রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[২] হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত। নদী পার হয়ে আমরা কেউ আর হাঁটতে পারছি না। পেটে ক্ষুধা আছেই। নদী পার হয়ে দেখি কোন বাড়িঘর নেই। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। একটু দূরে কয়েকটা ছোট ছোট চালা। বুঝতে পারলাম এটা কোন একটা বাজার। নির্দিস্ট দিনে, নির্দিস্ট সময়ে হাট বসে। ঐখানেও কোন খাবার পাওয়া যাবে না। দেখি সামনে মানুষ নদী থেকে পানি পান করছে। আমিও গেলাম এবং নদী থেকে পানি পান করলাম। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল। পানি পান করার পর মনে হল ভেতরটা ঠান্ডা হয়েছে। শরীরে একটু শক্তি ফিরে এসেছে। আরও কিছুক্ষণ বসে আছি। একটু পর দেখি, দুই তিনজন লোক এগিয়ে আসছে, একজনের মাথায় মাটির কলসি আর একজনের মাথায় অনেক বড় একটা সিলভারের গামলা। আমাদের কাছে এসে দাঁড়ালেন, সঙ্গের লোকটি বললেন, এই নেন, আপনারা একটু খেয়ে পানি পান করেন। দেখি মুড়ি, আমরা সবাই খেলাম। এতজনের মধ্য থেকে একজন জানতে চান, আশে পাশে কোন বাড়িঘর নেই, নেই কোন লোকজন, আপনি এত খাবার কোথা থেকে নিয়ে এলেন। ঐ লোকটি তখন বললেন, যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকেই দেখি, এদিক দিয়ে শত শত লোক নদী পার হয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়, সবাই ক্লান্ত থাকে। একদিন দেখি সকালে কয়েকজন লোক আধা মরার মতন পড়ে আছে, আমি তাদের খাবার খাওয়াই। তারপর তারা সুস্থ হয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়। তার পরদিন থেকে আমি মুড়ি আর পানি নিয়ে আসি। প্রতিদিন তিনবার মুড়ি আর পানি আনি। আর নৌকা দিয়ে লোক পার করার জন্য আমরা চারজন লোক রেখেছি । আমার বাড়ি ঐখান থেকে প্রায় এক মাইল দূরে। লোকটির নাম কি, কি তার পরিচয়, তা কিছুই জানতে পারিনি। তখন এসব জানার মতন মনমানসিকতা ছিল না।

মুড়ি পানি খেয়ে আবার হাঁটতে শুরু করি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার গরুর গাড়ি পেলাম। গরুর গাড়ি চলছে তো চলছেই। মাঝে তিন জায়গায় গাড়ি থেমেছে। কিন্তু আমরা নামছি না। না নামার কারণও ছিল, কারণটা হল, আমরা এতই ঠাসাঠাসি করে গাড়িতে বসে আছি যে, নড়ার শক্তি নেই। নামলে পরে যদি আবার উঠে বসতে না পারি, তাই আমরা আর নামি নি। গাড়ি চলছে, আর একেক জন একেক গল্প বলছে। এত কস্টের মাঝেও হাসি আটকে রাখতে পারছে না কেউ। এত দু:সময়েও মানুষ যে এত সুন্দর করে কথা বলতে পারে, আর মানুষকে এত আনন্দ দিতে পারে, সেই দিন ঐ গরুর গাড়ি দিয়ে না গেলে তা কোন দিনও বুঝতে পারতাম না। সেই দিনের সেই সময় থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার জীবনে আরও কত দেশ বিদেশ ঘুরেছি কিন্তু সেই দিনের সেই জার্নির কথা আমি কখনো ভুলিনি এবং আর ভুলবোও না। যদিও সেই সময়টা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু দুই তিনজনে সেই খারাপ সময়টাকে কেমন করে যে ভাল করে দিয়েছিল। তারা তো সত্যিই খুব ভাল, বুদ্ধিমান, তাই না। সেই জার্নিটা খুব মিস করি। যখন মনে হয় সেই দিনের কথা, তখনই নিজের অজান্তে চোখের পাতায় ভেসে উঠে সেই স্মৃতি। একেই হয়ত বলে ফেলে আসা দিন।

দেখতে দেখতে কখন যে সন্ধ্যা নেমে এসেছে টেরই পাইনি। সন্ধ্যার পরও গাড়ি চলছে, কারণ, পুরো আকাশ জুড়ে পূর্ণিমার চাঁদটা ঝলমল করে উঠেছিল। আর যে গরুর গাড়ি চালাচ্ছিল, সে-ও নিজের দায়িত্ব নিয়ে চালাচ্ছে এবং আনন্দের সঙ্গেই চালাচ্ছে। সে বুঝতে পেরেছিল, আমরা মহাবিপদে পড়ে আছি। সে শুধু গাড়িই চালায় নি, মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসাও করতেন যে, আপনাদের কারো কিছু লাগবে, আপনাদের কি কোন সমস্যা আছে? যদি কিছু প্রয়োজন হয় তবে আমাকে বলবেন, যদি কোন সমস্যা হয় আমাকে স্মরণ করবেন। আমি সব সময় হাজির আছি। একেক বার একেক কথা বলছে আর একেকটা গানের দুই চার লাইন গেয়ে আবার চুপ। হঠাৎ আবার গলা ছেড়ে জোড়ে আওয়াজ করে গেয়ে উঠে। তার গাওয়া কয়েকটি গানের লাইন আমার বেশ মনে আছে। এবং সেই গানগুলো আমার খুব প্রিয়। এখনও মাঝে মাঝে থেকে থেকে সেই গানগুলি শুনি। যখন একা থাকি, বা কখনো মন খারাপ হয়, তখন বারান্দায় গিয়ে একাকী বসে বসে গুন গুন করে গানগুলি গাই। তখন আমার মন ভাল হয়ে যায়। কখনো কখনো মন চায় সেই দিনটা যদি ফিরে আসতো, তবে যুদ্ধ না নিশ্চয়ই।

রাত তখন দশটা কি এগারটা বাজে। গাড়ি থেমে গিয়েছে। ড্রাইভার জানালেন, আমরা এসে গিয়েছি। একে একে সবাই গাড়ি থেকে নামছি। আমাদের মাঝ থেকে একজন গাড়ি থেকে নামার সময় মাটিতে পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়। তখন সবাই তার জন্য কতই না ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দাঁড়িয়ে দেখছি আর মনে মনে ভাবছি, কেউ কাউকে চেনে না, জানে না, তারপরও তার জন্য সবাই কত ব্যস্ত । এখন সেই দিনটা আর আগের মতন নেই। বিশ্বাস করতেই ইচ্ছে করে না। মনে মনে ভাবি সত্যিই কি এটি বাস্তব ছিল নাকি স্বপ্নের মাঝে দেখেছিলাম।

ঐ রাতে আরও কিছুদূর হাঁটার পর আস্তে আস্তে সবাই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি আর সেই ফুটন্ত উজ্জ্বল চাঁদটাও আস্তে আস্তে জ্যোতি কমে যেতে যেতে এক সময় আঁধারে হারিয়ে গিয়েছে, নেমে এসেছে অন্ধকার। তখন আর হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না। তারপর একটু সময় হাঁটি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটা বাড়ি পাওয়া গিয়েছে। সেই বাড়িতে একটা ঘরে টিম টিম করে কুপি বাতির আলো জ্বলছে। তাই দেখে বুঝতে পারি এটা একটা বাড়ি। আমরা সেই বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে সবাই যেমন ক্ষুধার্ত তেমনি ক্লান্ত। আমরা ফিস ফিস করে কথা বলি। তারপরও আমাদের অনেক মানুষের ফিসফিসানি শুনে সেই ঘর থেকে একজন বৃদ্ধা মহিলা লাঠি হাতে নিয়ে বাহির হয়ে এল, জিজ্ঞাসা করে আমরা কারা। আমাদের এখান থেকে একজন সব খুলে বলে। তখন ঐ বুড়ি আমাদেরকে জায়গা দিয়েছে আর একটা কথা বলি, তখন এই গভীর অন্ধকার রাতে অজানা অচেনা পথ দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছি তখন কিন্তু জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর ভয় ছিলনা আমাদের। ভয় ছিল মানুষের, মানুষের ভয়ে আমরা গভীর জঙ্গলে রাতের আঁধারে হিংস্র প্রাণির কাছে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এটা চিন্তা করলে মনে হয় পুরো পাকিস্তানিদেরকে কিছু একটা করে ফেলি।

এভাবেই আমরা এক সময় আমাদের গন্তব্যস্থানে এসে পৌঁছালাম। দাদার বাড়িতে এসে দেখি অনেক বড় বাড়ি না হলেও, বাড়িটা বেশ সুন্দর। গ্রামের বাড়ি সাধারনত: এত সুন্দর পরিপাটি থাকে না। বাড়ি ভর্তি লোকজন। আমাদেরকে পেয়ে সবাই বেশ খুশি। খুব সহজেই আপন করে নিয়েছে তারা আমাদেরকে। বাড়ির সকলের বিশেষ করে দাদার আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। সে যে সন্তানকে কত ভালবাসে তা বুঝতে একটুও সময় লাগেনি। কিন্তু দু:খ একটা আছে, থাকবেই। সেই দু:খ দাদা কখনো আমাদের প্রকাশ করেন নি। কথাবার্তা, চলাফেরা থেকে। আব্বার ঘরটায় আমরা থাকতাম। যাক এসব কথা।

গ্রামে যাওয়ার পর প্রাণ খুলে চলাফেরা করতে পারছি। গ্রামে কোথাও ভয় আতংক নেই। পুরো গ্রাম জুড়ে চলাফেরা করছি, কি যে ভাল লাগছে, তা বলে বুঝানো যাবে না। তবে শহরের কথা সব সময়ই শুনা যাচ্ছে, গ্রামে আলোচনা করে সবাই। দেখতে দেখতে বেশ ক’টা দিন ভালভাবেই কেটে গিয়েছে।ঐখানে গিয়ে আমার বয়সি আরও চাচাতো বোন পেলাম, দুই চাচার ঘরের তিনজন। তাদের নাম পারুল, নার্গিস আর রেনুকা। তারাও আমাদেরকে বেশ আপন করে নিয়েছে। আশপাশের বাড়ির আরও অনেক ছেলেমেয়ে আছে আমার বয়সি। সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে আছি।

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির কর্তৃক মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে। মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে শিবির বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের অবমাননা করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে দেয় ছাত্রসংগঠনটি ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুদা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট এর হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রসংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদা’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ এবং পরবর্তীতে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিতে হবে।

ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন শহীদ মধুদার প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবির এর সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবির এর মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

তারা আরও উল্লেখ করেন, অপারেশন সার্চলাইট এ শহীদ মধুদা’র মতো অসংখ্য মানুষ শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এবং বীর শহীদদেরকে অবমাননা করছে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী