রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভূমিকম্প বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ

প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প একটি বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ। ভূমিকম্প কোনো ধরনের আভাস না দিয়েই আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে হুঁশিয়ারি সংকেত পেলে অথবা নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ হলেও, ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে এ ধরনের কোনো সুযোগ পায় না মানুষ। কারণ বিজ্ঞান ভূমিকম্প বা এই দুর্যোগের কাছে খুবই অসহায়।

আগাম সতর্কবার্তা জানানোর উপায় এখনো খুঁজে পায়নি বিজ্ঞান। অবশ্য বিজ্ঞানীরাও বসে নেই, প্রতিনিয়তই গবেষণা করে যাচ্ছেন, কীভাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস মানুষকে জানানো যায় সে চেষ্টাই করছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা সে ক্ষেত্রে সামান্য সফলও হয়েছেন। তারা সেলফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কীকরণের কিছুটা উপায় বের করতে পেরেছেন। তবে সেটি তেমন একটা কার্যকর ব্যবস্থা নয়; মাত্র ৮০ সেকেন্ড আগে জানা যাবে। তবু সেটি একটি আশার বিষয়। হয়তো একদিন সেটি ৮০ মিনিটেও দাঁড়াতে পারে। সেসব অবশ্য ভবিষ্যতের কথা। বর্তমানে এই দুর্যোগ থেকে নিস্তার পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই বলা চলে। যে কোনো সময় ভূ-অভ্যন্তরে কম্পনের সৃষ্টি হলেই প্রলয়কাণ্ড ঘটে যেতে পারে ভূপৃষ্ঠে।

ভূমিকম্প বিভিন্ন মাত্রার হয়। ধ্বংসলীলা ও দুর্যোগ শক্তির পরিমাপ বোঝাতে রিখটার স্কেলের মাত্রা ব্যবহার করা হয় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে। যেমন ১ থেকে ১০ হচ্ছে রিখটার স্কেলের মাত্রা। রিখটার স্কেলের মাত্রা ৫-এর ওপরে গেলেই সেটাকে ভারী ভূমিকম্প বলা হয়। এভাবে একেক মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার মানেই হচ্ছে ১০ থেকে ৩২ গুণ শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। যেমন–ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯৯ হচ্ছে মাঝারি, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ তীব্র, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯৯ ভয়াবহ, ৮-এর উপরে মহাদুর্যোগ। এই হচ্ছে রিখটার স্কেলের হিসাব। রিখটার স্কেলের হিসাব ছাড়াও ভূমিকম্পকে ছোট, মাঝারি ও বড় ধরনের আখ্যা দিয়ে থাকে অনেকেই। ভূমিকম্পের ধরন যেমনই হোক না কেন, মূলত সব ধরনের ভূমিকম্পই বিপজ্জনক। তবে ছোট ধরনের ভূমিকম্প তেমন বিপজ্জনক না হলেও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয় এবং গ্যাসলাইন ভেঙে তছনছ হওয়ার পাশাপাশি জনপদে আগুন লেগে যায় অনেক সময়। আর বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে তো কথাই নেই, ভয়ংকর বিভীষিকা নেমে আসে ঐ জনপদে।

যদি সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হয়, তাহলেও রক্ষা নেই। জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপে উপকূল প্লাবিত হয়ে হাজার-লক্ষ প্রাণের বিনাশ ঘটায়। যেমন–২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের ৩০ কিলোমিটার গভীরে যে ভূকম্পন ঘটে, তাতে ১৪টি দেশের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যায়। ঐ ভূমিকম্প বিশ্বে ‘সুনামি’ নামে পরিচিতি পায়; যার পরিমাপ ছিল ৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার রিখটার স্কেল। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ভূমিকম্প দীর্ঘতম সময়ের ছিল; প্রায় ৮ দশমিক ৩ থেকে ১০ মিনিট এর স্থায়িত্ব ছিল। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১১ মার্চ জাপানে কয়েক সেকেন্ড স্থায়িত্বের বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার পরিমাপ ৮ দশমিক ৯ রিখটার স্কেল। ওই ভূমিকম্পের ফলে সেদিনের দৈর্ঘ্য ১.৮ মাইক্রো সেকেন্ড হ্রাস পেয়েছিল। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ১৯৬০ সালে চিলিতে। রিখটার স্কেলে ঐ ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছিল, যার ফলে চিলিতে বিভীষিকাময় মহাদুর্যোগ নেমে আসে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। তারপর থেকে চিলি সরকার যে কোনো স্থাপনার অনুমোদনের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করে। চিলিতে বিল্ডিং কোড বাধ্যতামূলক করাতে পরবর্তী সময়ে এর সুফলও পেয়েছে দেশটি। দেখা গেছে, ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও দেশটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মোটামুটি এই হচ্ছে জলে-স্থলে আঘাত হানা তিনটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের পরিণাম।

এ ছাড়া বড় ধরনের আরও কয়েকটি ভূমিকম্প বিশ্বে আঘাত হেনেছিল, যার ফলে জনপদ বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি লাখ-লাখ প্রাণের সমাধি ঘটেছিল যুগে যুগে। সুতরাং বলা যায়, ভূমিকম্প অন্যান্য দুর্যোগের চেয়েও ভয়াবহ একটি দুর্যোগ। কারণ এই দুর্যোগ শুধু মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর প্রাণই কেড়ে নেয় না, যে কোনো জনপদকেও বিলীন করে দেয়। অর্থাৎ, সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নামই হচ্ছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্প নিয়ে অনেক মিথও আছে। অনেকের ধারণা, মানুষের অধিক পাপের কারণে সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হয়ে শাস্তিস্বরূপ ভূমিকম্প প্রদান করেন। আসলে এ ধরনের কিছুই নয়; এটি শুধু পৃথিবীতেই নয়, অন্যান্য গ্রহেও আঘাত হানে। ভূ-অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটের ওঠানামার কারণই হচ্ছে ভূকম্পন বা ভূমিকম্প। এ ছাড়া অগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ, শিলাচ্যুতি, তাপ বিকিরণের কারণেও ভূমিকম্প হয়। তবে সে ধরনের ভূমিকম্প টেকটোনিক প্লেটের ওঠানামার মতো অতটা ভয়ংকর হয় না।

ভূমিকম্প যে কোনো মুহূর্তেই আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সমগ্র বিশ্বে বছরে লাখ লাখ ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে অনেকগুলো কম্পন অনুধাবন করা যায়ও না। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বছরে গড়ে ১৭টি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে ঐ ভূমিকম্পের মাত্রা ৭-এর ওপরে থাকে। আর ৮ মাত্রার ভূমিকম্প বছরে একবার হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীতে যত ভূমিকম্প আঘাত হানে, তার ৯০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘটে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প না ঘটলেও বর্তমানে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি। ভূতাত্ত্বিক জরিপে জানা যায়, বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে রয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট অঞ্চল। সিলেটে ২০২১ সালে (২৯ মে, ৩০ মে, ৭ জুন) ১০ দিনের ব্যবধানে মোট সাত দফা ভূমিকম্প হয়েছিল। তার মধ্যে ২৯ মে পরপর চারবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। তার আগে একই বছরের ৫ এপ্রিল দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। কয়েক সপ্তাহ বাদে ২৮ এপ্রিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চলতি বছরেও মৃদু ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি খেয়েছে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে এ ধরনের মৃদু ভূমিকম্প উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের আশঙ্কার কারণ। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বাংলাদেশকে সতর্কও করেছে। বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৭ ছাড়িয়ে গেলেই রাজধানী ঢাকা শহরের প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। আর ভূমিকম্পের মাত্রা ৮ ছাড়িয়ে গেলে শহরে দেড়-দুই লাখ লোকের মৃত্যু ঘটবে। এমনিতেই বাংলাদেশের অবস্থান ভারতীয়, ইউরেশীয় ও বার্মিজ তিনটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যার ফলে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হলেও মানুষ তা টের পায় না। সুতরাং বলা যায়, ভূমিকম্প মহাদুর্যোগ হয়ে যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। কাজেই আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। ভবন নির্মাণ এবং যে কোনো ধরনের স্থাপনার ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মেনে সঠিক গ্রাউন্ড মোশন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে পুরোনো ভবনকে টেকসই মজবুতভাবে সংস্কার করতে হবে। খুব বেশি পুরোনো দালান বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য বিষয়টি আরও ভয়ংকর হতে পারে। ভূমিকম্প ৭ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে রাজধানী ঢাকা শহরের চিত্র পাল্টে যাবে। ঘনবসতি ও জনবহুল এই শহর হবে তখন মৃত্যুপুরী। কাজেই এখনই সতর্ক হতে হবে সবাইকে। টেকসই স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি ঘনবসতি ভবন নির্মাণ প্রতিহত করতে হবে। তবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

এসএ/

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

 

‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে, তাদের গর্ভপাত করানো হতো। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী সদস্য রফিকুলকে সহায়তা করতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এক ভুক্তভোগী মামলা করলে গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে এবং আত্মগোপনে থাকাকালীন অবস্থায় র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে, রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জানা যায়, গ্রেপ্তার রফিক এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী এক নারী গত দুই বছর যাবৎ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীক শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো।

তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কে বললো ভাই? আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে তথ্যের জন্য ১০০ বার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের চেম্বার ভবন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একজন করে মুখপাত্র থাকে। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিন জন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার যায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সেটিসফাই (সন্তুষ্ট) না করতে পারে আমরা চার জন ডেপুটি গভর্নর আছি- আমরা উত্তর দেব। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

তিনি বলেন, অবাধ বলতে কী? অবাধে কোথায় যায়? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোনও কিছু দেবে? জার্নালিস্টকে দেবে যতই বন্ধু হন? অ্যাবসার্ড (অবাস্তব)। পৃথিবীর কোনও দেশে নাই। তাহলে আপনি বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করিনি। আপনি তো যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোনও কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন। যেটা সিক্রেসি আইনে কাভার করে না। যতদূর খোলামেলা বলা যায় তারা বলে দেবে। কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় সিক্রেসির তথ্য চাইবেন সেটা তো পারমিট করে না কেউ।

খুরশিদ আলম বলেন, আলটিমেটটলি (মূলত) আপনার উদ্দেশ্য দেশটার মঙ্গল আমাদেরও তাই। দেশটা হলো সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের ম্যানেজার পোস্টিং দিয়ে বসে আছি। সে কী করছে না করছে আমরা সুপারভাইজ করছি না। এটা চলবে না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবহারে সফট কিন্তু নিজেকে কঠোর করতে হবে। এটা সেন্ট্রাল ব্যাংকের মেসেজ।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক