সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভূমিকম্প বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ

প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প একটি বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ। ভূমিকম্প কোনো ধরনের আভাস না দিয়েই আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে হুঁশিয়ারি সংকেত পেলে অথবা নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ হলেও, ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে এ ধরনের কোনো সুযোগ পায় না মানুষ। কারণ বিজ্ঞান ভূমিকম্প বা এই দুর্যোগের কাছে খুবই অসহায়।

আগাম সতর্কবার্তা জানানোর উপায় এখনো খুঁজে পায়নি বিজ্ঞান। অবশ্য বিজ্ঞানীরাও বসে নেই, প্রতিনিয়তই গবেষণা করে যাচ্ছেন, কীভাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস মানুষকে জানানো যায় সে চেষ্টাই করছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা সে ক্ষেত্রে সামান্য সফলও হয়েছেন। তারা সেলফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কীকরণের কিছুটা উপায় বের করতে পেরেছেন। তবে সেটি তেমন একটা কার্যকর ব্যবস্থা নয়; মাত্র ৮০ সেকেন্ড আগে জানা যাবে। তবু সেটি একটি আশার বিষয়। হয়তো একদিন সেটি ৮০ মিনিটেও দাঁড়াতে পারে। সেসব অবশ্য ভবিষ্যতের কথা। বর্তমানে এই দুর্যোগ থেকে নিস্তার পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই বলা চলে। যে কোনো সময় ভূ-অভ্যন্তরে কম্পনের সৃষ্টি হলেই প্রলয়কাণ্ড ঘটে যেতে পারে ভূপৃষ্ঠে।

ভূমিকম্প বিভিন্ন মাত্রার হয়। ধ্বংসলীলা ও দুর্যোগ শক্তির পরিমাপ বোঝাতে রিখটার স্কেলের মাত্রা ব্যবহার করা হয় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে। যেমন ১ থেকে ১০ হচ্ছে রিখটার স্কেলের মাত্রা। রিখটার স্কেলের মাত্রা ৫-এর ওপরে গেলেই সেটাকে ভারী ভূমিকম্প বলা হয়। এভাবে একেক মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার মানেই হচ্ছে ১০ থেকে ৩২ গুণ শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। যেমন–ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯৯ হচ্ছে মাঝারি, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ তীব্র, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯৯ ভয়াবহ, ৮-এর উপরে মহাদুর্যোগ। এই হচ্ছে রিখটার স্কেলের হিসাব। রিখটার স্কেলের হিসাব ছাড়াও ভূমিকম্পকে ছোট, মাঝারি ও বড় ধরনের আখ্যা দিয়ে থাকে অনেকেই। ভূমিকম্পের ধরন যেমনই হোক না কেন, মূলত সব ধরনের ভূমিকম্পই বিপজ্জনক। তবে ছোট ধরনের ভূমিকম্প তেমন বিপজ্জনক না হলেও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয় এবং গ্যাসলাইন ভেঙে তছনছ হওয়ার পাশাপাশি জনপদে আগুন লেগে যায় অনেক সময়। আর বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে তো কথাই নেই, ভয়ংকর বিভীষিকা নেমে আসে ঐ জনপদে।

যদি সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হয়, তাহলেও রক্ষা নেই। জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপে উপকূল প্লাবিত হয়ে হাজার-লক্ষ প্রাণের বিনাশ ঘটায়। যেমন–২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের ৩০ কিলোমিটার গভীরে যে ভূকম্পন ঘটে, তাতে ১৪টি দেশের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যায়। ঐ ভূমিকম্প বিশ্বে ‘সুনামি’ নামে পরিচিতি পায়; যার পরিমাপ ছিল ৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার রিখটার স্কেল। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ভূমিকম্প দীর্ঘতম সময়ের ছিল; প্রায় ৮ দশমিক ৩ থেকে ১০ মিনিট এর স্থায়িত্ব ছিল। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১১ মার্চ জাপানে কয়েক সেকেন্ড স্থায়িত্বের বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার পরিমাপ ৮ দশমিক ৯ রিখটার স্কেল। ওই ভূমিকম্পের ফলে সেদিনের দৈর্ঘ্য ১.৮ মাইক্রো সেকেন্ড হ্রাস পেয়েছিল। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ১৯৬০ সালে চিলিতে। রিখটার স্কেলে ঐ ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছিল, যার ফলে চিলিতে বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ নেমে আসে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। তারপর থেকে চিলি সরকার যে কোনো স্থাপনার অনুমোদনের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করে। চিলিতে বিল্ডিং কোড বাধ্যতামূলক করাতে পরবর্তী সময়ে এর সুফলও পেয়েছে দেশটি। দেখা গেছে, ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও দেশটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মোটামুটি এই হচ্ছে জলে-স্থলে আঘাত হানা তিনটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের পরিণাম।

এ ছাড়া বড় ধরনের আরও কয়েকটি ভূমিকম্প বিশ্বে আঘাত হেনেছিল, যার ফলে জনপদ বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি লাখ-লাখ প্রাণের সমাধি ঘটেছিল যুগে যুগে। সুতরাং বলা যায়, ভূমিকম্প অন্যান্য দুর্যোগের চেয়েও ভয়াবহ একটি দুর্যোগ। কারণ এই দুর্যোগ শুধু মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর প্রাণই কেড়ে নেয় না, যে কোনো জনপদকেও বিলীন করে দেয়। অর্থাৎ, সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নামই হচ্ছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্প নিয়ে অনেক মিথও আছে। অনেকের ধারণা, মানুষের অধিক পাপের কারণে সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হয়ে শাস্তিস্বরূপ ভূমিকম্প প্রদান করেন। আসলে এ ধরনের কিছুই নয়; এটি শুধু পৃথিবীতেই নয়, অন্যান্য গ্রহেও আঘাত হানে। ভূ-অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটের ওঠানামার কারণই হচ্ছে ভূকম্পন বা ভূমিকম্প। এ ছাড়া অগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ, শিলাচ্যুতি, তাপ বিকিরণের কারণেও ভূমিকম্প হয়। তবে সে ধরনের ভূমিকম্প টেকটোনিক প্লেটের ওঠানামার মতো অতটা ভয়ংকর হয় না।

ভূমিকম্প যে কোনো মুহূর্তেই আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সমগ্র বিশ্বে বছরে লাখ লাখ ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে অনেকগুলো কম্পন অনুধাবন করা যায়ও না। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বছরে গড়ে ১৭টি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে ঐ ভূমিকম্পের মাত্রা ৭-এর ওপরে থাকে। আর ৮ মাত্রার ভূমিকম্প বছরে একবার হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীতে যত ভূমিকম্প আঘাত হানে, তার ৯০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘটে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প না ঘটলেও বর্তমানে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি। ভূতাত্ত্বিক জরিপে জানা যায়, বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে রয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট অঞ্চল। সিলেটে ২০২১ সালে (২৯ মে, ৩০ মে, ৭ জুন) ১০ দিনের ব্যবধানে মোট সাত দফা ভূমিকম্প হয়েছিল। তার মধ্যে ২৯ মে পরপর চারবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। তার আগে একই বছরের ৫ এপ্রিল দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। কয়েক সপ্তাহ বাদে ২৮ এপ্রিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চলতি বছরেও মৃদু ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি খেয়েছে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে এ ধরনের মৃদু ভূমিকম্প উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের আশঙ্কার কারণ। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বাংলাদেশকে সতর্কও করেছে। বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৭ ছাড়িয়ে গেলেই রাজধানী ঢাকা শহরের প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। আর ভূমিকম্পের মাত্রা ৮ ছাড়িয়ে গেলে শহরে দেড়-দুই লাখ লোকের মৃত্যু ঘটবে। এমনিতেই বাংলাদেশের অবস্থান ভারতীয়, ইউরেশীয় ও বার্মিজ তিনটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যার ফলে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হলেও মানুষ তা টের পায় না। সুতরাং বলা যায়, ভূমিকম্প মহাদুর্যোগ হয়ে যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। কাজেই আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। ভবন নির্মাণ এবং যে কোনো ধরনের স্থাপনার ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মেনে সঠিক গ্রাউন্ড মোশন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে পুরোনো ভবনকে টেকসই মজবুতভাবে সংস্কার করতে হবে। খুব বেশি পুরোনো দালান বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য বিষয়টি আরও ভয়ংকর হতে পারে। ভূমিকম্প ৭ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে রাজধানী ঢাকা শহরের চিত্র পাল্টে যাবে। ঘনবসতি ও জনবহুল এই শহর হবে তখন মৃত্যুপুরী। কাজেই এখনই সতর্ক হতে হবে সবাইকে। টেকসই স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি ঘনবসতি ভবন নির্মাণ প্রতিহত করতে হবে। তবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

এসএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু