রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভূমিকম্প বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ

প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প একটি বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ। ভূমিকম্প কোনো ধরনের আভাস না দিয়েই আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে হুঁশিয়ারি সংকেত পেলে অথবা নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ হলেও, ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে এ ধরনের কোনো সুযোগ পায় না মানুষ। কারণ বিজ্ঞান ভূমিকম্প বা এই দুর্যোগের কাছে খুবই অসহায়।

আগাম সতর্কবার্তা জানানোর উপায় এখনো খুঁজে পায়নি বিজ্ঞান। অবশ্য বিজ্ঞানীরাও বসে নেই, প্রতিনিয়তই গবেষণা করে যাচ্ছেন, কীভাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস মানুষকে জানানো যায় সে চেষ্টাই করছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা সে ক্ষেত্রে সামান্য সফলও হয়েছেন। তারা সেলফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কীকরণের কিছুটা উপায় বের করতে পেরেছেন। তবে সেটি তেমন একটা কার্যকর ব্যবস্থা নয়; মাত্র ৮০ সেকেন্ড আগে জানা যাবে। তবু সেটি একটি আশার বিষয়। হয়তো একদিন সেটি ৮০ মিনিটেও দাঁড়াতে পারে। সেসব অবশ্য ভবিষ্যতের কথা। বর্তমানে এই দুর্যোগ থেকে নিস্তার পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই বলা চলে। যে কোনো সময় ভূ-অভ্যন্তরে কম্পনের সৃষ্টি হলেই প্রলয়কাণ্ড ঘটে যেতে পারে ভূপৃষ্ঠে।

ভূমিকম্প বিভিন্ন মাত্রার হয়। ধ্বংসলীলা ও দুর্যোগ শক্তির পরিমাপ বোঝাতে রিখটার স্কেলের মাত্রা ব্যবহার করা হয় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে। যেমন ১ থেকে ১০ হচ্ছে রিখটার স্কেলের মাত্রা। রিখটার স্কেলের মাত্রা ৫-এর ওপরে গেলেই সেটাকে ভারী ভূমিকম্প বলা হয়। এভাবে একেক মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার মানেই হচ্ছে ১০ থেকে ৩২ গুণ শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। যেমন–ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯৯ হচ্ছে মাঝারি, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ তীব্র, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯৯ ভয়াবহ, ৮-এর উপরে মহাদুর্যোগ। এই হচ্ছে রিখটার স্কেলের হিসাব। রিখটার স্কেলের হিসাব ছাড়াও ভূমিকম্পকে ছোট, মাঝারি ও বড় ধরনের আখ্যা দিয়ে থাকে অনেকেই। ভূমিকম্পের ধরন যেমনই হোক না কেন, মূলত সব ধরনের ভূমিকম্পই বিপজ্জনক। তবে ছোট ধরনের ভূমিকম্প তেমন বিপজ্জনক না হলেও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয় এবং গ্যাসলাইন ভেঙে তছনছ হওয়ার পাশাপাশি জনপদে আগুন লেগে যায় অনেক সময়। আর বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে তো কথাই নেই, ভয়ংকর বিভীষিকা নেমে আসে ঐ জনপদে।

যদি সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হয়, তাহলেও রক্ষা নেই। জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপে উপকূল প্লাবিত হয়ে হাজার-লক্ষ প্রাণের বিনাশ ঘটায়। যেমন–২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের ৩০ কিলোমিটার গভীরে যে ভূকম্পন ঘটে, তাতে ১৪টি দেশের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যায়। ঐ ভূমিকম্প বিশ্বে ‘সুনামি’ নামে পরিচিতি পায়; যার পরিমাপ ছিল ৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার রিখটার স্কেল। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ভূমিকম্প দীর্ঘতম সময়ের ছিল; প্রায় ৮ দশমিক ৩ থেকে ১০ মিনিট এর স্থায়িত্ব ছিল। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১১ মার্চ জাপানে কয়েক সেকেন্ড স্থায়িত্বের বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার পরিমাপ ৮ দশমিক ৯ রিখটার স্কেল। ওই ভূমিকম্পের ফলে সেদিনের দৈর্ঘ্য ১.৮ মাইক্রো সেকেন্ড হ্রাস পেয়েছিল। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ১৯৬০ সালে চিলিতে। রিখটার স্কেলে ঐ ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছিল, যার ফলে চিলিতে বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ নেমে আসে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। তারপর থেকে চিলি সরকার যে কোনো স্থাপনার অনুমোদনের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করে। চিলিতে বিল্ডিং কোড বাধ্যতামূলক করাতে পরবর্তী সময়ে এর সুফলও পেয়েছে দেশটি। দেখা গেছে, ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও দেশটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মোটামুটি এই হচ্ছে জলে-স্থলে আঘাত হানা তিনটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের পরিণাম।

এ ছাড়া বড় ধরনের আরও কয়েকটি ভূমিকম্প বিশ্বে আঘাত হেনেছিল, যার ফলে জনপদ বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি লাখ-লাখ প্রাণের সমাধি ঘটেছিল যুগে যুগে। সুতরাং বলা যায়, ভূমিকম্প অন্যান্য দুর্যোগের চেয়েও ভয়াবহ একটি দুর্যোগ। কারণ এই দুর্যোগ শুধু মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর প্রাণই কেড়ে নেয় না, যে কোনো জনপদকেও বিলীন করে দেয়। অর্থাৎ, সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নামই হচ্ছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্প নিয়ে অনেক মিথও আছে। অনেকের ধারণা, মানুষের অধিক পাপের কারণে সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হয়ে শাস্তিস্বরূপ ভূমিকম্প প্রদান করেন। আসলে এ ধরনের কিছুই নয়; এটি শুধু পৃথিবীতেই নয়, অন্যান্য গ্রহেও আঘাত হানে। ভূ-অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটের ওঠানামার কারণই হচ্ছে ভূকম্পন বা ভূমিকম্প। এ ছাড়া অগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ, শিলাচ্যুতি, তাপ বিকিরণের কারণেও ভূমিকম্প হয়। তবে সে ধরনের ভূমিকম্প টেকটোনিক প্লেটের ওঠানামার মতো অতটা ভয়ংকর হয় না।

ভূমিকম্প যে কোনো মুহূর্তেই আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সমগ্র বিশ্বে বছরে লাখ লাখ ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে অনেকগুলো কম্পন অনুধাবন করা যায়ও না। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বছরে গড়ে ১৭টি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে ঐ ভূমিকম্পের মাত্রা ৭-এর ওপরে থাকে। আর ৮ মাত্রার ভূমিকম্প বছরে একবার হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীতে যত ভূমিকম্প আঘাত হানে, তার ৯০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘটে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প না ঘটলেও বর্তমানে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি। ভূতাত্ত্বিক জরিপে জানা যায়, বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে রয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট অঞ্চল। সিলেটে ২০২১ সালে (২৯ মে, ৩০ মে, ৭ জুন) ১০ দিনের ব্যবধানে মোট সাত দফা ভূমিকম্প হয়েছিল। তার মধ্যে ২৯ মে পরপর চারবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। তার আগে একই বছরের ৫ এপ্রিল দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। কয়েক সপ্তাহ বাদে ২৮ এপ্রিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চলতি বছরেও মৃদু ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি খেয়েছে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে এ ধরনের মৃদু ভূমিকম্প উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের আশঙ্কার কারণ। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বাংলাদেশকে সতর্কও করেছে। বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৭ ছাড়িয়ে গেলেই রাজধানী ঢাকা শহরের প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। আর ভূমিকম্পের মাত্রা ৮ ছাড়িয়ে গেলে শহরে দেড়-দুই লাখ লোকের মৃত্যু ঘটবে। এমনিতেই বাংলাদেশের অবস্থান ভারতীয়, ইউরেশীয় ও বার্মিজ তিনটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যার ফলে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হলেও মানুষ তা টের পায় না। সুতরাং বলা যায়, ভূমিকম্প মহাদুর্যোগ হয়ে যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। কাজেই আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। ভবন নির্মাণ এবং যে কোনো ধরনের স্থাপনার ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মেনে সঠিক গ্রাউন্ড মোশন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে পুরোনো ভবনকে টেকসই মজবুতভাবে সংস্কার করতে হবে। খুব বেশি পুরোনো দালান বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য বিষয়টি আরও ভয়ংকর হতে পারে। ভূমিকম্প ৭ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে রাজধানী ঢাকা শহরের চিত্র পাল্টে যাবে। ঘনবসতি ও জনবহুল এই শহর হবে তখন মৃত্যুপুরী। কাজেই এখনই সতর্ক হতে হবে সবাইকে। টেকসই স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি ঘনবসতি ভবন নির্মাণ প্রতিহত করতে হবে। তবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

এসএ/

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির কর্তৃক মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে। মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে শিবির বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের অবমাননা করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে দেয় ছাত্রসংগঠনটি ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুদা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট এর হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রসংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদা’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ এবং পরবর্তীতে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিতে হবে।

ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন শহীদ মধুদার প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবির এর সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবির এর মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

তারা আরও উল্লেখ করেন, অপারেশন সার্চলাইট এ শহীদ মধুদা’র মতো অসংখ্য মানুষ শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এবং বীর শহীদদেরকে অবমাননা করছে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেরালায় ঘটে গেছে এক ভয়াবহ ও গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। পাঁচ বছর ধরে এক দরিদ্র দিনমজুরের কিশোরী কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে, আর এতে জড়িত ছিল তার সহপাঠী, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনসহ বেশ কিছু অপরিচিত ব্যক্তি। সম্প্রতি পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এই নির্মম সত্য, যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন ভুক্তভোগী কিশোরী তার কলেজের এক কাউন্সিলরের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে একে একে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী যে গ্রামে বাস করতো, সেখানে বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনের দ্বারা সে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নির্যাতনকারীরা ভিডিও ধারণ করেও তাকে ব্ল্যাকমেইল করত।

কেরালা পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অজিতা বেগম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে তৎপর রয়েছে।

এই ভয়ংকর ঘটনার পর কেরালাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে নিকট আত্মীয় ও পরিচিতজনদের হাতে এমন নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়টি সমাজে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে নির্যাতিত কিশোরীকে মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী