বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা

মানুষ কথা বলতে চায়। প্রকাশ্যে কথা বলতে না পারলে গোপনে বলে। উচ্চস্বরে বলতে ভয় পেলে ফিসফিস করে বলে। সরাসরি বলতে না পারলে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলে। শ্রদ্ধা ভক্তি হারালে ব্যঙ্গ করে বলে আর বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না পেলে গুজবের বিস্তার ঘটায়। একসময় হলি রোমান আম্পায়ার সম্পর্কে বলা হত ইট ইজ নট রোমান ইভেন্ট এন্ড আম্পায়ার অলসো। বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। এমন কথা বলা যাবে যে, এটা ঠিক গণচরিত্রের নয়, সংবাদ মাধ্যম হিসেবে কার্যকারিতা হারাচ্ছে আর এর স্বাধীনতা প্রায় বিপন্ন। প্রায় শব্দটার বহুল ব্যবহার তথ্য সঠিকতার অভাব থেকে নয়, শব্দটার ব্যবহার বেডে়ছে। সতর্কতা হিসেবে। বিপদ তাড়াতে না পারলেও বিপদ এড়াতে কে না চায়। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, অনেকেইে ব্যঙ্গ করে লিখেছিলেন, আমার মন খারাপ এই কথাটা লেখার কারণেও নাকি এখন বিপদ নেমে আসতে পারে। মুজতবা আলী কৌতুক করে একটি কথা বলেছেন, মনে আছে নিশ্চয়ই। হিটলারের জামানায় জার্মানিতে একজন আর একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিরে তুই নাকি দাঁতের ডাক্তারি পড়া দিয়েছিস। উত্তরে বলেছিল, কী আর করব? কেউ তো মুখ খুলতেই চায় না।

কোনো দেশে গণমাধ্যম কতটুকু মুক্ত বা কতখানি স্বাধীনতা ভোগ করে তা থেকে সেই দেশের গণতান্তিক পরিবেশ সর্ম্পকে ধারণা পাওয়া যায়। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২২ সাল শেষে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম (স্কোর ৩৬ দশমকি ৬৩)। রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ পিছিয়েছে দশ ধাপ, অর্থাৎ ঝুঁকি বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় বেশি। ২০২১ সাল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫২তম (স্কোর ৫০ দশমকি ২৯)। আর ২০২০ সালের সূচক বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম। র্অথাৎ গত দুই বছর আগের সূচকেও বাংলাদেশের এক ধাপ অবনতি হয়েছিল।

আর এবারের সূচকে প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ছাড়া সবার নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারত (১৫০), পাকিস্তান (১৫৭), শ্রীলঙ্কা(১৪৬), আফগানিস্তান (১৫৬), নেপাল (৭৬), মালদ্বীপ (৮৭), ভুটান (৩৩)। এখান থেকে বুঝা যায় গত বছররে তুলনায় শুধু বাংলাদেশ পিছিয়েছে তাই নয়, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সকলের অবস্থান উদ্যেগজনক। সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারে্র অবস্থান এবার ১৭৬, গত বছর ছিল ১৪০। এবারে্র সূচকে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালদ্বী্পের অবস্থা্নেরও অবনতি হয়েছে। ভারত পিছিয়েছে আট ধাপ, পাকিস্তান পিছিয়েছে ১৭ ধাপ, শ্রীলঙ্কা ১৯ ধাপ, আফগানিস্তান পিছিয়েছে ৩৪ ধাপ আর মালদ্বীপ পিছিয়েছে ১৫ ধাপ। এই দেশগুলো পিছালেও কেউ কি উন্নতি করেনি? উন্নতি হয়েছে। দুটি দেশের যেমন উন্নতি হয়েছে ভুটান ৩২ ধাপ এগিয়েছে আর নেপাল এগিয়েছে ৩০ ধাপ। ঢাকার বাসে হেলপাররা যেমন বলত, পিছন দিকে এগিয়ে যান। বাংলাদেশও কি তেমনি পিছন দিকে এগিয়ে?

সব খবর যেমন জানা যায় না, সব খবর তেমন প্রচারিত হয় না। তবে যতটুকু তথ্য আছে বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ গবেষণা করে জানিয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি র্পযন্ত ২৬ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলা হয়। প্রথম ১৫ মাসে গড়ে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল আর পরর্বতী ৯ মাসে গড়ে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর একক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় হিসেবে সাংবাদকিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জরিপ থেকে ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বেসরকারি চাকরিজিীবী ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২ দশমকি ১৮ শতাংশ, সরকারি চাকরিজীবী ১ দশমকি ৭৫ শতাংশ ও আইনজীবী শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। মামলা করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন পেশার মানুষ হলেও মামলা যারা করেছেন র্অথাৎ বাদীরা প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন কোনো সংগঠনের নেতা-র্কমী অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিীর সদস্য। এই আইন সম্পর্কে শুরু থেকেইে আপত্তি ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে আইনটি জারি করার সময় সরকার একাধিক মন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটিাল মাধ্যমে অপরাধ দমন করতেই ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

নিশ্চিন্তে থাকুন,সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু তারা যে কথা রাখেন না, উপরের পরিসংখ্যান দেখলে তা বুঝতে অসুবধিা হবে না কারও। শারীরিক হামলা, চাকুরীর অনিশ্চয়তাতো আগে থেকেই ছিল এখন যুক্ত হয়েছে আইনগত হয়রানি।

দৃষ্টান্ত দেখলেই বুঝা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কীভাবে সাংবাদিক তথা নাগরিকদের হাত-পা বেধে দেয়। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আক্রমণাত্মক, মিত্থা, ভীতিপ্রর্দশক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ঘৃণা প্রকাশ, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ ব্যবহার করলে দোষী ব্যক্তির ৩ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে এই আইনে। যেকোনো আইন যদি এই উদ্দেশেই করা হয় যে, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত করা হবে তাহলে সেই আইনকে গণতান্ত্রকি বলা যায় না। এই আইনটি বেশির ভাগ ধারা জামিন অযোগ্য। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়, ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে থেকে প্রমাণ করতে হয় তিনি নিরপরাধ। আবার এটাও দেখা এ পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, খুব কমক্ষেত্রেইে তাদের বিচার হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করা এ আইনের প্রধান উদ্দশ্য নয়; মূল্য উদ্দেশ্য হলো ভয় পাইয়ে দেওয়া।
অর্থাৎ এই আইনের মাধ্যমে এক ধরনরে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে এবং সে উদ্দেশে অনেকাংশেই সফল হয়েছে। ক্রমাগত ভয় দেখানোর ফলে এখন নিজের থেকে ভয় পাওয়ার সংস্কৃতি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে ।

সামগ্রকিভাবে যেটি গণতান্ত্রিক পরিবেশকে দুর্বল করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ। আইন সভা বা সংসদ যেখানে আইন প্রণীত হয়, বিচার বিভাগ যেখানে আইন অনুযায়ী বিচার করা হয়, প্রশাসন যা রাজনতৈকি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করে এই তিনস্তম্ভের উপর ভর করে রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকার কথা। কিন্তু আইন যদি গণতান্ত্রিক না হয়, বিচার বিভাগ যদি যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে, প্রশাসন জনগণের উপর নিপীড়ন হাতিয়ার হয়ে উঠে তাহলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনসাধারণ। তখন সংবাদ মাধ্যম হয়ে উঠে সমাজের ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার। যে কারণে সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চর্তুথ স্তম্ভ। সংবাদ মাধ্যম যদি আতঙ্কে থাকে আর সংবাদকর্মীরা যদি ঝুঁকিতে থাকে তাহলে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার বিপদ এড়ানো যাবে না কোনোভাবেই।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ