বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে এক উজ্জ্বল নাম

রবি ঠাকুরের সোনার বাংলা /
নজরুলের বাংলাদেশ/
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা/
রূপের যে তার নাইকো শেষ।

বাংলার অপরূপ রূপকথা বারবার উঠে এসেছে বিভিন্ন কবির কবিতায়, গানে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন শুধু এদেশের নয়, বিদেশি পর্যটকেরাও। আবার অন্যদিকে সেই বাংলাকে জোর করে দখল করার চেষ্টা, আর সেই চেষ্টাকে সফল করতে প্রয়োজনে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার ইতিহাসও আমাদের সকলেরই জানা। জবরদখলকারী এবং হানাদারেরা বহু চেষ্টা করেছে, কখনও সাময়িকভাবে সফলও হয়েছে, কিন্তু শেষমেশ জয় হয়েছে বাংলারই। বাংলার মানুষ রুখে দিয়েছে সব আক্রমণ, সব ষড়যন্ত্র।

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন ভারত আক্রমণ করে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকসেনাদের রুখতে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রকৃত বন্ধুর মতো। ১৩দিনের প্রবল যুদ্ধের পর ১৬ডিসেম্বর পাকিস্তানের জি ও সি ইনচার্জ জেনারেল নিয়াজি ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের চিফ জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ৯১ হাজার সৈন্যসহ আত্নসমর্পণ করেন। এর আগে যুদ্ধ চলাকালীনই ৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গেই পাক বাহিনীর যাবতীয় চেষ্টার অবসান ঘটলো। বিজয়ী হল বাংলাদেশ।জয় হল সারা পৃথিবীর কোটি কোটি বাঙ্গালির বড় গর্বের, বড় আনন্দের দিন। সেই চিরস্মরণীয় দিনটির আজ সুবর্ণজয়ন্তী। পঞ্চাশ বছর আগে পাকসেনাদের হাত থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। পেয়েছিল স্বতন্ত্র স্বীকৃতি। বাঙালি যতদিন থাকবে,এই দিনটির কথা মনে রাখবে।

বিশ্বের যে সব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে, সেসব জায়গাতেই এ বছর বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে, সে সব জায়গাতেই এ বছর বাংলাদেশের বিজয় দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। শুধু আজই নয়, যুগ যুগ ধরে বাঙালি এই দিনটি স্মরণ করবে।

ঢাকায় যারা বিগত ৯মাস ধরে বন্দি ছিলেন, তাঁরা সেই উৎসবের দিনে দলে দলে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, বিজয় উৎসব উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন। অনেকদিন আগের কথা হলেও তখনকার অনেক ঘটনাই এখনও আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনার কথা বলি। ৯মাস ধরে অমানুষিক পরিশ্রম করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের খবর কভার করার পরেও বিজয় দিবসের দিন আমার ঢাকায় উপস্থিত থাকা হয়নি, শুধুমাত্র সাদা কালোর দ্বন্দে।আমি আর যুগান্তরের চিফ রিপোর্টার অনিল ভট্টাচার্য অপেক্ষা করছিলাম যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা কালো চামড়ার বলেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল না। পরে বলা হল,আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ওইদিন আর হেলিকপ্টার যাবে না।

১৬ই ডিসেম্বর ঢাকা থেকে দিল্লীতে খবর আসার পর সংসদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বললেন, যুদ্ধে পাকিস্তান পরাজিত হয়েছে। এজন্য আপনারা সকল কৃতিত্বের অধিকারী। আমি এর কোন কৃতিত্ব দাবী করবো না। উল্লেখ্য অটলবিহারী বাজপেয়ি সংসদে দাঁড়িয়েই সেদিন ইন্দিরা গান্ধীকে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। প্রখর বুদ্ধিমত্তার অধিকারিনী ইন্দিরা বলেন, আমরা যদি এখন লাহোর দখল করি , তাহলে আমরাই সমস্যায় পড়বো। লাহোরের জনসংখ্যা ১কোটির বেশি। লাহোর দখল করলে সেই সব মানুষের খাওয়া পরা এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে। তাছাড়া নিয়াজির ৯১ হাজার সৈন্যকেও খাওয়াতে হবে। আমরা এত মানুষের দায়িত্ব নিতে পারবো না ।

৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয় পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি জেল থেকে। সেখান থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়েই তিনি বাংলাদেশের বিজয়ের সুখবরটি পান। সেখান থেকে ইন্দিরা গান্ধী তাকে দিল্লিতে আসতে বলেন। দিল্লিতে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেন। দিল্লি থেকে ধাকায় ফিরে রমনা ময়দানে ১০ জানুয়ারি সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতা দেন বঙ্গবন্ধু। যেখানে তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখার একটি স্পস্ট চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তীকালে সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়।

এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তা সফল হয়নি।বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন জার্মানিতে। তাই তারা সেদিন বেঁচে যান। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তৎকালীন উপমন্ত্রী প্রনব মুখোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের ১ নম্বর বিমানে জার্মানিতে পাঠান। হাসিনা ও রেহানাকে দিল্লিতে নিয়ে আসার জন্য। সেই সময় দুইবোনকে সহায়তা করেছিলেন ইন্দিরাই। পরবর্তীকালে প্রায় ২১ বছর বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল না আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রায় ২০ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনার নেতৃতে আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পথেই বাংলাদেশকে নিয়ে চলেছে। মুজিবের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে হাসিনা বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের মানচিত্রে এক উজ্জ্বল স্থান করে দিয়েছেন।

 

লেখক: কলকাতার সিনিয়র সাংবাদিক

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর