বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা একান্ত প্রয়োজন

এই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত এক রোগের নাম ডেঙ্গু জ্বর। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে যখন মানুষ ক্লান্ত, তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণ মানুষকে হতবিহ্বল করে তুলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ডেঙ্গু বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং মারাত্মক মশাবাহিত রোগ।

পরিসংখ্যান মতে গত ৫০ বছরে ডেঙ্গু বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ বেশি। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এবং ৫,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছিল। প্রতি বছরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হয় এবং বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ২০১৯ সালে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সেই বছর ১০১,৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১৭৯ জন মারা যায়।

দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে সারা দেশে ৫২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত মাসে মোট ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এ মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৭২৩। তাদের মধ্যে, ১,৪৯৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং তিন জন মারা গেছেন। গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০৫ জন মারা গেছেন এবং ২৮ হাজার ২৬৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চল এই মশার পছন্দের আবাসস্থল। এই মশার শরীরে হালকা কালো রঙ এবং সাদা পা এবং শরীরে রূপালী-সাদা ব্যান্ড দেখে চিহ্নিত করা যায়। একটি পূর্ণ বয়স্ক মশা যেকোনো স্থানে জমা হয়ে থাকা বৃষ্টির পানিতে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তবে এরা সাধারণত ফেলে দেওয়া ডাবের খোসা, টায়ার, ব্যারেল, প্লাস্টিকের ড্রাম, ফুলের টব, খোলা ক্যান এবং পাত্রে বেশি দিন ধরে জমে থাকা পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ অন্যান্য অনেক ইনডোর এবং আউটডোর স্থানও রয়েছে যেমন বাড়িতে ব্যবহৃত ফ্রিজের নিচে, বাড়ি বা কলকারখানার এসির নিচে জমে থাকা পানি, ছাদে জমা বৃষ্টির পানি, ইত্যাদি।

বাংলাদেশে সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বর বহনকারী মশা যদি একজন মানুষকে কামড়ায় তাহলে চার থেকে ছয় দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু জ্বর হবে। আবার জীবাণুমুক্ত মশা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ালে তাও ডেঙ্গুর বাহক হয়ে উঠে। এভাবেই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর হয় এবং সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর সাধারণত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। শরীরে, বিশেষ করে হাড়, নিতম্ব, পিঠ সহ জয়েন্ট এবং পেশীতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়ে থাকে। কখনও কখনও ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় হাড় ভেঙে যাচ্ছে। তাই এই জ্বরের আরেক নাম হল 'ব্রেক বোন ফিভার’। জ্বরের ৪ বা ৫তম দিনে, সারা শরীরে লাল ফুসকুড়ি দেখা যায়, যাকে ত্বকের ফুসকুড়ি বলা হয়, অনেকটা অ্যালার্জি বা স্ক্র্যাচের মতো। বমি বমি ভাব এবং এমনকি বমিও হতে পারে। রোগী অত্যধিক ক্লান্তি এবং ক্ষুধামন্দা অনুভব করে।

সাধারণত, ৪ বা ৫ দিন পরে জ্বর চলে যায়; কিছু রোগীর ২ বা ৩ দিনের মধ্যে আবার জ্বর হতে পারে। এছাড়াও, জ্বরের কারণে সবচেয়ে জটিল অবস্থায় রক্তক্ষরণ হতে পারে। প্রায়শই লিভারের ক্ষতির কারণে রোগীর জন্ডিস, কিডনি ক্ষতির কারণে রেনাল ফেইলিওর ইত্যাদি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এই ভাইরাস মোকাবিলার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিরোধ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতাই প্রাথমিক হাতিয়ার। সরকার ও জনগণের সমন্বিত সচেতনতাই পারে আমাদের এই মহামারি থেকে নিরাপদ রাখতে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রথমে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ও উৎপত্তির দিকে নজর দিতে হবে। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে প্রাপ্তবয়স্ক মশা ধ্বংস করে ডেঙ্গু সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে সরকার ও জনগণ যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের বিষয়ে জনগণ যেমন সচেতন হবে, তেমনি পুরনো মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনগণের কাজ হবে বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় পরিষ্কার রাখা। খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে পানি না জমে। বাথরুমের কোথাও জমা পানি পাঁচ দিনের বেশি রাখা যাবে না। অ্যাকুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে যাতে বেশিক্ষণ পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দিনের বেলা শরীর ভালোভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে; প্রয়োজনে মশা নিরোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনের বেলা ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে বা কয়েল দিয়ে ঘুমাতে হবে। হাফপ্যান্টের বদলে ফুল প্যান্ট পরিয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠানো যেতে পারে।

ডেঙ্গু রোগীকে মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে কোনো মশা রোগীকে কামড়াতে না পারে। মশা তাড়ানোর স্প্রে, কয়েল এবং ম্যাট ব্যবহার করতে হবে, সেইসঙ্গে দিনে ও রাতে মশার কামড় এড়াতে মশারি ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে জনগণকে সচেতন করা। 'জেনেটিকালি মডিফাইড' পদ্ধতিতে কীভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করা যায় সে বিষয়ে প্রাসঙ্গিক গবেষকদের নিয়োগ করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য জাতীয় নির্দেশিকা প্রদান। সব গণমাধ্যমে ডেঙ্গু সম্পর্কে নিয়মিত প্রচারণা চালাতে হবে। শহর এলাকায় নিয়মিত মশা নিরোধক স্প্রে করা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা।

সর্বোপরি ডেঙ্গু মহামারি থেকে রক্ষা পেতে জনগণ ও সরকারকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আত্মসচেতনতা ছাড়া সরকারের সমালোচনা করে যেমন ডেঙ্গু দূর হবে না, তেমনি জাতীয় স্বার্থও হুমকির মুখে পড়বে। তাই সবার আগে প্রয়োজন আত্মসচেতনতা। এ ছাড়া সরকার-জনগণ মিলে সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। উভয় পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণই পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমিয়ে দেশকে এই সংকট থেকে মুক্ত করতে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।
আরএ

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত