বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[২] হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত। নদী পার হয়ে আমরা কেউ আর হাঁটতে পারছি না। পেটে ক্ষুধা আছেই। নদী পার হয়ে দেখি কোন বাড়িঘর নেই। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। একটু দূরে কয়েকটা ছোট ছোট চালা। বুঝতে পারলাম এটা কোন একটা বাজার। নির্দিস্ট দিনে, নির্দিস্ট সময়ে হাট বসে। ঐখানেও কোন খাবার পাওয়া যাবে না। দেখি সামনে মানুষ নদী থেকে পানি পান করছে। আমিও গেলাম এবং নদী থেকে পানি পান করলাম। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল। পানি পান করার পর মনে হল ভেতরটা ঠান্ডা হয়েছে। শরীরে একটু শক্তি ফিরে এসেছে। আরও কিছুক্ষণ বসে আছি। একটু পর দেখি, দুই তিনজন লোক এগিয়ে আসছে, একজনের মাথায় মাটির কলসি আর একজনের মাথায় অনেক বড় একটা সিলভারের গামলা। আমাদের কাছে এসে দাঁড়ালেন, সঙ্গের লোকটি বললেন, এই নেন, আপনারা একটু খেয়ে পানি পান করেন। দেখি মুড়ি, আমরা সবাই খেলাম। এতজনের মধ্য থেকে একজন জানতে চান, আশে পাশে কোন বাড়িঘর নেই, নেই কোন লোকজন, আপনি এত খাবার কোথা থেকে নিয়ে এলেন। ঐ লোকটি তখন বললেন, যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকেই দেখি, এদিক দিয়ে শত শত লোক নদী পার হয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়, সবাই ক্লান্ত থাকে। একদিন দেখি সকালে কয়েকজন লোক আধা মরার মতন পড়ে আছে, আমি তাদের খাবার খাওয়াই। তারপর তারা সুস্থ হয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়। তার পরদিন থেকে আমি মুড়ি আর পানি নিয়ে আসি। প্রতিদিন তিনবার মুড়ি আর পানি আনি। আর নৌকা দিয়ে লোক পার করার জন্য আমরা চারজন লোক রেখেছি । আমার বাড়ি ঐখান থেকে প্রায় এক মাইল দূরে। লোকটির নাম কি, কি তার পরিচয়, তা কিছুই জানতে পারিনি। তখন এসব জানার মতন মনমানসিকতা ছিল না।

মুড়ি পানি খেয়ে আবার হাঁটতে শুরু করি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার গরুর গাড়ি পেলাম। গরুর গাড়ি চলছে তো চলছেই। মাঝে তিন জায়গায় গাড়ি থেমেছে। কিন্তু আমরা নামছি না। না নামার কারণও ছিল, কারণটা হল, আমরা এতই ঠাসাঠাসি করে গাড়িতে বসে আছি যে, নড়ার শক্তি নেই। নামলে পরে যদি আবার উঠে বসতে না পারি, তাই আমরা আর নামি নি। গাড়ি চলছে, আর একেক জন একেক গল্প বলছে। এত কস্টের মাঝেও হাসি আটকে রাখতে পারছে না কেউ। এত দু:সময়েও মানুষ যে এত সুন্দর করে কথা বলতে পারে, আর মানুষকে এত আনন্দ দিতে পারে, সেই দিন ঐ গরুর গাড়ি দিয়ে না গেলে তা কোন দিনও বুঝতে পারতাম না। সেই দিনের সেই সময় থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার জীবনে আরও কত দেশ বিদেশ ঘুরেছি কিন্তু সেই দিনের সেই জার্নির কথা আমি কখনো ভুলিনি এবং আর ভুলবোও না। যদিও সেই সময়টা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু দুই তিনজনে সেই খারাপ সময়টাকে কেমন করে যে ভাল করে দিয়েছিল। তারা তো সত্যিই খুব ভাল, বুদ্ধিমান, তাই না। সেই জার্নিটা খুব মিস করি। যখন মনে হয় সেই দিনের কথা, তখনই নিজের অজান্তে চোখের পাতায় ভেসে উঠে সেই স্মৃতি। একেই হয়ত বলে ফেলে আসা দিন।

দেখতে দেখতে কখন যে সন্ধ্যা নেমে এসেছে টেরই পাইনি। সন্ধ্যার পরও গাড়ি চলছে, কারণ, পুরো আকাশ জুড়ে পূর্ণিমার চাঁদটা ঝলমল করে উঠেছিল। আর যে গরুর গাড়ি চালাচ্ছিল, সে-ও নিজের দায়িত্ব নিয়ে চালাচ্ছে এবং আনন্দের সঙ্গেই চালাচ্ছে। সে বুঝতে পেরেছিল, আমরা মহাবিপদে পড়ে আছি। সে শুধু গাড়িই চালায় নি, মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসাও করতেন যে, আপনাদের কারো কিছু লাগবে, আপনাদের কি কোন সমস্যা আছে? যদি কিছু প্রয়োজন হয় তবে আমাকে বলবেন, যদি কোন সমস্যা হয় আমাকে স্মরণ করবেন। আমি সব সময় হাজির আছি। একেক বার একেক কথা বলছে আর একেকটা গানের দুই চার লাইন গেয়ে আবার চুপ। হঠাৎ আবার গলা ছেড়ে জোড়ে আওয়াজ করে গেয়ে উঠে। তার গাওয়া কয়েকটি গানের লাইন আমার বেশ মনে আছে। এবং সেই গানগুলো আমার খুব প্রিয়। এখনও মাঝে মাঝে থেকে থেকে সেই গানগুলি শুনি। যখন একা থাকি, বা কখনো মন খারাপ হয়, তখন বারান্দায় গিয়ে একাকী বসে বসে গুন গুন করে গানগুলি গাই। তখন আমার মন ভাল হয়ে যায়। কখনো কখনো মন চায় সেই দিনটা যদি ফিরে আসতো, তবে যুদ্ধ না নিশ্চয়ই।

রাত তখন দশটা কি এগারটা বাজে। গাড়ি থেমে গিয়েছে। ড্রাইভার জানালেন, আমরা এসে গিয়েছি। একে একে সবাই গাড়ি থেকে নামছি। আমাদের মাঝ থেকে একজন গাড়ি থেকে নামার সময় মাটিতে পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়। তখন সবাই তার জন্য কতই না ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দাঁড়িয়ে দেখছি আর মনে মনে ভাবছি, কেউ কাউকে চেনে না, জানে না, তারপরও তার জন্য সবাই কত ব্যস্ত । এখন সেই দিনটা আর আগের মতন নেই। বিশ্বাস করতেই ইচ্ছে করে না। মনে মনে ভাবি সত্যিই কি এটি বাস্তব ছিল নাকি স্বপ্নের মাঝে দেখেছিলাম।

ঐ রাতে আরও কিছুদূর হাঁটার পর আস্তে আস্তে সবাই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি আর সেই ফুটন্ত উজ্জ্বল চাঁদটাও আস্তে আস্তে জ্যোতি কমে যেতে যেতে এক সময় আঁধারে হারিয়ে গিয়েছে, নেমে এসেছে অন্ধকার। তখন আর হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না। তারপর একটু সময় হাঁটি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটা বাড়ি পাওয়া গিয়েছে। সেই বাড়িতে একটা ঘরে টিম টিম করে কুপি বাতির আলো জ্বলছে। তাই দেখে বুঝতে পারি এটা একটা বাড়ি। আমরা সেই বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে সবাই যেমন ক্ষুধার্ত তেমনি ক্লান্ত। আমরা ফিস ফিস করে কথা বলি। তারপরও আমাদের অনেক মানুষের ফিসফিসানি শুনে সেই ঘর থেকে একজন বৃদ্ধা মহিলা লাঠি হাতে নিয়ে বাহির হয়ে এল, জিজ্ঞাসা করে আমরা কারা। আমাদের এখান থেকে একজন সব খুলে বলে। তখন ঐ বুড়ি আমাদেরকে জায়গা দিয়েছে আর একটা কথা বলি, তখন এই গভীর অন্ধকার রাতে অজানা অচেনা পথ দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছি তখন কিন্তু জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর ভয় ছিলনা আমাদের। ভয় ছিল মানুষের, মানুষের ভয়ে আমরা গভীর জঙ্গলে রাতের আঁধারে হিংস্র প্রাণির কাছে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এটা চিন্তা করলে মনে হয় পুরো পাকিস্তানিদেরকে কিছু একটা করে ফেলি।

এভাবেই আমরা এক সময় আমাদের গন্তব্যস্থানে এসে পৌঁছালাম। দাদার বাড়িতে এসে দেখি অনেক বড় বাড়ি না হলেও, বাড়িটা বেশ সুন্দর। গ্রামের বাড়ি সাধারনত: এত সুন্দর পরিপাটি থাকে না। বাড়ি ভর্তি লোকজন। আমাদেরকে পেয়ে সবাই বেশ খুশি। খুব সহজেই আপন করে নিয়েছে তারা আমাদেরকে। বাড়ির সকলের বিশেষ করে দাদার আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। সে যে সন্তানকে কত ভালবাসে তা বুঝতে একটুও সময় লাগেনি। কিন্তু দু:খ একটা আছে, থাকবেই। সেই দু:খ দাদা কখনো আমাদের প্রকাশ করেন নি। কথাবার্তা, চলাফেরা থেকে। আব্বার ঘরটায় আমরা থাকতাম। যাক এসব কথা।

গ্রামে যাওয়ার পর প্রাণ খুলে চলাফেরা করতে পারছি। গ্রামে কোথাও ভয় আতংক নেই। পুরো গ্রাম জুড়ে চলাফেরা করছি, কি যে ভাল লাগছে, তা বলে বুঝানো যাবে না। তবে শহরের কথা সব সময়ই শুনা যাচ্ছে, গ্রামে আলোচনা করে সবাই। দেখতে দেখতে বেশ ক’টা দিন ভালভাবেই কেটে গিয়েছে।ঐখানে গিয়ে আমার বয়সি আরও চাচাতো বোন পেলাম, দুই চাচার ঘরের তিনজন। তাদের নাম পারুল, নার্গিস আর রেনুকা। তারাও আমাদেরকে বেশ আপন করে নিয়েছে। আশপাশের বাড়ির আরও অনেক ছেলেমেয়ে আছে আমার বয়সি। সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে আছি।

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত