবসার সবচেয়ে স্থায়ী উত্তরাধিকার। দাস বাণিজ্য ও এর বিলোপের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে এই দিনে শুধু দাসত্বের ভয়াবহতা স্মরণ করা এবং এর শিকারদের সম্মান জানানোর জন্য নয়; এটি আজকের বিশ্বে দাসপ্রথা থেকে সৃষ্ট বর্ণবাদ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলুপ্তি নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছে।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস দিনটিকে চিহ্নিত করার জন্য একটি বার্তা প্রদান করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা ট্রান্সআটলান্টিক দাস বাণিজ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। আজ এমন একটি দিন যা আমরা স্মরণ করি-মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, নজিরবিহীন গণ মানব পাচার, জঘন্য অর্থনৈতিক লেনদেন এবং অকথ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসাবে’।

কিন্তু এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা জানি না তাহলো দাস বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্য এবং পরিসংখ্যানের পিছনে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের গল্প-অব্যক্ত কষ্ট এবং বেদনার গল্প। ছিন্নভিন্ন পরিবার এবং সম্প্রদায়ের গল্প । সেইসঙ্গে অত্যাচারীদের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে বিস্ময়কর সাহস এবং অবাধ্যতার একটি গল্পও। আমরা কখনই জানব না যে প্রতিরোধের প্রতিটি কাজ - বড় বা ছোট - কীভাবে ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে অন্যায়, নিপীড়ণ এবং দাসত্বের উপর জয়লাভ করেছে।

জন্মভূমি এবং সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন লক্ষ লক্ষ আফ্রিকানদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং সর্বত্র বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশ ও রুখে দাঁড়াতে আমাদেরকে একত্রিত হতে হবে। আজ, মানুষ ক্রমাগত জাতিগত বৈষম্য, প্রান্তিকতা এবং বর্জনের সম্মুখীন। ঔপনিবেশিক শাসন, দাসপ্রথা ও শোষণের মূলে থাকা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এখনো সুযোগ ও ন্যায়বিচারের সমতাকে অস্বীকার করে।

আসুন আমরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই এবং একসঙ্গে মর্যাদা, সাম্য ও সংহতির ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলি। দাসপ্রথা সত্যিই একটি খারাপ ব্যবস্থা ছিল। যদিও ইতিহাসের এই অন্ধকার অংশটিকে একটি অন্ধকার কোণে ঠেলে দিতে আমাদেরকে প্রলুব্ধ করে, তবে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে এটি ঘটেছে এবং এর ক্ষতিপূরণের জন্য কাজ করতে হবে। কালো মানুষ ঐতিহাসিকভাবে প্রান্তিক এবং নিপীড়িত হয়েছে, এবং এই দিনটি পালন করা আমাদের মনে রাখতে সাহায্য করে কেন আমাদের নিজেদেরকে সংশোধন করতে হবে।

অতীতের অনেক কিছুই ভবিষ্যতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যখন আমরা দাস বাণিজ্যের মতো জঘন্য ঘটনার দিকে তাকায় তখন তা আমাদেরকে এটিকে পুনরায় ঘটতে না দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার পথ বাতলে দেয়। আমরা যতই উপেক্ষা বা অস্বীকার করার চেষ্টা করি না কেন, জাতিগত অবিচার এবং বর্ণ বৈষম্য আজও বিদ্যমান। এই দিনটি বর্ণবাদকে অবাধে চলতে দেওয়ার বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় এবং যেখানেই আমরা এটি দেখি সেখানেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়”।

স্মরণ করা যেতে পারে যে, ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ব্যবসা হিসেবে দাস ব্যবসাকে বর্ণনা করা হয়েছে। বিভিন্ন দার্শনিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা দাস ব্যবসায়কে তাদের লেখনির মাধ্যম তুলে ধরেছেন ও চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন। যা পড়ে ও দেখে আমাদের গা শিউরে উঠেছে। মনে দানা বেঁধেছে ক্রোধ ও ক্ষোভ।

উল্লেখ্য, ১৭৯১ সালের ২২ এবং ২৩ আগস্ট রাতে, বর্তমান হাইতি এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে তা মানব সভ্যতাকে দাসপ্রথা বিলুপ্তির পথে নিয়ে যায়। এর পর পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল থেকে দাসপ্রথা আনুষ্ঠিানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।

তবে দাস বাণিজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হলেও আধুনিক সমাজে এখনো দাস বাণিজ্যের মতো মানব পাচার বাণিজ্য চালু রয়েছে যা আধুনিক দাসপ্রথা বলে অনেকেই মনে করেন। মানুষের সুবিধাবাদী চরিত্রের কারণে সমাজ থেকে দাসপ্রথা নির্মূল হয়নি। তাই বলা যায় সমাজ থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়নি শুধু ধরন পরিবর্তন হয়েছে।

ড. মতিউর রহমান: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

Header Ad
Header Ad

অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

অবশেষে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি পেলো রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী। গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চলখ্যাত মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকাগামী অন্তত একটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা।

তাদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১০ মার্চ) থেকে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিমাগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ খবরে পুরো উপজেলায় বইছে আনন্দের বন্যা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার-লালমনিরহাট-রংপুর রেল রুটের ওপর দিয়ে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও মহিমাগঞ্জ স্টেশনে কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি ছিল না। অথচ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে ট্রেনের যাত্রাবিরতির প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরেই অনুভূত হচ্ছিল। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া নতুন ৫৪ নং টাইম টেবিলে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিমাগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতি যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ঢাকামুখী (ডাউন) ও বুধবার বুড়িমারীমুখী (আপ) ট্রেন দুটি বন্ধ থাকবে। অন্যান্য দিন বিকেল ৩:৪৫ মিনিটে বুড়িমারীমুখী (আপ) ও রাত ১:৩০ মিনিটে ঢাকামুখী (ডাউন) বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।

মহিমাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সোহাগ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন একে "ঈদের উপহার" হিসেবে অভিহিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন

ছবি: সংগৃহীত

চীন সম্প্রতি পাকিস্তানের $২ বিলিয়ন ঋণ মওকুফ করেছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা খুররম শেহজাদ শনিবার (৯ মার্চ) রয়টার্সকে পাঠানো এক টেক্সট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাকিস্তান বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে $৭ বিলিয়ন বেইলআউট প্যাকেজের আওতায় তার আর্থিক সংকট মোকাবিলা করছে। ঋণের প্রথম কিস্তি পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে, যা সফল হলে পাকিস্তান অতিরিক্ত $১ বিলিয়ন সহায়তা পেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চীনা সহায়তা পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়া আইএমএফ ঋণের অনুমোদনের জন্য একটি মূল শর্ত ছিল। পাকিস্তান ২০২৫ অর্থবছরে $২২ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বাধ্য, যার মধ্যে প্রায় $১৩ বিলিয়ন দ্বিপাক্ষিক আমানতের অংশ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই ঋণ মওকুফ পাকিস্তানের অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দেবে, তবে দেশটির দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আরও কার্যকর অর্থনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে চার দফা দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমএ), ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমপিপিএ) ও ম্যাটস শিক্ষার্থী পরিষদ।

রোববার (৯ মার্চ) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টাঙ্গাইল ডিপ্লোমা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. আব্দুল বাতেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২২ ও বিএমডিসির সর্বশেষ তথ্যমতে দেশে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিএমএফ চিকিৎসক ৩০ হাজার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ৫৫ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক (ডিএমএফ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত।

ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা নানা বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ একযুগ ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দুই হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ম্যাটস পাস করা শিক্ষার্থীরা বেকার হয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এসএসসি পাস করার পর চার বছর মেয়াদি মেডিকেল ডিপ্লোমা কোর্স (ম্যাটস) করা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুল নামের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হয়, যা অসংগতিপূর্ণ। সাধারণত স্কুলের পর কলেজে ভর্তি হওয়ার নিয়ম থাকলেও দেশের ১৬টি সরকারি ও ২০০টি বেসরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের স্কুল পাসের পর আবার স্কুলে ভর্তি হতে বাধ্য করা হচ্ছে।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি
১. শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃষ্টি।
২. প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে কারিকুলাম সংশোধন ও ইন্টার্নশিপ লগবুক প্রণয়ন।
৩. বিএম অ্যান্ড ডিস স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।
৪. অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ডের পরিবর্তে 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' নামকরণ ও সংশোধনী বাস্তবায়ন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিএম’র টাঙ্গাইল শাখার উপদেষ্টা ডা. দেলোয়ার হোসেন, প্রাক্তন সভাপতি ডা. সিআর দাস, বিডিএম’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. আশরাফুজ্জামান, ডা. মোতালেব হোসেন, ডা. শিপলু, ডা. সোহেল রানা এবং ছাত্র প্রতিনিধি সৈকত জাহান আকাশ। এছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার ও কর্মসংস্থানের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন
টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগ
ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট ১৪ মার্চ থেকে, শতভাগ অনলাইনে
ছাত্রদলের কর্মসূচির প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
আমার কাছে শাকিবই শাহরুখ খান: অপু বিশ্বাস
মব জাস্টিস যেখানে, গ্রেপ্তার সেখানেই: তথ্য উপদেষ্টা
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি’র বাসা দখল করা ‘সমন্বয়ক’
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ প্রতিরোধে নারীদের কারাতে শেখার আহ্বান চিত্রনায়ক রুবেলের
সারা দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ
আদালতে তোলার সময় ‘ধর্ষক’কে গণধোলাই
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ
ধর্ষণ-নিপীড়ন ইস্যুতে ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার শিক্ষক বললেন ‘শয়তানের প্ররোচনায়’
বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের নেতা
সাবেক এমপির বাড়িকে পাগলাগারদ বানানো হলো না ‘সমন্বয়কের’(ভিডিও)
ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ