রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ | ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কি একাকীত্ব ও অহংবোধ সৃষ্টি করছে?

মানুষ সামাজিক জীব। জীবনে উন্নতির জন্য আমাদের অন্যদের সাহচর্যের প্রয়োজন এবং পারস্পরিক সংযোগ ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুখের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে। অন্যদের সঙ্গে সামাজিকভাবে সংযুক্ত হওয়া আমাদের স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে পারে, স্ব-মূল্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, আরাম ও আনন্দ দিতে পারে, একাকীত্ব প্রতিরোধ করতে পারে এবং এমনকি আমাদের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, শক্তিশালী সামাজিক সংযোগের অভাব আমাদের মন ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

আধুনিক যুগে, আমাদের মধ্যে অনেকেই একে অপরকে খুঁজে পেতে এবং সংযোগ করতে ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করি। সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন, যদিও এর প্রতিটিরই সুবিধা রয়েছে, তবে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম কখনোই বাস্তবে মানুষের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিস্থাপন হতে পারে না।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাস্তবের ব্যক্তিগত বা সামাজিক যোগাযোগ ব্যক্তির মানসিক চাপ কমাতে, সুখ অনুভূতি উদ্দীপ্ত করতে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে এবং আরও ইতিবাচক বোধ তৈরি করতে যেভাবে সহায়তা করে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন বা যোগাযোগ তেমনটি করতে পারে না। উপরোন্তু এটি মানুষের মধ্যে একাকীত্ব ও অহংবোধ বাড়িয়ে দেয়।

প্রযুক্তির এই উৎকৃষ্টতার যুগে মানুষকে কাছাকাছি আনার জন্য এমন কিছু অ্যাপস এর ডিজাইন করা হয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সারা বিশ্বের ব্যাপক জনগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় ওঠে এসেছে।

সমাজ মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের মধ্যে একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি করছে; যা তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুললোকে বাড়িয়ে তুলছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যাধিক সময় ব্যয় করার কারণে মানুষের মধ্যে দুঃখ, অসন্তোষ, হতাশা বা একাকীত্বের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে; যা ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করছে।

গবেষকরা বলছেন, যেহেতু এটি একটি অপেক্ষাকৃত নতুন প্রযুক্তি, তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি, ভালো বা খারাপ সম্পর্কিত গবেষণা খুব কমই হয়েছে। তবে এরই মধ্যে যেসব গবেষণা হয়েছে সেসবে উল্লেখ করা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্যক্তি জীবনে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, একাকীত্ব, আত্ম-ক্ষতি এবং এমনকি আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চিন্তা এমন কিছুর মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আরও বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেসবুকে ব্যক্তি বা দল তাদের জীবনের চলমান ঘটনা বিশেষ করে কোনো বিশেষ ইভেন্ট বা ঘটনা পোস্ট করেন- স্বাভাবিকভাবেই সে বা তারা সে সম্পর্কে তার বা তাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেন। এক্ষেত্রে যেসব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় তা ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নেতিবাচক বা বিপরীত প্রতিক্রিয়া ব্যক্তির মধ্যে অসহায়ত্ববোধ বা অনিরাপদ বোধ তৈরি করতে পারে। একইভাবে, এটি অন্যদের মধ্যে হিংসা, ঈর্ষা ও অসন্তুষ্টির অনুভূতিগুলিকে বাড়িয়ে দেয়।

সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, বৈষম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিভক্তি বাড়িয়ে দিয়ে ব্যক্তির মানসিক অবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে সমাজের এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে অহমিকাবোধ তৈরি হচ্ছে। আমিই সেরা, আমিই উত্তম এমন মনোভাব সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন।

সমাজে যারা ধনবান সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের জীবনযাত্রার ধরন যেমন বিদেশ ভ্রমণ, ভালো খাবার, ভালো বাড়ি, দামি গাড়ি, সন্তানদের ভালো স্কুলে পড়ালেখা, অবসর বা বিনোদন যাপনের আড়ম্বরপূর্ণতা ইত্যাদির প্রদর্শনী সমাজে যারা পিছিয়ে রয়েছে তাদের মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশাবোধ তৈরি করছে।

তবে এসবের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কমিয়ে দেয় তাহলে তার মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও (The fear of missing out, FOMO) কাজ করে। যারা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো সাইটগুলি ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে এই অনুভূতি কাজ করে যে, সে হয়ত কিছু জিনিস মিস করছে - এমন ধারণা তার আত্ম-সম্মানকে প্রভাবিত করতে পারে, উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আরও বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে উদ্বুদ্ধু করতে পারে।

গবেষণা বলছে FOMO কোনো ব্যক্তিকে প্রতি কয়েক মিনিট অন্তর তার ফোন তুলতে বাধ্য করতে পারে, আপডেটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া চেক করতে অথবা ফোনের প্রতিটি মেসেজ বা বিফ টোনের প্রতি সাড়া দিতে বাধ্য করতে পারে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার আপডেট চেক করতে গাড়ি চালানোর সময় ঝুঁকি নেওয়া এবং রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকশনকে অগ্রাধিকার দিতে পারে।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের বেশি ব্যবহার একাকীত্বের অনুভূতি হ্রাস করার পরিবর্তে বৃদ্ধি করে। তারা এও বলছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়া মিথস্ক্রিয়াকে ব্যক্তি যত বেশি অগ্রাধিকার দেবে, তত বেশি সে বা তারা উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার মতো মানসিক ব্যাধিগুলো বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্পীড়িত হওয়ার অভিযোগ করে এবং অন্যান্য অনেক ব্যবহারকারী আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়। ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ক্ষতিকারক গুজব, মিথ্যা এবং অপব্যবহার ছড়ানোর জন্য হটস্পট হতে পারে যা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক দাগ ফেলে দিতে পারে।

গবেষণা আরও বলছে, অন্তহীন সেলফি ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যক্তির সমস্ত অন্তর্নিহিত চিন্তাভাবনা শেয়ার করা একটি অস্বাস্থ্যকর আত্মকেন্দ্রিকতা তৈরি করতে পারে এবং তাকে বাস্তব জীবনের সংযোগ থেকে দূরে রাখতে পারে। সে পুরোপুরি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার দ্বারা চালিত হতে পারে এবং তার অহংবোধ বাড়িয়ে দিতে পারে।

আমাদের দেশে এসংক্রান্ত গবেষণা এখনো অপ্রতুল। সুতরাং সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা এবিষয়ে আরও গবেষণা পরিচালনা করবেন বলে আশা করা যায়।

ড. মতিউর রহমান: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

এসএন

Header Ad
Header Ad

অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

অবশেষে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি পেলো রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী। গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চলখ্যাত মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকাগামী অন্তত একটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা।

তাদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১০ মার্চ) থেকে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিমাগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ খবরে পুরো উপজেলায় বইছে আনন্দের বন্যা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার-লালমনিরহাট-রংপুর রেল রুটের ওপর দিয়ে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও মহিমাগঞ্জ স্টেশনে কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি ছিল না। অথচ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে ট্রেনের যাত্রাবিরতির প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরেই অনুভূত হচ্ছিল। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া নতুন ৫৪ নং টাইম টেবিলে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিমাগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতি যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ঢাকামুখী (ডাউন) ও বুধবার বুড়িমারীমুখী (আপ) ট্রেন দুটি বন্ধ থাকবে। অন্যান্য দিন বিকেল ৩:৪৫ মিনিটে বুড়িমারীমুখী (আপ) ও রাত ১:৩০ মিনিটে ঢাকামুখী (ডাউন) বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।

মহিমাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সোহাগ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন একে "ঈদের উপহার" হিসেবে অভিহিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন

ছবি: সংগৃহীত

চীন সম্প্রতি পাকিস্তানের $২ বিলিয়ন ঋণ মওকুফ করেছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা খুররম শেহজাদ শনিবার (৯ মার্চ) রয়টার্সকে পাঠানো এক টেক্সট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাকিস্তান বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে $৭ বিলিয়ন বেইলআউট প্যাকেজের আওতায় তার আর্থিক সংকট মোকাবিলা করছে। ঋণের প্রথম কিস্তি পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে, যা সফল হলে পাকিস্তান অতিরিক্ত $১ বিলিয়ন সহায়তা পেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চীনা সহায়তা পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়া আইএমএফ ঋণের অনুমোদনের জন্য একটি মূল শর্ত ছিল। পাকিস্তান ২০২৫ অর্থবছরে $২২ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বাধ্য, যার মধ্যে প্রায় $১৩ বিলিয়ন দ্বিপাক্ষিক আমানতের অংশ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই ঋণ মওকুফ পাকিস্তানের অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দেবে, তবে দেশটির দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আরও কার্যকর অর্থনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে চার দফা দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমএ), ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমপিপিএ) ও ম্যাটস শিক্ষার্থী পরিষদ।

রোববার (৯ মার্চ) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টাঙ্গাইল ডিপ্লোমা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. আব্দুল বাতেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২২ ও বিএমডিসির সর্বশেষ তথ্যমতে দেশে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিএমএফ চিকিৎসক ৩০ হাজার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ৫৫ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক (ডিএমএফ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত।

ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা নানা বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ একযুগ ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দুই হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ম্যাটস পাস করা শিক্ষার্থীরা বেকার হয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এসএসসি পাস করার পর চার বছর মেয়াদি মেডিকেল ডিপ্লোমা কোর্স (ম্যাটস) করা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুল নামের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হয়, যা অসংগতিপূর্ণ। সাধারণত স্কুলের পর কলেজে ভর্তি হওয়ার নিয়ম থাকলেও দেশের ১৬টি সরকারি ও ২০০টি বেসরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের স্কুল পাসের পর আবার স্কুলে ভর্তি হতে বাধ্য করা হচ্ছে।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি
১. শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃষ্টি।
২. প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে কারিকুলাম সংশোধন ও ইন্টার্নশিপ লগবুক প্রণয়ন।
৩. বিএম অ্যান্ড ডিস স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।
৪. অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ডের পরিবর্তে 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' নামকরণ ও সংশোধনী বাস্তবায়ন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিএম’র টাঙ্গাইল শাখার উপদেষ্টা ডা. দেলোয়ার হোসেন, প্রাক্তন সভাপতি ডা. সিআর দাস, বিডিএম’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. আশরাফুজ্জামান, ডা. মোতালেব হোসেন, ডা. শিপলু, ডা. সোহেল রানা এবং ছাত্র প্রতিনিধি সৈকত জাহান আকাশ। এছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার ও কর্মসংস্থানের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন
টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগ
ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট ১৪ মার্চ থেকে, শতভাগ অনলাইনে
ছাত্রদলের কর্মসূচির প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
আমার কাছে শাকিবই শাহরুখ খান: অপু বিশ্বাস
মব জাস্টিস যেখানে, গ্রেপ্তার সেখানেই: তথ্য উপদেষ্টা
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি’র বাসা দখল করা ‘সমন্বয়ক’
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ প্রতিরোধে নারীদের কারাতে শেখার আহ্বান চিত্রনায়ক রুবেলের
সারা দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ
আদালতে তোলার সময় ‘ধর্ষক’কে গণধোলাই
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ
ধর্ষণ-নিপীড়ন ইস্যুতে ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার শিক্ষক বললেন ‘শয়তানের প্ররোচনায়’
বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের নেতা
সাবেক এমপির বাড়িকে পাগলাগারদ বানানো হলো না ‘সমন্বয়কের’(ভিডিও)
ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ