শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

লোকজ সংস্কৃতি ও আগ্রাসী করপোরেট সংস্কৃতির বিশ্বায়ন

ভাষার মাধ্যমে আমরা মনের ভাব প্রকাশ করি। ভাষার ডিসকোর্স, লোকজ ভাষার উপর আগ্রাসী করপোরেট সংস্কৃতি প্রভাবকে প্রতিপাদ্য করে এবং অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপটে কানাডা এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দুটি ভিন্নধর্মী অনলাইন লাইভ আলোচনা। আলোচকরা ছিলেন কানাডার রাজধানী অটোয়া হতে লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মহাসিন বখত ও আন্তর্জাতিক মাদার ল্যাংগুজে ডের গ্লোবাল ক্যাম্পেইনার (আইএম এল ডি) সৌরভ বড়ুয়া।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন ও কথা সাহিত্যিক হোসাইন কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও লোক গবেষক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদি, দক্ষিণ চট্টগ্ৰামের সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লোকজ শ্লোক গবেষক রাহিম সৈকত, কানাডার এডমন্টন আলবার্টা হতে প্রেরণা টিভির সম্পাদক, প্রধান নির্বাহী ও সমাজ কর্মী এডওয়ার্ড প্রবীর মন্ডল, হ্যালিফ্যাক্স কানাডা হতে আমি। প্রথম আয়োজনে বাঁশখালী এক্সপ্রেসের তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ চট্টগ্রাম হতে সঞ্চালনা করেন রাহিম সৈকত ও কানাডা হতে সৌরভ বড়ুয়া। দ্বিতীয় আয়োজনের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কানাডার আলবার্টার প্রেরণা টিভির প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড প্রবীর মন্ডল।

আলোচকরা মতামত ব্যক্ত করেন–করপোরেট সংস্কৃতির বিশ্বায়ন, নগর কেন্দ্রিক সভ্যতার বিকাশ ও উপনিবেশবাদের ক্রমাগত আগ্রাসনের ফলস্বরূপ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী লোকজ ভাষার অস্তিত্ব এখন বিস্মৃতপ্রায়। একটি দেশের আত্মপরিচয়ের মূল ভিত্তি হলো–বৃহত্তর জনগণের লোকভাষা, লোকরীতি–এক কথায় লোকজ সংস্কৃতি। লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে সাধারণ ও কৃষিনির্ভর, নদী ও সমুদ্রনির্ভর জনগোষ্ঠীর সহজ-সরল জীবনবোধের প্রকাশের মাধ্যমে। তবে আধুনিক পুঁজিবাদী করপোরেট যন্ত্রনির্ভর বিশ্বায়নের চাপে বাংলাদেশসহ অনেক রাষ্ট্রে স্থানীয় ভাষার সঠিক বিকাশ এবং এর স্বতন্ত্রঐতিহ্য মন্ডিত সুনির্দিষ্ট উচ্চারণ ও প্রয়োগগত দিকে বিকৃতির সৃষ্টি হয়েছে।

আলোচক অধ্যাপক হোসাইন কবির লোকজ সংস্কৃতি বিষয়ক তাঁর গবেষণার আলোকে বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শেকড়ের লোকজ ভাষা ও কৃষ্টি সংরক্ষণের বিষয়টি জোর দেন। তিনি ‘আঞ্চলিক’ শব্দটির নেতিবাচক বোধের ইঙ্গিত করে উল্লেখ হয় তাই এর পরিবর্তে ‘লোকজ’ ভাষা এবং ‘লোক সংস্কৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। মাত্রাতিরিক্ত যন্ত্রনির্ভরতার ফলস্বরূপ আমাদের বাংলাদেশের হাওর বাওড় অঞ্চলের মাটিসংলগ্ন ভাষা, লালনের ভাষা, রংপুর, পাবনা, দিনাজপুর, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক ও নৃজাতিগোষ্ঠীর সহজ, বর্ণিল ভাষা ও সংস্কৃতির সুরভী মুছে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বৃহত্তর লোকসংস্কৃতির যাত্রা, নৃত্য ও খেলাধুলা, গম্ভীরা, প্রবাদ প্রবচন, শ্লোক, জারি গান ও নাচ, সারি গান, মাগনেরগীত, বিবাহেরগীত, হুদমার গীত, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, মুর্শিদী, মারফতি, বাউল, গম্ভীরা, কীর্তন, ধামালিপ্রভৃতি গান, সিলেটের নাগরী লিপি, পুঁথি পাঠ ইত্যাদি সুবিস্তৃত লোকজ সংস্কৃতির ক্ষেত্রটি আমাদের আত্মপরিচয়ে শিকড় বহন করে। আলোচকদের মতে, বিশ্বায়নের নেতিবাচক প্রভাবে বর্তমানের যন্ত্রনির্ভর করপোরেট সংস্কৃতিতে একটি-দুটি প্রচলিত ভাষার অধীনে আনার পরোক্ষ অপচেষ্টা চলছে, যা দেশে ও প্রবাসের লোকজ ভাষার বৈচিত্রময় স্বতন্ত্র রূপকে বিনষ্ট করছে।

অধ্যাপক হোসাইন কবির বিদেশি ভাষাকে পরিহার না করে নিজের বৃহত্তর লোকজ সংস্কৃতিতে সংরক্ষণে সার্বিক ভাবে সচেতন ইংরেজি বা অন্যভাষা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তার মতে, মাটি সংলগ্ন ভাষার সঙ্গে আমাদের পরিচিতির প্রয়োজনীতা অসীম। বক্তাদের মতে, বাংলা ভাষার প্রমিতরীতি অনুসারীর সংখ্যা সীমিত তারচেয়ে অনেকবেশি সংখক মানুষ যে লোকসাহিত্যতে কথা বলেন, মনের ভাব প্রকাশ করেন তার আবেদন অনেক বেশি। তাই লোকজ কৃষ্টি আমাদের ঐতিহ্যের ধারক। কথা সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকের অনন্য সৃষ্টি ইংরেজ উপনিবেশিক সরকারের বিরুদ্ধে অমিত শক্তিধারী কৃষকনেতা নুরুরলদীনের সারা জীবন হতে অধ্যাপকহোসেন কবির ও শেখ সাদী ‘জাগো বাহে কোন ঠে সবাই’ জাগরণের কালজয়ী আহ্বান উদ্ধৃত করেন। তাদের মতে, বাংলাদশের রংপুর ওদিনাজপুর জেলার লোকজ ভাষার এই হৃদয়গ্রাহী আবেদন কোন বিকল্প যান্ত্রিক এলগরিদম প্রণালীনির্ভর অথবা প্রমিত, প্রচলিত আধুনিক একক কোন ভাষার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব।

সৌরভ বড়ুয়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউনেস্কো পরিচালিত কয়েকটি কনফারেন্স সম্বন্ধে কিছুটা আলোকপাত করেন যার বিষয় বস্তু ছিল বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের যান্ত্রিকতার চাপে স্থানীয় ভাষার গুলির অবলুপ্তি। তিনি কানাডার মূলধারার স্থানীয় অভিবাসী ও আদিবাসী সংস্কৃতির শেকড়ের ভাষার চর্চা বজায় রাখার পাশাপাশি কানাডা স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষার চর্চার ক্ষেত্রে কানাডা সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগের দিক আলোকপাত করেন।

আলোচক মহসিন বখত মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের বিভিন্ন পর্যায়েআদি যুগ হতে হাজার বছরের ভাষার ক্রমবিকাশের নিয়ন্ত্রণে আগ্রাসী শক্তির ভূমিকাবিষয়ক আলোকপাত করেন।

ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী তার বক্তব্যে শেকড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাষা কে মূল ভাষাবলেউল্লেখ করে রাজা রামমোহন রায়, কথা সাহিত্যিক আল মাহমুদের সাহিত্য সৃষ্টির লোকজ আবেদন, বাউল শাহআব্দুল করিমের অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী জীবন দর্শনের অনন্য উদাহরণ আলোকপাত করেন। তিনি পশ্চিমের অনেক দার্শনিক চিন্তাবিদদের চিন্তার সঙ্গে বাংলার হাজার বছরের বাউল সাধকদের চিন্তার একাত্মতার কয়েকটি ক্ষেত্র উত্থাপন করেন। তার মতে, সঠিক প্রচার, সচেতনতার এবং গবেষণার অভাবে আমাদের এই বৃহত্তরলোকজ সংস্কৃতির বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে না যেভাবে সর্বত্রই পশ্চিমা ভাষা চিন্তাবিদের সৃষ্টিশীলতা প্রাধান্য পাচ্ছে। তিনি বৃহত্তর লোকজ জনগোষ্ঠী হতে জাতীয় সংসদের বেশি মাত্রায় প্রতিনিধিত্বের দিকটির প্রাধান্য দেন।

আলোচক প্রবীর মন্ডল বিশেষভাবে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় কানাডার মূলধারার একটি নৃ জাতিগোষ্ঠীর একটি উপর তার পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণার বিষয়টি তুলে ধরেন। আমাদের মায়ের বাংলা ভাষায় গবেষণামূলক আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল ও গবেষণায় বাংলায় ভাষা বিভিন্ন প্রকাশনার দিকটা প্রাধান্য দেন। কানাডায় ঔপনিবেশিক শক্তি মূল ভূখণ্ডের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিশুদের কীভাবে রেসিডিয়াল স্কুলের যুক্ত করে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভাষাগত ও কৃষ্টিভিত্তিক নিপীড়ন করেছে ইতিহাসের সেই বিষয়টি আলোচকরা তুলে ধরেন।

এই আয়োজনে দক্ষিণ চট্টগ্রাম হতে অংশগ্রহনকারী আলোচক রাহিম সৈকতের আলোচনায় উল্লেখ করেন তিনি চট্টগ্রামের বৃহত্তর লোকজ সংস্কৃতির প্রায় বিস্মৃত কয়েকশো শ্লোক, লোকগাঁথা, গল্প সংগ্রহ ও গবেষণা করছেন যার দ্বারা বাংলাদেশের এই দক্ষিণাঞ্চল সহ হাজার বছরের সমাজ সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা সম্ভব। আমি আমার বক্তব্যে বাংলার লোকজ সংস্কৃতির সঠিক প্রসারে এবং আমার কানাডার সাহিত্য অনুবাদ ও আমাদের গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি কিছুটা আলোচনা করি। কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে মিউনিসিপ্যাল পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির প্রেক্ষপটে আমাদের উদ্যোগের দিকটা আলোচনা করি।

প্রযুক্তিনির্ভরতার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের লালিত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের লোকজ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, লোকাচার ও লোকভাষা। এই পরিস্থিতির দ্রুত নিরসন কল্পে এবং আমাদের কৃষ্টিনির্ভর অস্তিত্বের রক্ষার স্বার্থে বৃহত্তর লোকজ কৃষ্টি ও সাহিত্য, ভাষা সংরক্ষণে দেশে প্রবাসে সবার সদিচ্ছা এবং উদ্যোগ অব্যাহত রাখা বিশেষ প্রয়োজন।

হ্যালিফ্যাক্স, কানাডা

লেখক: প্রবাসী লেখক

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত