শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা

মানুষ কথা বলতে চায়। প্রকাশ্যে কথা বলতে না পারলে গোপনে বলে। উচ্চস্বরে বলতে ভয় পেলে ফিসফিস করে বলে। সরাসরি বলতে না পারলে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলে। শ্রদ্ধা ভক্তি হারালে ব্যঙ্গ করে বলে আর বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না পেলে গুজবের বিস্তার ঘটায়। একসময় হলি রোমান আম্পায়ার সম্পর্কে বলা হত ইট ইজ নট রোমান ইভেন্ট এন্ড আম্পায়ার অলসো। বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। এমন কথা বলা যাবে যে, এটা ঠিক গণচরিত্রের নয়, সংবাদ মাধ্যম হিসেবে কার্যকারিতা হারাচ্ছে আর এর স্বাধীনতা প্রায় বিপন্ন। প্রায় শব্দটার বহুল ব্যবহার তথ্য সঠিকতার অভাব থেকে নয়, শব্দটার ব্যবহার বেডে়ছে। সতর্কতা হিসেবে। বিপদ তাড়াতে না পারলেও বিপদ এড়াতে কে না চায়। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, অনেকেইে ব্যঙ্গ করে লিখেছিলেন, আমার মন খারাপ এই কথাটা লেখার কারণেও নাকি এখন বিপদ নেমে আসতে পারে। মুজতবা আলী কৌতুক করে একটি কথা বলেছেন, মনে আছে নিশ্চয়ই। হিটলারের জামানায় জার্মানিতে একজন আর একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিরে তুই নাকি দাঁতের ডাক্তারি পড়া দিয়েছিস। উত্তরে বলেছিল, কী আর করব? কেউ তো মুখ খুলতেই চায় না।

কোনো দেশে গণমাধ্যম কতটুকু মুক্ত বা কতখানি স্বাধীনতা ভোগ করে তা থেকে সেই দেশের গণতান্তিক পরিবেশ সর্ম্পকে ধারণা পাওয়া যায়। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২২ সাল শেষে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম (স্কোর ৩৬ দশমকি ৬৩)। রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ পিছিয়েছে দশ ধাপ, অর্থাৎ ঝুঁকি বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় বেশি। ২০২১ সাল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫২তম (স্কোর ৫০ দশমকি ২৯)। আর ২০২০ সালের সূচক বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম। র্অথাৎ গত দুই বছর আগের সূচকেও বাংলাদেশের এক ধাপ অবনতি হয়েছিল।

আর এবারের সূচকে প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ছাড়া সবার নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারত (১৫০), পাকিস্তান (১৫৭), শ্রীলঙ্কা(১৪৬), আফগানিস্তান (১৫৬), নেপাল (৭৬), মালদ্বীপ (৮৭), ভুটান (৩৩)। এখান থেকে বুঝা যায় গত বছররে তুলনায় শুধু বাংলাদেশ পিছিয়েছে তাই নয়, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সকলের অবস্থান উদ্যেগজনক। সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারে্র অবস্থান এবার ১৭৬, গত বছর ছিল ১৪০। এবারে্র সূচকে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালদ্বী্পের অবস্থা্নেরও অবনতি হয়েছে। ভারত পিছিয়েছে আট ধাপ, পাকিস্তান পিছিয়েছে ১৭ ধাপ, শ্রীলঙ্কা ১৯ ধাপ, আফগানিস্তান পিছিয়েছে ৩৪ ধাপ আর মালদ্বীপ পিছিয়েছে ১৫ ধাপ। এই দেশগুলো পিছালেও কেউ কি উন্নতি করেনি? উন্নতি হয়েছে। দুটি দেশের যেমন উন্নতি হয়েছে ভুটান ৩২ ধাপ এগিয়েছে আর নেপাল এগিয়েছে ৩০ ধাপ। ঢাকার বাসে হেলপাররা যেমন বলত, পিছন দিকে এগিয়ে যান। বাংলাদেশও কি তেমনি পিছন দিকে এগিয়ে?

সব খবর যেমন জানা যায় না, সব খবর তেমন প্রচারিত হয় না। তবে যতটুকু তথ্য আছে বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ গবেষণা করে জানিয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি র্পযন্ত ২৬ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলা হয়। প্রথম ১৫ মাসে গড়ে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল আর পরর্বতী ৯ মাসে গড়ে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর একক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় হিসেবে সাংবাদকিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জরিপ থেকে ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বেসরকারি চাকরিজিীবী ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২ দশমকি ১৮ শতাংশ, সরকারি চাকরিজীবী ১ দশমকি ৭৫ শতাংশ ও আইনজীবী শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। মামলা করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন পেশার মানুষ হলেও মামলা যারা করেছেন র্অথাৎ বাদীরা প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন কোনো সংগঠনের নেতা-র্কমী অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিীর সদস্য। এই আইন সম্পর্কে শুরু থেকেইে আপত্তি ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে আইনটি জারি করার সময় সরকার একাধিক মন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটিাল মাধ্যমে অপরাধ দমন করতেই ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

নিশ্চিন্তে থাকুন,সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু তারা যে কথা রাখেন না, উপরের পরিসংখ্যান দেখলে তা বুঝতে অসুবধিা হবে না কারও। শারীরিক হামলা, চাকুরীর অনিশ্চয়তাতো আগে থেকেই ছিল এখন যুক্ত হয়েছে আইনগত হয়রানি।

দৃষ্টান্ত দেখলেই বুঝা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কীভাবে সাংবাদিক তথা নাগরিকদের হাত-পা বেধে দেয়। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আক্রমণাত্মক, মিত্থা, ভীতিপ্রর্দশক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ঘৃণা প্রকাশ, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ ব্যবহার করলে দোষী ব্যক্তির ৩ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে এই আইনে। যেকোনো আইন যদি এই উদ্দেশেই করা হয় যে, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত করা হবে তাহলে সেই আইনকে গণতান্ত্রকি বলা যায় না। এই আইনটি বেশির ভাগ ধারা জামিন অযোগ্য। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়, ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে থেকে প্রমাণ করতে হয় তিনি নিরপরাধ। আবার এটাও দেখা এ পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, খুব কমক্ষেত্রেইে তাদের বিচার হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করা এ আইনের প্রধান উদ্দশ্য নয়; মূল্য উদ্দেশ্য হলো ভয় পাইয়ে দেওয়া।
অর্থাৎ এই আইনের মাধ্যমে এক ধরনরে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে এবং সে উদ্দেশে অনেকাংশেই সফল হয়েছে। ক্রমাগত ভয় দেখানোর ফলে এখন নিজের থেকে ভয় পাওয়ার সংস্কৃতি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে ।

সামগ্রকিভাবে যেটি গণতান্ত্রিক পরিবেশকে দুর্বল করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ। আইন সভা বা সংসদ যেখানে আইন প্রণীত হয়, বিচার বিভাগ যেখানে আইন অনুযায়ী বিচার করা হয়, প্রশাসন যা রাজনতৈকি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করে এই তিনস্তম্ভের উপর ভর করে রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকার কথা। কিন্তু আইন যদি গণতান্ত্রিক না হয়, বিচার বিভাগ যদি যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে, প্রশাসন জনগণের উপর নিপীড়ন হাতিয়ার হয়ে উঠে তাহলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনসাধারণ। তখন সংবাদ মাধ্যম হয়ে উঠে সমাজের ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার। যে কারণে সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চর্তুথ স্তম্ভ। সংবাদ মাধ্যম যদি আতঙ্কে থাকে আর সংবাদকর্মীরা যদি ঝুঁকিতে থাকে তাহলে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার বিপদ এড়ানো যাবে না কোনোভাবেই।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত