রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রযুক্তি নির্ভর জীবন: নীতি ও নৈতিকতায় পরিবর্তন ঘটাবে

মানব সভ্যতার ইতিহসে তিনটি বড় শিল্পবিপ্লব গোটা দুনিয়ার গতিপথ ব্যাপকভাবে পাল্টে দিয়েছিল। প্রথম শিল্পবিপ্লব ঘটেছিল ১৭৮৪ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে। বিদ্যুতের আবিষ্কার হয় ১৮৭০ সালে যার ফলে দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব ত্বরান্বিত হয় এবং তৃতীয় শিল্পবিপ্লব ঘটে ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেটের আবিষ্কার ও ১৯৯০ সালে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার অবমুক্ত করার মাধ্যমে। ইন্টারনেটের আবিষ্কার শিল্পবিপ্লবের গতিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে আগের তিনটি শিল্পবিপ্লবকে ছাড়িয়ে গেছে আজকের যুগের ডিজিটাল বিপ্লব যাকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হিসেবেও গণ্য করা হচ্ছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে নানা ধরনের হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটে দ্রুত গতিতে। ডিজিটাল বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপি অসংখ্য হাইটেক কপোর্রেশন ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগুল, অ্যামাজন, আলীবাবা’র মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিকে নির্ভর করে গড়ে উঠেছে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মহাকাশে ভ্রমনের জন্য অত্যাধুনিক মহাকাশযান তৈরির প্রতিষ্ঠান।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এইসব প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজসাধ্য করার জন্য নানারকমের ডিজিটাল উদ্ভাবন ও সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। হার্ডওয়ার, সফটওয়ার সবধরণের সেবা আমরা পাচ্ছি মুহূর্তে। সারা দুনিয়া এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এদের সেবা ছাড়া অচল। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত প্রত্যেকেই আমরা ডিজিটাল সেবার আওতাভুক্ত। মোবাইল ফোনে দশ টাকার টক টাইম কেনা থেকে শুরু করে নেটফ্লিক্সে সদ্য নির্মিত হলিউডি মুভি দেখা, অনলাইনে খাবার অর্ডার করা থেকে দামি ব্র্যাণ্ডের গাড়ি কেনা সবই এখন ডিজিটাল বিপ্লবের অবদান। ডিজিটাল এই যুগে কী করা সম্ভব না তার চেয়ে জানা ভালো কী করা যায় না। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের জীবনে এনেছে দুর্দান্ত গতি।

প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা পৃথিবী করোনাভাইরাসের থাবায় পর্যুদস্ত। নিঃসন্দেহে মানবজাতির জন্য এটি বড় ধরনের একটি সংকট বা বিপর্যয়। এই ভাইরাসের কারণে এক সময় গোটা পৃথিবী থমকে গিয়েছিল। সব ধরনের সামাজিক, সাংস্কুতিক ও রাজনৈতিক তৎপরতা ব্যাহত হয়েছিল। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানুষ নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। সরাসরি দেখা-সাক্ষাত বা মেলামেশা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তদুপরি বিভিন্ন দেশের সরকার ঘোষিত লকডাউন বা শাট ডাউনের কারণেও মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছিল। এই অবস্থায় প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগই হয়ে ওঠেছিল মানুষের জন্য একমাত্র উপায় বা মাধ্যম।

আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশ এখন কোনো না কোনোভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। তবে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এখনো ডিজিটালি নিরক্ষর। এদের হাতে হাতে এখন ইন্টারনেটের সুবিধাযুক্ত স্মার্ট ফোন। সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন বা ভাব বিনিময়, মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে ক্যাবল সংযোগের মাধ্যমে টিভিতে সিনেমা দেখা সবই সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে।

ধনী, দরিদ্র, গ্রাম ,শহর নির্বিশেষে সবাই আজ প্রায় ডিজিটাল বিপ্লবের সুবিধাভোগী। তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বৃহৎ অংশ ইন্টারনেট প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত। লেখা পড়ার পাশাপাশি বিনোদন খুঁজতে গিয়ে তারা অন্যান্য বিষয়য়েও আসক্ত হচ্ছে। অপরদিকে, ঘরে ঘরে ডিস বা ক্যাবল সংযোগের মাধ্যমে বিদেশি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত নাটক, সিনেমা দেখে আমাদের ভাবনা জগতেও পরিবর্তন হচ্ছে।

ওটিটি প্লাটফর্মে এখন আমরা সিনেমা দেখে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। যে সব সিনেমার বেশির ভাগই আমাদের আবহমান সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়। কিন্তু তাতেই আকৃষ্ট হচ্ছি। ইন্টারনেটের গুগল বা যে কোনো সার্চ ইঞ্জিনে ঢুকলেই সেগুলোর বিজ্ঞাপন অযাচিতভাবেই আমাদের চোখে পড়ছে। কৌতুহলবশত: কেউ যদি সেখানে ঢুকে দেখতে চাই তাহলে খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না। অনেকেই পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়াও অনলাইন গেমস ও জুয়াতে আসক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে আমাদের অগোচরেই কিছু বিষয় আমাদের মাথায় ঢুকে যাচ্ছে যা আমাদের আচার আচরণে পরিবর্তন আনছে।

পূর্বেই উল্লেখ করেছি এদেশের সিংহভাগ মানুষ এখনো ডিজিটালি সচেতন নয়। ইন্টারনেটে তারা কী দেখছে তা আমরা জানি না। এ সম্পর্কিত কোনো গবেষণাও আমাদের দেশে হয়েছে বলে জানা নেই। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো অবধি ইন্টারনেটের নিরাপাদ ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো শিক্ষা দেয়া হয় বলে জানা নেই। সরকারিভাবেও কোনো উদ্যোগ আছে বলে জানা নেই। কারণ, এখানে ব্যবসায়ের একটা বিষয় রয়েছে-তাহলো মুনাফা অর্জন।

তবে এসবের একটা নেতিবাচক প্রভাব যে রয়েছে সে বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। যেমন, অনলাইনে প্রতারণা, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, নারী ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক সহিংসতা, স্বামী কতৃর্ক স্ত্রী হত্যা, স্ত্রী কতৃর্ক স্বামী হত্যা, সন্তানসহ হত্যা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কের পরিবর্তন, দুনীর্তি, মাদক ও জুয়ার বিস্তার, নারী ও শিশু পাচার. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ও গোপনে ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশন এসবই এখন ঘটছে। সুতরাং এ কথা বলা যায় গতানুগতিক সমাজে যে নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও বন্ধন ছিল তার পরিবর্তন ঘটছে। আর এসবের পিছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবিত বিভিন্ন মাধ্যম।

মানুষ মানুষের উপর আস্থা ও বিশ্বাস হারাচ্ছে। সততা ও আদর্শের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে। আমরা দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, চরমপন্থা, সহিংসতা এবং অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়ছি। নীতি, নৈতিকতা, মানবতা, সহানুভূতি, সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও দয়ার মতো মানবিক গুণাবলী দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে যাকে সমাজবিজ্ঞানীরা সামাজিক পুঁজির সংকট বলে বর্ণনা করেছেন। এই সংকট কতদিন চলবে তা এখনই বলা মুস্কিল।

ডিজিটাল যুগে এসে আমাদের পূর্বেকার সংস্কৃতি বিলুপ্ত হতে বসেছে। এ জন্য এখন আর কেউ সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে আগ্রহী হয় না। বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি যেমন গান, নাটক ও সিনেমার ফিউশন তৈরি করা হলেও তা আর আগের মতো আবেদন রাখতে পারছে না। পূর্বে যে সব নাটক, গান, যাত্রাপালা ও সিনেমা আমাদের হৃদয় ও মনকে আকৃষ্ট করত, আমাদেরকে মানবিক হওয়ার শিক্ষা দিত, আত্মিক উন্নতি ঘটাত সে রকম এখন আর আবেদন সৃষ্টি করতে পারছে না। ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এক ধরনের আত্মিক ও নৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অবস্থাও তাই। আর এই আত্মিক ও নৈতিক শূন্যতার জায়গায় স্থান নিচ্ছে ধমীর্য় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার।

অন্যদিকে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে নতুন তথ্য প্রযুক্তি উদ্ভূত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম হলো মানুষের গোপনীয়তা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মকান্ডের তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য বণ্টন নতুন বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ, সে অনুযায়ী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা উদ্ভাবন করে বাণিজ্য করবে। এ যুগে তাই গোপনীয়তা রক্ষা করা খুব কঠিনই হবে। নতুন এই কঠিন পরিস্থিতিতে গোপনীয়তার সংজ্ঞাই বদলে যাবে। আগের মতো অনেক কিছুকে আর গোপনীয় বলে রক্ষা করতে পারব না আমরা। সবকিছুই খোলামেলা হয়ে গেলে মূল্যবোধকেও নবতর নিম্নস্তরে নামিয়ে এনে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার প্রয়োজন পড়বে। অর্থাৎ আমাদের নৈতিকতা ও নৈতিক সীমারেখাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে বাধ্য করবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যান্ত্রিক মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোনো নৈতিকতা দিয়ে চলবে না, সে চলবে অঙ্কের নিয়মে। মূল্যবোধহীন যান্ত্রিক মেধার অবারিত বিকাশ সামাজিকতার যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তার বিলোপ ঘটাতে পারে। ফলে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অর্থাৎ সমাজ ও রাষ্টে্র স্থান দখল করবে ব্যবসা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে পুঁজির চাহিদাই মূল্যবোধে রূপান্তরিত হয়েছে এবং রাষ্ট্র সে মতে আইন পরিবর্তন করে লিবারেল সেজেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব পরিণত হলে দেখা যাবে, মানবের সৃজনশীলতা উদ্ভূত অ্যালগরিদম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্তে যা আসে, তাই ধীরে ধীরে মূল্যবোধ বলে পরিগণিত হবে। এতে সমাজে পাপের অস্তিত্ত্ব বিলীন হয়ে উঠতে পারে এবং মানব মননে পাপবোধ বলে কিছু অবশিষ্ট রইবে না। মানবমনের বিবিধ চাহিদাই হয়ে উঠবে মূল্যবোধের ভিত্তি। ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র যখন উপনিবেশে সংঘাত সৃষ্টি করেছে ও লুটপাট অব্যাহত রেখেছে, তখন ইউরোপের বস্তবাদী নাগরিক তা নিয়ে মাথা ঘামায়নি, কেননা তাতে আর্থিক মুনাফার যোগ ছিল। আর্থিক মুনাফাই নৈতিকতার সীমা ঠিক করে দিয়েছিল। পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশগুলো এভাবে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছে যার বর্তমান নীতি হলো, ব্যক্তি ও ব্যবসার যেকোনো চাহিদাই নৈতিকতার ভরকেন্দ্র-হোক তা আগের মানদণ্ডে অনৈতিক বা বেঠিক।

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যেসব দেশে সংঘটিত হয়েছিল তার প্রভাবে সমাজ জীবনেও ঘটেছিল ব্যাপক পরিবর্তন। সেসব পরিবর্তনের ইতিহাস আমরা সমাজচিন্তক ও ইতিহাসবিদদের রচনা থেকে জানতে পারি। সেসব তত্ত্বের ভিত্তিতে ও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ডিজিটাল বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মানুষের স্বভাব, সংস্কৃতি ও জীবনাচারে অনেক পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশেও আধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল বিশাল এক জনগোষ্ঠীর মানস জগতেও ঘটে গেছে ব্যাপক পরিবর্তন। যার ফলে সমাজে প্রচলিত মূল্যবোধ ও নীতি, নৈতিকতার সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার জনিত কারণে তাদের আচার আচরণে ও নীতি নৈতিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তবে সমাজের সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এই পরিবর্তন কতদিনে সম্পন্ন হবে তা সময়ই বলে দিবে।

ড. মতিউর রহমান: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি