রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রশ্নবিদ্ধ বিজেপি-বিরোধী জোট এবং একজন ‘পিকে’

কৃষক আন্দোলনের কাছে পরাজিত আদানি-আম্বানির টাকায় ভোটে লড়া বিজেপি পরদিনই গদি মিডিয়াদের নামিয়ে দিয়েছে মাঠে। এই টিভি চ্যানেলে তৃণমূলের মূল উপদেষ্টা ভোট ব্যবসায়ী প্রশান্ত কিশোর পান্ডে মোদির বিরাট প্রশংসা করে বলেছেন, ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে [১৫ বছর আরএসএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) প্রচারক] মোদির যা অনুভব ও মানুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, ভারতে এই মুহূর্তে আর কারও নেই। তিনিই দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা।

আবার এদিকে যথারীতি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে পান্ডে বলেন, তার কংগ্রেসে যোগদান প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনো কারণে হয়নি। হয়তো কংগ্রেস নেতৃত্ব তার মতলব বুঝে দলে নেয়নি। সেইসঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের মত, ২০১৪ সালের পর কংগ্রেস আর একা ক্ষমতায় আসেনি। এই কংগ্রেসকে দিয়ে আর কিছু হবে না।

প্রশ্ন হলো–তাহলে কাকে দিয়ে হবে? তৃণমূলকে দিয়েই হবে। তাই তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে বলে পান্ডে আর তার সঙ্গীরা কোটি কোটি টাকা প্রচারে খরচ করছে। পান্ডে চান, তৃণমূলের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী জোট।

তার আসল নাম প্রশান্ত কিশোর পান্ডে, বিহারি ব্রাক্ষণ। ‘পিকে’ নামে পরিচিত। এখন প্রশ্ন হলো–যে কংগ্রেসকে দিয়ে মোদি এন্ড কোম্পানিকে ২০২৪ সালে হারানো যাবে না, কেন সেই দলে তিনি যোগ দিতে গিয়েছিলেন? কার্যত তিনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহের মধ্যস্থতাকারী। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ বলে কিছু নেই। তিনি প্রফেশনাল ভোট ম্যানেজার। ২০১২ সালে গুজরাটের ভোট বা ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে তিনি ছিলেন মোদির সঙ্গে। ২০১৫ সালে লালু-নীতিশের মহাজোট করে ভোটে লড়ার সময় তিনি ছিলেন নীতিশ কুমারের সঙ্গে। পরে তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আবার লালুকে ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার পর সুবিধাবাদী নীতিশ তাকে দল থেকে তাড়িয়ে দিলে প্রশান্ত কিশোরের স্থান হয় কলকাতায়। এখন তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার।

দিল্লির মিডিয়া যেমন মোদিময়, বাংলার মিডিয়া তেমনি দিদিময়। ২০০৯ সালে যে বার দুই শতাধিক আসন পেয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস জোট, মানে ইউপিএ দুই, তখন কংগ্রেসের ভোট ছিল ২৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ৫২টি আসনে; কিন্তু ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি পাঁচ ভোটারের একজন এই দুঃসময়েও কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। আর ১৯৬টি আসনে কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয় স্থানে। অর্থাৎ, দেশের ৫৪৫টি আসনের মধ্যে ২৪৮টি আসনে কংগ্রেস একাই লড়তে পারে। তার মধ্যে ১০টি বড় রাজ্যে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। আর ২০১৯ সালে তৃণমূল ২২টি আসন জিতেছিল। ২০টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছিল। ভোট ছিল ৪ শতাংশ।

হিন্দিতে একটি কথা প্রায়ই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন–‘ক্রনোলজি সামঝিয়ে‘। অর্থাৎ ঘটনার পরম্পরা দেখে বোঝা যায় জল কোন দিকে গড়াচ্ছে। মাস দুয়েক আগেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। জেরা শেষে বেরিয়ে অভিষেক বিজেপিকে প্রথম শত্রু হিসেবে আক্রমণ করার পরিবর্তে হঠাৎ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। কংগ্রেসের অনেক দোষ থাকতে পারে; কিন্তু তারা বিজেপির চাপে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, অতিশত্রুও এমন কথা বলবে না। অভিষেকের এই আক্রমণে অনেকেই অবাক হয়ে যায়, যেখানে সোনিয়া-মমতা আগস্ট মাসেই দিল্লিতে কথা হয়েছিলেন।

এরপরই জল দ্রুত গড়াতে থাকে। গোয়ায় কংগ্রেস থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসামের শিলচরের সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেন। দুজনই বাংলা থেকে তৃণমূলের টিকেট পান। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের ব্রাহ্মণ মুখ অমরমনি ত্রিপাঠি তৃণমূলে যোগ দেন। সবশেষে মেঘালয়ের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ১২ জন বিধায়ক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর। পান্ডেজি এখন কলকাতার ভোটার।

গতমাসে দিল্লিতে মোদি-মমতা একান্তে বৈঠক করেন। মমতা জানান, রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলার বিজনেস সামিট উদ্বোধন করতে মোদি রাজি হয়ে যান। সোনিয়ার সাথে দেখা না করে মমতা বলেন, দিল্লিতে এলেই তার সঙ্গে দেখা করতে হবে কোথায় লেখা আছে? এখানে একটা কথা পরিষ্কার, মুম্বাই হচ্ছে ক্যাপিটালিস্ট বা পুঁজিপতিদের রাজধানী। সেখানে মুকেশ আম্বানি কোনো ব্যপারে হাঁ অথবা না বললে তার বিরাট অর্থ হয়। গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে তার প্রভাব পড়ে। ইদানীং গৌতম আদানিও সমান বা বেশি শক্তির দাবিদার। মোদির সৌজন্যে। তাদের কাছেই কাঁচা টাকা সবচেয়ে বেশি এবং মুকেশ আম্বানি চাইছে বলেই মহারাষ্ট্র শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট ক্ষমতায় আছে। না হলে কবে সরকার পড়ে যেত!

মমতা মুম্বাইয়ে দাঁড়িয়ে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আর নেই। প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএর অস্তিত্ব নিয়ে। বাংলা মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করে। কলকাতায় ফিরেই নবান্নে গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে অভিষেক আর পান্ডেজি দুজনই ছিলেন। আদানি এই মুহূর্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে ভিলেন। তারা মনে করছে ,আদানির কারণেই তিন কৃষি বিল আনা হয়েছিল। মমতা পরোয়া করেননি। কারণ, তিনি মনে করেন–দেশে কৃষকদের পাশাপাশি আদানিরও দরকার আছে।

পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, কলকাতা বা হাওড়া পুর ভোটে বিজেপি আরও কত দম নিয়ে লড়বে, তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্ভবত কেন্দ্রীয় নির্দেশেই তাদের ছন্নছাড়া অবস্থা। তৃণমূল একচেটিয়া জিতবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর–কোথাও কংগ্রেস বা বাম একটি আসনও জিতেনি। সবাই বুঝতে পারছে আর মুসলিম ভোটাররা বুঝতে পারবেন না, এটা কোনোদিন হয়? তাহলে কিন্তু বিপদ আছে।

মহারাষ্ট্র সরকারের দুইজোট শরিক শিবসেনা আর এনসিপি শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস ছাড়া কোনো বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ, দেশের সব প্রদেশেই বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরি করা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ প্রদেশেই বিজেপি-বিরোধী প্রধান শক্তি কংগ্রেস। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে, ওই দিনই তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ লিখেছে, কংগ্রেস ডিপ ফ্রিজে চলে গেছে, অর্থাৎ মৃত।

বাস্তব পরিস্থিতি কী বলছে? উত্তরদিক থেকেই শুরু করা যাক। পাঞ্জাবে কংগ্রেস এককভাবেই রয়েছে ক্ষমতায়। হিমাচল প্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায়। বিরোধী কংগ্রেস। হরিয়ানার বিজেপি জোট সরকার চালাচ্ছে। কংগ্রেস বিরোধী দল। দিল্লিতে কংগ্রেস আর বিজেপি দুই দলই অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে। ছত্তিসগড়ে সরকারে কংগ্রেস। বিরোধী দল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারে ছিল। সিন্ধিয়াকে দিয়ে দল ভাঙিয়ে বিজেপি সরকারে এসেছে। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস জোট সরকারে আছে। গুজরাটে কংগ্রেস বিরোধী দল। গোয়াতেও তাই। গতবার কংগ্রেস বেশি আসনে জিতেছিল। দল ভেঙে বিজেপি সরকার গড়ে। কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারে ছিল। দল ভেঙে বিজেপি সরকার গড়ে। কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। তেলেঙ্গানায় টিআরএস-ওয়েসি জোট ক্ষমতায়। কংগ্রেস বিরোধী দল। তামিলাডুতে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট ক্ষমতায়। কেরালায় সিপিএম জোট ক্ষমতায়। কংগ্রেস বিরোধী দল।

অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস দুর্বল। তবে বিজেপি থেকে শক্তিশালী। ওড়িশায় নবীন ক্ষমতায়। কংগ্রেস ও বিজেপি দ্বিতীয় স্থান নিয়ে লড়ছে। ঝড়খণ্ডে কংগ্রেস জোট ক্ষমতায়। বিহারে আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেস বিরোধী শক্তি। আসামেও কংগ্রেস বিরোধী দল। মনিপুরে বিজেপি জোট ক্ষমতায়। বিরোধী কংগ্রেস। মেঘালয় রাজ্যে দুজন মাত্র বিধায়ক নিয়ে বিজেপি জোট সরকারে। ১৮ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস বিরোধী ছিল। কংগ্রেসের বিধায়কদের দলে টেনে এখন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল। ভোটের শতাংশের হিসাবে গত লোকসভা ভোটে ত্রিপুরায় কংগ্রেস দ্বিতীয় দল ছিল।

লেখক: ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

নয়াদিল্লি যখন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও সামরিক পুনর্গঠনে মনোযোগ দিচ্ছে, তখন সমুদ্রপথে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন এক সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০৪০ সালের মধ্যেই ভারতকে মোকাবিলা করতে হতে পারে চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তানঘনিষ্ঠ এক ‘কার্যত নৌ জোট’-এর।

তিনটি দেশ যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ নয়, তবে সামরিক, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতায় তারা একে অপরের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিদুঁর’ মহড়ার সময় এই বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে ভারতের সন্দেহ, পাকিস্তানের সঙ্গে নেপথ্যে তুরস্ক ও চীনও সক্রিয় ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধেই ভারতকে একা লড়তে হতে পারে, আর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে বহুজাতিক সমন্বিত বাহিনী। ফলে শুধু সামরিক ভারসাম্য নয়, কূটনৈতিক কৌশলেও চাপে পড়তে পারে নয়াদিল্লি।

চীনের নৌবাহিনী ২০৪০ সালের মধ্যে ছয়টি বিমানবাহী রণতরী, শতাধিক ডুবোজাহাজ ও শতাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সমুদ্রজয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর কার্যত একটি সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তুরস্কও আধুনিক ডুবোজাহাজ, সশস্ত্র ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে জোর দিচ্ছে এবং এসব প্রযুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তিনটি কেরিয়ার ব্যাটল গ্রুপ, ২০০টি যুদ্ধজাহাজ ও আধুনিক ডুবোজাহাজ ফ্লিট গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে নয়াদিল্লি। তবে একে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আরও দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে—মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

নয়াদিল্লির আশঙ্কা, যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের সম্ভাব্য জোট সমুদ্রের নিচে ভারতের কৌশলগত অবস্থান ডুবিয়ে দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৬ জুন) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মস্কোর আচরণই নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী অবস্থান।

ট্রাম্প জানান, রাশিয়া যদি রক্তপাত বন্ধে উদ্যোগ না নেয় এবং যুদ্ধবিরতির পথে না আসে, তবে পরিস্থিতি ভিন্নভাবে বিবেচনা করবেন তিনি।

এর আগে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সিনেটে পাস হলেও, তা কার্যকরের জন্য প্রয়োজন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে খোলামেলা দ্বন্দ্বে জড়াতে চাইছেন না ট্রাম্প। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক প্রভাব হ্রাস পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে। তবে এরই মাঝে আলোচনায় এসেছে কোরবানির মাংসের বাজারদর—যেখানে ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকা খরচে প্রস্তুত হওয়া মাংসই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০-৬৫০ টাকায়!

ঈদের নামাজ শেষে সকাল থেকেই রাজধানীর অলিগলি, গ্যারেজ ও খোলা জায়গায় পশু কোরবানি দেন নগরবাসী। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে কোরবানির কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে বিকেল হতেই দৃশ্যপট পাল্টায়। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, উত্তর বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, সূত্রাপুর, ও জুরাইন রেলগেটসহ বেশ কিছু এলাকায় গড়ে ওঠে অস্থায়ী মাংসের বাজার।

মুলত গরিব, অসহায় ও ভিক্ষুকরা বিভিন্ন বাসা থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেন, সেটাই বিক্রি করছেন এসব স্থানে। এ সুযোগে মৌসুমি কিছু ব্যবসায়ীও যুক্ত হয়েছেন। রামপুরা বাজারের এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জানান, ‘‘আসল মাংস কিনতে গেলে কেজিতে ৭৫০ টাকা লাগে। এখন কম দামে সংগ্রহ করে কাবাব বা হালিম তৈরিতে কাজে লাগাবো।’’

বিকেল চারটার দিকে রামপুরা বাজারের সামনে দেখা যায়, অনেকে পলিথিন ব্যাগে ৮-১০ কেজি করে মাংস এনে বিক্রি করছেন। এক বিক্রেতা বলেন, “রান্না করে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই কিছুটা বিক্রি করে সংসার চালাই।”

তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন—এসব মাংস কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা, সংরক্ষণহীন পরিবেশে রাখা এবং ভ্যাপসা গরমে বিক্রি হওয়া এই মাংসের গুণগত মান নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ।

বিশেষ করে যখন এসব মাংস পরবর্তীতে রাস্তায় বিক্রি হওয়া হালিম, কাবাব বা অন্যান্য খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত হয়, তখন জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির আশঙ্কা আরও বাড়ে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প
রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা
আরাফাতের ময়দানে হজের সময় সন্তানের জন্ম দিলেন টোগোর নারী
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬ জন, মোট মৃত্যু ২৩
রাজধানীতে কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত ৭৭ জন
ঈদ মৌসুমে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস, সতর্ক থাকতে বলছে আবহাওয়া অফিস
ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত
পাকিস্তানের নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী : ট্রাম্প
ঢাকায় দেড় ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি, ঈদের আনন্দে ব্যাঘাত নেই
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী
ঈদের দিন বন্ধ মেট্রোরেল, কাল থেকে ফের চলবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ
কাশ্মীর হামলায় ভারতকে সমর্থন চীন-ইরানের, পাকিস্তানের ওপর বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ
দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: ইশরাক হোসেন
লা লিগার সেরা রাফিনিয়া, অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে ইয়ামাল
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে: মির্জা ফখরুল
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ঝরল ৪২ প্রাণ