রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সন্তান প্রতিপালনে বাবা মায়ের করণীয়

প্রথমে আমাদের জানতে হবে প্যারেন্টিং অথবা বাবা মায়ের ভূমিকা বলতে কি বুঝায়। সাধারণত আমরা সব বয়সের মানুষ পিতা-মাতাকে প্যারেন্ট হিসেবে চিনি। কিন্তু প্যারেন্ট বলতে যা বোঝায় একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে যাদের ভূমিকা থাকে এবং যাদের উপর শিশু নির্ভর করে থাকে তাদের প্যারেন্ট বলা হয়ে থাকে। যেমন-পরিবারের বাবা-মা, পালক বাবা মা, বড় ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী নিকটাত্মীয় যাদের একটি শিশু নিরাপদ ও ভরসাযোগ্য আশ্রয়স্থল মনে করে থাকেন, তারাও একটি শিশুর জন্য বাবা মায়ের সমতুল্য হয়ে থাকেন এবং বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক গঠনে যাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে একটি শিশুর জন্য তাদেরকে প্যারেন্ট বলা যেতে পারে।

একজন স্বামী এবং স্ত্রী যখন তাদের জীবনে শিশুর আগমন নিয়ে চিন্তা করে থাকেন, তখন থেকেই বাবা মাকে পারেন্টিংরোল এর মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে তৈরি হতে হয়। তাই শুরু থেকেই স্বামী স্ত্রীকে আগে নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে যদি কোন সমস্যা থাকে।

তা সঠিকভাবে সমাধান করে নেয়াটা জরুরী। আগে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হবেন। আমাদের সমাজের একটি বহুলপ্রচলিত ভুল ধারণা বিদ্যমান আছে। আমরা মনে করে থাকি, একটি শিশুর জন্মের মধ্য দিয়ে বৈবাহিক সমস্যা গুলোর সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলোই পরবর্তীতে শিশুর মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। মনে রাখতে হবে, শিশুর জন্ম নেয়া মানে নিজেদের সমস্যার সমাধান নয়। শিশুর জন্মানোর মধ্য দিয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব শুরু হয় এবং সেই দায়িত্বের সাথে সম্পর্কিত কাজগুলো মধ্য দিয়ে নিজেকে পরিচয় করাতে হয়। প্যারেন্টিং রোলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেক বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে ।  

একটি বাচ্চাকে যথাযথভাবে বড় করার জন্য প্রত্যেকেরই কিছু প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে। আমরা সংক্ষেপে ওই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিব। প্রথমতঃআমাদের খেয়াল রাখতে হবে শিশুর যথাযথ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের গঠন ও নিরাপত্তার উপর। দ্বিতীয়তঃ শিশুকে সক্ষম পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করা এবং সামাজিক মূল্যবোধ শিশুর মধ্যে তৈরি হতে সাহায্য করা। তৃতীয়তঃ শিশু এবং তার বাবা-মায়ের মধ্যকার সম্পর্কের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

একটি শিশুর জীবনে চলার পথে বাবা মায়ের উপর প্রতিটি পদক্ষেপেই নির্ভরশীল। তাই শিশু ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বাবা-মাকেই তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। তাই বাবা-মাকে বেশ কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হয়। যা বাবা মাকে একটু সুন্দর সুস্থ সন্তান তৈরিতে সাহায্য করবে।

একটি শিশু জন্মের পর থেকে তাকে দেখাশোনার কাজে যারা নিযুক্ত থাকে প্রত্যেকেই প্যারেন্টিং এর রোল পালন করে থাকে। শিশু জন্মের পর থেকে তার প্রত্যেকটি কাজের জন্য তার  বাবা-মা কেয়ারগিভার এর উপর নির্ভর করে থাকে। তাই এর মধ্য দিয়ে সন্তান ও বাবা-মার মধ্যকার সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ় হয়।

একটি শিশুর দৈনন্দিন প্রয়োজনগুলি ( যেমন – খাওয়ানো, কাপড় বদলানো ,কোলে নেয়া, আদর করা, কান্না থামানো) শিশুর প্রয়োজনীয় কাজগুলো যদি তাড়াতাড়ি এবং আন্তরিকতার সাথে করা হয় তা শিশু ও বাবা-মায়ের মধ্যকার সম্পর্ক দৃঢ় হতে সাহায্য করে। এই ভালোবাসার বন্ধন শিশুর সাথে তার বাবামায়ের সম্পর্কের জন্য খুব প্রয়োজন এবং ভাইবোন ও অন্যদের সাথেও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। মা-বাবা এবং অন্য অভিভাবকদের সাথে যখন শিশুর সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন শিশু পৃথিবীতে নিজের অবস্থান  সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবতে পারে। 

বাবা-মাকে তার সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে নিম্নলিখিত কাজগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।  

  • শিশুদের স্নেহ ভালোবাসা প্রদর্শন করুন।
  • শিশুদের সাথে সঠিক ভাবে যোগাযোগ করার মধ্য দিয়ে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করুন। যেন সহজেই বাচ্চা তার যেকোনো সমস্যায় আপনার সাহায্যের কথা চিন্তা করে থাকে।
  • শিশুর সাথে আপনিও উদ্দীপনামূলক কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করুন এবং তাকে যথাযথভাবে সময় দিন।
  • শিশুদের যেকোনো কাজের প্রশংসা করুন ও তাদের বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করুন।
  • শিশুর পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টিকে মূল্যায়ন করুন, পারস্পারিক সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। এতে শিশুটি সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখবেন।
  • বাবা-মা নিজেরাও সন্তান জন্মের পর তাদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাই বাবা-মা নিজেরা যদি কিছু বিষয় মনে রাখেন, সহজেই বাবা-মা শিশু লালন পালনে সক্ষম হবেন।  
  • শিশুদেরকে ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করুন (Reward good behaviour)।একটি শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু ফ্যামিলি। শিশু বুঝতে শেখার পর থেকে তার আশেপাশের প্রিয় মানুষগুলোকে অনুসরণ করে থাকে। তাই কাছের মানুষজন অর্থাৎ বাবা-মা-ভাই-বোন যদি ছোট্ট শিশুটিকে তার নিজস্ব কাজের জন্য ইতিবাচক কথা বলে থাকে। তাহলে শিশুটি ভালো কাজ করার ক্ষেত্রে আরো বেশি আগ্রহ পাবে। মনে রাখতে হবে শিশুরা প্রশংসা ও মনোযোগ পেতে পছন্দ করে।
  • ভুলক্রমেও শিশুর কোন নেতিবাচক কাজকে পুরস্কৃত করবেন না। (Don’t accidentally reward bad behavior) যেহেতু একটি শিশুর প্রতিপালনের বিষয়টি বাবা-মাদের ক্ষেত্রে নতুন তাই স্বাভাবিক বাবা-মা’র অনেক সময় বুঝতে পারেনা শিশুর বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চারা অন্যায় আবদার করে অথবা কান্নাকাটি করে তাদের বড়দের কাছ থেকে কোনো কিছু আদায় করে নিতে চাই এবং এই ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি সে মনোযোগ পেয়ে যায়, তাহলে এই ধরনের অন্যায় আবদার দিনকে দিন শিশুটি করে যাবে। তাই শিশুর এমন কোনো আবদারে মনোযোগ দেয়া যাবে না যাতে করে শিশুর ক্ষতি হয়। শিশুকে বুঝিয়ে বিষয়টি খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। যেমন অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা তাদের পছন্দ নয় এমন কোন কাজ নিয়ে অভিযোগ করে থাকে, মন খারাপ করেও কান্নাকাটি করে। সেক্ষেত্রে বাচ্চার ভুলটি ইতিবাচক উপায় বুঝিয়ে দিতে হবে। শিশু যেন একটি দৈনিক রুটিনের মধ্যে থাকে সেই বিষয়ে তাকে উৎসাহ দিতে হবে।
  • খারাপ কাজের জন্য শিশুদের স্বল্প শাস্তির ব্যবস্থা করুন। (Learn about punishment and punish some bad behavior but use mild punishment)

 বাবা-মা সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে অনেক সময় বুঝতে পারেন না তারা কি ধরনের রোল বা  ভূমিকা পালন করবেন। তারা নিজেদের অজান্তে বিভিন্ন ধরনের প্যারেন্টিং স্টাইল অনুসরণ করে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে সন্তানের ব্যক্তিত্বের ধরণ বুঝতে না পারার কারণে  সন্তানের উপর এর নেতিবাচক  প্রভাব পড়ে থাকে । বাবা-মার সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের পাইন্টিং স্টাইল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।  

১। কর্তৃত্বপরায়ন ধরনের ( Authoritarian style)-  এই ধরনটিতে খুব কঠোর এবং মা বাবার সন্তান প্রতিপালন ধরন( Parenting style)-

অনড় নিয়ম আরোপ করা হয়। ফলে শিশুরা অসুখী ও সংঘাতময় হয়।

২- প্রশ্রয়/ আশকারা- অনুমতিদায়ক  ধরনের-(indulgent – Permissive style)  এই ধরনটিতে শিশুরা কোন বিধিনিশেধ মেনে বড় হয় না। মাঝে মাঝে শিশুদেরকে অনুমানযোগ্য কঠোর শাস্তি দেয়া হয়। এই সব শিশুরা মারমুখি, আবেগতাড়িত এবং জীবনের বিভিন্ন কাজে অসফল হয়ে থাকে।

৩। প্রশ্রয়/ আস্কারা- অবহেলা ধরনের ( Indulgent- Neglectful style)- এই ক্ষেত্রে শিশুদেরকে অনেক বেশি আস্কারা দেয়া হয় এবং  তাদেরকে অবহেলা ও করা হয়।  ফলে শিশুদের মধ্যে আত্মর্যাদাবোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ কম থাকে, এবং বেশি আক্রমণাত্মক হয়।

৪।কর্তৃত্ববাদি- পরস্পর বিনিময়যোগ্য ধরন ( Authoritative reciprocal style )- এই ধরনের প্রতিপালনে উষ্ণ ভালোবাসার পরিবেশের মধ্যেও দৃঢ় নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় পরস্পরের মতামতকে মূল্য দেয়া হয়।

এটিকে শিশু প্রতিপালনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ও কার্যকরী পদ্ধতি বলা হয়। এর ফলে শিশুরা আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠে এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ ও তৈরি হয়।

Positive parenting এর মুল উদ্দেশ্য হল শিশুদেরকে এমনভাবে নিয়মানুবর্তিতা শিখানো যাতে করে শিশু ও বাবা–মায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং শিশুরা আত্মর্যাদাসমপন্ন হয়।

Positive parenting  শিশুদের ব্যবহার এবং অনুভুতির উন্নতির সাথে সাথে তাদের স্বকীয়তা এবং ইতিবাচক জীবন দর্শন শিক্ষা দেয়

উদাহরণস্বরূপ-

 -শিশুকে নেতৃত্ব দেয়া শিখালে তারা আত্মবিশ্বাসী হয় এবং ভাল সিদ্ধান্ত ( make good choice ) নিতে পারে

_ ইতিবাচক যোগাযোগ ( communication )  অবিভাবকের সাথে শিশুর সম্পর্কের গুনগতমান বৃদ্ধির সাথে তাদেরকে সামাজিক হতে এবং সমস্যা সমাধান করতে শিক্ষা দেয়।

-উষ্ণ এবং গনতান্ত্রিক লালন পালন শিশুকে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে

-শিশু পালনে সায়ত্তশাসন ব্যবহার করলে শিশুর সৃজনশীলতা, empowerment and self determination

-সহায়ক এবং আস্থাশীল শিশু লালন পালন (supportive and optimistic  parenting  শিশুকে তার নিজের এবং ভবিষ্যতের প্রতি বিশ্বাসী হতে সাহায্য করে।

-শিশুর ভাল ব্যবহারকে স্বীকৃতি দিলে শিশুর  self – efficacy  গড়ে ওঠে এবং তারা ইতিবাচক সামাজিক ব্যবহারের প্রতি উৎসাহী হয়। 

শিশুকে বিধিনিষেধ মেনে চলতে শিখালে তারা জবাবদিহিতা  শিখে এবং দায়িত্বশীল হয়ে গড়ে উঠে ।

 একটি শিশু যখন কৈশোর বয়সে পা দেয় তখন তাদের শারিরিক, মানসিক , সামাজিক বিভিন্ন দিকে পরিবর্তন হতে থাকে। তারা  স্বভাবতই স্বনির্ভর এবং সত্ত্বাধিকারী হতে চেষ্টা করে এবং  পরিবারের  চাইতে বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতে পচ্ছন্দ করে।  অভিভাবকেরা এই সময় খুব সাবধানে শিশুর পরিবারের সাথে সম্পর্ক  বজায় রাখতে  এবং তাদের স্বকীয়তা অর্জনে সাহায্য করবেন। যে সব কিশোর কিশোরী পরিবারের  সাথে  ভাল সম্পর্ক রাখতে পারে এবং নিজেকে পরিবারের আবদ্ধ ও মনে না করে তারা সুন্দরভাবে প্রসফুটিত হয়। রিসার্চে দেখা গেছে যেসব টিনেজারদের সাথে  তাদের অ্ভিভাবকেরা উষ্ণ, যোগাযোগপুরন ( communicative ) এবং  reasoned আচরন করেন  তারা সামাজিক ভাবে competent হয়, , নেশায় জড়িয়ে  পড়ে না এবং  Depression or anxiety তে কম ভুগে থাকে। 

বয়ঃসন্ধিকাল এই সময়টাতে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। তারা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো পরিবারের কাছ থেকে গোপন করে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে তারা বিভিন্ন ধরনের খারাপ অভ্যাস  সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। বর্তমানকালে লক্ষ করা যায় যায় , মাদক দ্রব্যের ব্যবহার টিনএজ বয়সে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, খারাপ সঙ্গ ও পরিবেশের কারণে তারা সহজেই এই অভ্যাসে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। তাই বাবা মাকে এ সময়টাতে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। বাবা-মা এই বয়সের সন্তানদের লালন পালনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ রেখে সন্তানের মাদক ব্যবহারের প্রবনতা যেভাবে কমিয়ে আনতে পারেনঃ

  • আপনার সন্তানের বন্ধুদের জানুন
  • কোনো সমস্যা সমাধান এবং মাদকদ্রব্য বাবহারের ক্ষেত্রে নিজে আপনার সন্তানের রোল মডেল হন।
  • আপনার সন্তান মাদক দ্রব্য ব্যাবহারের ঝুঁকিতে আছে কিনা বোঝার চেস্টা করুন।
  • সন্তানকে মাদক সম্বন্ধে ইনফর্মেশন দিন।
  • সন্তানের ব্যবহার এবং গতিবিধির উপর নজরদারী করুন।
  • ওদের জীবনযাত্রায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করুন।
  • সন্তানের সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন।
  • আপনার সন্তানের সাথে উষ্ণ ও সহায়ক সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

 

সঠিকভাবে সন্তান বড় করার পিছনে বাবা মায়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পজিটিভ প্যারেন্টিং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে বাবা-মাকেও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং মনে রাখতে হবে সঠিক প্যারেন্টিং একটি সন্তানের মানসিক বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।  

  

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি