শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দী: ওষুধশিল্পে বাংলাদেশ কতদূর এগোল

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশে ওষুধশিল্প ছিল অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়। দেশের সিংহভাগ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। এতে প্রচুর বৈদশেকি মুদ্রার অপচয় হতো। দেশে যে সামান্য পরমিাণ ওষুধ উৎপাদন হতো, তাও বিদেশি ওষুধ কোম্পানির নিয়ন্ত্রাধীন ছিল। ছিল না সরকারি কোনো নিয়ন্ত্রণ। এ পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমানরে উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার অফিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশের মানুষ যেন প্রয়োজনের সময় প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারে এবং বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়রোধ করা যায় সে লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমান একটি কমিটি গঠন করান। এই কমিটিকে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ওষুধের মান যাচাই-বাছাই, পরমিাণ ও মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। গঠন করা হয় টিসিবির অধীনে একটি ‘ড্রাগ সেল’। মূলত এসব র্কমকাণ্ডই ‘ছায়া ওষুধ নীতি’ হিসাবে কাজ করেছে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওষুধের আমদানি কমিয়ে দেশে ওষুধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ঔষধশিল্পকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন। এ ছাড়া ওষুধের আমদানি কমিয়ে আনতে আগেই গঠিত ‘বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক’ ও ‘বাংলাদশে শিল্প ঋণ সংস্থা’কে নতুন ঔষধশিল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে নির্দেশ দেন।

বর্তমানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের হাতে ঔষধ শিল্পের পূর্ণ তদারকি। প্রতিষ্ঠনটি ১৯৭৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে সরাসরি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে একটি পৃথক অধিদপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে এবং ১৭ জানুয়ারি ২০১০ এ এসে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর হিসেবে উন্নীত হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাজ- ওষুধের সমস্ত নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবের মূল্যায়ন, ঔষধ উৎপাদন লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন, বিক্রয় ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন, ওষুধ পণ্যের নিবন্ধন ও নবায়ন, ওষুধ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ এবং মূল্যের সার্টিফিকেশন, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, কাঁচামাল এবং প্যাকেজিং উপকরণ আমদানির জন্য তালিকার অনুমোদন, ওষুধ আমদানির জন্য ইন্ডেন্টের অনুমোদন, নজরদারি এবং ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যকলাপ, মাদক আদালত এবং অন্যান্য আদালতে মামলার বিচার, রপ্তানি লাইসেন্স, এফএসসি (ফ্রি সেলস সার্টিফিকেট), জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) সার্টিফিকেট এবং সিপিপি (ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের শংসাপত্র) প্রদান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশেষ করে ১৯৮২ সালে প্রথম ড্রাগ অ্যাক্ট জারি হওয়ার পর ঔষধ শিল্পের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। আশির দশকের প্রথমদিকে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বাজারে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ছিল। তখন দেশে মোট ১১৬ জন লাইসেন্সধারী ওষুধ উৎপাদনকারী ছিল। তাদের মধ্যে ৮টি বহুজাতিক কোম্পানি দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৭০ শতাংশ উৎপাদন করত। বাকী ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ করে বাজার যথাক্রমে ২৫টি মাঝারি ও ১৩৩টি ক্ষুদ্র আকারের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের দখলে ছিল। কিছু স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর হয়ে কাজ করত, আমদানিকৃত প্রোডাক্টস বিক্রয় করত এবং ওষুধ উৎপাদন করত। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মূলত সিম্পল ড্রাগ ফর্মুলেশন ম্যানুফ্যাকচার করত আর এগুলো ছিল বহুলাংশে নন-এসেনশিয়াল ড্রাগস। ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত হয় বাংলাদেশ ড্রাগস (কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স ১৯৮২। এই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী কোনো বিদেশি কোম্পানি
কোনো স্থানীয় উৎপাদনকারীর কাছে প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে পারবে না যদি না দেশে তাদের নিজস্ব কোনো সেটআপ থাকে । এ অর্ডিন্যান্স বাস্তবায়নের ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আধিপত্য কমতে থাকে এবং দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর বিকাশ লাভ করে। ১৯৮২ সালের ড্রাগ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয় ২০০৫ ও ২০১৫ সালের ওষুধ নীতির মাধ্যমে। জাতীয় ওষুধনীতি ২০০৫ এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কম দামে জরুরি ওষুধের সরবরাহ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। এ একই নীতির আওতায় সাবকনট্রাকটিং এর উপর বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ফলে কতগুলো স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিদেশি কোম্পানিগুলোর
সঙ্গে মিলে ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানির কাজ শুরু করে। কেবল জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রেই নয় অধিকন্তু প্যাটেনটেড ওষুধের ক্ষেত্রেও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করে।

১৯৯৫ সালে, বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে ট্রিপস চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পেটেন্ট ছাড়াই ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুবিধা পায়। আর এ জন্যে বাংলাদেশ কম খরচে ওষুধ উৎপাদন করতে পারে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের দাম অনেক কম হয়, যা বাংলাদেশের অনুন্নত স্বাস্থ্য খাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রাথমিকভাবে, চুক্তির সময়সীমা ২০০৫ সাল পর্যন্ত ছিল, কিন্তু পরে এটি ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে আবার চুক্তির মেয়াদ ২০৩৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সুবিধাটি

দেশের ওষুধ শিল্পের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে। দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতিকারকরা প্রধানত জেনিরিক ওষুধ উৎপাদন করে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের ৮০ শতাংশই জেনেরিক, ২০ শতাংশ মাত্র প্যাটেন্টেড ড্রাগ। মোট ওষুধের মধ্যে জেনেরিক ওষুধের আধিপত্য দেশের ওষুধ শিল্প বিকাশের একটি শক্তিশালী স্তম্ভস্বরূপ। কারণ এসব ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্যাটেন্ট বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না [৩] ড্রাগ অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প খাত (অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক খাত) একটি শক্তিশালী খাত হিসেবে দ্রুত বিকাশ লাভ করতে থাকে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলে জেনিরিক ওষুধ উৎপাদনের বিকাশমান হাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৩ সালে এ খাত থেকে ১০২ বিলিয়ন টাকা রাজস্ব আয় হয়, যা বেড়ে ২০১৮ সালে ২০২ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত হয়। 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে মোট ৪৭টি কোম্পানি বিশ্বের ১৫৩টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে থাকে। তবে দেশের ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল এখনো আমদানি নির্ভর, তাই লাভের গুড় পিঁপড়ায়ই খেয়ে যায় বেশি। অধুনা এ সমস্যা সমাধানকল্পে এবং ঔষধ শিল্পকে সয়ংসম্পূর্ণ করতে সরকার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ‘এ্যকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট’ বা ঔষধশিল্প পার্ক নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে তৈরি হবে ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল এতে কাঁচা মালের আমদানি খরচ বাঁচবে। দেশে নিজস্ব পেটেন্টেড ঔষুধের গবেষণা ও উৎপাদন বাড়বে। দেশের কেমিস্ট ও বায়োকেমিস্টরা দেশে কাজ করতে আগ্রহী হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঔষধের বাজার আরও সম্প্রোসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান [৪]। জনাব জামানের আমরাও প্রত্যাশা করি বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাক। নিজস্ব পেটেন্টে তৈরি হোক নতুন নতুন ওষুধ, বাড়ুক রপ্তানি আয়। সেই সঙ্গে দেশে ঔষধের মূল্য থাকুক সাধারণ নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে যেন রোগ নিরাময়ে ঔষধ কিনতে গিয়ে যেন কাওকে সর্বশান্ত হতে না হয়।

লেখক: ডা. মো. শামীম হায়দার তালুকদার সি ই ও, এমিনেন্স অ্যাসোসিয়েট ফর সোশ্যাল ডেভোলাপমেন্ট

এমএমএ/

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত