রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ বিজেপি-বিরোধী জোট এবং একজন ‘পিকে’

কৃষক আন্দোলনের কাছে পরাজিত আদানি-আম্বানির টাকায় ভোটে লড়া বিজেপি পরদিনই গদি মিডিয়াদের নামিয়ে দিয়েছে মাঠে। এই টিভি চ্যানেলে তৃণমূলের মূল উপদেষ্টা ভোট ব্যবসায়ী প্রশান্ত কিশোর পান্ডে মোদির বিরাট প্রশংসা করে বলেছেন, ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে [১৫ বছর আরএসএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) প্রচারক] মোদির যা অনুভব ও মানুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, ভারতে এই মুহূর্তে আর কারও নেই। তিনিই দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা।

আবার এদিকে যথারীতি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে পান্ডে বলেন, তার কংগ্রেসে যোগদান প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনো কারণে হয়নি। হয়তো কংগ্রেস নেতৃত্ব তার মতলব বুঝে দলে নেয়নি। সেইসঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের মত, ২০১৪ সালের পর কংগ্রেস আর একা ক্ষমতায় আসেনি। এই কংগ্রেসকে দিয়ে আর কিছু হবে না।

প্রশ্ন হলো–তাহলে কাকে দিয়ে হবে? তৃণমূলকে দিয়েই হবে। তাই তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে বলে পান্ডে আর তার সঙ্গীরা কোটি কোটি টাকা প্রচারে খরচ করছে। পান্ডে চান, তৃণমূলের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী জোট।

তার আসল নাম প্রশান্ত কিশোর পান্ডে, বিহারি ব্রাক্ষণ। ‘পিকে’ নামে পরিচিত। এখন প্রশ্ন হলো–যে কংগ্রেসকে দিয়ে মোদি এন্ড কোম্পানিকে ২০২৪ সালে হারানো যাবে না, কেন সেই দলে তিনি যোগ দিতে গিয়েছিলেন? কার্যত তিনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহের মধ্যস্থতাকারী। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ বলে কিছু নেই। তিনি প্রফেশনাল ভোট ম্যানেজার। ২০১২ সালে গুজরাটের ভোট বা ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে তিনি ছিলেন মোদির সঙ্গে। ২০১৫ সালে লালু-নীতিশের মহাজোট করে ভোটে লড়ার সময় তিনি ছিলেন নীতিশ কুমারের সঙ্গে। পরে তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আবার লালুকে ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার পর সুবিধাবাদী নীতিশ তাকে দল থেকে তাড়িয়ে দিলে প্রশান্ত কিশোরের স্থান হয় কলকাতায়। এখন তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার।

দিল্লির মিডিয়া যেমন মোদিময়, বাংলার মিডিয়া তেমনি দিদিময়। ২০০৯ সালে যে বার দুই শতাধিক আসন পেয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস জোট, মানে ইউপিএ দুই, তখন কংগ্রেসের ভোট ছিল ২৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ৫২টি আসনে; কিন্তু ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি পাঁচ ভোটারের একজন এই দুঃসময়েও কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। আর ১৯৬টি আসনে কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয় স্থানে। অর্থাৎ, দেশের ৫৪৫টি আসনের মধ্যে ২৪৮টি আসনে কংগ্রেস একাই লড়তে পারে। তার মধ্যে ১০টি বড় রাজ্যে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। আর ২০১৯ সালে তৃণমূল ২২টি আসন জিতেছিল। ২০টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছিল। ভোট ছিল ৪ শতাংশ।

হিন্দিতে একটি কথা প্রায়ই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন–‘ক্রনোলজি সামঝিয়ে‘। অর্থাৎ ঘটনার পরম্পরা দেখে বোঝা যায় জল কোন দিকে গড়াচ্ছে। মাস দুয়েক আগেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। জেরা শেষে বেরিয়ে অভিষেক বিজেপিকে প্রথম শত্রু হিসেবে আক্রমণ করার পরিবর্তে হঠাৎ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। কংগ্রেসের অনেক দোষ থাকতে পারে; কিন্তু তারা বিজেপির চাপে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করছে, অতিশত্রুও এমন কথা বলবে না। অভিষেকের এই আক্রমণে অনেকেই অবাক হয়ে যায়, যেখানে সোনিয়া-মমতা আগস্ট মাসেই দিল্লিতে কথা হয়েছিলেন।

এরপরই জল দ্রুত গড়াতে থাকে। গোয়ায় কংগ্রেস থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসামের শিলচরের সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেন। দুজনই বাংলা থেকে তৃণমূলের টিকেট পান। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের ব্রাহ্মণ মুখ অমরমনি ত্রিপাঠি তৃণমূলে যোগ দেন। সবশেষে মেঘালয়ের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ১২ জন বিধায়ক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর। পান্ডেজি এখন কলকাতার ভোটার।

গতমাসে দিল্লিতে মোদি-মমতা একান্তে বৈঠক করেন। মমতা জানান, রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলার বিজনেস সামিট উদ্বোধন করতে মোদি রাজি হয়ে যান। সোনিয়ার সাথে দেখা না করে মমতা বলেন, দিল্লিতে এলেই তার সঙ্গে দেখা করতে হবে কোথায় লেখা আছে? এখানে একটা কথা পরিষ্কার, মুম্বাই হচ্ছে ক্যাপিটালিস্ট বা পুঁজিপতিদের রাজধানী। সেখানে মুকেশ আম্বানি কোনো ব্যপারে হাঁ অথবা না বললে তার বিরাট অর্থ হয়। গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে তার প্রভাব পড়ে। ইদানীং গৌতম আদানিও সমান বা বেশি শক্তির দাবিদার। মোদির সৌজন্যে। তাদের কাছেই কাঁচা টাকা সবচেয়ে বেশি এবং মুকেশ আম্বানি চাইছে বলেই মহারাষ্ট্র শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট ক্ষমতায় আছে। না হলে কবে সরকার পড়ে যেত!

মমতা মুম্বাইয়ে দাঁড়িয়ে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আর নেই। প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএর অস্তিত্ব নিয়ে। বাংলা মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করে। কলকাতায় ফিরেই নবান্নে গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে অভিষেক আর পান্ডেজি দুজনই ছিলেন। আদানি এই মুহূর্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে ভিলেন। তারা মনে করছে ,আদানির কারণেই তিন কৃষি বিল আনা হয়েছিল। মমতা পরোয়া করেননি। কারণ, তিনি মনে করেন–দেশে কৃষকদের পাশাপাশি আদানিরও দরকার আছে।

পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, কলকাতা বা হাওড়া পুর ভোটে বিজেপি আরও কত দম নিয়ে লড়বে, তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্ভবত কেন্দ্রীয় নির্দেশেই তাদের ছন্নছাড়া অবস্থা। তৃণমূল একচেটিয়া জিতবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর–কোথাও কংগ্রেস বা বাম একটি আসনও জিতেনি। সবাই বুঝতে পারছে আর মুসলিম ভোটাররা বুঝতে পারবেন না, এটা কোনোদিন হয়? তাহলে কিন্তু বিপদ আছে।

মহারাষ্ট্র সরকারের দুইজোট শরিক শিবসেনা আর এনসিপি শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস ছাড়া কোনো বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ, দেশের সব প্রদেশেই বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরি করা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ প্রদেশেই বিজেপি-বিরোধী প্রধান শক্তি কংগ্রেস। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে, ওই দিনই তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ লিখেছে, কংগ্রেস ডিপ ফ্রিজে চলে গেছে, অর্থাৎ মৃত।

বাস্তব পরিস্থিতি কী বলছে? উত্তরদিক থেকেই শুরু করা যাক। পাঞ্জাবে কংগ্রেস এককভাবেই রয়েছে ক্ষমতায়। হিমাচল প্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায়। বিরোধী কংগ্রেস। হরিয়ানার বিজেপি জোট সরকার চালাচ্ছে। কংগ্রেস বিরোধী দল। দিল্লিতে কংগ্রেস আর বিজেপি দুই দলই অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে। ছত্তিসগড়ে সরকারে কংগ্রেস। বিরোধী দল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারে ছিল। সিন্ধিয়াকে দিয়ে দল ভাঙিয়ে বিজেপি সরকারে এসেছে। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস জোট সরকারে আছে। গুজরাটে কংগ্রেস বিরোধী দল। গোয়াতেও তাই। গতবার কংগ্রেস বেশি আসনে জিতেছিল। দল ভেঙে বিজেপি সরকার গড়ে। কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারে ছিল। দল ভেঙে বিজেপি সরকার গড়ে। কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। তেলেঙ্গানায় টিআরএস-ওয়েসি জোট ক্ষমতায়। কংগ্রেস বিরোধী দল। তামিলাডুতে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট ক্ষমতায়। কেরালায় সিপিএম জোট ক্ষমতায়। কংগ্রেস বিরোধী দল।

অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস দুর্বল। তবে বিজেপি থেকে শক্তিশালী। ওড়িশায় নবীন ক্ষমতায়। কংগ্রেস ও বিজেপি দ্বিতীয় স্থান নিয়ে লড়ছে। ঝড়খণ্ডে কংগ্রেস জোট ক্ষমতায়। বিহারে আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেস বিরোধী শক্তি। আসামেও কংগ্রেস বিরোধী দল। মনিপুরে বিজেপি জোট ক্ষমতায়। বিরোধী কংগ্রেস। মেঘালয় রাজ্যে দুজন মাত্র বিধায়ক নিয়ে বিজেপি জোট সরকারে। ১৮ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস বিরোধী ছিল। কংগ্রেসের বিধায়কদের দলে টেনে এখন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল। ভোটের শতাংশের হিসাবে গত লোকসভা ভোটে ত্রিপুরায় কংগ্রেস দ্বিতীয় দল ছিল।

লেখক: ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশী: দাবি মুম্বাই পুলিশের  

ছবিঃ সংগৃহীত

হামলার ৭০ ঘণ্টা অভিযানের পর গ্রেপ্তার বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের হামলাকারী! মুম্বাই পুলিশ দাবি করছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশী নাগরিক। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার করেছে ওই অভিযুক্তকে।

রোববার (১৯ জানুয়ারী) সকালে সাইফের বাড়ি থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে আটক করা হয়। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর নাম বিজয় দাস বলে দাবি করেন। তিনি থানে শহরের একটি বারে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত একাধিক নাম ব্যবহার করে। তার সঠিক পরিচয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার রাতে থানে (পশ্চিম)র হিরানন্দানি এস্টেটে টিসিএস কল সেন্টারের পেছনে মেট্রো নির্মাণস্থলের কাছে অবস্থিত এক শ্রম শিবির থেকে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মুম্বইয়ের ডিসিপি জোন-৬ নবনাথ ধাভালের টিম ও কাসারভাদাবলী পুলিশের যৌথ অভিযানে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে শেহজাদ পুলিশকে বলেছেন, তিনি জানতেন না যে সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল চুরি করা এবং সে কারণেই সে বাড়িতে ঢুকেছিল। হঠাৎ সইফ আলি খান তার সামনে হাজির হন এবং অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

জানা যাচ্ছে, এই অভিযানের ছিলেন মুম্বাই পুলিশের একজন ডিসিপি, তিনি জানান, বিজয় দাসকে একটা ঝোপের গভীরে শুকনো ঘাস ও পাতার নিচে ঘুমোতে দেখা গিয়েছিল।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে এখানে কাজ করেছিল তবে সে অবস্থান সম্পর্কে সচেতন ছিল। সে বুঝেছিল এই জায়গাটি নিরাপদ, আর তাই এখানে থেকে যায়।’

গ্রেফতারের পর বিজয় দাসকে তদন্তের জন্য মুম্বাতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হামলাকারী ঘটনার পরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে পালিয়ে যাচ্ছে। সাইফ থাকেন ১২তলায় আর হামলাকারীকে দেখা গিয়েছিল ষষ্ঠ তলার সিঁড়িতে। সেই ফুটেজ মিলেছিল সাইফ আলি খানের উপর হামলার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে।

ঘটনার পর শনিবার রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) ছত্তিশগড়ের দুর্গ রেলওয়ে স্টেশনে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, আটক হওয়া সেই সন্দেহভাজনের নাম ছিল আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া (৩১), মুম্বাই এলটিটি থেকে কলকাতা শালিমার জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে যাত্রা করেছিল সে।

সিসিটিভি ফুটেজে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আগে অভিনেতার বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখা যায়। পরে তাকে এক ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান থেকে ইয়ারফোন কিনতেও দেখা গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’ নামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকেন সাইফ আলী খান। তার সঙ্গে থাকে অভিনেতার স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর এবং তাদের দুই সন্তান। সেই বাড়িতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সাইফ। এ ঘটনায় প্রথমবার কারিনা কাপুরের টিমের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী ও তার দুই সন্তান সুরক্ষিত রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না: সিইসি  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন, বিধি-বিধানের মধ্যে থাকব। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বিএনপি বলেছে, জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন সম্ভব, এ বিষয়ে কমিশনের ভাবনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন-কানুন ও বিধি-বিধানের মধ্যে থাকব। আমরা ফ্রি, ফেয়ার গেম উপহার দিতে চাই, যেখানে সব প্লেয়ার অবাধে খেলতে পারে। আমরা এজন্য একটি মাঠ তৈরি করতে চাই। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সংস্কার আংশিক হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে, আর সংস্কার পুরোদমে হলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির সহায়তা হিসেবে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেন করেন সিইসি।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। তারা ডিসেম্বরে আমার সঙ্গে দেখা করলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম। এত দ্রুত তারা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় আমি অভিভূত। ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ক্যামেরা দিয়ে তারা সহায়তা করল, যা আজ শুরু হলো। আশা করি, সামনের জাতীয় নির্বাচনেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবে।

সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। তাই আজ কয়েকশ ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ক্যামেরা ইউএনডিপি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এগুলো আসতেই থাকবে। পুরো নিবন্ধন কার্যক্রমে তারা আশা করি সহায়তা দেবে। জাতীয় নির্বাচনে সহায়তার জন্য তাদের নিড অ্যাসেসমেন্ট টিম আসছে। তো তারা যে একটা সহায়তা দেবে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু লাগে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। কাল থেকে মাঠে নামাচ্ছি। আশা করছি সন্দেহ দূর হবে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করব। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি। সাভারে উদ্বোধন হবে।

অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রধান স্টিফেন লিলার সিইসির কাছে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার, চার হাজার ৩০০টি ব্যাগ হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টা আগে ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর  

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবিঃ সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ভেস্তে গেলে তার বাহিনী ফের ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি ‘স্বল্প সময়ের’ এবং ইসরায়েল গাজায় ফের হামলার অধিকার রাখে, তাতে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনও থাকবে।

ভাষণে ইসরায়েলি এ প্রধানমন্ত্রী হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে মারাসহ গেল ১৫ মাসের যুদ্ধে তার বাহিনীর ‘সফলতার গুণগানও’ করেন।

“আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিয়েছি। হামাস এখন সম্পূর্ণ একা,” বলেন তিনি।

শনিবারের এ ভাষণের আগে নেতানিয়াহু চুক্তির শর্তের ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিয়ে বলেছিলেন, হামাস কোন কোন জিম্মিকে ছাড়বে তার তালিকা না পেলে ইসরায়েল চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না।

“চুক্তির লংঘন বরদাস্ত করবে না ইসরায়েল,” বলেছিলেন তিনি।

প্রথম ধাপে হামাস যে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে তার একটি তালিকা এরই মধ্যে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো ছাপিয়েছে, তবে তালিকাটি সঠিক কিনা তেল আবিবের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

রোববার কোন তিন জিম্মি মুক্তি পাবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এখন তার অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে। এদিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা।

প্রথম ধাপে ইসরায়েলও এক হাজার ৮৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। এর পাশাপাশি তাদেরকে গাজা থেকে বাহিনী প্রত্যাহারও শুরু করতে হবে।

রোববার কোন এলাকা দিয়ে হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তা নিশ্চিত না হওয়ায় ইসরায়েল উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ গাজার সীমান্তে তিনটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

প্রথম দিন হামাস যাদের ছেড়ে দেবে তারা সবাই নারী বলে গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা।

এদিকে যুদ্ধবিরতি শুরুর ক্ষণগননার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত আছে। বুধবার চুক্তির ঘোষণা আসার পর এ পর্যন্ত হামলায় ১২০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হামাসের কর্মকর্তারা।

শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তেল আবিবে জড়ো হয়ে হাজারো মানুষ চুক্তির প্রথম ধাপে থাকা সব শর্ত ঠিকঠাক মেনে আরও জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

“আমরা হয়তো আরও ২০০ সেনা ও ১০ জনেরও বেশি জিম্মিকে বাঁচাতে পারতাম। সরকার সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তারা ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করেছে,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরামের সদস্য গ্যাল এলকেলাই।

শনিবার তেল আবিবের কাছে এক রেস্তোরাঁয় ছুরি হামলায় একাধিক লোক আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলের পুলিশ।

বেসামরিক এক নাগরিকের গুলিতে হামলাকারী ঘটনাস্থলে নিহতও হয়েছে; সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী দখলকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারাম দিয়ে ‘অবৈধভাবে’ তেল আবিবে প্রবেশ করেছিল, জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশী: দাবি মুম্বাই পুলিশের  
আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না: সিইসি  
যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টা আগে ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর  
একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব  
স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন হাসিনা  
আজহারীর মাহফিলে ২২ নারীসহ আটক ২৩  
১৯ দফায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান: তারেক রহমান
চা খেতে ৩শ টাকা নিয়ে এসআই ক্লোজড  
মধ্যরাতে জাবির নারী হলের একটি কক্ষ থেকে বহিরাগত যুবক আটক  
জিয়াউর রহমানের জন্মদিন আজ  
টাঙ্গাইলে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
‌‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করবে সরকার’
ধর্ম-বর্ণের বিভেদ ভুলে, একে অপরের জন্য কাজ করবো এটাই বাংলাদেশ: ফারুকী  
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত আলী গ্রেফতার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান: ফারুক
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী উধাও!  
আগরতলা কারাগারে বাংলাদেশি দুই কিশোরী
কলকাতায় জড়ো হচ্ছে আওয়ামী লীগ; নেতৃত্বে শাওন- সম্রাট
ছাত্রদলের সংগ্রাম বাদ দিলে ইতিহাস যাবে ডাস্টবিনে: ছাত্রদল সভাপতি