মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রশ্নবিদ্ধ বিজেপি-বিরোধী জোট এবং একজন ‘পিকে’

কৃষক আন্দোলনের কাছে পরাজিত আদানি-আম্বানির টাকায় ভোটে লড়া বিজেপি পরদিনই গদি মিডিয়াদের নামিয়ে দিয়েছে মাঠে। এই টিভি চ্যানেলে তৃণমূলের মূল উপদেষ্টা ভোট ব্যবসায়ী প্রশান্ত কিশোর পান্ডে মোদির বিরাট প্রশংসা করে বলেছেন, ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে [১৫ বছর আরএসএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) প্রচারক] মোদির যা অনুভব ও মানুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, ভারতে এই মুহূর্তে আর কারও নেই। তিনিই দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা।

আবার এদিকে যথারীতি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে পান্ডে বলেন, তার কংগ্রেসে যোগদান প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনো কারণে হয়নি। হয়তো কংগ্রেস নেতৃত্ব তার মতলব বুঝে দলে নেয়নি। সেইসঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের মত, ২০১৪ সালের পর কংগ্রেস আর একা ক্ষমতায় আসেনি। এই কংগ্রেসকে দিয়ে আর কিছু হবে না।

প্রশ্ন হলো–তাহলে কাকে দিয়ে হবে? তৃণমূলকে দিয়েই হবে। তাই তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে বলে পান্ডে আর তার সঙ্গীরা কোটি কোটি টাকা প্রচারে খরচ করছে। পান্ডে চান, তৃণমূলের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী জোট।

তার আসল নাম প্রশান্ত কিশোর পান্ডে, বিহারি ব্রাক্ষণ। ‘পিকে’ নামে পরিচিত। এখন প্রশ্ন হলো–যে কংগ্রেসকে দিয়ে মোদি এন্ড কোম্পানিকে ২০২৪ সালে হারানো যাবে না, কেন সেই দলে তিনি যোগ দিতে গিয়েছিলেন? কার্যত তিনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহের মধ্যস্থতাকারী। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ বলে কিছু নেই। তিনি প্রফেশনাল ভোট ম্যানেজার। ২০১২ সালে গুজরাটের ভোট বা ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে তিনি ছিলেন মোদির সঙ্গে। ২০১৫ সালে লালু-নীতিশের মহাজোট করে ভোটে লড়ার সময় তিনি ছিলেন নীতিশ কুমারের সঙ্গে। পরে তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আবার লালুকে ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার পর সুবিধাবাদী নীতিশ তাকে দল থেকে তাড়িয়ে দিলে প্রশান্ত কিশোরের স্থান হয় কলকাতায়। এখন তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার।

দিল্লির মিডিয়া যেমন মোদিময়, বাংলার মিডিয়া তেমনি দিদিময়। ২০০৯ সালে যে বার দুই শতাধিক আসন পেয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস জোট, মানে ইউপিএ দুই, তখন কংগ্রেসের ভোট ছিল ২৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ৫২টি আসনে; কিন্তু ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি পাঁচ ভোটারের একজন এই দুঃসময়েও কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। আর ১৯৬টি আসনে কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয় স্থানে। অর্থাৎ, দেশের ৫৪৫টি আসনের মধ্যে ২৪৮টি আসনে কংগ্রেস একাই লড়তে পারে। তার মধ্যে ১০টি বড় রাজ্যে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। আর ২০১৯ সালে তৃণমূল ২২টি আসন জিতেছিল। ২০টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছিল। ভোট ছিল ৪ শতাংশ।

হিন্দিতে একটি কথা প্রায়ই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন–‘ক্রনোলজি সামঝিয়ে‘। অর্থাৎ ঘটনার পরম্পরা দেখে বোঝা যায় জল কোন দিকে গড়াচ্ছে। মাস দুয়েক আগেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। জেরা শেষে বেরিয়ে অভিষেক বিজেপিকে প্রথম শত্রু হিসেবে আক্রমণ করার পরিবর্তে হঠাৎ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। কংগ্রেসের অনেক দোষ থাকতে পারে; কিন্তু তারা বিজেপির চাপে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, অতিশত্রুও এমন কথা বলবে না। অভিষেকের এই আক্রমণে অনেকেই অবাক হয়ে যায়, যেখানে সোনিয়া-মমতা আগস্ট মাসেই দিল্লিতে কথা হয়েছিলেন।

এরপরই জল দ্রুত গড়াতে থাকে। গোয়ায় কংগ্রেস থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসামের শিলচরের সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেন। দুজনই বাংলা থেকে তৃণমূলের টিকেট পান। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের ব্রাহ্মণ মুখ অমরমনি ত্রিপাঠি তৃণমূলে যোগ দেন। সবশেষে মেঘালয়ের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ১২ জন বিধায়ক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর। পান্ডেজি এখন কলকাতার ভোটার।

গতমাসে দিল্লিতে মোদি-মমতা একান্তে বৈঠক করেন। মমতা জানান, রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলার বিজনেস সামিট উদ্বোধন করতে মোদি রাজি হয়ে যান। সোনিয়ার সাথে দেখা না করে মমতা বলেন, দিল্লিতে এলেই তার সঙ্গে দেখা করতে হবে কোথায় লেখা আছে? এখানে একটা কথা পরিষ্কার, মুম্বাই হচ্ছে ক্যাপিটালিস্ট বা পুঁজিপতিদের রাজধানী। সেখানে মুকেশ আম্বানি কোনো ব্যপারে হাঁ অথবা না বললে তার বিরাট অর্থ হয়। গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে তার প্রভাব পড়ে। ইদানীং গৌতম আদানিও সমান বা বেশি শক্তির দাবিদার। মোদির সৌজন্যে। তাদের কাছেই কাঁচা টাকা সবচেয়ে বেশি এবং মুকেশ আম্বানি চাইছে বলেই মহারাষ্ট্র শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট ক্ষমতায় আছে। না হলে কবে সরকার পড়ে যেত!

মমতা মুম্বাইয়ে দাঁড়িয়ে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আর নেই। প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএর অস্তিত্ব নিয়ে। বাংলা মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করে। কলকাতায় ফিরেই নবান্নে গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে অভিষেক আর পান্ডেজি দুজনই ছিলেন। আদানি এই মুহূর্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে ভিলেন। তারা মনে করছে ,আদানির কারণেই তিন কৃষি বিল আনা হয়েছিল। মমতা পরোয়া করেননি। কারণ, তিনি মনে করেন–দেশে কৃষকদের পাশাপাশি আদানিরও দরকার আছে।

পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, কলকাতা বা হাওড়া পুর ভোটে বিজেপি আরও কত দম নিয়ে লড়বে, তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্ভবত কেন্দ্রীয় নির্দেশেই তাদের ছন্নছাড়া অবস্থা। তৃণমূল একচেটিয়া জিতবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর–কোথাও কংগ্রেস বা বাম একটি আসনও জিতেনি। সবাই বুঝতে পারছে আর মুসলিম ভোটাররা বুঝতে পারবেন না, এটা কোনোদিন হয়? তাহলে কিন্তু বিপদ আছে।

মহারাষ্ট্র সরকারের দুইজোট শরিক শিবসেনা আর এনসিপি শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস ছাড়া কোনো বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ, দেশের সব প্রদেশেই বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরি করা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ প্রদেশেই বিজেপি-বিরোধী প্রধান শক্তি কংগ্রেস। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে, ওই দিনই তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ লিখেছে, কংগ্রেস ডিপ ফ্রিজে চলে গেছে, অর্থাৎ মৃত।

বাস্তব পরিস্থিতি কী বলছে? উত্তরদিক থেকেই শুরু করা যাক। পাঞ্জাবে কংগ্রেস এককভাবেই রয়েছে ক্ষমতায়। হিমাচল প্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায়। বিরোধী কংগ্রেস। হরিয়ানার বিজেপি জোট সরকার চালাচ্ছে। কংগ্রেস বিরোধী দল। দিল্লিতে কংগ্রেস আর বিজেপি দুই দলই অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে। ছত্তিসগড়ে সরকারে কংগ্রেস। বিরোধী দল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারে ছিল। সিন্ধিয়াকে দিয়ে দল ভাঙিয়ে বিজেপি সরকারে এসেছে। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস জোট সরকারে আছে। গুজরাটে কংগ্রেস বিরোধী দল। গোয়াতেও তাই। গতবার কংগ্রেস বেশি আসনে জিতেছিল। দল ভেঙে বিজেপি সরকার গড়ে। কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারে ছিল। দল ভেঙে বিজেপি সরকার গড়ে। কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। তেলেঙ্গানায় টিআরএস-ওয়েসি জোট ক্ষমতায়। কংগ্রেস বিরোধী দল। তামিলাডুতে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট ক্ষমতায়। কেরালায় সিপিএম জোট ক্ষমতায়। কংগ্রেস বিরোধী দল।

অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস দুর্বল। তবে বিজেপি থেকে শক্তিশালী। ওড়িশায় নবীন ক্ষমতায়। কংগ্রেস ও বিজেপি দ্বিতীয় স্থান নিয়ে লড়ছে। ঝড়খণ্ডে কংগ্রেস জোট ক্ষমতায়। বিহারে আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেস বিরোধী শক্তি। আসামেও কংগ্রেস বিরোধী দল। মনিপুরে বিজেপি জোট ক্ষমতায়। বিরোধী কংগ্রেস। মেঘালয় রাজ্যে দুজন মাত্র বিধায়ক নিয়ে বিজেপি জোট সরকারে। ১৮ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস বিরোধী ছিল। কংগ্রেসের বিধায়কদের দলে টেনে এখন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল। ভোটের শতাংশের হিসাবে গত লোকসভা ভোটে ত্রিপুরায় কংগ্রেস দ্বিতীয় দল ছিল।

লেখক: ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল