বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকাপ্রকাশ-এর দর্পণে প্রকাশিত হোক প্রতিটি মুখ

এরশাদুল আলম প্রিন্স

গণমাধ্যম আধুনিক রাষ্ট্রের এক অপরিহার্য অংশ। গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ ও একই সঙ্গে এটি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, স্বপ্ন দেখায় আদর্শিক সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব বিনির্মাণের।

একুশ শতকের পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে পরিবর্তন হচ্ছে গণমাধ্যমেরও। গণমাধ্যমের এই পরিবর্তন বহুমাত্রিক। ক্রমে এর বিকাশ ঘটছে। আমাদের দেশেও গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটছে এবং তা বহুমাত্রিক। দেশের আজ থেকে তিন দশক আগের গণমাধ্যম আর আজকের গণমাধ্যম এক নয়। এ শতাব্দীর শুরুতে আমাদের এখানে পুরোপুরি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদপত্রের সূচনা। যদিও তারও আগে থেকেই কয়েকটি কাগজের পত্রিকার অনলাইন ভার্সন চালু ছিল। পাঠক তখনও পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর হয়ে ওঠেনি।ফলে,কাগজেরপত্রিকাগুলোও তখন পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর হয়ে ওঠেনি। ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। সব পত্রিকা অনলাইন ভার্সন চালু করে এবং পাঠকও অনলাইন নির্ভর হয়ে ওঠে। এছাড়া কাগজের পত্রিকা গুলোর কিছু করারও ছিল না। আত্মরক্ষার প্রয়োজনেই নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ।

এক সময়ে বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবার মানেই সংবাদপত্রের গ্রাহক। ঘরে সংবাদপত্র না থাকলে ওই পরিবারকে আধুনিক ও প্রাগ্রসর নয় বলে সন্দেহের চোখে দেখা হতো। কিন্তু আজকে অবস্থা অনেকটাই ভিন্ন। এখন সংবাদপত্র বাসায় থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই মনে করা হয় বুঝিবা পরিবারটি এখনও পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে ওঠেনি।

কাজেই, গণমাধ্যমের ডিজিটালাইজেশনই আজকের বাস্তবতা। সব ধরনের গণমাধ্যমের মূল প্লাটফর্মই আজ অনলাইনে। যেকোনো গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনই পাঠক পড়ে। কাগজের পত্রিকার সঙ্গে কালে-ভদ্রে তার সাক্ষাৎ হয়। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানও দর্শক এখন অনলাইনেই দেখে নেয়। সময় করে টিভির সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখার দিন প্রায় শেষ। টিভিগুলোও তাদের সব অনুষ্ঠান অনলাইনে প্রচার করছে। গণমাধ্যম যে শুধু অনলাইন নির্ভর হয়েছে তা নয়, সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে পারাটাই মূল কথা।

হাতের মুঠোতেই আজ বিশ্ব। হাতের মুঠোতেই আজ গণমাধ্যম। যেভাবেই হোক পাঠকের হাতের মুঠোর মধ্যে থাকতে পারাটাই আজকের গণমাধ্যমের টিকে থাকার মূল লড়াই। টিআরপি বলি অথবা অ্যালেক্সা র‌্যাংকিং-সবই নির্ধারিত হয় পাঠকের হাতের মুঠোয়। টেক্সট, ভিডিও, ইউটিউব বা অডিও-যে মাধ্যমই হোক না কেন ফেসবুকে গণমাধ্যমের কন্টেন্ট রয়েছে কিনা সেটাই আসল কথা। একুশ শতকের পাঠক কারো ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে অনুষ্ঠান দেখবে সেরকম নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণমাধ্যমকেই তার কন্টেন্ট নিয়ে হাজির থাকতে হবে প্রতিনিয়ত।

একুশ শতকে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের পাঠক কম, শ্রোতাও কম, কিন্তু দর্শক বেশি-তাই মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমই ভোক্তাবান্ধব। গণমাধ্যমের এ বহুমাত্রিক শাখাবিস্তার কঠিনই বটে। বিশ্বাস করি, এই কঠিনেরে ভালোবেসেই ঢাকাপ্রকাশ আত্মপ্রকাশ করলো। তবে, এ বাস্তবতা কঠিন হলেও একই সঙ্গে যথেষ্ট সম্ভাবনাময়ও। অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণেই গণমাধ্যমের জন্য খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার। বাংলাদেশ তথা বিশ্ব গণমাধ্যমের বিকাশ অথবা অস্তিত্ব দুটোর জন্যই দায়ী এই অনলাইন। গত এক দশকে বিশ্বের নামি-দামি ও ঐতিহাসিক অনেক সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেছে। অনলাইন ভার্সনেই হয়তো কেউ কেউ এখনও টিকে আছে। টিকে থাকা ও বিকাশের এটাই পথ।

বিশ্বে অর্থনীতির বর্ধনশীল একটি খাত হিসেবে দাঁড়িয়েছে গণমাধ্যম শিল্প। গণমাধ্যমকে গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা শিল্প হিসেবে বিবেচনা করতেই ভালোবাসেন। বাংলা ভাষায় শিল্প শব্দটির দুটি দিক রয়েছে। সুকুমার শিল্পও একটি শিল্প আবার উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কর্মযজ্ঞও একটি শিল্প। গণমাধ্যমকে যখন শিল্প বলি তখন আশ্চর্যজনকভাবে এখানে শিল্পের দুটি বিষয়ের এক মেলবন্ধন দেখতে পাই। মূলত এই মেলবন্ধন না ঘটলে গণমাধ্যমকে শিল্প বলাই অর্থহীন। পুঁজিবাদী বিশ্বে গণমাধ্যমকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিল্প বলতে অনেকে পছন্দ করেন। কাজেই, সংবাদ এখানে একটি পণ্য। এমনকি পাঠকের কাছেও পুরো পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালটিই একটি পণ্য। পাঠকের কাছে এই পণ্যের মান, গুণ ও রূপ তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে এই পাঠক বা গ্রাহকের হাতে সময়ও খুবই কম আবার তার হাতে পন্যের (গণমাধ্যমের) সরবরাহও অনেক বেশি। উপরন্তু এই বাজারে নিত্য নতুন সরবরাহকারীরা ঢুকে পড়ছেন। প্রকৃত গণমাধ্যমের সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে পড়ছেন কিছু ফড়িয়া ও ফটকা ব্যবসায়ীরাও। ফলে, অনলাইন মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমের বাজার কিছুটা অস্থিরই বলা যায়। এমন একটি অস্থির বাজারে ‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’ এই ব্রত নিয়ে গুণ ও মানসম্পন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বাজারে নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার কাজটি সহজ কিছু নয়।

এই পাথর সময়ে ঢাকাপ্রকাশের আত্মপ্রকাশ সততার শক্তিকে ভালোবাসারই নামান্তর। সততার শক্তিকে ভালো না বাসলে প্রকৃত গণমাধ্যমের জন্মই হয় না। পুঁজি খাটিয়ে সংবাদপণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও সরবরাহ বাণিজ্যের মাধ্যমে যা তৈরি হয় তা প্রকৃত অর্থে গণমাধ্যম হয়ে উঠতে পারে না। এগুলো হয়ে ওঠে পুঁজিপতিদের কাছে যেমন বাণিজ্যিক পণ্য, তেমনি পাঠকের কাছে শেষমেষ স্ক্রাপ আইটেম। ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালগুলো কিছুদিনের জন্য বাজার তোলপাড় করে তোলে, কিন্তু সময়ের কাছে হেরে যায়। পাঠক দীর্ঘ মেয়াদে এদেরকে বর্জন করে।

বর্তমান বিশ্বে সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জের চেয়েও বেশি। কর্তৃত্ববাদীতার বাহ্যিক চ্যালেঞ্জতো এখানে আছেই। কিন্তু সমাজের আর দশটি ক্ষেত্রে মান-গুণ-রুচি ইত্যাদির যে নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকতাও তার থেকে বাদ যায়নি। অতীতে সাংবাদিকতা থেকে সততাকে আলাদা করা যায়নি। এখন সততার সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক থাকলে ভালো, না থাকলে যেন আরও ভালো। এমন একটি বিরহ সময়ে ঢাকাপ্রকাশ সততার সঙ্গে গণমাধ্যমের সেই পুরনো,শাশ্বত ও অবিনশ্বর প্রেমের কথাটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিল। ঢাকাপ্রকাশ বলছে, সততাই শক্তি। হ্যা, সততাই গণমাধ্যমকে ভেতর থেকে শক্তি যোগায় বাইরের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, ঠিক যেমন প্রেম মানুষকে বেঁচে থাকার অণুপ্রেরণা জোগায়। সততায় ঋদ্ধ যে পেশা তার নাম সাংবাদিকতা।

সততার সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্কের চিড় ধরায় শিল্প বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু যে গণমাধ্যমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নয়, পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকারান্তরে প্রকৃত গণমাধ্যম শ্রমিক বা শিল্পীরা হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

সাংবাদিকরা সমাজের চিকিৎসক। দমবদ্ধ সমাজে অক্সিজেন সরবরাহ করেন সাংবাদিক, মড়ক লাগা সমাজে মলম সরবরাহ করেন সাংবাদিক। সততাই তাদের শক্তি। কিন্তু সাংবাদিকরাই যদি মহামারিতে আক্রান্ত হন তবে সমাজের ব্যাধি সাড়াবে কে?

সততা বিচ্যুতির ফলে সাংবাদিকতা হয় অবরুদ্ধ। কুসাংবাদিকতার শুরু এখান থেকেই। সুসাংবাদিকতা প্রশ্নটির অবতারণা হয় কুসাংবাদিকতার অস্তিত্ব থেকে। সমাজে কুসাংবাদিকতা আছে বলেই সুসাংবাদিকতার অবকাশ রয়েছে। কুসাংবাদিকতার হাত থেকে গণমাধ্যমকে বাঁচাতে সুসাংবাদিকতার পুনঃবিকাশ জরুরি। সুসাংবাদিকতায় সবারই মুক্তি। এই মুক্তি সাংবাদিকতার, গণমাধ্যম তথা গণমানুষের। ঢাকাপ্রকাশ সুসাংবাদিকতায় মুক্তি- এ কথা বিশ্বাস করে।

সুসাংবাদিকতাই এদেশে গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছিল। এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা আমরা ভুলি কী করে? আমাদের সংবাদপত্রের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অতীত। সততার শক্তির ওপর ভর করেই সুসাংবাদিকতার মাধ্যমে তারা একটি জাতিকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করেছেন। সততার শক্তি থাকলে মানুষের মুক্তি কথা বলা যায়, এমনকি মানুষের মুক্তির জন্য জীবনও দেওয়া যায়। শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ,এস এ মান্নান (লাডু ভাই), আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, শহীদ সাবের, আবুল বাশার, শিবসাধন চক্রবর্তী, চিশতী শাহ্ হেলালুর রহমান, মুহাম্মদ আখতার, সেলিনা পারভিন-এরা সবাই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন, নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের মাস। এ মাস সেই সততার শক্তির চুড়ান্ত বিজয়ের মাস।
ঢাকা আমাদের রাজধানী, প্রাণের শহর। মান-অভিমান, পাওয়া-না পাওয়া,অভাব-স্বপ্ন ও সম্ভাবনার শহর। ঢাকাই দেশের দর্পন। ঢাকাপ্রকাশের দর্পনে প্রকাশিত হোক এদেশের প্রতিটি মুখ।

 

এরশাদুল আলম প্রিন্স: আইনজীবী ও কলাম লেখক

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত