সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[২] হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত। নদী পার হয়ে আমরা কেউ আর হাঁটতে পারছি না। পেটে ক্ষুধা আছেই। নদী পার হয়ে দেখি কোন বাড়িঘর নেই। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। একটু দূরে কয়েকটা ছোট ছোট চালা। বুঝতে পারলাম এটা কোন একটা বাজার। নির্দিস্ট দিনে, নির্দিস্ট সময়ে হাট বসে। ঐখানেও কোন খাবার পাওয়া যাবে না। দেখি সামনে মানুষ নদী থেকে পানি পান করছে। আমিও গেলাম এবং নদী থেকে পানি পান করলাম। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল। পানি পান করার পর মনে হল ভেতরটা ঠান্ডা হয়েছে। শরীরে একটু শক্তি ফিরে এসেছে। আরও কিছুক্ষণ বসে আছি। একটু পর দেখি, দুই তিনজন লোক এগিয়ে আসছে, একজনের মাথায় মাটির কলসি আর একজনের মাথায় অনেক বড় একটা সিলভারের গামলা। আমাদের কাছে এসে দাঁড়ালেন, সঙ্গের লোকটি বললেন, এই নেন, আপনারা একটু খেয়ে পানি পান করেন। দেখি মুড়ি, আমরা সবাই খেলাম। এতজনের মধ্য থেকে একজন জানতে চান, আশে পাশে কোন বাড়িঘর নেই, নেই কোন লোকজন, আপনি এত খাবার কোথা থেকে নিয়ে এলেন। ঐ লোকটি তখন বললেন, যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকেই দেখি, এদিক দিয়ে শত শত লোক নদী পার হয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়, সবাই ক্লান্ত থাকে। একদিন দেখি সকালে কয়েকজন লোক আধা মরার মতন পড়ে আছে, আমি তাদের খাবার খাওয়াই। তারপর তারা সুস্থ হয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়। তার পরদিন থেকে আমি মুড়ি আর পানি নিয়ে আসি। প্রতিদিন তিনবার মুড়ি আর পানি আনি। আর নৌকা দিয়ে লোক পার করার জন্য আমরা চারজন লোক রেখেছি । আমার বাড়ি ঐখান থেকে প্রায় এক মাইল দূরে। লোকটির নাম কি, কি তার পরিচয়, তা কিছুই জানতে পারিনি। তখন এসব জানার মতন মনমানসিকতা ছিল না।

মুড়ি পানি খেয়ে আবার হাঁটতে শুরু করি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার গরুর গাড়ি পেলাম। গরুর গাড়ি চলছে তো চলছেই। মাঝে তিন জায়গায় গাড়ি থেমেছে। কিন্তু আমরা নামছি না। না নামার কারণও ছিল, কারণটা হল, আমরা এতই ঠাসাঠাসি করে গাড়িতে বসে আছি যে, নড়ার শক্তি নেই। নামলে পরে যদি আবার উঠে বসতে না পারি, তাই আমরা আর নামি নি। গাড়ি চলছে, আর একেক জন একেক গল্প বলছে। এত কস্টের মাঝেও হাসি আটকে রাখতে পারছে না কেউ। এত দু:সময়েও মানুষ যে এত সুন্দর করে কথা বলতে পারে, আর মানুষকে এত আনন্দ দিতে পারে, সেই দিন ঐ গরুর গাড়ি দিয়ে না গেলে তা কোন দিনও বুঝতে পারতাম না। সেই দিনের সেই সময় থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার জীবনে আরও কত দেশ বিদেশ ঘুরেছি কিন্তু সেই দিনের সেই জার্নির কথা আমি কখনো ভুলিনি এবং আর ভুলবোও না। যদিও সেই সময়টা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু দুই তিনজনে সেই খারাপ সময়টাকে কেমন করে যে ভাল করে দিয়েছিল। তারা তো সত্যিই খুব ভাল, বুদ্ধিমান, তাই না। সেই জার্নিটা খুব মিস করি। যখন মনে হয় সেই দিনের কথা, তখনই নিজের অজান্তে চোখের পাতায় ভেসে উঠে সেই স্মৃতি। একেই হয়ত বলে ফেলে আসা দিন।

দেখতে দেখতে কখন যে সন্ধ্যা নেমে এসেছে টেরই পাইনি। সন্ধ্যার পরও গাড়ি চলছে, কারণ, পুরো আকাশ জুড়ে পূর্ণিমার চাঁদটা ঝলমল করে উঠেছিল। আর যে গরুর গাড়ি চালাচ্ছিল, সে-ও নিজের দায়িত্ব নিয়ে চালাচ্ছে এবং আনন্দের সঙ্গেই চালাচ্ছে। সে বুঝতে পেরেছিল, আমরা মহাবিপদে পড়ে আছি। সে শুধু গাড়িই চালায় নি, মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসাও করতেন যে, আপনাদের কারো কিছু লাগবে, আপনাদের কি কোন সমস্যা আছে? যদি কিছু প্রয়োজন হয় তবে আমাকে বলবেন, যদি কোন সমস্যা হয় আমাকে স্মরণ করবেন। আমি সব সময় হাজির আছি। একেক বার একেক কথা বলছে আর একেকটা গানের দুই চার লাইন গেয়ে আবার চুপ। হঠাৎ আবার গলা ছেড়ে জোড়ে আওয়াজ করে গেয়ে উঠে। তার গাওয়া কয়েকটি গানের লাইন আমার বেশ মনে আছে। এবং সেই গানগুলো আমার খুব প্রিয়। এখনও মাঝে মাঝে থেকে থেকে সেই গানগুলি শুনি। যখন একা থাকি, বা কখনো মন খারাপ হয়, তখন বারান্দায় গিয়ে একাকী বসে বসে গুন গুন করে গানগুলি গাই। তখন আমার মন ভাল হয়ে যায়। কখনো কখনো মন চায় সেই দিনটা যদি ফিরে আসতো, তবে যুদ্ধ না নিশ্চয়ই।

রাত তখন দশটা কি এগারটা বাজে। গাড়ি থেমে গিয়েছে। ড্রাইভার জানালেন, আমরা এসে গিয়েছি। একে একে সবাই গাড়ি থেকে নামছি। আমাদের মাঝ থেকে একজন গাড়ি থেকে নামার সময় মাটিতে পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়। তখন সবাই তার জন্য কতই না ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দাঁড়িয়ে দেখছি আর মনে মনে ভাবছি, কেউ কাউকে চেনে না, জানে না, তারপরও তার জন্য সবাই কত ব্যস্ত । এখন সেই দিনটা আর আগের মতন নেই। বিশ্বাস করতেই ইচ্ছে করে না। মনে মনে ভাবি সত্যিই কি এটি বাস্তব ছিল নাকি স্বপ্নের মাঝে দেখেছিলাম।

ঐ রাতে আরও কিছুদূর হাঁটার পর আস্তে আস্তে সবাই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি আর সেই ফুটন্ত উজ্জ্বল চাঁদটাও আস্তে আস্তে জ্যোতি কমে যেতে যেতে এক সময় আঁধারে হারিয়ে গিয়েছে, নেমে এসেছে অন্ধকার। তখন আর হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না। তারপর একটু সময় হাঁটি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটা বাড়ি পাওয়া গিয়েছে। সেই বাড়িতে একটা ঘরে টিম টিম করে কুপি বাতির আলো জ্বলছে। তাই দেখে বুঝতে পারি এটা একটা বাড়ি। আমরা সেই বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে সবাই যেমন ক্ষুধার্ত তেমনি ক্লান্ত। আমরা ফিস ফিস করে কথা বলি। তারপরও আমাদের অনেক মানুষের ফিসফিসানি শুনে সেই ঘর থেকে একজন বৃদ্ধা মহিলা লাঠি হাতে নিয়ে বাহির হয়ে এল, জিজ্ঞাসা করে আমরা কারা। আমাদের এখান থেকে একজন সব খুলে বলে। তখন ঐ বুড়ি আমাদেরকে জায়গা দিয়েছে আর একটা কথা বলি, তখন এই গভীর অন্ধকার রাতে অজানা অচেনা পথ দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছি তখন কিন্তু জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর ভয় ছিলনা আমাদের। ভয় ছিল মানুষের, মানুষের ভয়ে আমরা গভীর জঙ্গলে রাতের আঁধারে হিংস্র প্রাণির কাছে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এটা চিন্তা করলে মনে হয় পুরো পাকিস্তানিদেরকে কিছু একটা করে ফেলি।

এভাবেই আমরা এক সময় আমাদের গন্তব্যস্থানে এসে পৌঁছালাম। দাদার বাড়িতে এসে দেখি অনেক বড় বাড়ি না হলেও, বাড়িটা বেশ সুন্দর। গ্রামের বাড়ি সাধারনত: এত সুন্দর পরিপাটি থাকে না। বাড়ি ভর্তি লোকজন। আমাদেরকে পেয়ে সবাই বেশ খুশি। খুব সহজেই আপন করে নিয়েছে তারা আমাদেরকে। বাড়ির সকলের বিশেষ করে দাদার আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। সে যে সন্তানকে কত ভালবাসে তা বুঝতে একটুও সময় লাগেনি। কিন্তু দু:খ একটা আছে, থাকবেই। সেই দু:খ দাদা কখনো আমাদের প্রকাশ করেন নি। কথাবার্তা, চলাফেরা থেকে। আব্বার ঘরটায় আমরা থাকতাম। যাক এসব কথা।

গ্রামে যাওয়ার পর প্রাণ খুলে চলাফেরা করতে পারছি। গ্রামে কোথাও ভয় আতংক নেই। পুরো গ্রাম জুড়ে চলাফেরা করছি, কি যে ভাল লাগছে, তা বলে বুঝানো যাবে না। তবে শহরের কথা সব সময়ই শুনা যাচ্ছে, গ্রামে আলোচনা করে সবাই। দেখতে দেখতে বেশ ক’টা দিন ভালভাবেই কেটে গিয়েছে।ঐখানে গিয়ে আমার বয়সি আরও চাচাতো বোন পেলাম, দুই চাচার ঘরের তিনজন। তাদের নাম পারুল, নার্গিস আর রেনুকা। তারাও আমাদেরকে বেশ আপন করে নিয়েছে। আশপাশের বাড়ির আরও অনেক ছেলেমেয়ে আছে আমার বয়সি। সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে আছি।

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু