বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা পরিষদ এবং প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে পর্যালোচনা

স্থানীয় সরকার, টেকসই উন্নয়ন এবং তৃণমূল রাজনীতি সংশ্লিষ্ট গবেষক হিসেবে ৬১টি জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা হিসেবে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছিলাম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়ায় জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের ৬১টি জেলায় প্রথমবারের জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি শপথ নেন। সেই বছরের জানুয়ারিতে জেলা পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিষদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। তবে সংসদে পাস হওয়া সদ্য সংশোধিত আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করার কথা।

জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০২২’ গত ৬ এপ্রিল সংসদে পাস হয়েছে। জেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার সংস্থার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক নিয়োগের বিধান অন্তর্ভুক্ত করে বিলে বলা হয়েছে, কোনো অজুহাতে পাঁচ বছরের মেয়াদের পর কোনো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে থাকবেন না। সরকার পরবর্তী কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংস্থা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করবে যা আইনে বলা হয়েছে। জেলা পরিষদ আইন ২০০০ একটি নির্বাচিত কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদে একজন প্রশাসক নিয়োগের অনুমতি দেয়, তবে পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে প্রশাসক নিয়োগের কোন বিধান নেই। প্রশাসকের সময়কাল ১৮০ দিনের বেশি হবে না এবং কেউ একবারের বেশি প্রশাসক হতে পারবেন না, বিলে বলা হয়েছে।

আমি ২০২২ সালে সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিতর্ক শুনছিলাম। বিলের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলটিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে এটি সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী যা 'সর্বস্তরে প্রশাসনে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া একদিনও জেলা পরিষদ রাখা ঠিক হবে না। সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া কোনো কর আরোপ করা যাবে না। তাহলে ভোট না দিয়ে প্রশাসক থাকবেন কেন, প্রশ্ন করেন জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্য। বিএনপির সংসদ সদস্য বলেছে, জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়োগের জন্য বিলে এই বিধান রাখা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমালোচনার জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধির ফাইল মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আদালতে যায় এবং আদালতের আদেশ পেয়েও ২০ বছর পদে বহাল থাকে। মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের প্রবণতা ঠেকাতে সরকার প্রশাসক নিয়োগের পদক্ষেপ নিয়েছে।

সত্যি বলতে, সংসদে এমপি-মন্ত্রীর বিতর্ক আমাকে এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রসঙ্গক্রমে, আমি সংবিধানের ৫৯(১) অনুচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলি যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটে স্থানীয় সরকার আইন অনুসারে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থার কাছে ন্যস্ত করা হবে’। নিশ্চয়ই জেলা পরিষদে প্রশাসক রাখা একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা। এটি একটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলতে পারে না যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। 'জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২' অনুযায়ী, সরকার পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংস্থার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা একজন সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেবে। পরবর্তী জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক দায়িত্বে থাকবেন। যাইহোক, প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি হবে না এবং কেউ একবারের বেশি প্রশাসক হতে পারবে না।

এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৬১টি জেলা পরিষদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন করতে প্রস্তুত নয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে, বাকি ২০০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন শেষ হলেই ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবে কমিশন। আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন থেকে ইউপি পর্যন্ত সব স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের ভোটার। ফলে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন না হলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন সম্ভব হবে না। যেহেতু একজন প্রশাসক ১৮০ দিনের বেশি জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, কাজেই নির্বাচন কমিশন কে এখন থেকে অন্তত পরবর্তী চার মাসের মধ্যে বাকি ২০০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সক্রিয় হতে হবে বলে আমি মনে করি। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সব জেলা পরিষদ নির্বাচন এই বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

আমি মনে করি, জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জোরদার করতে জেলা পরিষদের প্রশাসকদের আরও ক্ষমতা দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে স্থায়ী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে, ঢাকাপ্রকাশ-এ গত মাসে প্রকাশিত আমার একটি লেখায় আমি জেলা পরিষদের কার্যকারিতার ওপর জোর দিয়েছিলাম। মানুষের মতামত শোনা এবং তাদের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা যায়। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী না করলে এবং তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে না দিলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন অপরিহার্য। ফলস্বরূপ, স্থানীয় সরকারে সামগ্রিক সংস্কার আনা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে প্রশাসককে তা নিশ্চিত করতে হবে, জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কর্মদক্ষতা দেখানো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। আবারও আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, গণমানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে জেলা পরিষদকে কার্যকার করা ছাড়া নতুন সংশোধিত আইন বা নতুন কোনো বিধান জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজে আসবে না ।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

 

ই-মেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উত্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কলেজ, নজিপুর সরকারি মহিলা কলেজ, নজিপুর হাইস্কুল, নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা ও নজিপুর বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন তারা।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নাজমুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাওছার মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল মুরসালিন, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় কুমার সরকারসহ স্থানীয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাই। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, আমরা সেই ত্রাসের রাজনীতি না করে, ছাত্র রাজনীতিতে সংস্কার করতে চাই। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে এসেছি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে এই সংক্রান্ত ৩১ দফা শিক্ষার্থীদের কাছে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।

মতবিনিময়কালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়া ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দেশে কী ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা, শিক্ষার্থীরা কী ধরনের পরিবর্তন চান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নেন।

Header Ad

বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। তাই খেয়াল রাখতে হবে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো দেশ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে না পারে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ২০০৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত জেলা জজ আদালতের দুই বিচারক জগন্নাথ পাড়ে ও সোহেল আহমেদের স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় কোনোভাবেই উগ্রবাদকে গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এ দেশে যা ঘটে তা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরা হয়। খেয়াল রাখতে হবে, ভবিষ্যতে যেন, এমন সুযোগ আর কেউ না পায়।

তিনি বলেন, এ দেশের চারপাশে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। তাই আর কেউ যেন শত্রু না হয়। বিষয়টির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। কোনো বিভেদের পথে হাঁটা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

প্রয়াত দুই বিচারককে স্মরণ করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, জঙ্গিবাদ কত ভয়াবহ। এখানে আমাদের দুটি শিক্ষা আছে। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ কী ভয়ংকর জিনিস। মানুষকে কত যুক্তিহীন অমানুষ ও নিষ্ঠুরে পরিণত করে। আমার মনে হয় না পৃথিবীতে অন্য কোনো কিছু মানুষকে এতটা নিষ্ঠুর মরিয়া বেপরোয়া করতে পারে। জঙ্গিবাদ যেকোনো ধর্মের হতে পারে। ... এটা আমাদের শিক্ষা দেয় আমরা কোনোভাইবে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতে পারি না। কোনো অজুহাতেই না। কোনো মোড়কেই না।

অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Header Ad

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার কিছু আগে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে বাকু ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা।

কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজান যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি।

এছাড়া বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রে এ সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেচিরোভিচ সাক্ষাৎ করেছেন।

এছাড়া বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
উদ্বোধন হলো বেনাপোলের কার্গো ইয়ার্ড টার্মিনাল: বাড়বে বাণিজ্য, কমবে যানজট
চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর বাজার তদারকি অভিযান, জরিমানা আদায়
ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ
ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন
তারল্য সংকট মেটাতে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা পেল দুর্বল সাত ব্যাংক